সময়ের ঘূর্ণিপাক

সময়ের ঘূর্ণিপাক

সূর্যটা ঠিক মাথার ওপরে । জুলাই মাস চলছে । সুতরাং পূর্ন শক্তিতে শক্তি প্রাপ্ত হয়ে আগুন ঝড়াচ্ছে সূর্যটা । এই তপ্ত দুপুরে নির্জন গলি দিয়ে একাকী হেটে চলছে একটা যুবক । সাদা শার্টটা ঘামে ভিজে গায়ের সঙ্গে লেপ্টে রয়েছে । বাঁ হাতের ফাইলটা মাথার ওপরে ধরে রেখেছে । সূর্যের তপ্ত আগুন থেকে বাচার চেষ্টা আরকি । তবে কতটুকু সফল হচ্ছে সেটা বলা বাহুল্য । সামনের চুলগুলো কপালের সঙ্গে লেপ্টে রয়েছে । টপটপ করে নোনা পানি পড়ছে কপাল বেয়ে । নাকের ডগা দিয়েও ফোটায় ফোটায় পড়ছে । সেগুলো মোছার প্রয়োজন বোধ করছেনা । মুছেই বা কি হবে, মুহুর্তের ভেতরে তো আবার একই দশা হবে ।

যে যুবকটার কথা এতক্ষণ বলা হচ্ছিলো তার নাম সাকিব । অনার্স শেষ করে এখন একটা চাকরির পেছনে দৌড়াচ্ছে। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত বস্তুটা মানে সেই চাকরিটাকে আর ধরতে পারছেনা । বিগত পনেরো দিনে চৌদ্দটা ইন্টারভিউ দিয়েছে। সবগুলো ইন্টারভিউ-ই ভালো দেই কিন্তু শেষে এসে বেধে যায় যখন অভিজ্ঞতার কথা বলা হয় । ফ্রেশ কাউকে কোনো কোম্পানিই নিতে চায়না । এদের কথা শুনে মনে হয় দুনিয়ার সবাই পূর্ব অভিজ্ঞতা নিয়েই চাকরিতে এসেছিলো । সরকারি চাকরি তো হিরে বসানো সোনার হরিণের মতো।

আর যেখানে পূর্ব চাকরির অভিজ্ঞতা চাওয়া হয়না সেখানে চাওয়া হয় টাকা নাহয় মামা-খালুর ফোন কল । যেগুলোর কোনোটিই সাকিবের নেই ।

খুব ছোট থাকতে একটা দূর্ঘটনায় সাকিবের পুরো পরিবার মারা যায় । অলৌকিক ভাবে বেচে যায় ও । এতিমখানায় মানুষ হয়েছে । খুব কষ্টে পড়ালেখা করেছে সে । তবে সে কষ্টের কোনো দামই নেই এখন ।

প্রখর রোদের ভেতরে হাটতে হাটতে অনেক পানির তেষ্টা পেয়েছে সাকিবের । কিন্তু আশেপাশে কোনো পানির উৎস খুঁজে পেলো না সে । অগত্যা হাটার গতি বাড়িয়ে দিলো । বাসায় যেয়েই পানি খাবে । কিন্তু শরীর আর সাই দিচ্ছিলো না । মাথা ঘুরতে শুরু করলো তার । মনে হচ্ছে মাথা ঘুরে পড়ে যাবে এক্ষুনি । হঠাৎ মাথার ভেতরে একটা চক্কর দিয়ে উঠলো । কয়েক সেকেন্ড অন্ধকার । তারপর আবার সবকিছু ঠিক । কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই বুঝলো কিছুই ঠিক নেই । অপরিচিত এক গ্রাম্য রাস্তায় দাড়িয়ে আছে সে । অপরিচিত হলেও কেমন চেনা চেনা লাগছে রাস্তাটাকে । মনে হচ্ছে এই রাস্তাটা অনেকবার দেখেছে সে । কিন্তু মনে করতে পারছেনা কখন দেখেছে । এদিকে মধ্যদুপুর থেকে একেবারে সন্ধ্যা নেমে গেছে । শীতও লাগছে অনেক । জুলাইয়ের তপ্ত দুপুর থেকে হঠাৎ করে যেনো ডিসেম্বরের শীতল সন্ধ্যা নেমে এসেছে । চেনা গলি থেকে হঠাৎ করেই অচেনা তবে পরিচিত এক গ্রাম্য রাস্তায় চলে এসেছে সে । কিছুই মাথায় ঢুকছে না সাকিবের ।

এদিকে গায়ের শার্টটা তখনও গায়ের সঙ্গে লেপ্টে রয়েছে । ঘামে ভেজা শরীর । তবে এখন আর ঘামছেনা । শীত করছে । পানির তেষ্টা কমেনি এখনও । অল্প কিছুক্ষণের মাঝে পানি খেতে না পারলে জ্ঞান হারাবে এমন দশা হয়েছে তার ।

রাস্তা ধরে হাটা শুরু করলো সাকিব । সামনেই লোকালয় । ওখানে গেলে পানি পাওয়ার আশা আছে । হঠাৎ দেখলো একটা লোক এদিকেই আসছে । চাদর গায়ে । তারমানে আসোলেই এখানে শীত পড়েছে । সাকিব ভাবলো লোকটাকে জিজ্ঞেস করবে জায়গাটার নাম কি ।

লোকটা কাছাকাছি আসতেই তাকে ডাক দিলো সাকিব । থমকে দাড়ালো লোকটা । তার সামনেই দাড়িয়ে আছে সাকিব । বড়জোর দু-ফুট দূরে । কিন্তু তার হাবভাব দেখে মনে হচ্ছে সাকিবকে যেনো সে দেখতেই পায়নি । কয়েকবার এদিক ওদিক তাকালো । যেনো বোঝার চেষ্টা করছে কে ডাক দিয়েছে তাকে । একটু সময় নিয়ে লোকটাকে আবার ডাক দিলো সাকিব : এইযে ভাই আপনি কী আমাকে দেখতে পাচ্ছেন না?

এবার লোকটা পুরোপুরি ঘাবড়ে গেলো । অদ্ভুত একটা কান্ড করে বসলো সে । ভূত ভূত বলে জোরে চিৎকার করতে করতে খিচ্ছে দৌড় দিলো । লোকটার এরুপ আচরণে খুবই অবাক হলো সাকিব । ভাবলো লোকটা হয়তো পাগল তাই এমন করেছে । এদিকে পালানোর সময় লোকটা তার গায়ের চাদরটা ফেলে গেছে । সেটা দেখে কিছুটা খুশি হলো সাকিব । ভাবলো চাদরটা গায়ে দিয়ে কিছুটা শীত নিবারণ করতে পারবে । কুঁজো হয়ে চাদরটা তুলে নিতে যেয়ে প্রচন্ড এক শক খেলো । চাদরটাকে ধরতে পারছেনা । যতোবারই ধরতে যাচ্ছে ততোবারই ওটার ভেতর দিয়ে সাকিবের হাত হাওয়ার মতো কেটে যাচ্ছে । কয়েকবার এমন হওয়ার পর চাদরটাকে আর তোলার চেষ্টা করলো না । সোজা লোকালয়ের দিকে হাটা শুরু করলো । রাত নেমে গেছে । আকাশে মস্ত বড় এক চাঁদ উঠেছে । অকৃপণ হাতে আলো ছড়াচ্ছে চাঁদটা । চাঁদের আলোয় পথ ঘাট স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে । কিছুদূর এগোনোর পরেই রাস্তার পাশে একটা বাড়ি দেখলো সে । মাঝারি সাইজের বাড়িটা । টিনের তৈরি । নতুন টিনের ওপরে চাঁদের সোনালী আলো পড়ে ঝিলিক দিচ্ছে । বাড়িটাকে কেনো জানি খুব পরিচিত মনে হলো সাকিবের । সাত পাঁচ না ভেবে বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করলো সে ।

বাড়িটা সত্যিই তার পরিচিত । খুবই পরিচিত । এটাতো তাদেরই বাড়ি । যেটাই তার পরিবারের সঙ্গে থাকতো সে । আজ থেকে অনেক বছর আগে ।

বারান্দায় দুইজন মহিলা বসে গল্প করছে । একজন বয়স্ক আরেকজন কম বয়সী । দুজনকেই খুব ভালো করেই চেনে সাকিব । বয়স্কজন তার দাদী, আর কম বয়সী মহিলাটা তার মা । ঘরে বসে হারিকেনের টিমটিমে আলোয় একটা পিচ্চি ছেলে পড়ছে । জানালা দিয়ে সেটা আবছা দেখতে পাচ্ছে সাকিব । কিছুক্ষণ পর পুরু গোফওয়ালা এক লোক প্রবেশ করলো বাড়িতে । বাজারের ব্যাগ হাতে তার । এই লোকটাকেও খুব ভালো করেই চেনে সাকিব । এ যে তার জন্মদাতা বাবা ।

বারান্দার সামনে দাঁড়িয়ে এসব দেখছে সাকিব । কিন্তু তাকে কেউ দেখতে পাচ্ছেনা । পানি খাওয়ার কথা ভুলে গেছে সে । এদিকে লোকটার আগমনের শব্দ পেয়ে ঘর থেকে ছুটে বের হলো পিচ্চিটা । এক ছুটে যেয়ে জড়িয়ে ধরলো তার বাবাকে ।

বাবাও জড়িয়ে ধরলো ছেলেকে । ব্যাগের ভেতর থেকে মিষ্টি বের করে দিলো ছেলের হাতে । খুশিতে লাফাতে লাফাতে বাবার হাত থেকে মিষ্টি নিলো পিচ্চি ছেলেটা । খাওয়া শুরু করলো তক্ষুনি ।

হঠাৎ করে পিচ্চিটা সাকিবের দিকে ফিরে তাকালো । চোখাচোখি হয়ে গেলো দুজনের । ওর দিকে তাকিয়ে থমকে দাড়ালো পিচ্চিটা । খাওয়া বন্ধ হয়ে গেলো তার । এই পিচ্চি ছেলেটাও সাকিবের খুব পরিচিত এবং আপনজন । এই ছেলেটা তো সে নিজেই । কেউ তাকে দেখতে পাচ্ছেনা কিন্তু ও নিজেকে নিজে ঠিকই দেখতে পাচ্ছে । সাকিব ভেবে পাচ্ছেনা এসব কি হচ্ছে ওর সাথে ।

এক পর্যায়ে সবাই মিলে ঘরের ভেতরে ঢুকে গেলো । সাকিব দাঁড়িয়ে থাকলো জানালার পাশে । হারিকেনের আলোয় খেতে বসলো সবাই । সবাই খাচ্ছে কিন্তু পিচ্চিটা জানালা দিয়ে সাকিবের দিকে তাকিয়ে আছে । একটা পর্যায়ে তার দাদী বিষয়টা লক্ষ্য করলো ।

জিজ্ঞেস করলো, “দাদুভাই জানলার দিকে অমন কইরা কি দেখতাছো?

ছেলেটা তখন বলল, “দেখো দাদু, ওখানে একটা ছেলে দাঁড়িয়ে আছে । শীতে কাপছে ছেলেটা।”

পিচ্চি ছেলেটার কথা শুনে জানালার কাছে আসলো গোফওয়ালা লোকটা । টর্চের আলো ফেলে দেখলো । তখনও স্থির দাঁড়িয়ে আছে সাকিব । জানে লোকটা মানে ওর বাবা দেখতে পাবেনা ওকে । হলো ও তাই । ওকে দেখতে পেলো না লোকটা । তবে আরেকটা অবাক করা বেপারও ঘটলো । টর্চের আলো সাকিবের গায়ে না পড়ে ওর শরীর ভেদ করে মাটিতে যেয়ে পরল । তবে এটা দেখে বেশি অবাক হলো না সাকিব । তারসাথে গতো কয়েক ঘন্টা যাবৎ যেসব আজব আজব ঘটনা ঘটছে সেই হিসেবে এটাকে নগন্যই বলা যায় ।

কয়েকবার টর্চের আলো ফেলে ভালো করে দেখে আবার স্বস্থানে ফিরে গেলো লোকটা । ফিরে গিয়ে অন্যদের জানালো, কিছুই নেই সেখানে । তবুও ছেলেটা মানতে পারলো না । ও বলল, “আমি দেখেছি একটা ছেলেকে । সাদা একটা শার্ট গায়ে দেওয়া । পানিতে ভেজা । শীতে কাপছে । ওই তো এখনো দাঁড়িয়ে আছে ওখানে।” বলেই জানালার দিকে আঙুল তুললো সে । যেখানটাই বর্তমানের সাকিব দাঁড়িয়ে আছে ।

ওরা তিনজনেই ছেলেটাকে বোঝালো ওখানে কেউ-ই নেই । এক পর্যায়ে দাদী জানালো, “জ্বীন দেখেছে ও।”

সুতরাং এখন আর কারোর বাইরে যাওয়া চলবেনা । ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে দেওয়া হলো । জানালাটাও বন্ধ করে দেওয়া হলো । সুতরাং সাকিব ঘরের ভেতরটা দেখার সুযোগ হারালো । বারান্দায় বসে পরলো সে । ভাবতে লাগলো সবকিছু । হঠাৎ করে ছোটবেলার একটা স্মৃতি মনে পড়ে গেলো তার । মনে পড়ে গেলো অনেক বছর আগের সেই ঘটনাটা ।

সন্ধ্যার পরে হারিকেনের টিমটিমে আলোয় ঘরের ভেতরে বসে পড়ছিলো সে । এমন সময় বাজার থেকে তার বাবা ফেরে । বাবাকে সেদিন মিষ্টি আনতে বলেছিলো । তার বাবা সেদিন মিষ্টি এনেছিলো । মজা করে সেটা খাচ্ছিলো সে । হঠাৎ সে দেখে তাদের বারান্দার সামনে একটা ছেলে শীতে কাপছে । কিন্তু বেপারটা পাত্তা দিলো না ।

রাতের খাবার খাচ্ছিলো সবাই মিলে । তখন দেখে সেই ছেলেটা জানালার সামনে দাঁড়িয়ে আছে । সেদিকে তাকিয়ে থাকে সে । বেপারটা দেখে দাদী জানতে চাইলো, অমন করে কী দেখছে সে । তখন সে জানালো, “একটা ছেলে দাঁড়িয়ে আছে জানালার ওপাশে । সাদা একটা শার্ট গায়ে তার । ভেজা । শীতে কাপছে । কিন্তু বাবা যখন সেখানে টর্চ নিয়ে গেলো, তখন সেখানে কিছুই দেখতে পেলো না । কিন্তু সাকিব ঠিকই দেখতে পেলো ছেলেটা তখনো দাঁড়িয়ে আছে সেখানে । কিন্তু ওর বাবা-মা দাদী কেউ-ই তাকে দেখতে পেলো না । তার দাদী বলল, জ্বীন ওটা । সাকিবও ভাবলো, হয়তো সত্যিই জ্বীন ওটা । ভয় পেয়েছিলো অনেক । তারপর মায়ের কোলে ঘুমিয়ে পড়লো সে । হঠাৎ করে দেখলো চারিদিকে আগুন । তারপর আর কিছুই মনে নেই ওর ।

ছোটবেলার ঘটনা-টা মনে করতে করতে গভীর ভাবনায় ডুবে গেলো সাকিব । ও এখন যেটা দেখছে সেটা তো অনেক বছর আগে ঘটেছিলো । তাহলে কী প্রকৃতি তার নিজস্ব নিয়ম ভেঙে তাকে এসব দেখাচ্ছে? কিছুই ভেবে পেলো না সাকিব ।

হঠাৎ কিছু একটার শব্দে ভাবনায় ছেদ পড়লো তার । ঘরের ভেতর থেকেই এসেছে শব্দটা । কিছু একটা পড়ার শব্দ । তারপরেই দেখলো আগুন জ্বলছে পুরো ঘর জুড়ে । সেটা দেখে হতভম্ব হয়ে গেলো সাকিব । বুঝতে পারলো না সে এখন কী করবে?

পরক্ষনেই মনে পরলো, ঘরের ভেতরে তার প্রিয় মানুষগুলো রয়েছে । মরে যাবে তারা । তাদেরকে বাচাতেই হবে । কিন্তু ঘরের ভেতরে ঢুকবে কীভাবে? দরজা যে ভেতর থেকে আটকানো । সাত পাঁচ না ভেবে দরজার ওপরে জোরে জোরে লাথি মারতে শুরু করলো সাকিব । একটা পর্যায়ে ভেঙে গেলো সেটা । ঘরের ভেতরে তখন দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে । পাশাপাশি দুটো খাটে ঘুমিয়ে আছে ওর প্রিয় চারজন মানুষ । বাবা-মা, দাদী আর ও নিজেই ।

এই আগুনের মাঝে কাকে আগে উদ্ধার করবে ভেবে পেলো না সাকিব । নিজের জন্মদাত্রী মাকে সবার আগে উদ্ধার করার সিদ্ধান্ত নিলো সে । কিন্তু একি তার মাকে তো সে ধরতেই পারছেনা । যতোবারই ধরতে যাচ্ছে ততোবারই সেই চাদরটার মতো তার হাত বাতাসে কেটে যাচ্ছে । এদিকে আগুন বেড়েই চলছে । মাকে বাদ দিয়ে বাবাকে ধরতে গেলো সে । কিন্তু একই অবস্থা । ধরা যাচ্ছেনা বাবাকে । দাদীকে ধরতে যেয়েও সেই একই অবস্থা হলো । শেষে নিজেকে যখন ধরতে গেলো তখন আর বাকিদের মতো অবস্থা হলো না । বাতাসে হাত কেটে গেলো না । পাজাকোলে অনেক বছর আগের নিজেকে নিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসলো সে । বারান্দার টিনে লেগে কপাল কেটে গেলো তার । মাথার ভেতরে একটা চক্কর দিলো । তারপরে সবকিছু অন্ধকার ।

চোখ খুললো সাকিব । পিচ ঢালা রাস্তার ওপরে শুয়ে আছে সে । আকাশ থেকে ঝপঝপ করে পানি পড়ছে । বৃষ্টির পানিতে পুরো শরীর ভিজে গেছে । শীত লাগছে এখন । উঠে বসলো সে । আশেপাশে তাকালো । সবকিছুই ঠিক আছে । চেনা গলিতেই আছে সে । বৃষ্টি হচ্ছে প্রচুর পরিমাণে । কপালে ব্যথা করছে খুব । সেখানে হাত দিলো সে । হাতে চটচটে আঠালো মতো কিছু একটা ঠেকলো । হাতটা চোখের সামনে আনতেই দেখলো রক্ত রয়েছে সেখানে ।

গল্পের বিষয়:
রহস্য
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত