সোনার তরী (পর্ব-১)

সোনার তরী (পর্ব-১)

বাবুনি তোর কয়টা বেবি।
আমার, আমার তো চারটা বেবি।
তোর কয়টা,,!
আমার, হেহেহেহে আমার তো বউই নাই বেবি
আসবে কই থেকে।
আচ্ছা বাবুনি এই চার টাই ছেলে না মেয়ে।
দুই ছেলে আর দুই মেয়ে গাধা,
এই আমাকে গাধা কইলি ক্যান।
উলে উলে উলে আমার বাবুই।রাগ করে না,,,
আচ্ছা করলাম না রাগ।আচ্ছা বাবুনি তোর
ছেলে মেয়েদের নাম কি হুম।

ঘোড়ার মাথা
ব্যাঙের ছাতা
শীতের কাথা
আর আর আর আর আর
আর একটারর নাম কি রে,,

আমি কি করে বলবো আর একটার নাম কি আর
এই গুলা কোনো নামের ছিরি ছিছিছি।
এই এক দম কথা কবি না কইলাম।
আমার বেবিদের নাম আমি যা ইচ্ছে রাখবো
তোর কি রে ডিম,,

উলে উলে উলে তো বেবি আর আমার কি ঘোড়ার ডিম নাকি।
এয়া তোর ডিম মানে

হইছে হইছে এবার ঘড়ির দিকে তাকা দেখ রাত ১২:০০ বেজে গেছে। তুই বলেছিলি আমি জেনো তোর সাথে রাত ১২:০০টা পরিমাণ আড্ডা দেই।
তোর নাকি কাজ আছে।বেজে গেছে তো ১২ টা এবার আমায় ছাড় আমি ঘুমাবো। thanks বাবুই হেল্প করার জন্য তুই না থাকলে ঘুমিয়ে জেতাম।

আচ্ছা ঝুম এটা বলতো এতো রাতে কি কাজ আছে তোর। এখন না আমি কালকে কলেজে গিয়ে বলবো।
এখন দেরি হয়ে যাচ্ছে ডাটা অফ করলাম।কাল দেখা হবে বাবুই।বাই,,

আ আরে শোন ঝুম,,ধুর পাদ এই মেয়ে যে কি করে। ১২ টাই যেহেতু তার মানে হয়তো কারো জন্মদিন আছে।আচ্ছা কাল দেখা যাবে সেটা এখন ঘুমাই।

এই যে আপনারাও ঘুমান। নয়তো আমাকে পাহারা দেন যাতে চোর আমাকে তুলে নিয়ে না যায়।হিহিহিহি,
আসুন পরিচিত হয় এই দুই অধমের সাথে,,,
(বাবুই) মানে তুর পুরা নাম তাইরান আবির
তুর,,একমাত্র ঝুম তুরকে বাবুই বলে ডাকে,,আদুরে ডাক।
(বাবুনি) মনে হয় একটু চিনে গেছেন।দুষ্টু এই বাবুনি টার নামি হল ঝুম।পুরা না তাসফিয়া তানহা ঝুম।ঐ যে বললাম আদুরে ডাক তুর আদর
করে ঝুমকে বাবুনি ডাকে।
বাবুই আর বাবুনি এই নাম টা অন্য কেউ ডাকলে তার আর আস্থ রাখে না এই অধমরা।তুর এবার অনার্স ফাইনাল ইয়ার আর ঝুম ইন্টার সেকেন্ড ইয়ার।
কি কি ভাবছেন হুম এতো ফারাক কেন তাই তো। ঝুম আর তুর ফাস্টে ফেসবুকের বন্ধু ছিল সেখান থেকে পরিচয় হয়ে দেখে দুজনে একি কলেজে।
হাতে জেনো চাঁদ পাবার মত হল তাদের।থাক আর কিছু বলবো না ডায়রি খোলা ভিতরে ঢুকে দেখুন কি আছে এদের মধ্যে।

পরেরদিন সকাল ৯:৩০,

তুর : এই দাড়া দাড়া ,, এতো উতলা হয়ে কই যাচ্ছিস।
ঝুম: বাবুই বাবুই আমি এসে কথা বলছি খারা আমার ফোন ফেলে এসছি ঝালমুড়ির দোকানে,

তুর : উফ তুই না।মন কই থাকে তোর,,চল আমিও যাবো।
ঝুম : মন তো নৌকায়,
তুর : what,নৌকায় মানে।নৌকা পেলি কই তুই এখানে।

ঝুম : ও কিছু না।। আরে এই তো আমার ফোন। এবার চল।
তুর : চলবো মানে।
ঝুম : চলবো মানে চল সামনে গিয়ে বসি।
তুর : আরে দাড়া দাড়া,, কাল রাত জাগাইছিলি সেটার এখন খাওয়া দে।

ঝুম : ওকে ওকে যাহ আমার ৪০ শা তে খাস এখন চল।
তুর : উম হুম হব্বে না হব্বে বাকির নাম ফাঁকি। তোর আগে আমিও মরতে পারি তাই এখনি শোধ কর।

ঝুম : উফফ রাক্ষস, এই যে ভাই(ঝালমুড়ি ওয়ালাকে বলল ঝুম)
২ টাকার ঝালমুড়ি দিন তো অকে।
তুর : এই ২ টাকার ঝালমুড়ি মানে,,

ঝালমুড়ি ওয়ালা: ২ টাকার তো হয়না আফা। হেহেহে।

ঝুম : আমার বাবুই সোনার তো দাত নেই মুড়ি খেতে পারবে না তাই কম করে বললাম।

তুর : কিহ তবে রে।আজ তোর একদিন কি আমার একদিন।
বলেই তুর ঝুমের দিকে তেড়ে এলো ঝুম এক দৌড়ে ক্যাম্পাসে একটা গাছের নিচে বসে পরল।
তুর : ও এসে হাফাতে হাফাতে ঝুমের পাশে বসলো।
তুর : এবার বল কাল রাতে কি কাজ ছিল তোর।
তুরের এই প্রশ্ন ঝুমের মুখ একটু চুপছে গেলো।,
তুর : আরে চুপ কেন।কি হয়েছে, বললে বল না বললে নাই।(মুখ ঘুরিয়ে বসলো তুর)
ঝুম : বাবুই মুখ ঘুরাইলি ক্যান।
তুর : তো কি করব। আমি কে যে আমায় বলবি।
নিশ্চয় special কারো birthday ছিল তাই জেগে ছিলিস তাই তো।

ঝুম : হিহিহিহিহি আমার আবার special, আমার special person তো,,,
তুর : কে হুম।
ঝুম : না কেউ না। কাল কারো জন্মদিন ছিল না।কাল আমি একটা অন্য কাজ করতে গিয়েছিলাম কিন্তু ঘোড়ার ডিম সব প্ল্যানে আম্মু জল ঢেলে দিলো।
তুর : মানে। কিসের প্ল্যান,,,
ঝুম : তোকে বলতে পারি কিন্তু প্রমিস কর
কাউকে বলবি না।

তুর : এমন কখনো কি দেখেছিস যে তো কথা আমি অন্য কাউকে বলেছি।এবার বল।
ঝুম : আমি আমি আসলে রাত ১২ টাই সোনার তরী মানে সোনার নৌকা দেখার জন্য জেগে ছিলাম।
তুর : আবার ফাজলামি শুরু করলি।
ঝুম : আমি ফাজলামো করছি না।আমি যা বলছি সত্যি বলছি।
তুর : সত্যি মানে। তুই কোথায় দেখতে গিয়েছিস তরী।

ঝুম : আছে আছে।আজ রাতেও এসছিল আমি দরজা খুলে বের হতেই দেখি আম্মু বাইরে। তাই দেখা হল না।দাদীর কাছে শুনেছিলা প্রতিরাত ১২ টার পর নাকি আমাদের বাড়ির উঠানে সোনার নৌকা বায়তো কারা উঠানের এপাশ থেকে ওপাশ যেতো একবার তারপর উধাও হয়ে যেতো। অনেকেই দেখেছে এই নৌকা।
যারা একবার দেখেছে তারা ২ য় বার আর দেখার সুযোগ পেতো না।
তুর : ২য় বার সুযোগ পেতো না কেন ।

ঝুম : শুনেছি একবার আমার দাদু আর তার এক বন্ধু এক সাথে দেখতে পেয়েছিল।দাদুর বন্ধু সোনার নৌকা দেখে লোভ সামলাতে পারেনি।

শুধু নৌকা না সারা উঠানের মাটি নাকি সোনার পানি হয়ে যায়।আর নৌকা একা একাই চলতো কোনো মাঝি ছাড়াই।তাই সোনারর লোভে দাদুর বন্ধু পাশে পরে থাকা একটা ভাঙা বদনায় উঠান থেকে সোনার পানি তুলে নিয়েছিল।দাদু উনাকে অনেক মানা করেছিল কিন্তু শুনেনি। উনি সোনার পানি নিয়ে নিজের বাড়ির দিকে
রওনা দিয়ে ছিল।দাদু আর কিছু না বলে নিজের ঘরের দিকে যেতে লাগলো। ঠিক তখনি মনে হল পিছনে জেনো পানির কলকল শব্দ বেড়ে গেলো। দাদু ভয়ে ভয়ে পিছে ফিরে তাকিয়ে দেখে একটা না ১০ টা সোনার নৌকা আর তাতে বসে আছে ছোট ছোট বাচ্চা কিন্তু কারো মাথা নেই। সব নৌকা আর উঠানের সোনার পানি খুব দ্রত মুন্সি দাদু (দাদুর সেই বন্ধু)
যে দিক দিয়ে গেছে সেই দিক দিয়ে বেয়ে যাচ্ছে।আমার দাদু সেখানেই জ্ঞান হারায়। সকালে তাকে বাড়ির লোকেরা উঠানের পাশে পরে থাকতে দেখে তুলে ঘরে নিয়ে যায়। মাথায় পানি দিবার অনেকক্ষণ পর জ্ঞান ফিরে দাদুর।জ্ঞান ফিরার পর দাদু বার বার মুন্সি দাদুর নাম বলছিল।

দাদু বার বার মুন্সি দাদুর খোজ করছিল।আমার বাবা মুন্সি দাদুর বাড়িতে গেলো তাকে ডাকতে। বাবা মুন্সি দাদুর নাম ধরে অনেক বার ডাকলেন কিন্ত তিনি সাড়া না দিয়ে তার বউ সাড়া দিয়ে বেড়িয়ে এলো। তিনি বললেন দাদু নাকি রাতে বাড়িতে ফেরেনি।বাবা আমার দাদুর অসুস্থতারর কথা দাদি কে বলে আসলেন।
বাবা বাড়ি ফিরে দাদুকে বলল মুন্সি দাদু বাড়ি ফিরেনি রাতে কোথায় জেনো গেছে। কথা টা শুনে আমার দাদু কেঁদে ফেলে।সবাই জিগাইলে তিনি রাতের কথা সবাইকে খুলে বলে।অনেকেই বিশ্বাস করল অনেকে করল না। তারপর থেকে আজ ২৫ বছর পেরিয়ে গেছে এখনো মুন্সি দাদুর খোজ মিলেনি।

তুর : ঝুম তুই যা বললি সব যদি সত্যি হয় তাহলে তুই কেন ওই নৌকা দেখবি।দরকার নেই দেখার।
ঝুম : তুই একটা ভিতুর ডিম।তোর যাওয়া লাগবে না।আমি একাই দেখবো। আমি দেখতে চাই এই নৌকার রহস্য।শুনেছি এমন জিনিস যদি বার বার ফিরে আসে তাহলে নাকি তারা অতৃপ্ত হয় কিংবা তাদের কিছু ফেলে গেলে সেটা নিতে আসে অথবা তারা তাদের নিজের জায়গা ছাড়তে চায়না।এই নৌকার কি রহস্য
আমি সেটা বের করেই ছাড়বো। এতে যদি তুই হেল্প করতে চাস তো কর আর যদি না চাস তো প্লিজ বাধা দিস না আমায়। মুন্সি দাদুর কথা শুনার পর আরো অনেকেই দেখতে গিয়ে উধাও হয়েছে।আর ফিরেনি তারা কিংবা তাদের মরা দেহ ও পাওয়া যায়নি।

তুর : দেখ ঝুম তুই আর আমি সাধারণ মানুষ। আমরা কি করে ওই আত্মার সাথে লড়বো।যদি বাকিদের মত আমরা ও উধাও হয়ে যায়।

ঝুম : আমার চেনা এক জন লোক আছে যিনি এইসব বিষয় নিয়ে অনেক কিছু জানে।আমরা আগে উনার সাথে দেখা করব।
তুর : কে উনি,, কোথায় থাকে।

ঝুম : উনি অপরিচিত কেউ না।উনি আমাদের বাংলা ডিপার্টমেন্টের স্যার হুমায়ন স্যার।
তুর : কিহ হুমায়ন স্যার,,
ঝুম : হুম হুমায়ন স্যার।এই ব্যাপারে উনি আমাদের সাহায্য করতে পারবে।এখন চল উনার সাথে দেখা করি।

ঝুম আর তুর হুমায়ন স্যারের বাসায় গেলো। কলিং বেল চাপতেই উনার স্ত্রী দরজা খুলে দিলো।
ঝুম : আসসালামু আলাইকুম আন্টি।
ওয়ালাইকুম আসসালাম।তোমরা,,
ঝুম : আন্টি স্যার আছে। আমরা একটু উনার সাথে দেখা করতে চায়।উনি আজ কলেজে যায়নি তাই বাসায় আসলাম, সরি।
অহ আচ্ছা আসো তোমরা ভিতরে আসো উনি বাসাতেই আছে।

তুর আর ঝুম ড্রইংরুমে গিয়ে বসলো। একটু পরেই হুমায়ন স্যার এলো। কিছু আলাপের পর ঝুম আর তুর সব কথা খুলে বলল হুমায়ন স্যারকে।সব কথা
শুনে স্যার একটু অমত করল। কারণ এতে প্রাণ হারানো আশংকা বেশি। কিন্তু ঝুম নাছোড় বান্দা।শেষ মেষ রাজি হলেন স্যার।
আজকের মত ঝুম আর তুর বাড়ি চলে গেলো স্যারের কথা মত।স্যার রাতে কথা বলবে বলে ঝুম আর তুরের ফোন নাম্বার রেখে দিলো।

ক্রিং ক্রিং ক্রি
ঝুম : হ্যাল স্যার আসসালামু আলাইকুম
হুমায়ন : ওয়ালাইকুম আসসালাম।ঝুম আমি যা বলি মন দিয়ে শুনো।
ঝুম : বলুন স্যার।
হুমায়ন : কিন্তু তার আগে তুরকে add করো কলে।
(ঝুম স্যার তুর)

হুমায়ন : আমি যা বলি আগে শুনো। রহস্য উদঘটন করতে হলে আগে আমাকে দেখতে হবে ঐ নৌকা আর পানি।আর সেটার জন্য ঝুম তোমমাদের ওখানে আমার থাকা দরকার।
ঝুম : হুম কিন্তু স্যার আমার মা বাবা জানলে এটা করতে দিবে না।
তুর : স্যার আপনি আমার বাসায় থাকবেন। আমাদের এখান থেকে ২ মিনিট এর রাস্তা
ঝুমের বাড়ির।হেটে গেলো ১০ মিনিট লাগবে।
হুমায়ন : ওকে তাহলে আমি এখনি বেরিয়ে পরছি।

ঝুম : ওকে স্যার
তুর : ওকে,
প্রতিবার ঝুমের মা কিংবা বাবার জন্য ঝুম কাজটা করতে পারে না।তাই আজ রাতে খাবারের সাথে ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে দেয় তাদের ঝুম যাতে কাজে জেনো বাধা না
পরে। রাত যত গভীর হচ্ছে ঝুমের টেনশন ততোই বেড়ে চলেছে।রাত ঠিক ১১:৩০ এ তুর ঝুমকে কল দিলো।
তুর : কই তুই,,,
ঝুম : আমি আসমানে,,,
তুর ; লাথি খাবি কুত্তী,
ঝুম : পেট ভরা খাবো না। আমি রুমে।
তুর : বাইরে আয় আমি আর স্যার তোদের গেটের সামনে দারিয়ে।
ঝুম : দাড়া আসছি,,,

ঝুমদের বাড়ির পেছন সাইডে সেই উঠান যেখানে নৌকা ভাসে।ঝুম,হুমায়ন আর তুর উঠানের পাশে একটা বড় আম গাছে পিছে লুকিয়ে গেলো।
হুমায়ন : শুনো আর ১০ মিনিট আছে।আমাদের মধ্যে যে কোনো একজন কে ঐ সোনার পানিতে নামতে হবে বা দৌড়ে গিয়ে নৌকায় চরে বসতে হবে।যদি বুদ্ধি কাজে লেগে যায় তাহলে ওদের সাথে অদৃশ্য হয়ে যাবার পর সব কিছু জানা যাবে।কিন্তু যাবে কে,,আমি কি যাবো।

ঝুম : না না স্যার আপনি না।আমি যাবো কারণ আমরা গিয়ে যদি কোনো বিপদে পরি তাহলে আপনি আমাদের হেল্প করতে পারবেন।
তুর : আমি তোকে একা যেতে দিবো না ঝুম।
হুমায়ন : চিন্তা করো না তুর ঝুমের কিছু হবে না।যদি তেমন কিছু না থাকে তাহলে আগামীকাল রাতেই ঝুম আবার বেরিয়ে আসতে পারবে।

তুর : স্যার কিছু নেই মানে যদি নাই থাকতো তাহলে বাকিরা কেন ফিরে আসলো না।
ঝুম : তুই ভয় পাস না আমি ঠিক ফিরে আসবো।
হুমায়ন : ঝুম এই নাও লকেট এটার সাথে ক্যামেরা সেট করা আছে। তুমি কোথায় আছো সেটা আমরা দেখতে পাবো। আর এই নাও এই ছোট্ট বক্স এটা কখনো কাছ ছাড়া করবে না। জ্ঞন থাকা অবস্থায় খুব বিপদে পরলে তবেই এই বক্স খুলবে তার আগে না।আর এই বক্স একবারি কাজে লাগাতে পারবে।

কথা বলতে বলতে ১২ টা বেজে গেলো। পিছনে উঠানে পানির আওয়াজ শুনা যাচ্ছে আর শুনা যাচ্ছে মাঝিদের হেইয়া হেইয়া বৈঠা বাওয়ার আওয়াজ। মাটির উঠান ভরে গেলো সোনা রঙের পানিতে।৩ টা নৌকা ভেসে উঠল।
হুমায়ন : ঝুম যাও দেড়ি কর না।
ঝুমের বুকের মধ্যে ধুপধাপ করে উঠল। একবার তুর আর একবার হুমায়নের দিকে তাকিয়ে পানিতে পা রাখলো ঝুম।নৌকা তখন মাঝ উঠানে চলে এসছে।ঝুম পানিতে পা রাখতেই পানির পরিমাপ কমে আসছিল।ঝুম দেরি না করে দৌড়ে মাঝখানের নৌকায় উঠে বসলো। নৌকা উঠানের এক পাশ থেকে আরেক পাশে জেতেই
ঝুম সহ উধাও হয়ে গেলো।

আরো গল্প পড়তে লিংক এ ক্লিক করুন……

সোনার তরী (পর্ব-2)

গল্পের বিষয়:
গল্প
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত