লোকটা তবে কে?

লোকটা তবে কে?

পত্রিকার পাতা ওল্টাতে ওল্টাতে হঠাৎ একটা খবরে চোখ আটকে যায় আবিরের। এক নিমেষেই পড়ে ফেলে সে খবরটি। একটি রঙিন ছবিসহ ছাপা হয়েছে। তেমন ডিটেইল নেই। তাতে কি? আবিরের আগ্রহ জাগানোর জন্য ওটুকুই যথেষ্ট। প্রত্যন্ত এক গাঁয়ে একটা রাজবাড়ির খোঁজ মিলেছে। ছবিতে পেড়ো বাড়িটার একাংশ দেখা যাচ্ছে। বাকিটা মাটির নিচে ঢাকা পড়ে আছে। তাতে একটা আধিভৌতিক চেহারা পেয়েছে।

যায়গাটি যেনো তাকে হাতছানি দিয়ে ডাকছে। একবার ঘুরে আসতে পারলে মন্দ হতো না। অল্প বয়সেই দেশের বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন এবং প্রত্ন স্থান তার দেখা হয়ে গেছে। এই বিষয়ে দারুন আগ্রহ তার। মোবাইল বের করে একে একে তার বন্ধুদের ফোন করতে শুরু করে আবির। সামনের বছর স্কুল ফাইনাল। এই যুক্তিতে প্রায় সবাই তাকে নাকোচ করে দেয়। কেবল শিলা এবং অর্ঘ্য তার সঙ্গে যেতে রাজি হলো।

এরা দুজন এর আগেও আবিরের সঙ্গে দেশের বিভিন্ন যায়গায় ঘুরতে গেছে। এদের মধ্যে অর্ঘ্য একটু ভিতু এবং বোকাসোকা টাইপের। তবে সে খুব ভালো বন্ধু আবিরের। ‘স্কুল ফাইনাল সেই আগামী বছর। তাই বলে সেই অজুহাতে সারা বছর ঘোরাঘুরি বন্ধ থাকবে নাকি?’ অর্ঘ্য নিজেই এই যুক্তি দিয়ে আবিরকে বোঝানোর চেষ্টা করে। শুনে হেসে ফেলে আবির। আসলে সে নিজের মনকেই বোঝাচ্ছে সেটা ভালোই বোঝে আবির।

পরের সপ্তাহে ব্যাকপ্যাক গুছিয়ে রওনা দেয় তিন বন্ধু। বাড়িতে বোঝাতে বেশি কষ্ট হয়নি। কারণ তারা তিনজনই লেখাপড়ায় খুব ভালো। বরাবরই তাদের রেজাল্ট ভালো বলে এসব ছাড় ওরা পেয়ে থাকে। শিলা একটু দস্যি টাইপের মেয়ে। সবসময় ছেলেদের পোষাক পরে থাকে। এজন্য তাকে হঠাৎ করে দেখলে ছেলে বলেই মনে হয়। স্কুলের ফাঁকে সে আবার শখ করে মার্শাল আর্ট শেখে। তা ছাড়া ছবি তোলার শখও আছে। সেজন্য তার মামা তাকে গত বছর বেশ দামি একটা ক্যামেরা গিফট করেছেন। সেটি কাজেও লাগায় সে। তবে মায়ময় চেহারাটা দেখে বোঝার উপায় নেই কতটুকু দস্যি সে।

ট্রেনে করে পাঁচ ঘণ্টার জার্নি শেষে ওরা নামে কাঞ্চনপুর স্টেশনে। সেখান থেকে লক্কড় ঝক্কড় মার্কা বাসে করে আরো দুই ঘণ্টার ক্লান্তিকর ভ্রমণ শেষে কনকনগর। নামেই শুধু নগর। দুয়েকটা দোকানপাট ছাড়া আর কিছুই নেই। সেখানে দুপুর গড়ানো বিকেলে তারা ব্রহ্মতালু গরম করা ঝাল দিয়ে রান্না করা গরুর মাংশ সহকারে ভাত খেলো। হোটেলটার শ্রিছাদ বলতে কিছুই নেই। বরং ছাল ওঠা কুত্তার মতোই রং-পলেস্তরা খসে খসে পড়েছে এখানে ওখানে।

‘ঝাল হলেও রান্নার স্বাদটা অসাধারণ।’ নাক টানতে টানতে বলে শিলা। ওদিকে অপর দুজন জিভ বের করে লালা ঝরাচ্ছে। দৃশ্যটা দেখার মতো। ক্যামেরা বের করে ফটাফট কয়েকটা ছবি তুলল শিলা। ছবি তোলা দেখে তেড়ে এলো আবির আর অর্ঘ্য। তখনো তাদের জিভ বের হয়ে আছে। ততক্ষণে ক্যামেরা আবার ব্যাগে ঢুকে গেছে। তার ব্যাগে হাত দেওয়ার সাহস ওদের নেই। প্যাঁচ কষে তাহলে হাতটাই হয়ত ভেঙ্গে দেবে শিলা। যা দস্যি!

ওদের কাহিল অবস্থা দেখে হোটেল মালিক ভূটকো মিজান এগিয়ে এলেন। তার একটা বিশাল ভূড়ি রয়েছে। সেজন্য আদর করে গ্রামবাসী তাকে ভূটকো আখ্যা দিয়েছেন। দুয়েক কথায় তিনি যখন শুনলেন ওরা স্বর্ণকুঠিরে যাচ্ছে, কেমন যেনো আঁতকে উঠলেন। উপযাচক হয়ে বললেন, ‘ওখানে না গেলে হয় না? শুনেছি গ্রামটা নাকি ভালো না।’ এ কথা শুনে ওদের কৌতুহল বেড়ে যায়। হাজার খুঁচিয়েও লাভ হয় না। কেনো ভালো না তা বলেন না তিনি। শুধু বলেন ‘ভালো না’।

প্রায় রাত হয় হয় এমন সময় ওরা পৌঁছল স্বর্ণকুঠির গ্রামে। কনকনগর থেকে গরুর গাড়িতে করে এসেছে। ঢাকায় বসে গরুর গাড়িতে চড়ার কথা ভাবতেও পারেনি ওরা। এ যুগে এখনো গরুর গাড়ি আছে সেটাই ওদের জানা ছিল না। গাড়োয়ান আসতে চাইছিল না। দ্বিগুণ ভাড়ায় তাকে রাজি করানো গেছে। সারা রাস্তা কেমন যেনো গম্ভীর হয়ে ছিল। ভাড়া নেওয়ার পর আর এক মুহূর্ত দাঁড়ায়নি। যেনো খুব তাড়া আছে।

গরুগাড়ি থেকে নেমে ওরা গ্রামের মধ্যে দিয়ে হাঁটতে লাগল। কোথায় যাবে আগে থেকে ঠিক করা নেই। মনে মনে ইচ্ছে মাতবর গোছের কারো বাড়িতে রাত কাটাবে। তাদের দেখে গ্রামের ছেলে-মেয়েরা দল বেঁধে পিছু নিলো। পেছনে এক দঙ্গল বাচ্চা ছেলে-মেয়ে থাকা স্বত্ত্বেও ওদের কাছে গ্রামটা কেমন যেনো শুনশান মনে হলো। কানের কাছে ফিসফিসিয়ে অর্ঘ্য বলে,‘আমার গায়ে কেমন কাঁটা দিচ্ছে।’ আবির পাত্তা দেয় না। বলে, ‘ওরকম কাঁটা তোর সবসময় দেয়। তা ছাড়া এখানে গায়ে কাঁটা দেবার মতো কি ঘটেছে শুনি?’ আবিরের ধমক শুনে খানিকটা চুপসে যায় অর্ঘ্য। গায়ে কাঁটার বদলে শিলার মুখ বাঁকানো হাসিটা এবার তার গায়ে জ্বালা ধরিয়ে দেয়। চুপচাপ থাকে সে। মুখটা গোমড়া।

আবির বলে, ‘একটা ব্যাপার খেয়াল করেছিস? প্রথম যে স্টেশনটাতে নামলাম সেটির নাম ‘কাঞ্চনপুর’, পরে বাস থেকে যেখানে নামলাম সেই যায়গার নাম ‘কনকনগর’ আর এই গ্রামের নাম হলো ‘স্বর্ণকুঠির’। বিষয়টা খেয়াল করেছিস? ‘এখানে খেয়াল করার কি আছে?’ বলে ঠোঁট ওল্টায় শিলা। ‘আছে, যায়গার কথা বলছি না, শব্দগুলো নিয়ে ভাব। কাঞ্চন, কনক আর স্বর্ণ তিনটা শব্দের মানেই হলো সোনা!’

আবির থামতেই ঠোঁট গোল করে শিষ বাজিয়ে ওঠে শিলা। বলে, ‘আরে তাইতো! আগে তো বিষয়টা মাথায় আসেনি!’ পাশ থেকে ফোড়ন কাটে অর্ঘ্য, ‘তা আসবে কোনো? বুদ্ধু কোথাকার!’ তার দিকে চোখ গরম করে তাকায় শিলা। অর্ঘ্য তার জবাবে দেঁতো হাসি ফিরিয়ে দেয়। ‘এই তিনটে নাম একত্রে করলে কি দাঁড়ায়? নিশ্চয়ই এই এলাকা এককালে সমৃদ্ধ ছিল। নামগুলোই তার প্রমাণ বহন করছে। তোরা কি বলিস?’ সমর্থনের আশায় বন্ধুদের দিকে তাকায় আবির।

অর্ঘ্য আর শিলা দাঁড়িয়ে পড়েছে। এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে সামনের দিকে। তাদের দিকে তাকিয়ে আাবিরও চুপ হয়ে যায়। গ্রামটি বেশি বড় না। কথা বলতে বলতে কখন গ্রামের শেষ মাথায় চলে এসেছে ওরা টের পায়নি। সামনে একটা ফাঁকা মাঠ। আকাশে চাঁদের আলোর বান ডেকেছে। ভর সন্ধ্যে বেলাতেই ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে আলোর বন্যা। সামান্য কুয়াশার চাদরে ঢাকা মাঠটিকে মায়াময় মনে হয়। স্বপ্ন রাজ্যের কোনো এক দৃশ্য যেনো হঠাৎ করে চোখের সামনে ফুটে উঠেছে। মাঠের ওপাশেই মস্ত এক মাটির টিলা। গাছগাছালি দিয়ে ঘেরা। তার ভেতর থেকে একটা রাজবাড়ির অংশবিশেষ বেরিয়ে আছে। আবছা আবছা বোঝা যাচ্ছে। দেখলেই গা ছম ছম করে ওঠে। তবে কি যেনো এক আকর্ষণ রয়েছে ওটার মধ্যে।

হঠাৎ বলা নেই কওয়া নেই ভোজবাজির মতো ওদের সামনে হাজির হলো এক সুদর্শন যুবক। কোঁকড়ানো চুল, টানা টানা চোখ। সন্ধ্যের মলিন আলোয়ও বেশ বোঝা যাচ্ছে গায়ের রং টকটকে ফর্সা। অর্ন্তভেদী চাহনি। মুখে স্মিত হাসি। শিলার দিকে তাকাতেই ডানপিটে শিলাও কেমন যেনো একটু গুটিয়ে গেলো। তার মনে হলো, লোকটা চাহনি দিয়ে বুঝি তার ভেতরটা পড়তে পারছে। আবির-অর্ঘ্যের উপলব্ধিও তেমনই। ‘রাজবাড়ি দেখতে এসেছেন বুঝি?’ লোকটা যখন কথা বলে উঠল, মনে হলো দূরে কোথাও মেঘ ডেকে উঠল। ভারী এবং নিটোল ভরাট কণ্ঠস্বর। অকারণেই একটু লাল হলো শিলার গালদুটো। তবে চাঁদের আলোতে সেটা কেউ বুঝতে পারল না।

লোকটির আগমনে কখন যে বাচ্চা ছেলে-মেয়েরা উধাও হয়ে গেছে ওরা কেউ টের পায়নি। যেনো ছিলই না। ‘সারাদিন অনেক ধকল গেছে, চলুন বিশ্রাম করবেন।’ মুখে হাসিটি লেগে রয়েছে। এ কথা বলে লোকটি আগে আগে হাঁটতে থাকে। তার ভাব দেখে মনে হলো যেনো ওদের অপেক্ষাতেই ছিলেন তিনি। লোকটির ভদ্র এবং মার্জিত আচরণে ওরা বেশ সহজ হয়ে এলো। এরকম অজ পাড়াগাঁয়ে ভদ্রলোককে একটু বেখাপ্পা মনে হয়। ঠিক যেনো মানায় না। মাঠ পেরোনোর সময় ওদের মনে হলো, লোকটি হাঁটছে না, যেনো হাওয়ায় ভেসে ভেসে যাচ্ছে। আবির তাকে জিজ্ঞেস করল, ‘কোথায় থাকেন আপনি?’ ‘ওই প্রাসাদে।’ লোকটির সংক্ষিপ্ত জবাব।

এবার কিছুটা ঘাবড়ে গেলো ওরা। তবে পিছু ফিরে যাওয়ার মানসিক শক্তি ওদের কারো নেই। মনে হলো কি এক অদৃশ্য শক্তি ওদেরকে টেনে নিয়ে চলেছে। লোকটির পিছু পিছু ওরা বাধ্য শিক্ষার্থীর মতো হাঁটতে লাগলো। প্রাসাদে ঢোকার পর ওদের মনে হলো কয়েক হাজার বছর পিছনে চলে গেছে। ঢোকার রাস্তাটা শুধু মাটির বাইরে বেরিয়ে আছে। বাকি পুরো প্রাসাদটা টিলার মধ্যে মাটির মধ্যে ঢুকে রয়েছে। দেখে মনে হয়, ওপর থেকে কেউ বুঝি মাটি দিয়ে ঢেকে দিয়েছে প্রাসাদটি।

প্রাসাদে ঢুকে লোকটি একটি মশাল জ্বালল। সিড়ি বেয়ে উঠতে উঠতে ওদেরকেও সঙ্গে আসতে বলল। ‘তোমরা তো এই রাজপ্রাসাদ দেখতেই তো সেই ঢাকা থেকে এসেছ না? চলো তোমাদের ঘুরিয়ে দেখিয়ে নিয়ে আসি। আমি দীর্ঘ দিন থেকে এখানেই থাকি। এর সব আমার হাতের তালুর মতো চেনা।’ ‘আপনার এখানে একা থাকতে ভয় লাগে না?’ অর্ঘ্যের এমন প্রশ্নের জবাবে লোকটি হেসে বলে, ‘তোমার নিজের বাড়িতে কি তোমার ভয় লাগে?’ ‘রাতে বাথরুমে যাওয়ার সময়।’ শিলার টিপ্পনিতে সবাই একযোগে হেসে ওঠে। পরিবেশটা একটু হালকা হয়।

সারাদিনের ছোটাছুটিতে ওরা খুব ক্লান্ত। এ সময় বরং ওদের একটু বিশ্রামেরই বেশি প্রয়োজন। তারপরেও লোকটির কথা কেউ ফেলতে পারল না। তার কণ্ঠে কেমন যেনো একটা মোহনীয় ব্যাপার আছে। কেউ সেটার বাইরে যেতে পারছে না। ইচ্ছেও করছে না। বরং মশালের আলোয় প্রাসাদটা ঘুরে দেখতে তাদের বেশ ভালোই লাগছে। কত পুরাতন প্রাসাদ। একেবারে নতুনের মতো লাগছে। মনে হচ্ছে কেউ যেনো নিয়মিত যত্ন নেয়। ‍আসবাবপত্রগুলো এখনো নতুনের মতোই ঝকঝক করছে। বাঁধাই করা ছবির ফ্রেমে একটুও ধূলো জমে নেই। মাটির নিচের রাজপ্রাসাদ বলে মনেই হেলো না।

লোকটি একে একে তাদের দেওয়ানি আম, দেওয়ানি খাস, বাঈজি মহল, হাম্মামখানা, শীষমহল, রাণীমহলসহ পুরো প্রাসাদ ঘুরিয়ে সব শেষে বড় একটা ঘরে নিয়ে এলো।

ঘরটিতে বড় বড় বইয়ের তাক রয়েছে। তাতে শোভা পাচ্ছে নানা রকমের বই। চামড়ার মলাটে বাঁধাই করা সেসব বইয়ের লেখাগুলো বোঝা গেলো না। মশালের আবছা আলোয় দেওয়ালে টানানো ছবিগুলোকে কেমন যেনো জীবন্ত মনে হলো ওদের কাছে। একটা ছবির সামনে হঠাৎ করে দাঁড়িয়ে পড়ল শিলা। ক্যামেরা বের করে কয়েকটা ছবি তুলল। ওর কাছে ছবির লোকটিকে খুবই পরিচিত মনে হলো। ওদের সঙ্গে থাকা লোকটির সেই হাসি ছবির মানুষটির মুখেও শোভা পাচ্ছে। শিলা লোকটির দিকে তাকায়।

এমন সময় আবির লোকটিকে জিজ্ঞেস করল, ‘আচ্ছা, এতক্ষণ আপনার সঙ্গে থাকলাম অথচ আপনার নামটাই জানা হলো না।’ লোকটি কোনো জবাব না দিয়ে স্মিত হেসে শিলার দিকে তাকালো। হঠাৎ করে ঘরের মধ্যে যেনো ঝড় বয়ে গেলো। মাথা ঘুরে পড়ে গেলো ওরা তিনজনই।

দূর থেকে অনেকগুলো কণ্ঠস্বর শোনা যাচ্ছে। টর্চ লাইটের আলো নাচুনি ওদের তিন জনের পড়ে থাকা দেহের ওপরে এসে স্থির হলো। কে যেনো একজন চিল্লিয়ে বলে উঠল, ‘পাইছি! ওই তো ওখানে পড়ে আছে!’ এরপর কয়েকটা হাত কালিঝুলি ও ধূলো ধূসরিত দেহ তিনটিকে তুলে নিলো। বাইরে তখন দিনের আলো ঝলমল করছে। কে যেনো পানির ছিটা দিলো ওদের মুখে। জ্ঞান ফিরে আসার পর উঠে বসে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে রইল ওরা লোকগুলোর দিকে।

একজন মুরুব্বি গোছের লোক এগিয়ে এসে বলল, ‘এভাবে রাতে কেউ ওখানে মরতে যায়? তোমাদের সাহস দেখে বলিহারি যাই বাপু। তোমাদের খুঁজে বের করতে জান বের হয়ে গেছে। অনেক ভুগিয়েছ। এবার বলো দেখি রাতে ওখানে কি করতে গিয়েছিলে? আর কিভাবেইবা ওই পাতাল ঘরে ঢুকেছিলে? ওহ একেবারে যমপুরি!’ অন্য একজন বলে উঠল, ‘এতো বছর পড়ে রয়েছে, আমরা দিনের বেলাতেও ওখানে ঢুকতে সাহস করি না। আর এই বাচ্চাগুলো…..’

বাকি কথা ওদের আর কানে ঢোকে না। ধ্বংসস্তুপের মতো প্রাসাদটির দিকে তাকিয়ে থাকে। ধূলো-কালি মেখে ভূতের মতো চেহারা হয়েছে ওদের সবার। ব্যাকপ্যাক থেকে আস্তে আস্তে ক্যামেরাটা বের করে শিলা। ডিজিটাল ডিসপ্লেতে কালকের তোলা ছবিগুলো দেখে সে। তবে কোথাও দেয়ালে টানানো সেই ছবিটি চোখে পড়ে না। যেনো তোলেইনি। আনমনে সে বিড়বিড় করে বলে, লোকটি তবে কে?’

গল্পের বিষয়:
গল্প
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত