মর্যাদা

মর্যাদা

দেখো ভাবি আমি তোমাকে স্ত্রীর সম্মান দিতে পারবোনা। তুমি আমার ভাইয়ের বউ ছিলে আর আমার ভাবি। আমি তোমাকে ভালোবাসি শুধু ভাবি হিসাবে আর আমি অন্য কাউকে ভালোবাসি। প্লিজ তুমি অধিকার নিয়ে আসবেনা। আর মারিয়া কে আমি মেয়েই হিসাবেই মানবো কারন মারিয়া আমার ভাইয়ের মেয়ে। এই কথা গুলো অর্নগল ভাবে বলে যাচ্ছে জুনায়েদ। আজকে জুনায়েদের বিয়ে হয়েছে আর কার সাথে জানেন? সে আর কেউ না তার ভাইয়ের বউ। জুনায়েদের ভাই ক্যান্সারে মারা গেছে ৫ মাস আগে। তাদের একটা ৪ বছরের মেয়েও আছে নাম মারিয়া। জুনায়েদের কথা বলা শেষ হলে তার ভাবি বলে।

ফারজানা: দেখো জুনায়েদ আমিও চাইনি এই বিয়ে টা হক।

জুনায়েদ: তাহলে বিয়ে করলে  কেনো?

ফারজানা: বাবা মাকে ছেড়ে যে আমার যাওয়ার আর কোনো জায়গা নেই। ( একটা কথা ফারজানার বাবা মা দুজনেই মারা গেছে। ফারজানা মামা মামির কাছে অনেক কষ্টে মানুষ হয়েছে। তাই আর তাদের কাছে যেতে চাইনা)

জুনায়েদ: আমাকে বিয়ে না করলেও ত তোমাকে যেতে দিতাম না। কিন্তু বিয়ে করা টা ঠিক হয়নি।

ফারজানা: মেয়েটা বড় হচ্ছে ওকে কেউ যদি বাবার কথা জিজ্ঞাসা করে তখন কি বলবে?

জুনায়েদ: কি বলবে মানে ভাইয়ার কথা বলবে।

ফারজানা: হুম কিন্তু তোমার ভাইয়া নেই। মেয়েটা কে ত তোমাকেই দেখতে হবে।

জুনায়েদ: এতো কিছু জানিনা। গ্রামের সবাই আমাকে দেখে খারাপ কথা বলবে আর তুমি ত স্কুলের শিক্ষিকা তোমার কোনো প্রবলেম হতো না। ( ফারজানা ও জুনায়েদ প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকা আর জুনায়েদের ভাই ব্যবসা করতো)

ফারজানা: ছেলে হয়ে যদি তুমি সয্য না করতে পারো তাহলে খারাপ মানুষ গুলোর চোখ থেকে কিভাবে বাচতাম তোমার ভাই ছাড়া।

জুনায়েদ: আর শোনো স্কুলে গিয়ে আমার পাশে একদম আসবে নাহ।

ফারজানা: আমি কিছুই চাইনা শুধু মারিয়াকে বাবা ডাকতে দিও প্লিজ।

জুনায়েদ: হুম।

ফারজানা: আমি স্ত্রীর মর্যদা চাইবোনা।

জুনায়েদ: হুম।

ফারজানা: আমি চাই মারিয়া আর আমি বাবা মার সাথে থাকতে তা ছাড়া কিছুই চাইনা আমি।

জুনায়েদ: হুম অনেক রাত হয়ে গেছে এখন ঘুমিয়ে পড়ো কালকে স্কুল আছে।

ফারজানা: হুম।

জুনায়েদ: মারিয়া কে নিয়ে আসো জানোনা মারিয়া ছাড়া ঘুমাতে পারিনা।

ফারজানা: মারিয়া ত আব্বু আম্মুর কাছে ঘুমিয়েছে।

জুনায়েদ: ওহ।

ফারজানা: হুম।

জুনায়েদ: এই বাসর ঘর কে সাজিয়েছে?

ফারজানা: আব্বু আর আম্মু ( মাথা নিচু করে)

জুনায়েদ: লাগবেনা বাসর ঘর আমার জীবন টা নষ্ট করে এখন বাসর ঘর সাজিয়েছে।

ফারজানা:…

জুনায়েদ: ফুলের গন্ধে ঘুম আসেনা আমার।

তারপর জুনায়েদ সাজানো সব ভেঙ্গে লণ্ডভণ্ড করে দেই। আর ফারজানা চোখে জল নিয়ে এইসব দেখছে। জুনায়েদ বিছানায় ঘুমিয়ে পড়ে আর কিছুক্ষন পর ফারজানা বিছানার এক পাশে শুয়ে পড়ে আর কান্না করতে থাকে। আর ভাবে কি থেকে কি হয়ে গেলো। কত সুন্দর ছিলো আগের দিনগুলো। সকালে ফারজানায় ঘুম থেকে আগে উঠে আর দেখে জুনায়েদ এক ছোট বাচ্ছার মত ঘুমাচ্ছে। জুনায়েদ কে কিছু না বলে ফারজানা রান্না করতে যায় গিয়ে দেখে তার শাশুড়ি মা রান্না করছে। ফারজানাকে এতো সকালে দেখেই বলে।

আম্মু: রান্না ঘরে কেনো মা?

ফারজানা: এখন থেকে আমিই রান্না করব।

আম্মু: না মা তুমি সারা দিন পিচ্ছি পোলাপানদের সামলাতে অনেক কষ্ট হয়। রান্না টা আমিই করব।

ফারজানা: নাহ আম্মু এখন থেকে আমিও আপনার সাথে রান্না করব।

আম্মু: জুনায়েদ কিন্তু বকবে।

ফারজানা: কেনো বকবে?

আম্মু: তুমি রান্না করতে আসলে দেখতে না জুনায়েদ চিল্লাইয়ে বাড়ি মাথায় তুলতো আর বলতো আমার সোনা ভাবি কষ্ট পাবে।

ফারজানা: কষ্ট ত এখন থেকে পাবো ( আস্তে আস্তে)

আম্মু: মা দেখ আমি সব বুঝতে পারছি কিন্তু দেখবি জুনায়েদ তোকে মেনে নিবে।

ফারজানা: আম্মু আমি অন্য কিছু চাইনা শুধু তোমাদের সাথে থাকতে চাই ( কান্না করতে করতে)

আম্মু: কান্না করিস না মা সব ঠিক হয়ে যাবে।

ফারজানা: হু।

জুনায়েদ: মা ও মা খাবার দাও স্কুলের টাইম হয়ে গেছে।

আম্মু: চিল্লাচ্ছিস কেন?

জুনায়েদ: খাবার দাও তাড়াতাড়ি।

আম্মু: টেবিলে বস দিচ্ছি।

জুনায়েদ: হু।

আম্মু: ফারু যা মা জুনায়েদ আর তুই খাবার খেয়ে নে আর মারিয়াকে পরে আমি খাওয়াচ্ছি।

ফারজানা: হুম।

ফারজানা আর জুনায়েদ খাবার খেয়ে রুমে গেলো রেডি হওয়ার জন্য। ফারজানা রেডি হয়ে যেই বাইরে বের হতে গেছে তখনি কিছু একটাই বেধে পড়ে যেতে লাগে। আর তখনি জুনায়েদ ফারজানা কে আকড়ে ধরে আর দুজন দুজনার চোখের দিকে তাকিয়ে আছে।ফারজানা নিজেকে সামলিয়ে বাইরে চলে যায়। ফারজানা বাইরে দাঁড়িয়ে আছে এক সাথে স্কুল যাবে বলে। জুনায়েদ আর ফারজানা প্রতিদিন বাইকেই যাওয়া আশা করতো। জুনাদের বাইক আছে সেটাই।কিছুক্ষন পর…

জুনায়েদ: ভাবি তুমি রিক্সাই চলে যাও আজ আমার গফ এর কাছে যাবো তারপর স্কুলে যাবো।

ফারজানা: হুম ( মন খারাপ করে)

ফারজানা বাইরে দাঁড়িয়ে আছে এক সাথে স্কুল যাবে বলে। জুনায়েদ আর ফারজানা প্রতিদিন বাইকেই যাওয়া আশা করতো। জুনাদের বাইক আছে সেটাই। কিছুক্ষন পর…

জুনায়েদ: ভাবি তুমি রিক্সাই চলে যাও আজ আমার গফ এর কাছে যাবো তারপর স্কুলে যাবো।

ফারজানা: হুম ( মন খারাপ করে)

জুনায়েদ বাইক নিয়ে চলে যায় আর ফারজানা মন খারাপ করে দাঁড়িয়ে থাকে। কিছুক্ষন পরে ফারজানা হাটা শুরু করে আর ভাবতে থাকতে স্বামী থাকতে কতই না সুখে দিন যাচ্ছিলো।জুনায়েদও অনেক ভালোবাসতো সারা দিন স্কুলে থেকে ফিরে যখন বাড়িতে আসি তখন থেকে ঘুমানোর আগে পর্যন্ত গল্প করে যাবে। কিন্তু বিয়ে টা হয়ে জুনায়েদ একদম পালটিয়ে গেছে। আর জুনায়েদ ত কাউকে এখন ভালোবাসেনা। একজন কে ভালোবাসতো সেতো জুনায়েদ কে কাদিয়ে অনেক দূরে চলে গেছে না ফেরার দেশে।

জুনায়েদ ত আমায় সব সময় বলতো বিয়ে করলে বয়সে বড় মেয়েকেই বিয়ে করব। আমি আর আম্মু খিল খিল করে হাসতাম। জুনায়েদ বলতো বিয়ে করব একবারে কোনো প্রেম করবোনা। আমি ত জুনায়েদের থেকে স্ত্রীর অধিকার চাইনি আমি শুধু চাই ওর একটু কাছে থাকার কিন্তু না ও এমন হয়েগেছে। এইসব ভাবতে ভাবতে ফারজানা স্কুলে চলে আসছে। আর এসেই দেখে জুনায়েদ স্কুলে ক্লাস নিচ্ছে। তাহলে কি জুনায়েদ মিথ্যা বলছে এইসব ভাবে ফারজানা। ফারজানা অফিস রুমে ঢুকার সাথে সাথে অনেক ফুল ওপর থেকে পড়তে থাকে আর সব শিক্ষক শিক্ষিকা শুধু জুনায়েদ বাদে সবাই বলে। নতুন জীবন বয়ে নিয়ে আসুক এক অনাবিল সুখ।

সবাই ফারজানা কে উইশ করতে থাকে কিন্তু ফারজানার মন খারাপ এটাও সে বুঝতে পারে। তখন স্কুলের হেড স্যার এসে বলে মা মন খারাপ করিস না দেখবি সব একদিন ঠিক হয়ে যাবে। স্কুলের হেড ছ্যার ফারজানাকে নিজের মেয়েই ভাবে কারন তার কোনো ছেলে মেয়ে নেই। আরো সবাই সান্তনা দেই। কিচ্ছুক্ষন পরে ফারজানা ক্লাস নিতে যায় আর গিয়ে দেখে ঐ ক্লাসে জুনায়েদ ক্লাস নিচ্ছে আর এ থেকে বোঝা যাচ্ছে জুনায়েদ খুব রেগে আছে আর ছেলে মেয়েদের পড়ার জন্য খুব অপমান করছে। ফারজানা ক্লাসের সামনে চলে যায় আর তখনি জুনায়েদ বলে…

জুনায়েদ: এখানে কি চাই? ( রেগে)

ফারজানা:…

জুনায়েদ: কি হলো বোবা নাকি?

ফারজানা: এখন আমার ক্লাস এখানে।

জুনায়েদ: ক্লাস কি একটাই আছে না আরো আছে।

ফারজানা: সব ক্লাসে ক্লাস হচ্ছে।

জুনায়েদ: বললেই হয় এতো ঢং করার দরকার কি?

ফারজানা:…

জুনায়েদ: জান ক্লাসে যান।

ফারজানা: হুম।

জুনায়েদ রেগে রুম থেকে বেরিয়ে আসে আর ফারজানা মন খারাপ করে থাকে। সব ক্লাস শেষ করে স্কুল ছুটি দিয়ে দেই। জুনায়েদ বাইক নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে আর ফারজানা বাইকে উঠে যায়। আর তখনি জুনায়েদ বাইক থেকে নেমে…

জুনায়েদ: ঠাস ঠাস আমি বললাম না আমার গফ আছে।

ফারজানা: ( গালে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে)

জুনায়েদ: বেশি বুঝা ভালোনা।

আমি গেলাম রিক্সা করে আসুন। জুনায়েদ এমন করলো সবাই দেখছে একটুপর ফারজানার কাছে স্কুলের সব শিক্ষক শিক্ষিকা চলে আসে। আর সবাই বোঝাতে লাগে সব ঠিক হয়ে যাবে ফারজানা হেটে হেটে বাসায় যায় আর বাসায় গিয়ে দেখে জুনায়েদ একটা মেয়ের হাত ধরে হেসে হেসে কথা বলছে আর ফারজানা কে দেখায় মাত্র জুনায়েদ মেয়েটাকে জড়িয়ে ধরে। এটা ফারজানা সয্য করতে পারেনা। সোজা রুমে গিয়ে দোরজা আটকিয়ে দেই। ফারজানা দোরজা আটকিয়ে ডুকরে কান্না করে। এই কই দিনে ফারজানাও যে জুনায়েদ কে ভালোবেসে ফেলেছে। জুনায়েদের মা এসে দোরজা খুলতে বলে কিন্তু ফারজানা কান্না করেই যাচ্ছে। অনেক্ষন পর যখন ফারজানা দোরজা খুলে তখন দেখে মেয়েটা এখনো জুনায়েদের সাথে গল্প করছে। তখন তার শাশুড়ি আম্মু কে বলে ফারজানা: আম্মু এই মেয়েটা কে? ( কান্না করতে করতে)

আম্মু: ওতো আমার বোনের মেয়ে।

ফারজানা: ওহ।

আম্মু: কেন মা কি হয়েছে?

ফারজানা: তাহলে উনি এভাবে গল্প করছে কেন?

আম্মু: আরে ওরা দুজন ত এমনি। ওর নাম তুবা বিদেশে থাকতো স্বামী সন্তান নিয়ে আজকেই দেশে আসছে।

ফারজানা: উনার বিয়ে হয়ে গেছে?

আম্মু: হুম মারিয়ার চেয়ে বড় একটা মেয়েও আছে।

ফারজানা: দেখে ত মনে হয়না?

আম্মু: হাহা এবার বুঝতে পারছি তোর কান্নার কারন।

ফারজানা: হু।

আম্মু: ভয় নেই মা তোর জুনায়েদ তোকে ছাড়া কোথাও যাবেনা।

ফারজানা: হু।

ফারজানা এখন কিছুটা স্বস্তি পেয়েছে এই কথা গুলো শুনে। রাতে যখন খাবার খেতে যায় তখন ফারজানা দেখে জুনায়েদ মন খারাপ করে বসে আছে। মন খারাপের কারন জানতে চাইলে জুনায়েদ নাকি আম্মু কে বলেছে ফারজানা অনেক্ষন কার সাথে ফোনে কথা বলছে। এটা শুনে ফারজানা মিট মিট করে হাসে। এখন জুনায়েদ আর আগের মত খারাপ ব্যবহার করেনা ফারজানার সাথে। স্কুলে এখন দুজন এক সাথেই যায় কিন্তু ফারজানা এখন জুনায়েদ কে এড়িয়ে চলে। জুনায়েদের তখন খুব কষ্ট হয়। জুনায়েদও আস্তে আস্তে ফারজানা কে ভালোবেসে ফেলেছে।

জুনায়েদ এখন সব সময় ফারজানার পেছন পেছন থাকে। তারা এক বিছানায় থাকে কিন্তু ফারজানা বিছানার মাঝ খানে কোলবালিশ দিয়ে বডার দিয়ে রাখছে। জুনায়েদ এখন আফসোস করে আগে যদি এমন করতাম তাহলে আজকে এই দিন দেখতে হতো না। এভাবে দিন যাচ্ছে আর ফারজানা জুনায়েদের মজা দেখছে আর মনে মনে ভাবে দেখো কস্ট কেমন লাগে। জুনায়েদ এখন হাল ছেড়েই দিয়েছে ফারজামার এভোয়েট দেখে। জুনায়েদ এখন প্রায় মন খারাপ থাকে। যখনি মন খারাপ হয় তখনি মারিয়াকে নিতে বাইরে ঘুরতে যায়।

এটা দেখে ফারজানাও তার মেয়েকে জুনায়েদের কাছে যেতে দেই না। জুনায়েদ আরো কষ্ট পাই। এভাবেই ৫ মাস চলে যায়। মাস শেষে জুনায়েদ ব্যাংক থেকে তার বেতব তুলতে যায় আর বেতন তুলার সময় অনেক অবাক হয়। কারন ফারজানা তার বেতন জুনায়েদের একাউন্টে যোগ করে দিয়েছে। এটা দেখে জুনায়েদ অনেক খুশি হয় আর ভাবে ফারজানা আমাকে এড়িয়ে চললেও আমাকে ভালোবাসে। জুনায়েদ খুশি হয়ে একটা গোলাপ আর বেলি ফুলের মালা নিয়ে যায় ফারজানার জন্য।

জুনায়েদের বাসায় আসতে আসতে অনেক রাত হয়ে যায় কিছু কেনা কাটা করার জন্য। আর বাসায় এসেই দেখে ফারজানা যেনো কার সাথে ফোনে কথা বলছে। এটা দেখে জুনায়েদের অনেক রাগ হয়ে যায় তাই জুনায়েদ সোজা গিয়ে ফারজানার গালে চড় বসিয়ে দেই আর ফারজানা অবাক হয়ে ডাড়িয়ে আছে। একটু পর জুনায়েদ রাগি মুড নিয়ে ফারজানার দিকে এগিয়ে আসে আস্তে আস্তে ফারজানার পিঠ দেওয়ালে ঠেকে যায় তখন ফারজানা বলে প্লিজ আমার এতো বড় সর্বনাশ করোনা প্লিজ। জুনায়েদ রেগে গিয়ে বলে তোকে আজজ ধর্ষণ করব।

ফারজানা: প্লিজ আমার এতো বড় ক্ষতি করোনা প্লিজ।

জুনায়েদ: তোর কোনো কোথায় শুনবোনা। জুনায়েদে কিছুক্ষনের মধ্যে হিংস্রো এক হাইনা হয়ে যায়। জুনায়েদ বিছানায় শুয়ে আছে তখন ফারজানা বলে

ফারজানা: আজকে এমন করলে কেন?

জুনায়েদ: তুমি ফোনে কার সাথে কথা বলতে ছিলে।

ফারজানা: তোমার খালাতো বোনের সাথে।

জুনায়েদ: কিহ?

ফারজানা: হুম।

জুনায়েদ: সরি আমার ভুল হয়েগেছে এইসব করা আমাকে মাফ করে দাও। ফারজানা: ধুর বোকা আমার ওপর তোমার সব অধিকার আছে। জুনায়েদ: আজ থেকে আমি আর তুমি স্বামী স্ত্রী।

ফারজানা: তাহলে মর্যাদা টা দিলে। জুনায়েদ: হুম দিলাম স্ত্রীর মর্যাদা। হুম এখন দুজনের খুনসুটি ভালোই চলছে কেমন লাগলো লাইক কমেন্ট করে জানিয়েন। আপনাদের অত্যাচারে এখানেই শেষ করে দিলাম। মাথার প্রবলেমের জন্য এতো দেরি হচ্ছিলো। আপনারা দোয়া করবেন মাথার প্রবলেম যেনো তাড়াতাড়ি সেরে যায়।

গল্পের বিষয়:
গল্প
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত