ছোট ভাইয়ের সাথে একদিন

ভাই, আপনার টেক্সটাইল এ পড়তে আসা ঠিক হয় নাই। ইঞ্জিনিয়ার হইয়া কি করবেন?

-তাহলে কি করতাম?

বাংলায় পড়তেন, সাংবাদিকতা পড়তেন। তারপর সাহিত্য লিখতেন।

যাবে তো। তারপরেও…বুঝলেন না। আসলে… বোঝেনই তো। হে… হে…

-হুম।

আচ্ছা এক কাজ করা যায়?

-কি কাজ?

-আপনি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়লেন, তারপর মনে করেন কিছুদিন চাকুরী কইরা একটা গাড়ি কিনলেন।

-গাড়ি কেন?

-লেখকদের একটা গাড়ি থাকার অনেক সুবিধা আছে। মনে করেন কোথাও ঘুরতে যাইবেন, নিজের গাড়ি নিয়া যাইবেন।

-বুঝলাম, গাড়ি কেনার পর ?

-গাড়ি কেনার পর আর কি! চাকুরী ছাইড়া দিয়া ধুমাইয়া লেখা লিখবেন।

-বলিস কি! গাড়ি কিনেই চাকরি ছেড়ে দেবো!!

হুম, গাড়ি তো হলই, চাকুরী দিয়ে আর করবেন টা কি!

-চাকুরীর আর কাজ নেই?

আর কি কাজ? আপনি হবেন লেখক, আপনার থাকবে একটা গাড়ি, আপনার আর কি চাই?

-আচ্ছা যা, তোর কথা রাখলাম। আমার আর কিছুই চাওয়ার নাই। গাড়ি কিনে চাকুরী ছেড়ে দেবো। তারপর গাড়ির মাথায় ট্যাক্সি লিখে নিয়ে ভাড়া খাটবো।

ট্যাক্সি লিখবেন মানে? এইগুলা কি বলতাছেন? আর ভাড়া খাটবেন মানে কি?

অনেকক্ষণ বিরক্ত করছে আর টাইম দেয়া ঠিক হবে না। বাধ্য হয়ে বললাম -‘মানে বুঝস না। হা* পো গাড়ি কিইন্যা চাকুরী ছাইড়া দিয়া যদি লেখালেখি করি তইলে খামু কি? তুই খাওয়াবি? গাড়িতে গ্যাস ভরমু কি দিয়া? ট্যাক্সি না বানায়ে উপায় আছে?’

অতঃপর, মুখ খারাপ করে গাল দেওয়াতে ছেলেটা অনেকগুলো অভিমান নিয়ে চুপ করে মুখ বাকিয়ে চলে গেলো। সামনাসামনি তো পারে নাই, আড়ালে গিয়ে মনে হয় বলবে-‘আইলাম তোরে ভালো পরামর্শ দিতে, আর তুই আমারে গালি দিলি! তুই একটা বা* মার্কা লেখক। খেতা পুড়ি তোর লেখার। তোরে টেক্সটাইল খাইটাই মরতে হইবো।’

গল্পের বিষয়:
গল্প
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত