হু হু হু করে হাসছে

হু হু হু করে হাসছে

হু হু হু-করে হেসে উঠে মেয়েটা।রাহাত মেয়েটার দিকে তাকায়।এমন করে মেয়েটা হাসছে কেন,বুঝতে পারছে না।
-আপনার পকেটে হাত দিতে পারি?

কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই বলল-ছি ছি,আগে বলবেন তো আপনার পকেট ছেড়া।কী বিশ্রী কাণ্ড হল বলুন তো?
এই বলে মেয়েটা আবার হু হু করে হেসে উঠে।রাহাতের চোখ মুখ লজ্জায় ভরে যায়।পকেটতো ছিড়ার কথা না।কখন যে পকেটটা ছিড়ল,একদমই টের পায় নি।পকেটে হাত ঢুকায়।মেয়েটা ঠিক তখনি আরেকবার হেসে উঠে।বিস্মিত হল,পকেটটা তো ঠিকই আছে।মেয়েটা এত সহজে মিথ্যা কথা বলে ফেলল,একটু ধরতেও পারল না।মেয়েটাকে ইচ্ছে করছে বড়সড় ধরণের ধমুক দিতে।মেয়েটার মুখের দিকে তাকিয়ে কিছু বলতে পারল না।সুন্দরী মেয়েদের সামনে পড়লে কি সব ছেলেদের কি এমন হয়?নাকি শুধু তার হচ্ছে?কে জানে?

-আপনি আমাকে দেখেছেন?
রাহাত বেশ ঘামছে।থতমত খেয়ে কিছু বলতে যেয়েও বলল না।
-কি এমন হাবার মত দাঁড়িয়ে আছেন কেন?দেখা হয়েছে?
-দেখলাম।
-বাসায় যেয়ে বলবেন,মেয়ে পছন্দ হয়নি।মেয়ে রাজ্যের কুৎসিত। মেয়ের ছেলেদের সাথে ঢং করে বেড়ানোর স্বভাব আছে।
-আমি মিথ্যা কথা বলতে পারি না।
-যা সত্য তাই বলবেন।সবই তো সত্যি কথা।
এই বলে মেয়েটা মুচকি হাসে।
-একটাও না।আমার আপনাকে খুব পছন্দ হয়েছে।দেখতে আপনি খুব রূপবতী।আর দেখে মনে হয় না ছেলেদের সাথে ঢং করে বেড়ান।
-একটা কথা তো বলায় হয় নি,একবার এবরশন করতে হয়েছে।এরপরেও যদি বিয়ে করতে চান,আই হ্যাভ নো প্রবলেম।

রাহাত মেয়েটার দিকে ভাল করে তাকায়।হেসে বলে-আই হ্যাভ নো প্রবলেম।ছোটবেলা হতে আমি ঠিক এমন মেয়েই খুঁজছি।
মেয়েটা হতাশ হয়ে বলে-ভাই দেশেতো অনেক মেয়ে আছে।একজন বিয়ে করে নিন না।
-তোমার মততো আর কেউ নেই?আমি আপনাকেই বিয়ে করব।
-তবে বিয়ের দিনই মাথা ফাটাব আপনার।
-এত দেরি করবেন কেন দেবী চিত্রা?এখনি ফাটিয়ে দিন।
এই বলে রাহাত মেয়েটার কাছে মাথা এগিয়ে দেয়।মেয়েটা ছেলেটার দিকে তাকায়।ছেলেটা দেখতে তো বেশ।মাথায় হাত রেখে বলল-মনোবাসনা পূর্ণ হোক বালক।
রাহাত মেয়েটার দিকে তাকায়। মেয়েটা হু হু হু করে হাসছে।রাহাতও হু হু হু করে হেসে উঠল।

গল্পের বিষয়:
গল্প
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত