অলৌকিক

অলৌকিক

….”ভূত আছে কি নাই- এই নিয়ে বিতর্ক হতে পারে।

কিন্তু এটা বোধ হয় সত্যি, মানুষ জীবনে কখনো কখনো ভূত আছে এটা বিশ্বাস করে। আর ভূতকে ভয় পায় সব মানুষই।

আমাদের জীবনে অনেক সময় এমন অনেক ঘটনা ঘটে, যেটাকে আমরা আসলে বলি ভৌতিক বা অলৌকিক।

এ রকম ঘটনা আমাদের সবার জীবনেই কমবেশি ঘটে।”….!!

ওয়ান-ইলেভেনের পরে নিউ ইয়র্কে এক শুক্রবার জুমার নামাজ পড়ব। ম্যানহাটানের একটা হোটেলে উঠেছি।

সকাল থেকেই টিপ টিপ বৃষ্টি হচ্ছে। ভেবেছিলাম, বারোটা-সাড়ে বারোটায় একটা ট্যাক্সি নিয়ে পৌঁছে যাব কোনো মসজিদে।

নিউ ইয়র্ক শহরে অর্ধেক ট্যাক্সি ড্রাইভারই বাঙালি। সুতরাং অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।
কিন্তু নিচে নেমে বোকা হয়ে গেলাম। বাঙালি ড্রাইভার তো দূরের কথা, মসজিদ চেনে এমন ড্রাইভারই খুঁজে পাচ্ছিলাম না।

যেহেতু হোটেলে থাকি, সে জন্য হোটেলের বেলবয় আমাকে একটু সাহায্য করার চেষ্টা করছিল।

কিন্তু ট্যাক্সি ড্রাইভাররা এমনই মুখভঙ্গি করে আমার দিকে তাকিয়ে চলে যাচ্ছিল, যা আমার জন্য মোটেই সুখকর ছিল না।

এদিকে ঘড়িও চলছে আপন বেগে।ম্যানহাটানের মসজিদের আশা ছেড়ে চিন্তা করলাম, একটা ট্যাক্সি নিয়ে এস্টোরিয়ায় চলে যাই।

বাঙালি পাড়া। কাউকে জিজ্ঞেস করে নিশ্চয়ই একটা মসজিদ খুঁজে পাওয়া যাবে। উঠে পড়লাম একটা ট্যাক্সিতে। ট্যাক্সি ছুটল এস্টোরিয়ার দিকে।

ড্রাইভারের সঙ্গে কথা বলে বুঝতে পারলাম, পুরুষ নয়, মহিলা; ডেনমার্কের। তিনি নির্বিকার ভাবে জানিয়ে দিলেন, আমি কোনো মসজিদ চিনি না।

এস্টোরিয়া এলাকায় গিয়ে একটা পেট্রল পাম্পের সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম। সেখানকার ড্রাইভারদের ও অন্যদের জিজ্ঞেস করতেও একই জবাব।

ছোট ছোট কিছু দোকান থাকে, যেগুলো বাংলাদেশ বা পাকিস্তানিরা চালায়। সেগুলো নামাজের কারণে বন্ধ।

জীবনে অনেকবার অনেক জায়গায় জুমার নামাজ পাব কি পাব না- এমন অনিশ্চয়তায় ভুগেছি, ঠিক সময়মতো নামাজে দাঁড়িয়ে গেছি।

মনে আছে, এক শুক্রবার ভারতের পুরীতে ছিলাম।

হোটেল থেকে খবর নিয়ে জুমার নামাজের সময় বেরিয়েছি মসজিদের খোঁজে।বেরিয়ে দেখলাম, দূর থেকে একটা রিকশা আসছে।

রিকশায় চড়ে জানলাম, রিকশাওয়ালাও যাচ্ছে পুরীর একমাত্র মসজিদের দিকে। আর পুরো পুরীতে একজন মাত্র মুসলমান রিকশাওয়ালা রয়েছে।

ভাগ্যক্রমে সেই রিকশাওয়ালারই দেখা পেয়েছি।

পুরীর মতো আজ নিউ ইয়র্কেও সে রকম কোনো ঘটনা ঘটবে- এটাই আশা করছি। ঘড়ির কাঁটা একটা ছাড়িয়ে গেছে। সামনে আরেকটা পেট্রল পাম্প।

ড্রাইভারকে সেখানে দাঁড়াতে বলব। কিন্তু ড্রাইভার আমার কথা না শুনে খামোখাই ডানদিকের একটা গলিতে ঢুকে গেল।

গলিতে ঢুকতেই বুঝলাম, সুনসান একটা গলি! বৃষ্টির কারণে রাস্তায়ও কেউ নেই। ড্রাইভার বলল, সামনেই বড় রাস্তা, এটা শর্টকাট।

আমি তখন সামনের দিকে তাকিয়ে দেখছি, একটা বিরাট ছাতা। রাস্তা দিয়ে এগিয়ে আসছে।

সাধারণত আমরা যে সাইজের ছাতা দেখি, ছাতাটা তারচেয়ে তিন গুণ বড়। গাড়ির ড্রাইভারকে বললাম ছাতা নিয়ে যে আসছে তার পাশে দাঁড়াতে।

বৃষ্টি আর বাতাস ঠেলে যে মানুষটা আসছে, সেও বেশ মোটা। লম্বায় ছয় ফুট। আমি ইংরেজিতে বললাম, আশপাশে কোনো মসজিদ রয়েছে?

ছয় ফিট লম্বা লোকটি আমাকে অবাক করে দিয়ে নির্ভেজাল বাংলা ভাষায় বলল, আপনি সাগর ভাই?

একটু অপ্রস্তুত আমি। একে বাংলা, তারপর আবার আমার নাম শুনে। ছাতাওয়ালা ছেলেটি বলল, আমি সুমন। নারায়ণগঞ্জের।

আপনার পরিচালনায় বাংলাদেশ টেলিভিশনের বিদ্যালয় বিচিত্রা অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলাম।

বাংলাদেশ টেলিভিশনে নতুন কুঁড়ি, বিদ্যালয় বিচিত্রা কিংবা প্রাণ তরঙ্গের মতো অনুষ্ঠান করার কারণে সারা পৃথিবীতে অনেক অংশগ্রহণকারী ছড়িয়ে আছে।

এদের অনেকের সঙ্গেই আমার বিভিন্ন সময় দেখা হয়েছে। সেই রকমই একজন ভেবে বললাম, জুমার নামাজ পড়ব। মসজিদ খুঁজছি।

এই এলাকার মসজিদে উন্নয়নকাজ চলছে।
তার মানে কি আজ জুমার নামাজ হবে না?
জুমার নামাজ হবে। তবে মসজিদে নয়।
কিন্তু সময় বেশি নেই। আপনি গাড়ি থেকে নামেন।

ড্রাইভারের পাওনা চুকিয়ে গাড়ি থেকে নামলাম। ছাতাটা বোধ হয় দুজন একসঙ্গে যাব বলেই এত বড়।

ছেলেটি বলল, জুমার নামাজের আয়োজন করা হয়েছে বাস্কেটবল কোর্টে। পাশের এই বাড়ির মধ্য দিয়ে শর্টকাট রাস্তা।

ছেলেটির সঙ্গে দেখা না হলে কোনো ভাবেই এই বাস্কেটবল কোর্ট আমি খুঁজে পেতাম না। ধন্যবাদ দিয়ে নামাজের জন্য দাঁড়িয়ে গেলাম।

নামাজ শেষে ছেলেটিকে আবার খোঁজার চেষ্টা করলাম। কোথাও দেখতে পেলাম না।

একজন বাঙালি ভদ্রলোককে পেয়ে জিজ্ঞেস করলাম, নারায়ণগঞ্জের সুমনকে চেনেন? ছয় ফিট লম্বা। বড় একটা ছাতা নিয়ে নামাজ পড়তে এসেছে।

আজ আঠারো বছর আমি এস্টোরিয়ায় আছি। ছয় ফিট লম্বা কোনো বাঙালি দেখিনি। আরো কয়েকজনকে জিজ্ঞেস করলাম।

তবে তাতে দুঃখ নেই। জুমার নামাজ তো আদায় করতে পেরেছি।

সেবার কোনো একটা কারণে ব্যাংককে বেশ কদিন থাকতে হয়েছিল। এক রবিবার মামুন এসে হাজির। পরদিন সকালের ফ্লাইটে সিঙ্গাপুর যাবে।

সোমবার আমার ব্যাংককে কোনো কাজ ছিল না। সিঙ্গাপুরে রাজু যে ফ্ল্যাটে থাকে সেই ফ্ল্যাটের নিচে একটা দোকানে খুব ঝাল নুডলস রান্না হয়।

রান্না নয়, বলা যেতে পারে তাওয়ার মধ্যে ভাজা হয় নুডলস। সিঙ্গাপুরিদের খুব পছন্দের এই ঝাল নুডলস।

মামুন সকালে গিয়ে রাতের ফ্লাইটে ফিরে আসবে।আমার হঠাৎ মনে হলো, মামুনের সঙ্গে গিয়ে ভূত আছে কি নাই- এই নিয়ে বিতর্ক হতে পারে।

কিন্তু এটা বোধ হয় সত্যি, মানুষ জীবনে কখনো কখনো ভূত আছে এটা বিশ্বাস করে। আর ভূতকে ভয় পায় সব মানুষই।

সিঙ্গাপুরে একটু ঘুরে এলে কেমন হয়। আর ঝাল নুডলসটাও খেতে খুব ইচ্ছা হচ্ছে।

প্লেনে কোনো খাবার পেলাম না। নাশতা করব রাজুর ওখানে ঝাল নুডলস দিয়ে। রাজুর বাড়িতে পৌঁছি।

রাজুকে বললাম নিচের দোকান থেকে ঝাল নুডলস নিয়ে আসতে।

একটুপরে রাজু ফিরে এলো মুখ কালো করে।
কী ব্যাপার?
আজকে নুডলসের কারিগর আসেনি। রুটি টোস্ট আর মাখন রয়েছে।
সে তো বাড়িতেও রয়েছে।

মামুন আমার মুখকালো দেখে বলল, সেরাঙ্গনে একটা দোকান সে চেনে, যেখানে খুব ভালো ঝাল নুডলস বানায়।

তাই আশায় থাকলাম। দুপুরে মামুন সেরাঙ্গনের সেই দোকানে নিয়ে যাবে।

মামুন চলে গেল সিঙ্গাপুরের টেলিপোর্টে।

আমি মোস্তফার দোকানে ঢুকতেই দেখলাম, একটা কাগজে হাতে লেখা- মোস্তফায় খাবারের কাউন্টার খোলা হয়েছে।

সেখানে পাওয়া যাচ্ছে সিঙ্গাপুরের ঐতিহ্যবাহী ঝাল নুডলস। আমি সরাসরি গিয়ে উপস্থিত হলাম খাবারের কাউন্টারে।

..বললাম, ঝাল নুডলস চাই।

কাউন্টারের মেয়েটি অবাক হয়ে বলল, এ সময় তো নুডলস পাওয়া যায় না।
কখন পাওয়া যাবে?
সকালে আর বিকেলে নাশতার সময়।

মোস্তফার দোকানের উল্টো দিকে একটা খাবারের দোকান রয়েছে- নাম এবি মোহাম্মদ।

এই দোকানে কাচের শোকেসে অনেক রকম খাবার সাজানো থাকে।

আমি দূর থেকে দেখতে পেলাম, সেখানে মাত্র একটি বাটিতে ঝাল নুডলস সাজানো রয়েছে।

দোকানের কাউন্টারে টাকা দিয়ে বললাম ঝাল নুডলসের বাটিটা দিতে।

দোকানি টাকা নিল। কিন্তু কাচের ভেতর তাকিয়ে দেখি বাটিটা অদৃশ্য। ঠিক আমার আগের লোকটি সেই নুডলসটা নিয়ে নিয়েছে।

কাউন্টারে যে ভদ্রলোকটি আমার কাছ থেকে টাকা নিয়েছে সে বেচারা একটু হতভম্ব।

আমিও। বললাম, ঠিক আছে। নুডলস লাগবে না। একটা রোল পরোটা দাও।

দুপুরবেলা মামুন এলো।
বলল, ওর মনে আছে আমাকে সেরাঙ্গুনের একটা নুডলসের দোকানে নিয়ে যাওয়ার কথা। দুজনে হেঁটে রওনা দিলাম।

রাস্তা পার হয়ে আঙুলিয়া মসজিদের কাছে পৌঁছতেই পেছন থেকে ডাক শুনতে পেলাম।

আমাদের নাম ধরে কেউ ডাকছে। তাকিয়ে দেখি মোমেন ভাই। বছরে আট মাস সিঙ্গাপুরে থাকেন।

সিঙ্গাপুর থেকে নানা জিসিনপত্র, বিশেষ করে টেলিভিশনের জিনিসপত্র ঢাকায় নিয়ে যান।

কেউ কেউ বলেন, মোমেন ভাই সিঙ্গাপুর যাওয়া-আসা করে যত ভাড়া দিয়েছেন সেই ভাড়া দিয়ে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের একটি বিমান তিনি কিনে ফেলতে পারেন।

মোমেন ভাই আমাদের কাছে এসে বললেন, আপনারা সিঙ্গাপুরে, অথচ আমি জানি না।

মোমেন ভাই এমনি করে কথা বলেন। ভাবখানা- তাঁকে জিজ্ঞেস না করে সিঙ্গাপুর আসাটা অপরাধ। বললাম, আজ সকালেই ব্যাংকক থেকে এসেছি।

আপনাকে জানানোর সুযোগ হয়নি। কিন্তু দেখলেন তো দেখা হয়ে গেল।

কোথায় যাচ্ছেন?
লাঞ্চে।
আমি সিঙ্গাপুরে আর আপনারা একা একা লাঞ্চ খাবেন, তাই কি হয়? কী খাবেন?

আমি বলতে গিয়েছিলাম নুডলস। কিন্তু তার আগেই মোমেন ভাই বলতে থাকলেন, মসজিদের পেছন দিকে নতুন কিছু দোকান খুলেছে।

রুই মাছের বড় বড় মাথা বিক্রি হয়। সিঙ্গাপুরে খুব জনপ্রিয় খাবার।

আরে ওদিকে নয়, এদিকে।

মামুন আমাকে নিয়ে রাস্তা পার হতে যাচ্ছিল।

মোমেন ভাই এমনভাবে কথা বলে মামুনের হাত ধরে টান দিলেন যে আমাদের আর কোনো উপায় থাকল না মাছের মাথা না খেতে যাওয়ার।

মোমেন ভাইয়ের সঙ্গে বসে বিরাট রুই মাছের মাথা খাওয়া দেখে কেউ বুঝতেও পারেনি আমার ঝাল নুডলস না খাবার দুঃখ।

কিন্তু মানুষ ভাবে এক, হয় আরেক।

খাবার দাবারের পর মোমেন ভাইয়ের সঙ্গে কাজের কিছু কথা বলে দেখা গেল, এয়ারপোর্টের দিকে এখনই রওনা দেওয়া প্রয়োজন।

হাতে ছোট্ট দুটি লাগেজ। রাজুর বাসায় ছিল।মামুন ফোনে রাজুকে বলল লাগেজ দুটো নিয়ে এয়ারপোর্টে চলে যেতে।

আমরাও মোমেন ভাইয়ের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে ট্যাক্সি করে রওনা দিলাম এয়ারপোর্টের দিকে।

পাঁচ-ছয় মিনিট পর মামুনের ফোনটা বেজে উঠল। মামুন ফোনের নম্বর দেখে বলল, মেজদা, ঢাকা থেকে, হঠাৎ এই সময়…

ফোন ধরে মামুন ‘আচ্ছা’, ঠিকানাটা একটু এসএমএস করে দেন- এ রকম কিছু কথা বলল।

ফোন রেখে মামুন আমাকে বলল, মেজদার এক বন্ধু এই এয়ারপোর্টের রাস্তায় কোথাও থাকেন।

মেজদার একটা জরুরি চিঠি রয়েছে।তাঁর কাছ থেকে নিয়ে যেতে বললেন।

কিন্তু মেজদা জানলেন কী করে, তুমি সিঙ্গাপুরে?
একটু আগে কাকলীর সঙ্গে কথা হয়েছে। তখন কাকলী বলেছে মেজদাকে।
ইতিমধ্যে মেজদা এসএমএসে ঠিকানা পাঠিয়েছেন। মামুন সেই ঠিকানাটা ড্রাইভারকে দেখাল। ড্রাইভার ঠিকানা দেখে বলল, পথের মধ্যেই পড়বে।

কিন্তু ড্রাইভারের কথা আমার কানে গেল না। মুখখানা হাসি হাসি করে রেখেছি। মনে মনে দারুণ বিরক্ত। সিঙ্গাপুরে আসাটাই ব্যর্থ।

চোখের সামনে এখনো রাজুর বাড়ির নিচে তাওয়ার ওপর নুডলস ভাজা হচ্ছে। সেই দৃশ্য ভাসছে। চমকটা হঠাৎই ভাঙল।

ড্রাইভার গাড়ি থামিয়ে বলছে, এই বাড়িটাই হবে বোধ হয়।

মামুন টেলিফোনে এসএমএস পাওয়া ঠিকানাটা মিলিয়ে বলল,বোধ হয় নয়, এই বাড়িটাই।
বাড়ির সামনে নেমে বেল দিতে হলো না। বয়স্ক এক ভদ্রলোক নিজেই দরজাটা খুলেদিলেন।

ভদ্রলোকের চেহারাই বলে দেয়, তিনি এই বাড়িরমালিক এবং মেজদার বন্ধু।
বললেন, তোমাদের জন্যই অপেক্ষা করছি।
মেজদা ফোন করেছিলেন?

হ্যাঁ। আমার অনেক পুরনো বন্ধু। একটা উপহার রেখেছি তাঁর জন্য।দেওয়াই হচ্ছে না।
আমরা ব্যাংকক যাচ্ছি। বিমানের সময় হয়ে যাচ্ছে। আপনি যদি উপহারগুলো দেন- মামুন খুব বিনীতভাবে বলল।

সে তো বটেই। আমি একদম প্যাকেট করে রেখেছি। কিন্তু কোনো সিঙ্গাপুরিয়ানের দরজা থেকে অতিথিকে ফিরে যেতে দেওয়া হয় না।

ভেতরে তোমাদের আসতেই হবে।

ভদ্রলোকের কণ্ঠে এমন মায়া ছিল যে আমরা বাধ্য হলাম ভদ্রলোকের ড্রইংরুম পর্যন্ত যেতে। ভদ্রলোকের ড্রইংরুমে গোল ছোট একটা ডাইনিং টেবিল।

সেই ডাইনিং টেবিলের ওপর দুটো খাবার ভরা প্লেট রাখা। যা দেখে আমার চক্ষু চড়কগাছ।

ভদ্রলোক তখন বলছেন, সকাল বেলায় আমার গিনি্ন মালয়েশিয়া গেছেন। যাওয়ার সময় রান্না করে গেছেন।

আমাদের সিঙ্গাপুরের ঐতিহ্যবাহী ঝাল নুডলস।

তোমরা আসছ জেনে ফ্রিজ থেকে বের করে মাইক্রোওভেনে গরম করে তোমাদের জন্য রেখে দিয়েছি।

এই কথা বলে ঝাল নুডলসের প্লেটটা আমার হাতে তুলে দিয়ে বললেন, খেয়ে নাও তাড়াতাড়ি।

না হলে আবার তোমাদের ফ্লাইট মিস হতে পারে।

গল্পের বিষয়:
রহস্য
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত