ভালোবাসা আজ পরাজিত

ভালোবাসা আজ পরাজিত

তমার আজ বিয়ে এমন সময় তমার ছোট ভাই তমার হাতে একটা চিরকুট এনে দিলো। তমা তার ছোট ভাই কে জিজ্ঞেস করল,,, তমা: কে দিলোরে এই চিরকুট!(অবাক হয়ে কারণ শেষ কবে যে ওর হাতে চিরকুট এসেছিল নিজেও জানে না) তন্ময়:রিপন ভাইয়া দিয়েছে(আসলে তমার ছোট ভাইয়ের নাম তন্ময়) তমা:ওওওওওও আচ্ছা তুই যা এখন।(তমা ভাবছে হঠাৎ করে চিরকুট কেনো।রিপন তো আমার সাথে কথা বলে না।তমার একটা ভয় লাগা শুরু করলো মনের ভিতর) চিরকুট টা খুলবে কি খুলবে না এইটা নিয়ে ভাবতেছে তমা।আর চিরকুট টি এই দিক থেকে ওই দিক নাড়াচাড়া করতেছে। অবশেষে অনেক ভেবে চিরকুট টি খুলেই ফেললো।

 

প্রিয় তমা,,,,,,,,,,

 

জানি ভালো আছো।এবং এও জানি আজ তুমার বিয়ে।বিয়েটা তুমার অনুমতিতেই হইতেছে।ছেলে ভালো।ভালো চাকরি করে।ভালো পজিশনে আছে।তুমাকে সুখেই রাখবে। একটা কথা বলতে চাই আমার সাথে এমনটা নাও করলে পারতে।আমি তো তুমার কোনো ক্ষতি করিনি তাহলে কেনো আমাকে এভাবে ধোকা দিলে।আমি তো তুমাকে মন থেকেই ভালোবেসে ছিলাম।আমি তো কারো কোনো ক্ষতি করিনি তাহলে আল্লাহ কেনো আমাকে এই ভাবে শাস্তি দিলো।শেষে একটা কথাই বলতে চাই।আমার সাথে এমন টা না করলেও পারতে।আর তুমার কাছে যখন এই চিঠিটি হাতে যাবে মনে করো আমি আর এই পৃথিবীতে নেই।পারলে এই মানুষ টাকে ক্ষমা করে দিয়ো।

ইতি,,,,,,,,

 

তোমার অবহেলার ভালোবাসার সেই মানুষটি।রিপন তমা চিঠিটি পড়ে হাউ মাউ করে কান্না করতে লাগলো।তমার কান্না শুনে তমার আম্মু তমার রুমে এসে বললো কি হয়েছে তমা কান্না করছিস কেন। তমা ওর মার কথা শুনে তমার আম্মুকে জরিয়ে ধরে আরো জুরে জুরে কান্না শুরু করে দিল।মেয়ের কান্না দেখে মার চোখের কোনেও একটু নোনা পানি দেখা গেলো।তার পর তমা তার মাকে সব খুলে বললো।তমার কথা শুনে তমার মাও কান্না করতে লাগলেন(আসলে রিপন ছিল তমার খালাতো ভাই) বিয়ের বাড়ি ইতি মধ্যে কান্নার রুল পড়ে গেলো।তারপর তমারা রিপন দের বাড়ির দিকে রওনা দিলো।রিপনের মা তমাকে দেখে তমাকে জিজ্ঞেস করলো: কি ক্ষতি করে ছিল রিপন তুমার যে আমার ছেলে কে এই ভাবে মৃত্যুর দিকে নিয়ে গেলে।আমার ছেলে তো তুমার কোনো ক্ষতি করেনি শুধু একটু ভালোবেসেছিল।এটাই কি আমার ছলের অপরাধ ছিল।এগুলো বলছে আর রিপনের মা কান্না করতেছে। তমা আর কোনো কথা বলতে পারে না।কেমনেই বা বলবে যার সাথে তিনটি বছর অভিনয় করছে তার মাকে কি বলবে।রিপন ছেলেটি পাগলের মতো তমাকে ভালোবাসতো।পরে রিপন কে দাফণ করা হলো।আর এভাবেই রিপনের ভালোবাসা অবহেলা আর অভিনয়ের কাছে পরাজিত হলো।আর তমা এখন বুজতে পারছে রিপনের ভালোবাসা তাইতো প্রতিদিন রিপনের কবরের পাশে বসে বসে কাদে আর ক্ষমা চায়।রিপন কি এখন তমাকে ক্ষমা করতে পারবে।

 

(শিক্ষনীয় বিষয়: ভালোবাসতে না পারলেন কারো ভালোবাসা নিয়ে অভিনয় করা আপনার কাম্য নয়)

গল্পের বিষয়:
দু:খদায়ক
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত