মেঘ বালিকা

মেঘ বালিকা

অচেনা গ্রামে পা রেখেছে শহরের ডানপিঠে ছেলে রাজ।তবে মা মরা রাজ আজ পরিস্থিতির স্বীকার হয়ে শহর থেকে চলে এসেছে গ্রামে নানার বাড়িতে।তার বড়লোক বাবা আবার বিয়ে করেছে তাইতো রাগ করে বাড়ি থেকে চলে এসেছে। রাজ যে আজ তার নানার বাড়ি আসছে সে কথা তার নানার oবাড়ির কেউ জানেনা।গ্রামে তার নানার অনেক দাপট তবুও গ্রামের কেউ রাজকে চেনেনা।কেননা আজ ৬ বছর পর রাজ গ্রামে এসেছে। রাজের একাকীত্বের সঙ্গী তার ক্যামেরা আর একটা গিটার

রাজ যেখানে যায় সেখানে তার এই দুটো জিনিস থাকবেই।গ্রামের মধ্যে ভ্যানে যাওয়ার সময় রাজ ক্যামেরা হাতে গ্রাম্য প্রকৃতির দৃশ্যবন্দি করছে।আর গ্রামের মানুষ তার দিকে এমন ভাবে দেখছে রাজ এতে নিজেকে এলিয়েন ভাবতে শুরু করেছে।হয়তো তার পোশাক – আশাকই গ্রামের মানুষের কাছে এলিয়েন ভাবনা সৃষ্টির প্রধান কারন।রাজ তার গন্তব্যে পৌছালেও সে তার নানার বাড়ি চিনতে পারছিলনা।অনেক কষ্টে গ্রামের লোকদের সহযোগিতায় সে তার নানার বাড়ি পৌছায়।নানার বাড়িতে ঢুকতেই সবাই রীতিমত আবাক।কেননা রাজ কিছুতেই তার নানার বাড়িতে আসতইনা।রাজকে দেখে তার নানা জড়িয়ে ধরে।আর —

নানা- কি খবর নানুভাই?? এতোদিন বাদে আমাদের মনে পড়লো??

একের পর এক পরিবারের সবাই তাকে প্রশ্ন করেই যাচ্ছে।রাজ কোনমতে সেখান থেকে রুমে আসে ফ্রেস হওয়ার নামকরে। ভালোই লাগছে রাজের। তার নানার পরিবারটা যৌথ। অনেক মানুষের ভালোবাসা একত্রে এক বন্ধনে আবদ্ধ এই পরিবারে। দুপুরে খাওয়া দাওয়া করে ছোট্টখাট্টো একটা ঘুমের দেশে পাড়ি জমায় রাজ। অবশ্য ঘুম নামক শান্তিময় দেশে সে বেশিক্ষণ থাকতে পারিনি।কেননা ইতিমধ্যে রাজের মামাতো ভাই সজীব জেনে গেছে রাজ এসেছে।সজীব ঘরে এসে রাজকে নিয়ে সজীব বের হয় গ্রাম ঘুরতে।সজীব আর রাজ সমবয়সী। আর তাদের মধ্যে ভাবও গলায় গলায়।রাজ গ্রামে না আসলেও সজীব মাঝেমধ্যে রাজদের বাড়ি যেত।

সজীব- তো বল তোর খবরাখবর??

রাজ- কোনো খবর নাই। তবে খবর এখন একটাই বেশ কিছুদিন গ্রামে থাকবো।

সজীব- সে তো ভালোই।

রাজ-হুম।যা একটা সিগারেট নিয়ে আয়।

সিগারেট ফুকে দুজন যখন বের হচ্ছে তখন রাজ খেয়াল করে একটা মেয়ে সজীবের দিকে রাগি দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।মেয়েটি কখন এসেছে তারা বুঝতে পারিনি।রাজের আর বুঝতে বাকি রইলনা মেয়েটি যে মাইশা সেটা।কারন সজীবের মুখ থেকে সে অনেকবার শুনেছে মাইশার কথা।সজীব আর মাইশা একজন – আরেকজনকে ভালোবাসে।রাজ মাইশার দিকে এগোতে থাকে আর সজীব রাজের পিছন পিছন যায়।

রাজ- কেমন আছো মাইশা??

মাইশা অনেকটা অবাক হয়ে যায়।সে রাজের কথা শুনলেও রাজকে সে দেখনি।তাই হঠাৎ সে চুপসে যায়। কিন্তু মাইশা এমনিতে অনেক রাগি।আর সজীবের সিগারেট খেতে দেখে রাগ ৩০০ ড্রিগ্রিতে উঠে গেছে।ঠাস করে রাজের গালে চড় মেরে বসে মাইশা আর

মাইশা- মেয়ে দেখলেই কথা কইতে মন চায়? আর তুই আমার নাম জানস ক্যামনে??

রাজ অনেকটা আবাক হয়ে গালে হাত দিয়ে করুন দৃষ্টিতে সজীবের দিকে তাকায়।মাইশার কাজ দেখে সজীবও রেগে তেড়ে যায় মাইশার দিকে।কিন্তু রাজ সজীবকে সামলে নেয়।রাজ যখন নিজের পরিচয় দেয় ততক্ষন যা হওয়ার হয়ে গেছে। সজীব মাইশার সাথে খুব খারাপ ব্যবহার করে রাজকে নিয়ে রেখে আসে।রাজের সাথে কথা বলে ভেজা ভেজা চোখে মাইশাও চলে যাচ্ছে। সেদিনের মতো গ্রাম আর ঘোরা হলো না।সজীব খুব রেগে আছে মাইশার উপর।অনেক বোঝানোর চেষ্টা করেও রাজ ব্যর্থ। রাতে খেয়ে দেয়ে সবার সাথে গল্প করে রাজ আর সজীব একসাথে ঘুমাতে যায়। রাত পার হতেই রাজের চোখ ছানাবড়া। মাইশা আর রাজের নানা উঠানে বসে খুব হাসাহাসি করছে সজীবও এর মধ্যে ঘুম থেকে উঠে গেছে।মাইশাকে দেখে…

সজীব- দাদা তুমি ওরে বইলা দেও যেন আমাগো বাড়িতে না আসে।

মাইশা- আপনের ইচ্ছা মতো।কমু দাদারে কাল দোকানে কি করতে ছিলেন আপনে আর রাজ ভাই।

মূহুতেই চুপসে যায় রাজ আর সজীব।তারা ভাল করেই জানে ঐ বুড়ো সিগারেটের কথা জানতে পারলে খবর করে দেবে। মাইশা রাজের কাছে গিয়ে মাফ চেয়ে নেয়।আর রাজও জানে মাইশা ওকে চিনতে পারেনি তাই এরকম করেছে।আর রাজ জানতে পারে মাইশা আর সজীবের বিয়ে ঠিক হয়ে আছে। মাইশা আর সজীবের রাগ অভিমান সব মিটে গেছে।আজ ওরা ঠিক করেছে তিনজন একসাথে যাবে ঘুরতে। দুপুরে খাওয়ার পর বের হয় ঘুরতে।তবে আজ রাজের সাথে তার প্রানপ্রিয় জড় সঙ্গী দুটোও আছে। গোধুলী লগ্নে নদীর পাড়ে পৌছায় তারা।মাইশা আর সজীব যখন প্রেম আলাপে মগ্ন তখন রাজ ক্যামেরা হাতে ব্যস্ত।

হঠাৎ রাজের ক্যামেরার সাথে চোখও আটকে যায় নদীর পাড়ে গড়ে উঠা লোকালয়ের ছোট্ট একটা পুকুরে।যেখানে ঢেউ খেলানো একরাশি ঘন চুল। ক্যামেরায় তার মুখ দেখা যাচ্ছে না।তবে কিছু রাজহাঁসের সাথে সে তার আনন্দ ভাগ করছে সেটা স্পষ্ট।তবে রাজ তার ক্যামেরা সেই মেঘকালো চুলের ছবি তুলতে মোটেও দেরি করেনি। একসময় রাজ মেয়েটিকে দেখতে পাচ্ছে না।সেখান থেকে চলে গেছে মেয়েটি।রাজ তার ক্যামেরা হাতে লোকালয়ে ডুকে পড়ে তার মেঘ-বালিকাকে খুজতে। এর মধ্যে মাইশা আর সজীব আবিষ্কার করে রাজ সেখানে নেই।তারাও ব্যস্ত হয়ে পড়ে রাজকে খুজতে।প্রায় সন্ধ্যা হয়ে এসেছে।সজীব দেখতে পায় রাজ আনমনে ঘুরে বেড়াচ্ছে। মনে হচ্ছে কি এক মূল্যবান জিনিস হারিয়ে রাজ নিঃস্ব হয়ে আছে।

বাড়ি ফিরে সজীবকে রাজ তার মেঘ বালিকার কথা বললে সে অবাক হয়ে যায়।কেননা রাজ কোনো মেয়েকে সহ্য করতে পারতোনা।সেই রাজ কিনা এক মেয়েকে খুজতে সারাদিন পার করেছে। এদিকে রাজ পড়ন্ত বিকালের মেঘের ফাকে খুজে পাওয়া মেঘ বালিকাকে খুব মিস করতে শুরু করেছে।পরের দিন রাজ একাই চলে যায় তার মেঘ বালিকাকে খুজতে।তবে আজ আর তাকে রাজ পুকুর – পাড়ে খুজে পায়নি। এভাবে কেঁটে যায় বেশ কিছুদিন।এরমধ্যে ছেলেকে নিতে গ্রামে আসে রাজের বাবা।ছেলের জন্য নিজের দ্বিতীয় স্ত্রী কে ছেড়ে দেয় সে।আর রাজও বাবার সাথে চলে যায় শহরে।তবে সে তার মেঘ বালিকাকে কিছুতেই ভুলতে পারছেনা।

নীল আকাশ তবুও যেন ঝুম বর্ষণে ভিজছে শহরটা বসত বাড়ি, বাজার,বন্দর-সব কিছুকে ধুয়ে যাচ্ছে ঝম ঝম শব্দে। ধুলো ময়লা মিশছে নর্দমায়,সেখান থেকে নদী,নদী থেকে আরও বড় কিছুর সন্ধানে এখন রাজের মন।তার ভাবনায় শুধুই তার সেই মেঘ বালিকা।এভাবে কেটে যায় অনেকদিন। পাঁচদিন বাদেই সজীব আর মাইশার বিয়ে তাই আজ গ্রামে যাবে রাজ। বিকালে বিয়ে বাড়িতে রাজ পৌছায় তার বড় গাড়িটা নিয়ে।সজীব রাজকে ঘরে নিয়ে যায়।খাওয়াদাওয়া করে রাজ গল্পে ব্যস্ত তার নানার সাথে। রাতে সবাই একসাথে গল্পে মগ্ন হয়ে পড়লে মাইশা রাজের কাছে গান শোনার অনুরোধ জানায়।রাজ এমনিতে অনেক ভালো গাইতে পারে।সে গিটার হাতে এক সুন্দরী মাইয়া গানটি গেয়ে শোনায়।হঠাৎ পিছন থেকে সুমধুর কন্ঠে আপনি তো বেশ ভালো গাইতে পারেন রাজ খেয়াল করে এক সুন্দরি মেয়ে তাকে উদ্দেশ্য করে কথাটি বলে

রাজ- ধন্যবাদ।

এর মধ্যে মাইশা সেখানে এসে রাজের সাথে নিলার পরিচয় করিয়ে দেয়।নিলা মাইশার ছোট বেলার বান্ধবি। রাজ সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে সেদিনের মতো ঘুমিয়ে পড়ে। সকালে রাজ ক্যামেরা হাতে বেরিয়ে পড়ে নদির পাড়ে তার মেঘ বালিকার খোঁজে।কিন্তু তার দেখা সে পেলনা।যদিও রাজ তাকে চেনেনা।তবুও আজানা কোনো এক টানে তাকে খুজতে ব্যস্ত রাজ। বাড়ি ফিরে এসে ঘুম দেয় রাজ।বিকালে খেয়ে দেয়ে পুকুর পাড়ে ক্যামেরা হাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে রাজ। হঠাৎ খুজে পায় সে তার মেঘবালিকাকে।একইভাবে হাসের সাথে খুনটুসিতে ব্যস্ত তার মেঘ বালিকা।কয়েকটা ছবি তুলেও তনেয় রাজ।আজ মেঘ বালিকার সামনে যাবে বলে প্রস্তুতি নেয় রাজ।পাশে যেতেই রাজ অবাক।সে নিলাকে দেখতে পায়।রাজের আর বুঝতে বাকি থাকেনা এই নিলাই তার খুজে বড়ানো সেই মেঘ বালিকা।এর মধ্যে নিলা রাজকে দেখতে পায়

নিলা- কি খবর কেমন আছেন শহুরে বাবু?

রাজ- ভালো। আপনি?

নিলা- হুম খুব ভালো।

রাজ-আচ্ছা আপনি কি সবসময় এ সব হঁাস পাখি নিয়ে মেতে থাকেন নাকি??

নিলা ঘাবড়ে যায় রাজের এমন প্রশ্নে।রাজ কি ভাবে জানলো যে হাস দেখলে ওর মাথা ঠিক থাকেনা।মাথা চুলকাতে থাকে নিলা।

রাজ- আরে এতো ঘাবড়ানোর কিছু নেই।আমি এর আগেও আপনাকে দেখেছি হাঁসের সাথে মজা করতে।

নিলা- মানে??

রাজ তার ক্যামেরা ওপেন করে নিলার প্রথম দিনের ছবি দেখায়।সেখানে অবশ্য নিলার মুখ দেখা যাচ্ছে না।তবুও নিজের ছবি চিনতে মোটেও দেরি হয়নি নিলার।

নিলা- আপনি আমার ছবি কই পাইলেন?

রাজ নিলাকে সব খুলে বলে।কিছুটা লজ্জা পেয়ে সেখান থেকে চলে যায় নিলা। রাজ বিষয়টা সজীবকে বললে সজীব মাইশাকে বলে।বিষয়টা রাজের নানা জানতে পারে যে রাজ তার মেঘ বালিকাকে খুজে পেয়েছে।রাজের নানাও খুব খুশি হয়। কেননা নিলা খুব ভালো একটা মেয়ে। রাজ ঠিক করেছে আজ তার মেঘ বালিকাকে তার মনের কথা বলবে।মাইশা নিলাকে নিয়ে আসে রাজের কাছে।মাইশা চলে যাওয়ার পর

রাজ- তোমার সাথে আমার কিছু কথা আছে?

নিলা- বইলা ফালান।

রাজ-( পিছন থেকে একটা রাজহাঁস এনে) ওহে আমার গোধুলি – লগ্নে খুজে পাওয়া মেঘ বালিকা ;তুমি কি আমার হাঁসের মালকিন হবে??

নিলা- অনেক হাঁস দিলে হমু।

বলে রাজের হাত থেকে হাঁস পাখিটি নিয়ে দৌড় দেয় নিলা। বাড়ির সবাই লুকিয়ে রাজ আর নিলার কান্ড দেখছিল।সবাই একসাথে হেসে উঠলে রাজও লজ্জা পেয়ে চলে যায় ঘরে। রাজের নানা বিষয়টা তার বাবাকে জানালে রাজের বাবাও রাজি হয়ে যায়।কারন সে চায় তার ছেলে সবসময় খুশি থাকুক।এর মধ্যে রাজ আর নিলা দুজন একে অন্যকে ছাড়া কিছুতেই চলতে পারছে না। সজীব আর মাইশার বিয়ে হয়ে গেছে আজ।কাল রাজ শহরে যাবে। কিন্তু নিলাকে ছেড়ে কিছুতেই রাজ যতে চাচ্ছেনা।নিলাও তাকে ছাড়া থাকতে পারবেনা।কিন্তু রাজকে যেতে হবে। কেননা সে দুইদিন পর ৬ মাসের জন্য বিদেশ যাবে ব্যবসার কাজে।বাবার ব্যবসার দায়িত্ব এখন তার উপর।বিকালে –

রাজ- নিলা আমি এখন চলে যাবো। নিলার মন চাচ্ছেনা রাজকে যেতে দিতে। তবুও সে রাজকে অনেক বোঝায়।

নিলা- যাও। ৬ মাস দেখতে দেখতে চলে যাবে।( কান্না চেপে)

রাজ- তোমাকে ছাড়া এতোদিন কিভাবে থাকবো।

নিলা – আরে পাগল এবার ফিরে আসলে তো আমাগো বিয়ে তারপর আর যেতে হবেনা।

রাজ সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে গাড়িতে চেপে বসে।ওদিকে নিলার চোখে পানি টলমল করছে। পরেরদিন বিদেশ চলে যায় রাজ।প্রতিদিন প্রত্যেকটা মুহুর্তে নিলার কথা ভাবে রাজ।আর সেই ছবির সাথে কথা বলে একাএকা। এভাবে চলতে থাকে অনেকদিন।এখন সজীবের কাছে ফোনে নিলার কথা শুনলেও এড়িয়ে যায়।রাজ কিছুই বুঝতে পারেনা।

বিদেশ পর্ব চুকিয়ে কাল বাড়ি ফিরবে রাজ।নিলার জন্য কিছু পছন্দের জিনিস কিনে দেশে ফেরে সে।বিমানবন্দর থেকে সোজা গ্রামের বাড়ি যায় সে নিলার সাথে দেখা করতে।রাজের বাবা জানতে পারে রাজ গ্রামে যাচ্ছে তাই সেও গ্রামে চলে আসে। রাজ সজীবকে না জানিয়ে নিলাদের বাড়ি চলে যায়।সজীব জানতে পেরে সেও সেখানে পৌছায়।

নিলার মা- বাবা কেউ বেঁচে নেই। সে তার ফুঁফুর বাড়িতে থাকত।সেখানে গিয়ে নিলার কথা শুনতেই তার ফুঁফু কান্না করতে থাকে কিছু না বলে। ততক্ষণে রাজ জানতে পেরেছে নিলা আর বেঁচে নেই।ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে তিন মাস আগে সে চলে গেছে পরপারে। অনেক চেষ্টা করেও তাকে বাঁচাতে পারেনি রাজের বাবা।

রাজ কোনো কথা বলছেনা।কেউ তাকে কোনো কথা বলাতে পারছেনা।এমন সময় মাইশা রাজের হাতে একটা চিঠি এনে দেয়।চিঠি তে “এই পাগল কাঁদছো কেন? তোমার মেঘবালিকাকে তুমি ঐ মেঘের মাঝে খুঁজে পাবে।মেঘ হয়ে ভেসে আগলে রাখবো তোমারে কথা দিলাম। আর আমার হাসঁ সব তোমারে দিয়া দিলাম।” ইতি – নিলা চিঠি শেষে হঠাৎ রাজ নিলা বলে গগন কাঁপানো চিৎকার করে উঠে।তার চিৎকারে থমকে যায় পুরো আকাশ বাতাস। অঙ্গান হয়ে পড়ে যায় রাজ।জ্ঞান ফিরে দুই দিন পর।জ্ঞান ফিরতেই নদীর পাড়ে চলে যায় রাজ।

রাজ এখনও তার মেঘ বালিকার আসায় বসে থাকে ঐ নদীর পাড়ে।একা একা কথা বলে তার সাথে। অন্য কাউকে চেনবার ক্ষমতা এখন আর তার নেই কারন সে এখন উন্মাদ পাগল।

(সমাপ্ত)

গল্পের বিষয়:
গল্প
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত