অভিমানী মন

অভিমানী মন

ঠাস ঠাস ঠাসসসসস!
এতক্ষন যে শব্দ গুলো শুনলেন এর সব গুলাই আমার গালে পড়েছে। আসলেআমার মামাতো বোনকে
ভালোবাসি বলতেই থাপ্পর গুলা দিল।আমি জনি একটা কম্পানিতে কাজ করছি।আর আমার মামাতো বোন ওর
নাম হলো নিলা। ওর মা মারা যাবার পরথেকে মা ওকে এখানে আমাদের বাসায় নিয়ে আসে। দেখতে
পুরো তামিলনায়িকাদের মতো। আমার থেকে দুবছরের বড়।নিলাও একটা কোম্পানিতে চাকরি করে
তবে আমার থেকে বড় পোস্টে। এবার গল্পে আসা যাক।
আমি তোমাকে ভালো বাসি।
নিলাঃ ঠাস ঠাসস ঠাসসসসস। কতবার বলবো আমি তোকে ভালোবাসি না।তোর লজ্জা করে না। আজ একবছর ধরে জ্বালাচ্ছিস।আমি তোর বড় ভুলে যাস কেন।
ছোটলোক একটা।
এই বলে নিলা চোলে গেল।নিলার থাপ্পরের
চোটে ঠোট ফেটে রক্ত বের হয়ে গেছে।
রুম থেকে বেরহতেই ঠাসসসসস!চোখে
অন্ধোকার দেখছি ভালোকরে তাকিয়ে দেখি মা।
মাঃ তোর লজ্জা শরম বলতে কিছু নেই। তোর জন্য
মেয়েটা না খেয়ে চলেগেছে,এমন কুলাঙ্গার
ছেলে কিভাবে আমি জম্ম দিছি দূর হ আমার
চোখেরসামনে থেকে।আমি আমার অফিসের
দিকে চলে গেলাম,
চোখের পানি বাদ মানছে না, শেষমেষ চোখের
পানি বেরিয়ে গেল। খুবকষ্ট লাগছে মার শেষের
কথা শুনে। কুলাঙ্গার হয়ে গেলাম শেষমেষ।হ্যাঁ এটা
সত্য যে নিলার পিছন আজ একবছর লেগে আছি। কিন্তু
ভালোবাসিতারও আগ থেকে। আমি জানি ওর কোনো
বয়ফ্রেন্ড নেই আমকে একসময় নাএকসময়
ভালোবাসবেই তাই পিছু পরে থাকতাম আমি জানতাম না ও
আমাকেএত অপছন্দদ করে। রোজ একসাথে বের
হতাম ঘর থেকে অফিসে যাওয়ারজন্য। আমি আমার বাইক
দিয়ে যেতাম। ওকে আমার সাথে যাওয়ার জন্যবলতাম ও
না বলে দিত। আসার সময় ও ওর অফিস হয়ে আসতাম
যদিও আমার
কষ্ট হতো তার পরও যেতাম একসাথে আসার জন্য।
কোনো দিন আসতোকোনো দিন ফিরিয়ে
দিতো।ছুটির দিনে ওকে নিয়ে ঘুরতে বের হতাম
যদিওআমার সাথে যেতে রাজি হতো না তার পরেও
জোর করে নিয়ে যেতাম।একবছর পর্যন্ত ওকে
প্রোপোজ করেই যাচ্ছি ও না করে দিচ্ছে। কাল
ওকেএকটা ছেলের সাথে দেখে আমার হারনোর
ভয় হয়। তাই ওকে খুব করেমিনতি করলাম আমাকে একটু
ভালোবাসার জন্য। কিন্তু তা না করে এত সবকান্ড করে
গেল।
অফিসে এসে আমার ডেকছে বসতেই আনিকা
আসলো, আনিকাহলো আমার কলিগ, পাশাপাশি কাজ করি,
আনিকাঃ কি ব্যাপার আপনার মন খারাপ কেন বাসায় কি কিছু
হইছে।(এই মেয়েটার একটা অত্তাধিক শক্তি আছে
আমার মুখদেখেই সব বলে দেয়)
আমিঃ না কিছু না।
আনিকা ঃ আমার কাছে লুকাচ্ছেন।
আমিঃ আসলে তেমন কিছু না।
আনিকাঃ আচ্ছা না বলতে চাইলে থাক।
আনিকা চলে গেল তার ডেক্সছে।কোনো রকম
কাজ শেষ করে চলে গেলাম। রাতে বাসায় আসলাম।মা
এখনো রাগ করে আছে।
আমিঃ মা খুদা লাগছে খাবার দেও
মাঃ তোর টা তুই নিয়ে খা।
আমিঃ এখনো রেগে আছ। আমি সরি আর এমন হবে না
নিলা খেয়েছে। ওকেডাক দেও।
মাঃ কোন মুখে ডাক দিব তুই সরি বলে নিয়ে আয়।
আমি ওর রুমে গেলাম। ও ল্যাপটোপে কাজ করছে।
আমিঃ সরি। খেতে আসেন।
নিলা কোনো কথা বললো কাজ করতে থাকলো।
আমিঃসরি বললাম তো। আসেন খেতে আসেন মা
ডাকছে।
আমার আপনি ডাক শুনে আমার দিকে তাকাল। তার পর
আমার পাস কাটিয়েখেতে চলে গেল। আমিও চলে
গেলাম । নিলা চুপচাপ খেয়ে চলে গেল। এখনআমার
উপর থেকে রাগ কমেনি। তার পর থেকে ওর
সামনে আর যেতাম নাসকাল সকাল ওর বের হওয়ার
আগেই আমি বের হয়ে গেলাম। অফিসে যেতেই
দেখলাম আনিকা আমাকে দেখে মুখ অন্যদিকে
ঘুরিয়ে নিল। মেয়েটা খুবঅভিমানি। কালকের জন্য
আভিমান করেছে।
আমিঃ আনিকা কেমন আছেন।
আনিকা কোনো কথা বললো না।
আমিঃ বিকালে একসাথে কফিসফে কফি খেলে কেমন
হয়।
আনিকাঃ আমার দিকে মুখ ঘুরিয়ে খুশি হয়ে বললো,
সত্যি।
আমিঃ হুম, বিকালে বের হয়ে একসাথে যাবো। ওখুশি
হয়ে বলল, আচ্ছা ঠিকআছে,
আসলে ও অনেক দিন ধরে বলছে একসাথে কফি
খাবে। আমি যাইনি আজবলাতে খুশি হয়েছেবিকাল
হতেই ও হাজির আমার ডেক্সে।চলেন ।
আমিঃ চলেন।
ওকে বাইকে করে নিয়ে কফিসফে ডুকলাম।
কফিসফে বসতেই চোখ গেল অন্যকর্ণারে।
সেখানে নিলা বসে আছে। সাথে তার বান্ধুবি। আমি এক
নজরদেখে না দেখার ভান করে থাকলাম। নিলা আপু
আমাদের দিকে বারবারতাকাচ্ছে। আমরা কফি খেয়ে
কফিসফ থেকে বের হয়ে আসলাম। আনিকাকেবাসায়
দিয়ে এসে আমি আমার বাসায় আসলাম।বাসায় আসতেই
নিলা আপু কেমন করে যেন তাকালো। পা থেকে
মাথাঅবদি কয়েক বার তাকালো আমি পাস কাটিয়ে
চোলে আসলাম। আমিযথাসম্বব এড়িয়ে চলি নিলাকে।
তার পরের দিন সকাল সকাল বেরিয়েপরলাম বিকাল হলে
আনিকার সাথে আড্ডা দিতাম।
আজো আড্ডা দিয়ে বাসায় ফিরলাম। তার কিছুক্ষন পর
নিলার রুমে ডাকপড়লো।গেলাম সেখানে।
আমিঃ আসবো।
নিলাঃ হুম।
হুম বলছে না যেন আমাকে ধমক দিচ্ছেভিতরে
ডুকলাম।
নিলাঃএই কাজটা করে দে ( ল্যাপটপটা দেখিয়ে বলল)
আমি কিছু না বলে কাজ শুরু করে দিলাম। এত সহজ কাজ
এতো ওনি ওপারে যাগ্গে। আমি কাজ করতে ছিলাম
হঠাৎ তিনি বললেন।
নিলাঃআজ কাল তো খুব মজায় আছিস দেখছি। মেয়ে
বাইকে নিয়ে ঘুরিস।
আমি কিছু বললাম না।ওনি আবার বললেন।
নিলাঃ বেশ ভালোতো,, ভালো।অফিসে এর জন্য
তোকে টাকা দেয়।
আমিঃআপনার কাজ হয়ে গেছে।
নিলাঃআমি কি বলেছি।
আমিঃএত কিছু আপনার না জানলেও চলবে। আমি রুম
থেকে বেরিয়েআসলাম ওনি অবাক হয়ে তাকিয়ে
রইলেন।সকালে সবাই একসাথে নাস্তাকরছি তখন মা
বললো জনি যাওয়ার সময় নিলাকে নিয়ে যাবি।
আমিঃ ওনি যাবে নাআমার সাথে
মাঃ নিলাই বলছে।
আমিঃ আমার কাজ আছে ওনাকে বাসে করে যেতে
বলেন
নিলা রাগ করে খাবার ফেলে রেখে রুমে চলে
গেল তার অফিসের ফাইলনিয়ে বেরিয়ে গেল মা
পিছন থেকে ডাকলো শুনলো না।
মাঃ তুই ওকে নিয়ে গেলেই পারতি,মেয়েটা না
খেয়ে চলে গেল।
আমি ভেবেছি সে চলে গেছে না তিনি যাননি। আমি
বাইরে এসে দেখি,আমার বাইকের কাছে দারিয়ে
আছে। আমি পাস কাটিয়ে বাইকে উঠলামসাথে সাথে
ওনি লাফ দিয়ে বাইকে উঠে গেলেন। আমি অবাক
হলামএকসময় ওনাকে বাইকে চড়ানোর জন্য কত বাহানা
ধরতাম আর এখন। বুঝিনাএমেয়ের এত রাগ কোথা
থেকে আসে। বাইক স্টার্ট দিতেই নিলা
আমাকেজড়িয়ে দরলো। আমার পুরো শরীর শিহরিত
হয়ে উঠলো। এমন ভাবে ধরলোযেন আমার
জিএফ।আমি কিছুই বললাম না ওনাকে তার অফিসের
সামনে নামিয়ে দিয়ে চলেআসলাম। বাইকের গ্লাসে
তাকিয়ে দেখলাম যতখন আমাকে দেখা গেছেততখন
সে তাকিয়ে ছিল।এখন বাসায় আসলে নিলাই দরজা খুলে
দেয়। যা আগে কখন ঘটেনি। সকালহলে আমার
বাইকে চেপে অফিসে যায়।এখন সেই আগের
মতো ওকে এড়িয়েচলি।এখনআমার দিকে কেমন
মায়বি নজরে তাকায়। যেন চোখ কত কিছু বলছে।
আজো নিলাকে অফিসে দিয়ে আমি আমার অফিসে
চলে আসি। বিকালেআনিকাকে নিয়ে কফিসফে যাই।
আনিকাঃ জনি ভাই আপনার মামাতো ভাই আসে না।
আমিঃ কোন মামাতো ভাই।
আনিকাঃআরে ওইযে আলামিন নামে এর আগে
একসাথে কফি খেলাম মনেনেই আপনার।
আমিঃও ওর কথা বলছো। তা হঠাৎ ব্যপার কি।
আনিকা লজ্জা পেয়ে বলল।ওনি খুব দুষ্টুটু আমার মন টা
চুরি করে নিয়েগেছে।
আমিঃতাইতো বলি আনিকা কেন এমন উদাস হয়ে থাকে।
আমিঃ খুব দেখতে ইচ্ছে করছে তাই না। আচ্ছা নাম্বার
নেও।
ওকে বাসায়পৌছে দিয়ে আমি বাসায় চলে আসলাম।
আলামিন হলো আমার বড় মামারছেলে। আমার সাথে
এসেছিল আর সেখান থেকে এত কাহিনি।
মাঃ তোকে নিলা ডাকছে। অফিস থেকে এসেই
রুমে ঘাবটি মেরে বসেআছে যা দেখ
আমিঃআসবো।
নিলাঃআমার রুমে আসতেই তোমার অনুমতি লাগে আর
বাইকে মেয়ে নিয়েঘুরতে অনুমতি লাগে না।
ওর মুখে তুমি ডাক শুনে অবাক হলাম। চোখ দেখি
আগুন হয়ে আছে ।
আমিঃকিছু হয়েছে?
নিলাঃমেয়েটা কে?
আমিঃ কোন মেয়েটা?
নিলাঃ যাকে নিয়ে বাইকে ঘুরলি।
আমিঃ অন্য কোনো কথা আছে।
নিলাঃআমার কথার জবাব দে।
আমিঃএসব আপনার না জানলেও চলবে। ওঠে চলে
আসতে যাব তখনই কেঁদেদিয়ে আমার কলার ধরলো।
নিলাঃকেঁদে কেঁদে বললো জানবো না কেনকুত্তা
তুই মেয়ে নিয়ে ঘুরবি আমি যানবো না। তখনই মা
আসলো।
মাঃ কি হইছে ওর কলার ধরছিস কেন।।
মা কলার থেকে হাত টা ছাড়িয়ে দিলো। আমি চলে
আসলামনিলা চিৎকার দিয়ে বললো যদি আবার দেখি ওই
মাইয়ার সাথে তোরে খুনকরে ফেলবো কুত্তা
একটা।
মাঃ আচ্ছা থাম কি হইছে। বলতো আমারে
নিলাঃকেঁদে কেঁদে বলল ওর কত সাহস ও মেয়ে
নিয়ে ঘুরে।
মাঃও ঘুরলে তোর সমস্যা কি।
নিলাঃ ও ঘুরবে কেন, আর একবার ঘুরুক ওকে খুন
করে ফেলবো।,
মাঃ আমার দিকে তাকাতো, এইতো ঠিক ধরেছি আমার
মেয়ে প্রেমেপড়েছে।
নিলাঃ যাও কি বলছো
মাঃএইতো লজ্জা পাচ্ছে।আমার ছেলের প্রেমে
পড়েছে।নিলা মাকে জড়িয়ে ধরে জোরে কান্না
করে দিল। নিলাঃখুব ভালোবেসে ফেলেছি তোমার
ছেলেকে। ওকে বলে দিও ওকে যদি ওই
মেয়ের সাথেদেখি ওকেও খুন করবো আমিও
মরে যাব এই বলে দিলাম।
মাঃ আচ্ছা আমি বলে দিব এখন খেতে আয়।
কিছুক্ষন পরেমা আর নিলা খেতে বসেছে।
এতক্ষনে আমি ঘুমিয়ে পড়েছি।
নিলাঃকি ব্যাপার ও কোথায়।
মাঃ যা ওকে রুম থেকে নিয়ে আয়।
আমি শুয়ে আছি নিলা আমার রুমে ঢুকলো। আমি টের
পাচ্ছি কিছু একটাআমার বুকে শুয়ে কান্না করছে। আমি
চোখ খুলে দেখি নিলা আমার বুকেরমাঝে মিশে
আছে। আমি লাফ মেরে উঠি।
আমিঃআপনি এখানে
নিলাঃখেতে আয়।
আমিঃ আমি খাব না।
নিলাঃ আয় খেতে আয়।
আমিঃআপনি যান আমি খাব না
নিলাঃ কি তুই খাবি না তোর বাপ খাবে।
এই বলে নিলা রুম থেকে বের হয়ে গেল। কিছুক্ষন
পর হাতে প্লেট নিয়ে রুমেঢুকলো।
নিলাঃ আমার মুখের কাছে ভাত নিয়ে বলল হা কর
আমি তো অবাক এখনি অধিকার খাটানো শুরু করে
দিচ্ছে।
আমিঃখাব না।
নিলাঃ হুম হা কর বলছি।
ওর রাগ দেখে হা করলাম।আমাকে খাইয়ে দিয়ে
বাচ্চাদের মতো মুখটাকে ওর ওড়না দিয়ে আমার মুখ
মুছেদিল।ও চলে গেল। খুব অবাক হচ্ছি। সব কিছুতে
জোর খাটায়।এবাবেই চলতে লাগলো দিন গুলো।
সকালে নিয়ে যাই বিকালে নিয়ে আসি।আজো সকালে
নিয়ে দিয়ে আসলাম।আসতে যাব তখন ই নিলা বলল দাড়া।
চুলের এঅবস্থা কেন। নিলা তার হ্যান্ডব্যাগ থেকে
চিরুনি বের করে আমার চুল আচড়িয়ে দিল, কত সুন্দর
করে,
নিলাঃ শোন আজ দুপুরে আমাকে নিতে আসবি।
আমি মাথা নাড়ালাম।
নিলাঃআর শুন দেখে শুনে যাবি।
আমি চলে আসলাম। নিলার এই শাশন ভালোই লাগে খুব
ভালোবেসেফেলেছি ওকে। কিন্তু ওকে বুঝতে
দেইনা। কাজ করত করতে কখন যে বিকালহয়ে
গেল।নিলার কথা ভুলে ই গিয়েছিলাম।পরে যখন মনে
পরলো তখন ভাবলাম হয়তো এতখনে ও চলে
গেছে।তাই বাসায় চোলে গেলাম। বাসায় গিয়ে শুনি
নিলা আসে নি তাই সাথেসাথে আবার বের হয়ে
গেলাম।।
যা ভেবেছি তাই। অফিসের ভাইরে দাড়িয়ে কান্না
করছে। চোখ লাল হয়েআছে। অল্পতেই চোখ
লাল হয়ে যায়। আমি কাছে গিয়ে যেই বলতে
যাবোআমার মনে এতটুক বলতেই ঠাসসসস করে
মেরে দিল। আমায় পাস কাটিয়েবাইকে গিয়ে বসলো।
আমি আর কিছু বললাম বাইক চালাতে শুরু করলাম। ওপিছন
থেকে ফুফিয়ে কান্না করছে তা আমি বুঝতে পারছি।
বাসায় আসতেইও নেমে চলে গেল ওর পিছন পিছন
আমিও গেলাম। রুমের সামনে গিয়েবললাম সরি। ও ধুম
করে মুখের উপর দরজা আটকিয়ে দিল। রাতে মা
খেতে
ডাকলে নিলা বলে তোমার ছেলেকে গিলতে বল।
বুঝলাম খুব অভিমানকরেছে।রাতে আর জোর করে
খাওয়ানো গেলনা।তার পরের দিন শুক্রবার ছিল তাই
সকালে আর বের হলো না আমি অনেকডাকলাম
শুনলো না। দশটার দিকে গেলাম আমি ডাকতে আমিঃ এই
দরজাখুলেন না কেন, কি হলো কথা বলেন। এই নিলা
আপু। আপু বলার সাথে সাথেতেলে বেগুনে জলে
ওঠলো
নিলাঃআমি খাবনা। আমি না খেয়ে মারা যাব। তুই যা,
তোরতো ভালইহবে,। ওই মেয়েকে নিয়ে ঘুর
যা।।
আমি ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসলাম, তখন মাথায় একটা বুদ্ধি
এলোদেখি কাজ করে কিনা। আবার তার রুমের সামনে
আসলাম।
আমিঃএইযে শুনছেন দরজা টা খুলুন দেখেন কে
আসছে।
নিলাঃ কে আসছে।
আমিঃ আনিকা আসছে।
নিলাঃআনিকা কে
আমিঃ ওইযে বাইকে যাকে নিয়ে ঘুরি। আপনার সাথে
দেখা করতে চায়।
নিলাঃকি ওই মেয়েটা ওরে আমি খাইছি আমার জিনিসে ভাগ
বসায়।
দরজাটা খুলতেই আমি ভিতরে ঢুকে গেলাম।
নিলাঃ কি আমাকে ধোকা বের হ আমার রুম থেকে
কুত্তা বের হ। বলছে আরমারছে। আমি ব্যাথায় চিৎকার
দিচ্ছি।
আমিঃএই আমি ব্যাথা পাচ্ছি।আহ ওহহ।
নিলাঃমেয়ে নিয়ে ঘুরার সময় মনে ছিল না।
আমি একপর্যায় ওকে জড়িয়ে ধরি শক্ত করে।
আমিঃ কি পেয়েছেন যখন যা ইচ্ছে তা করবেন মন
চাইলে মারবেনমনচাইলে খাবেন না পেয়েছেন টা
কি।
নিলা কেঁদে কেঁদে বললঃ খুব ভালোবাসি যে
তোকে। খুব কষ্ট হয় তুই বুঝিসনা।(আমাকে জড়িয়ে
ধরে বলল)তোর এড়িয়ে চলা কথা না বলা সব
কিছুআমাকে কষ্ট দেয়।তুই এমন করিস কেন।আমি কি
খুব বেশি অপরাধ করেছি।এই জনি কথা বলছিস না কেন।
আমি কিন্তু দেখিস আত্তহত্যা করবো।
আমি নিলার মুখটা বুক থেকে উপুরে তুলে কপালে
একটা চুমু দিলাম। সাথেসাথে নিলা আমাকে শক্ত করে
জড়িয়ে ধরলো। কেঁদে কেঁদে বললো তুই
খুবপঁচা।তুই শুধু আমাকে কষ্ট দিস।দেখলাম মা আসছে।
এই ছাড়েন ছাড়েন মা আসছে।
নিলাঃনা ছাড়বো না।
আমি ঃ আহা পরে ধরিয়েন এখন ছাড়েন ছাড়েন
নিলাঃ উহু ছাড়বো না।মা এসে পড়লো
মাঃ থাক আর ছাড়া লাগবেনা।তুই ওকে এই খাবার গুলা খাইয়ে
দিস।
মা চলে গেল। আমি লজ্জায় মাথা তুলতে পারলাম না।
আমিঃ এখন ভালো হয়েছে তো
নিলাঃ হুম ভালো হয়েছে। আমার জিনিস আমি ধরেছি।
দেখুক।
আমিঃ হইছে এবার খেয়ে নিন।
নিলাঃ খাবনা আগে তুমি করে বলো।
আমিঃ হইছে এবার হা করো নিলাকে খাইয়ে দিলাম।
আমিঃএবার তো ছাড়ো
নিলাঃচল মার্কেটে যাব আজকে তোমার জন্য শপিং
করবো,সারাদিনঘুরবো খাবো।যাবে তো?
আমিঃ আচ্ছা চলো।
আমরা শপিং এ যাচ্ছি আপনারা চাইলে আসতে পারেন।

গল্পের বিষয়:
গল্প
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত