হঠাৎ

হঠাৎ

স্টেশনে যাত্রী নামিয়ে যেরকম কোন খালি ট্রেন মন্থর গতিতে এগিয়ে যায় কারশেডের অন্ধকারে, আমার জীবনটাও অনেকটা ওভাবেই এগোচ্ছিল। কিন্তু সেদিন হঠাৎ করে যেন সেই অন্ধকার মুখি ট্রেন দাঁড়িয়ে গেলো একটা লাল

সিগনালে- সেদিন পার্ক সার্কাসের মোড়ে দেখলাম ওকে। সময়ের সাথে-সাথে সে আরও অনেক বেশি সুন্দরী হয়েছে, তার মিডি পরিণত হয়ে আজ ব্লেজার সুট হয়েছে, তার গোলাপি ঠোঁট আজ সময়ের রঙ্গে নিজে কে লাল রঙ্গে রাঙ্গিয়েছে, তার প্রাণ খোলা হাসি আজ হয়েছে দা পারফেক্ট কর্পোরেট স্মাইল, তার ফুলুক ফালুক চাউনি হয়েছে অনেক টা গভীর, কিন্তু যেটা পাল্টায়নি, সেটা হলো সেই পনিটেইল- আজও সেটা তার মাথা নাড়ানোর সাথে তাল মিলিয়ে নড়তে থাকে- যেন কোনো জাদুকর, নিজের জাদু দেখানোর সময়, দর্শকদের মন অন্য দিকে ঘোরানোর জন্য কিছু ভুল মন্ত্র বলার ফাঁকে নিজের হাতের কারসাজিটা করার সুযোগ বের করে নিচ্ছে।

ও রাস্তার ওপারে শহরের এক এলাহি বিরিয়ানির দোকানের সামনে, আমি এপারে, গভীর চিন্তায়- আমার কি গিয়ে ওর সাথে কথা বলা উচিৎ ?? আজ থেকে প্রায় বছর পাঁচেক আগে যে না শেষ হওয়া পথ হঠাৎ করে ডেড এন্ডে এসে শেষ হয়েছিলো, তার কি আবার পুনর্জন্ম করার চেষ্টা করা উচিৎ ??

আজ থেকে প্রায় বছর দশেক আগেকার কথা – আমাদের বাংলা কোচিং- আমি তখন ফার্স্ট ইয়ার- সেদিন ব্যাচে একটা মেয়ে এলো। পরনে লাল ফ্রক, মুখে প্রাণ খোলা হাসি, আর মাথায় পনিটেইল – নাম অলিভিয়া।

কোচিং-এর সমস্ত ছেলেদের হৃদ পিণ্ড কম করে ৪-৫ বার ল্যাব-ডাব করা বন্ধ করে দিয়েছিল ওর ঘরে ঢোকার সাথেই। স্যার আমাদের বললেন ওকে আগেকার নোটস গুলো দিয়ে দিতে- আমি আমার ব্যাগের দিকে হাত বাড়িয়েছিলাম- কিন্তু তার আগেই ভিয়ার সামনে ৪-৫ টা খাতা এসে যাওয়ায় আমার প্রয়োজনীয়তা সে সমেয়ের জন্য প্রায় শেষ হয়ে গেলো। আজ বলতে লজ্জা নেই, যে সেদিন এই ছাপোষা ছেলেটা প্রেমে পড়ে ছিল- কিন্তু তাতে কার কি যায় আসে ?? আগামি কিছু দিনের মধ্যে- ভিয়া হয়ে উঠলো আমাদের ব্যাচের মধ্যমণি। সবার সাথে হাসি ঠাট্টা হওয়া সত্ত্বেও, আমি যেন থেকেও ছিলাম না ও কি তখন আদেও জানতো যে রমেন নামের একটা ছেলে ওর সাথেই কোচিংয়ে পড়ে ?? ওর বাবা ডাক্তার, বিশাল ব্যাপার-স্যাপার মেয়েরও পড়াশোনা, মানে যেন একটা চাকরির মতন সিরিয়াসনেস। আমার সুপ্ত প্রেম লুপ্ত হওয়ার রাস্তায় হ্যাঁটা শুরু করবে ভাবছিল, কিন্তু সেদিন সব পাল্টে গেলো- সেদিন ভীষণ বৃষ্টি, সাধারণ জনজীবন প্রায় থিতু, কিন্তু আমি কি করে কোচিং মিস করবো ?? সপ্তাহে এই একদিন করেই তো দেখতে পাই, তার ওপর কোথাও যেন জানতাম যে আর কেউ আসুক না আসুক ও আসবেই।

স্যারের কোচিং ঘরের চাবি থাকতো ওপরের তলার কাকিমার কাছে, আমাদের মধ্যে যে আগে যেতো, সে গিয়ে চাবি এনে ঘর খুলতো। বন্ধ অবশ্যই স্যারই করতেন। আমি সবার আগে গিয়েছিলাম সেদিন- তাই চাবি খুলে গিয়ে ঘরে বসলাম। প্রায় মিনিট পনেরো পর, ভিয়া ঘরে ঢুকল, হাতের ছাতা বেসামাল।
রমেন- আমি ঠিক করে দেবো?
ভিয়া- পারবি?
রমেন- চেষ্টা করতে পারি।

ওর ছাতা ঠিক করার সময় আমার চোখের একটা আড়-দৃষ্টি ওর দিকেই ছিল কিন্তু ওটা সে খেয়াল করেনি।
ভিয়া- এই আমার ছাতা তো ঠিক হয়ে গেলো তুই তো মারাত্মক রে কিন্তু তুই আমার সাথে আগে কোনোদিন কথা বলিসনি কেন?

রমেন- কিন্তু তুই আমায় দেখেছিলিস?
ভিয়া- সে দেখবনা কেন? কিন্তু তুই এতো গম্ভীর টাইপের যে কথা বলে উঠতে পারিনি
রমেন- আর আমি কোনোদিন তোর সাথে কথা বলার মতো সাহস জুগিয়ে উঠতে পারিনি।

সেই প্রথম আমাদের কথার শুরু, আর তারপর থেকে, ভিয়া আমায় ছাড়া আর যার সাথেই কথা বলত সেটা কচু পাতা আর জলের মতন। আমরা ভীষণ ভালো বন্ধু ছিলাম, আর বুঝতেও পারলাম না, কবে সে বন্ধুত্ব প্রেমে পরিণত হয়ে গেলো। কলেজ শেষ হলো। এবার মাস্টার্স করার পালা। আমি ভীষণ ল্যাদখোর ধরনের- এটা আমি জানি, আর এটাও জানি- যদি ভিয়া আমার জীবনে না থাকতো হয়তো কোনোদিন জানতে পারতাম না যে আমাদের নিজের জীবনে কিছু বিষয়ে সোজা সাপ্টা ধারনা থাকা উচিৎ- যথা আমি জীবনে কি করতে চলেছি, কবের মধ্যে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারব?

ভিয়া ভীষণ পরিমানে ভবিষ্যৎ ভেবে কাজ করে, কিন্তু আমি, ভেতো বাঙালি, শুধু আজ নিয়েই বাঁচি। আমার আর ভিয়ার মধ্যে এতোটা বড় অন্তর থাকা সত্ত্বেও আমাদের মধ্যে একটা বড় মিল ছিল- মনের মিল- মানে দুজনে দুজনকে ভীষণ ভালোবাসতাম। আর ওই কথায় বলে না যে যার নিজের মত করে ভালোবাসে? ঠিক সেরকমই আমার আর ভিয়ার ভালোবাসার সংজ্ঞাটাও ছিল একদম ভিন্ন। আমি একটু বেশী কেয়ারিং, নিজের প্রাণের মানুষ কে তুলোয় মুড়ে রাখতে চাই, তার মুখ থেকে বেরোনো একটা ছোট আঃ ও আমার কাছে বিরাট কিন্তু ভিয়া সে তো এক মুক্ত বিহঙ্গের মতো, তার এই কেয়ারিং ব্যাপারটা যেন খাঁচা সম। সে মাঝে মধ্যে নিজের পনি নাড়িয়ে ঝগড়া করতে করতে বলতো- আমি কি কোনো কচি খুকি নাকি? এতো আহা উহু আমার একদম পোষায় না।

কিন্তু আমি তখন হয়তো তার মনের কথার আসল অভিপ্রায় বুঝেই উঠতে পারিনি। বুঝলাম সেদিন যেদিন আমার ওর সাথে শেষ কথা হয়।

আমি বুঝেছিলাম একটা ছোট কথা- সেটা হলো- যদি অলিভিয়া কে পেতে হয়, তাহলে চাকরি করে নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে, তাই শুধু ওটাকে ধ্যান-জ্ঞান করে তাকে নিজের মাছের চোখ করে এগোচ্ছিলাম। চাকরি পেয়েও গেলাম সিভিল সারভিস-এ। সেদিন ভিয়ার সাথে দেখা করলাম এই সুসংবাদ দেয়ার জন্য। ভিয়া তখন মাস কমিউনিকেশন পড়ে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য লড়াই করছে। আমাদের দেখা হওয়ার সাথেই আমি আমার চাকরির কথা জানিয়ে বললাম- তাহলে কাল আসি তোমাদের বাড়ি?

ভিয়া- আমার বাড়ি আসার জন্য তুমি পারমিসান নিচ্ছো কেনো?
আমি- না মানে আমি কাল আসবো তোমার বাবার সাথে কথা বলার জন্য।
ভিয়া- বাবার সাথে? কেন? কি ব্যাপার?
আমি- আরে আমি তো চাকরি পেয়ে গেছি, তো বিয়ের কথা বলতে হবে না?
ভিয়া- মানে? আমি এখনি বিয়ে করে নেবো? তাও শুধু এই জন্য যে তুমি চাকরি পেয়ে গেছো? রমেন আমার জীবনের, আমার ইচ্ছার, আমার কেরিয়ারের কি কোনোদাম নেই তোমার কাছে?
আমি- এ মা তুমি এরকম বলছ কেন, বিয়ে করে কি তুমি তোমার স্বপ্ন কে তাড়া করতে পারবে না?
ভিয়া- তুমি চিরকাল আমায় একটা বাচ্চা ভেবে গেলে আচ্ছা তুমি বিয়ের প্রস্তাব তোমার চাকরির আগে দাওনি কেন?

আমি- আরে চাকরি না হলে তোমায় খাওয়াবো কি ?
ভিয়া- এই দেখো, আমায় খাওয়াবে মানে? তোমার কি মনে হয় আমি তোমার ওপর নির্ভরশীল?

সব সময়- তোমার সর্দি হয়েছে? তোমার শরীর খারাপ ? তোমার কি হাঁটতে কষ্ট হচ্ছে? আমার চাই না এতো কেয়ার, আমি নিজের খেয়াল রাখতে পারি। তোমার এই খেয়াল রাখা হবে হয়তো কিছু ন্যাকা মেয়েদের মনের মতন কিন্তু এটা আমি আর নিয়ে উঠতে পারছি না।
আমি- মানে ? কি সব বলছো ভিয়া ?

ভিয়া- ঠিকই বলছি, তুমি শুধু কাল না, কোনোদিন আমার সাথে দেখা করার চেষ্টা করো না। আমার আর তোমার সম্পর্কের ইতি এখানেই তবে হ্যাঁ, পারলে নিজের জীবনে অন্যদের ইচ্ছের দাম দিতে শিখো।

আমি বলতে চাইছিলাম যে আমার কাছে তোমার ইচ্ছে সর্বোপরি, কিন্তু ভিয়া কোনো কথা না শুনেই চলে গেলো। তারপর অনেক বার কথা বলার চেষ্টা করেছিলাম, ও কথা বলেনি- দেখাও করেনি আর নিদেনপক্ষে, ফোনটাও ধরেনি। সেই সেদিনের পর ওকে আজ আবার দেখছি। আগে ভেবেছিলাম আর যদি কোনোদিন ও সামনে চলেও আসে, মুখ ফিরিয়ে নেবো, কিন্তু সত্যি কথা বলতে আজ আর সেটা করার ইচ্ছে নেই।

অলিভিয়া তখনো দাঁড়িয়ে, সবে রাস্তা ক্রস করতে যাবো, তার পাশে এসে দাঁড়ালো, এক সুট পরা ভদ্র লোক। বয়স আমাদের থেকে বেশ অনেক টা বেশি, কিন্ত সে ভিয়ার সাথে বেশ হেসে হেসে কথা বলছে। মনে হলো, আমার আসার প্রদীপের ওপর কেউ টালার ট্যাঙ্কের আউটলেট খুলে দিয়েছে। মুখ চুন করে ফিরে যাওয়ার কথা ভাবছিলাম যখন খেয়াল করলাম, ওই ভদ্র লোক অনেক করে ভিয়াকে কিছু একটা বলার বা বোঝানোর চেষ্টা করছে কিন্তু ভিয়ার পণী টেল নড়ে চড়ে নকারাত্মক উত্তর দিয়ে যাচ্ছে। মনে কৌতুহল জাগল বলে দাঁড়িয়ে গেলাম। কিছু সময় পরে ওই ভদ্রলক নিজের গাড়িতে উঠে চলে গেলেন, আর ভিয়া যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচল। আমার মনে হলো এবার আর অপেক্ষা করার কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই, তাই রাস্তা ক্রস করে গিয়ে দাঁড়ালাম তার পাশে। ভিয়া আমায় খেয়াল করেনি, তাই শব্দের হাত ধরে তার দৃষ্টি আকর্ষিত করলাম।

ভিয়া- একি তুমি এখানে ? কি খবর ? কেমন আছো ?
আমি- ওই আছি এক রকম, তোমার কি খবর ? কি করছ ?

ভিয়া- আমি ভীষণ ভালো আছি, এখন দিল্লিতে থাকি, মানে দিল্লিতে থাকি বটে কিন্তু বেশিরভাগ সময় কাটে

কলকাতাতেই। তোমার কি খবর ? ওই কেরানির চাকরি করছো এখনো ?
আমি কোনো উত্তর দিলাম না, শুধু হেসে সম্মতিতে মাথা নাড়লাম।

ভিয়া উত্তরে আবার প্রশ্ন করলো- এটা কি অবস্থা করে রেখেছ ? মুখে একগাল দাড়ি, উসকো চুল, জামা ছেড়ে পরা, পায়ে চটি এই ভাবে অফিসে ঢুকতে দেয় ?

আমি আবার হেসে- হ্যাঁ, সরকারি কেরানিদের এভাবেই থাকতে হয়। আমার যে রূপের কথা তুমি বলছ ওটা তুমি নিজে হাতে করিয়েছিলে, তাই ছিল, এখন আর তার প্রয়োজন নেই।

ভিয়া যেন কথাটা শুনে একটু অপ্রস্তুতিতে পড়ে গেলো তাও নিজেকে সামলে বলল- এটা কোনোকথা হলো নাকি ? তোমার স্ত্রী কিছু বলে না ?

আমি আবার হেসে- নাহ! তা তুমি কি এখন কোথাও যাচ্ছ ? মানে ব্যস্ত?

ভিয়া- না আর নই, একেবারেই নই।

ওর কথাটা বলার পরমুহূর্তেই একটা বাজ পড়ল কোথাও, আকাশ আগেই কালো হয়েই ছিল। ভিয়া আবার আমার

দিকে তাকিয়ে বলল- মনে হয় বৃষ্টি আসবে। কোথাও গিয়ে বসা যাক ?
আমি- কিন্তু তোমার তো বৃষ্টিতে ভিজতে ভালো লাগে।
ভিয়া- কিন্তু তোমার তো অপছন্দের
আমি- সে তো তোমার সর্দির ধাত ছিল তাই বলতাম।

দু এক ফোঁটা বৃষ্টি পড়তে শুরু করে। আমি আমার চশমা টা খুলে পকেটে রেখে বললাম- চলো তাহলে হ্যাঁটা যাক।
বৃষ্টি ইতিমধ্যে আরও প্রবল হয়েছে, রাস্তায় আমরা ছাড়া আর কেউ হাঁটছে না পার্ক সার্কাস থেকে সিটিজেন পার্ক অব্ধি গিয়ে আমরা ফাঁকা মাঠে বৃষ্টির মধ্যে বসলাম। অনেক কথা হলো এদিক ওদিককার রাস্তায় যেতে যেতে। বসার পরে আমায় ভিয়া জিজ্ঞেস করলো- সত্যি বিয়ে করেছো ?

আমি আবার হেসে- না, আর কোনোদিন করতে পারব বলে মনেও হয় না। এখন তো আর মাও জোর করা ছেড়ে দিয়েছে।

ভিয়া- আমার কথা জিজ্ঞেস করবে না ?

আমি- তোমার বলার ইচ্ছে হলে তুমি নিজেই বলবে, আমি জিজ্ঞেস করা বা সব কিছু তে বেশি নাক গলানোর জন্যই তো একদিন আমি তোমায় হারিয়েছি, সেই ভুল আবার করবো ??

ভিয়া- তাও ঠিক, তবে আমার দৃষ্টিভঙ্গি তে অনেক টা পার্থক্য এসে গেছে জানো অনেক বার ভেবেছি তোমায় এসে মনের কথা বলি, কিন্তু পারিনি, কেন সেটা নিশ্চয়ই তুমি জানো, আমায় তোমার থেকে বেশি ভালো তো আর কেউ চেনে না।

আমি বৃষ্টির জন্য মুখে এসে পড়া ভিয়ার মুখের চুল গুলো সরিয়ে বললাম- যা বলার বলো, আমার সাথে কি আর তোমায় এতো ভেবে কথা বলতে হবে নাকি ?

ভিয়া মুচকি হেসে – আমি আগে ভাবতাম যে আমার সত্তা টা বেশি প্রয়োজনীয়, তোমার সব কিছুতে নাক গলানো, তোমার ওভার কেয়ারিং হওয়া, যে গুলো আমার পায়ের শেকল বলে মনে হতো আজ এই চাকরির জগতে ঢুকে, সবার ভিড়ের মাঝেও থেকে আমি আজ একা আজ আমি তোমার কেয়ার টা কে ভীষণ মিস করি। আজ বুঝি সবাই কত টা স্বার্থপর, আজ বুঝি, তোমার ভালোবাসাটা কত টা নিঃস্বার্থ ছিল। যে ব্যাপার গুলোর জন্য একদিন তোমায় ছেড়ে ছিলাম, আজ ওই গুলোর জন্যই ফেরত আসতে চাইলে তুমি কি আমায় তোমার জীবনে জায়গা দিতে পারবে?

আমি- তোমার কি মনে হয় তোমার জন্য আমার মনে যে জায়গা ছিল, সেটার কোনো অবক্ষয় হয়েছে বোকা?
ভিয়ার চোখের জল মিশে গেলো বৃষ্টির জলে সে সব ভুলে জড়িয়ে ধরলো রমেন কে। ওই খোলা মাঠে, প্রায় সন্ধ্যা লগ্নে, বৃষ্টি স্নাত অবস্থায় অলিভিয়া আর রমেন আবার পরিপূর্ণতা পেলো আর তাও আবার হঠাৎ করে হওয়া ওই সাক্ষাৎ এর জন্য।

গল্পের বিষয়:
ছোট গল্প
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত