আপেল-সুত্র

আপেল-সুত্র

আজ অনেক ধরে ক্যাম্পাসে ১ টাই কথা..রাগিং.রাগিং আর অবশ্য আমার সামনে কখনো এমন কোন দিন হয়নি!!
আমার পরিচয় টা দিয় আমি
(সুমাইয়া. শেষ বর্ষে.)
বেশ কয়েক দিন ধরে ক্যাম্পাসে জুনিয়র দের ১ টা প্রবলেম সেটা হল রাগিং…!!আমার সামনে কোন দিন পড়েনি কারণ আামাকে এই খানে সবাই চিনে..
স্যার রা পর্যন্ত আমার বিরুদ্ধে কথা বলেনা!!আর যে রাগিং করে বেড়াচ্ছে সেটা হল আমার ১ বর্ষ নিচে পড়ে!!ওরে ওবশ্য সবাই কম বেশী চিনে..নাম অভ্র|যেমন মেধাবী তেমন ছ্যাছরা!!!
(আমি ভাবছি কিভাবে ওটাকে সায়েস্তা করা যায়.ভাবতে ভাবতে ওনেক রাতে ঘুমালাম))
সকালে আম্মুর ডাকে ঘুম ভাঙল!
উঠেই চক্ষু আমার চড়ক গাছে
ঘড়িতে তাকিয়ে! !
৯.০০ টা বাজে এখন…৯.৩০ নায় important ক্লাস আছে!!
তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে কলেজে চলে গেলাম! ক্লাস শেষে. ,মাঠের দিকে আসছিলাম
তখন দেখলাম ১ টি ছেলে বসে কান্না করছে.আমি ছেলেটির দিকে এগিয়ে গেলাম ….
((দেখে মনে হয় প্রথম বর্ষের))
আমি.-এই তুমি কানতেছ কেন?
((ছেলেটি আমায় দেখে ভয় পেয়ে গেল হয়ত চেনে))
ছেলেটি.-না আপু কিছু হয়নি!
—.কিছু হয়নি মানে?কানতেছ আাবার বলছ কিছু হয়নি?
—আপু আমার কিছুই হয়নি
((চোখের পানি মুছে))
..এ ছেলে তুমি বলবা নাকি??
…আপু আগে জানলে এইখানে ভর্তিই হতাম না!
….কি পরিস্কার করে বল
….আপু.বড় ভাইয়েরা রাগিং করছে
…((আমি চিন্তা করলাম ফাইনাল বর্ষ ত আমরা আমাদের বর্ষে তো এমন কেউ নাই))
ছেলেটি আবার বলল ;;-আজ কলেজে ১ম দিন আসছিলাম!আসতেই ১ জন ভাই ডেকে নিয়েই আমারে চড় দিল..
–কেন??
–সালাম দিয় নি তাই,আর সবার সামনে আমাকে কান ধরিয়েছে!!
((বলে আর কাদতে লাগল))
–কোন ছেলেটা? ?
–আপু আমি যাই
–ছেলেটির কাছে নিয়ে চল
–আপু আমি আর ওখানে যাব না
–আচ্ছা নিয়ে চল
((তারপর ছেলেটি দেখিয়ে দিয়ে বলল আমি আর যাব না))
এসে দেখলাম ৩ টা ছেলে ওপর দিকে ফিরে হাসাহাসি করছে
–এইযে শুনছেন
এ দিকে ফিরে..
((ওনেক ক্ষন যাবত তাকিয়ে আছে আমার দিকে))
আমি আরও রেগে গেলাম
–এই যে(তুড়ি বাজিয়ে))
–জ্বি বলুন
–এসব কি হচ্ছে কলেজ
–কোনসব(না বুঝার ভান করে)
–বুজতে পারছেন না,তাই না??
–হুমম
—আপনারা কলেজে রাগিং কেন করছেন? ?
—ক ক কইই ??না াাা তো??
—তাহলে আমি মিথ্যা বলছি??
—কে বলল??আপনাকে
—যেই বলুক ,এসব কি??
কলেজে কি লেখাপড়া করতে আসেন? নাকি মানুষ জ্বালাতে আসেন?নিজেরা তো করছেন না আরেক জনকে ও করতে দেনা!
আপনার মা-বাবা কি এটা করতে কলেজ পাঠিয়েছে? ?
((মাথা নিচু করে শুনেছিল))
–আপনারা যা করছিলেন আমরাও তো তাই করছি মানে,আপনাদের কাছ থেকে তো শিখছি ?
–আমরা যা করছি মানে??আমরা কি আপনাদের রাগিং করছিলাম? ?
–না
–তাহলে? ?
–এয়ে মানে ভুল হয়ে গেছে! !
–আচ্ছা. ,এসব যেন আর দেখি? ?
–তুমি বললে আর কিছু করব না(আস্তে আস্তে)
–কি বললেন? ?
–না মানে বলছি আর এমন হবে না!!
আমি চলে আসছিলাম, তখনি আবার তাদের দিকে এগিয়ে গেলাম
((ভয়ে চুপসে গেছে))
–আমি জানি আপনি ১টা ভাল স্টুডেন্ট, মাথা থেকে এসব ঝেড়ে পড়া লেখায় মন দিন!!
—জ্বি
আমি ১টি আপেল তার দিকে এগিয়ে দিলাম.বললাম
–এটি ১টি আপেল.
এটাতে আছে ভিটামিন যা আপনাকে
সতেজ রাখবে!আরোও আছে নানা রকমের উপকারী জিনিস যা আপনার মাথাকে ভাল রাখবে….
((চলে এলাম))
((আসলে আমি সব জায়গায় কোন ((ঝামেলা হলে ১ টি আপেল দিয়ে আর মুল্যবান ডায়লগ টি দিয়ে দি))
সেখান থেকে আর রাগিং করত না অভ্র! বরং কলেজে আসার সময় হাতে বই খাতা ব্যাগ না থাক
১ টি আপেল নাচাইতে নাচাইতে আপত্তিকর
((আমার অবশ্য হাসি পেত))
ফ্রেন্ড দের নিয়ে দিন মাঠে বসে আড্ডা, ক্লাস, ঘুরাঘুরি নিয়েই ভালো যাচ্ছে! !
তেমন ই ১দিন বসে আড্ডা দিচ্ছিলাম
হঠাৎ ১ টা ফ্রেন্ড এসে বলল
–দোস্ত ৩ তারিখে বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুস্ঠান
–((আমরা এই দিন অনেক ইনজয় করি))সত্যি
অনুস্ঠানের দিন সকাল সকাল কলেজ আসলাম ওনেক দায়িত্ব ছিল
যারা পারফর্ম করবে তাদের আপ্যায়ন আর কি!!
তার মধ্য দেখলাম অভ্র নামের ছেলেটা গীটার নিয়ে আসছে!!
অনেক্ষণ যাবত অনুস্ঠান দেখে কেমন লাগছিল তাই বাইরে এলাম! !
হঠাৎ শুনলাম এবার কলেজ থেকে পারফর্ম করবে আফিপ
((আফিপ টা আবার কে))
গুরুত্ব না দিয়ে হাঁটছিলাম
মাইকে শুনলাম
“”এ সব দেখী কানার হাট বাজার
১ কানা কয় আর ১ এক কানারে “”
((আমার প্রিয় গান))
তখনি ছুটে গেলাম গিয়ে যা দেখলাম
দেখলাম অভ্র গান গাইছে
ওর কন্ঠ তো অনেক ভাল
গান শেষে আর ১ কান্ড অভ্র
পকেট থেকে আপেল খেতে খেতে
বেরিয়ে গেল
তারপর বিশাল গড়তালি
((আমি অভ্র কে অন্য কিছু ভাবতাম না))
………………………………..
অভ্র ওর ফ্রেন্ড রা আমাদের পাশেই আড্ডা দিত, ফাকে ফাকে গান ও শোনা যেত
.:-:-:-:-:-:-:-:==!:-:!!:-:!!:-:!!:-:!
কয়েক মাস পরে শিক্ষা সফরের সময় এল, এবারের সফর খাগড়াছড়ি
অবশেষে আজ আমরা সফরে যাচ্ছি ২ দিনের, !বাসে উঠেই দেখলাম অভ্র ছেলেটি আমাদের বাসে
ওভ্র ভাল গান গায় তাই বন্ধুরা ওকে আমাদের বাসে নিয়ে এসেছে

আমার সামনের ছিট টা অভ্র র ছিল

বাসে আমার সামনের সিটে বসে ছিল অভ্র!!
এর ভিতরে বাস ছেড়ে দিল
আমরা ঠিক ভাবে পৌছালাম
আর আনলিমিটেড মজা ও ছিল
বাসে জার্নি করার ওন্য রকম ফিলিংস থাকে! !((কি তাইতো বন্ধুরা ))
অভ্রর গান ফান খাওয়া দাওয়া নিয়ে খুব ভাল ভাবে পৌছালাম ১ টা জিনিস আমাকে আবার হাসালো ..অভ্র একটু সময় পর আপেল খাচ্ছিলো! !হা.হা.হা!
আমাদের মাঝে মাঝে চোখাচোখি হচ্ছিল! !তবুও কথা হয়নি!!আমি যেহেতু বড় আপু সেহেতু আমার সাথে সাহস দেখিয়ে কথা বলবে না এটাই স্বাভাবিক! !শুধু অভ্র না আমি ও আপেল খাচ্ছি বা খাই এটা সবাই জানে!!
পিকনিকে আমাদের ওনেক বার চোখাচোখি হয়!!ভাল ভাবে পিকনিক করে ফিরে আসলাম
আবার যথারীতি কলেজে যাই ..
কয়েকদিন পর আমার ১ বন্ধু যা বলল শুনে আমি # হয়ে গেলাম! !বলল
বান্ধবী :-কি রে কতদূর? ?
আমি :-কি কত দুর??
–আর মিথ্যা বলতে হবে না. আমি সব জানি!!
–কি জানিস?কি হইছে পরিস্কার করে বলবি??
–তুই ত কলেজে এসে আপেল খাস আর গাছের নিচে বসে পড়িস তাই না??
–হুমম!তো কি হইছে??
–গতকাল দেখলাম তোর অর্ধেক. খাওয়া আপেল পাশে রাখতেইই অভ্র ওর অর্ধেক রেখে তোর নিয়ে খেতে খেতে চলে গেল!!
–কি বলিস..সত্যি? ?
–আমি ভাবলাম তুই আবার প্রেমে টেমে পেরেছিস!!
–তুই ত ভাল করে জানিস আমি ওসব বিস্বাস করি না!!তাহলে??
–কি করবি তাহলে? ?
–ওর বিরুদ্ধে এখন কিছু করা ঠিক হবে না!!স্যার রা জানে ও ভাল স্টুডেন্ট! কলেজের কম বেশী সবাই ওরে চিনে!!
–দেখ যা ভাল মনে হয় কর!!
–আচ্ছা চল বাসায় যাই আর ক্লাস করব না
–চল
আমি বাসাই ফিরে মাকে ডাকতে লাগলাম.মা কোথাও নেই!!আম্মুর বেড রুমে যেতেই দেখলাম অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে!!আমি আব্বুকে ফোন দিয়ে হসপিটালে নিয়ে গেলাম! !
আসলে আজ কয়েকদিন আম্মুর শরীর খারাপ ছিল!!
২ দিন কলেজ যাই না! !বন্ধুরা ফোন দিয়ে হসপিটালে চলে এসেছে! তখন ড:জানালো b possetive রক্ত লাগবে অপারেশনের জন্য, ,
হসপিটালে রক্ত না থাকায় আব্বু তার মত চেষ্টা করছে! !
আমারা সবাই কলেজে চলে আসলাম সব ক্লাসে গেলাম কোন লাভ হল না বিকালে অপারেশন এখন দুপুর গড়িয়ে যাচ্ছে! !কলেজের পুকুর পাশে গিয়ে বন্ধুরা তার আত্বীয় স্বজনদের ফোন করছিল! !
এমন সময় অভ্র দেয়ালের পিছন
থেকে ডাক দিল
—এই যে শুনছেন
—–আমি(চুপ)
—হেলো
——-
–আমার কিন্তু বি পসেটিভ রক্ত
আমরা সবাই তার দিকে আগ্রহ নিয়ে তাকালাম
দেয়াল টপকে আমার সামনে এসে বলতে শুরু করল
—আমি ১ টা ভাল স্টুডেন্ট,আমি স্মোকিং করি না,আর সবচেয়ে বড় কথা আমি ভিটামিন যুক্ত আপেল খাই!!আর আমার জানা মতে আমার রক্ত বিশুদ্ধ হওয়ার কথা!!
আমরা সবাই ওর কথা শুনে হেসেফেল্লাম
—আমি ১ টা কন্ডিশনে রক্ত দিতে রাজি
—কি শর্ত বলো((অনেক অবাক হয়ে))
—আরে আরে অবাক হওয়ার কিছুই নেই…আমার ১ টা ছোট্ট শর্ত আছে
—কি সেটা বলো
—মাথা চুলকাতে চুলকাতে বলল
আমার গায়ে সুচ টা যেন আস্তে ফোঁটায়
আমরা আবার উচ্চ স্বরে হেসে উঠলাম
—এই প্রথম বার তো এই জন্য
আর স্কুলে থাকতে যেদিন টিকা দিতে আসত সেই দিনই পালাতাম! !
হাসতে হাসতে আমাদের চোখে water চলে এসেছে! !
—আচ্ছা তোমার শর্তে রাজি
–ওহ tnx চলেন! !!

তারপর অভ্র রক্ত দিল….
যখন সুচ টা ডাঃ ফুটাচ্ছিল তখন অভ্র চোখ বন্ধ করে মুখ বাংলার প্যাচ করে রাখছিল! !
রক্ত দেয়ার পর আম্মুর অপারেশন তাড়াতাড়ি হয়ে গেল.
তারপর অভ্রকে নিয়ে হসপিটালের পুকুর পাড়ে বসে আছি((রক্ত দেওয়ার পর রেস্ট নিচ্ছিল) )
অভ্র আর আমি আপেল খাচ্ছি
আমি প্যাকেট থেকে বের করে ওর হাতে দিচ্ছি ও খাচ্ছে ..বিস্কিট..টোস্ট..জুস ওনেক কিছু খেলাম আর গল্প করছিলাম!!
–রক্ত দেয়ার ভিতরে ১ টা ইন্টারেস্টিং ব্যাপার আছে !!
–যেমন, বুজলাম না!
—রক্ত দিলে .যে.রক্ত দেয় তাকে জামায় আদর করে খাওয়ায় রক্ত গ্রহীতা
((আমি হাসতে লাগলাম৷অভ্র ১ দৃষ্টি তে তাকিয়ে ছিল.))
তারপর অভ্র হাত টা এগিয়ে দিয়ে বলল
—আমরা কি বন্ধু হতে পারি??
–((কিছুক্ষণ ভেবে))ওকে.
তাহলে তুই করে বলি!!
–না এই তুই আমার একদম পছন্দ না..কেমন লাগে!!
–আচ্ছা তুমিই চলবে
–আচ্ছা! !
তারপর ফোন নাম্বার একেওপরের দিলাম! !
তারপর আম্মুকে নিয়ে বাসায় ফিরলাম !!
খেয়ে ঘুমাতে গেলাম ..তখনই আননোর নাম্বার থেকে কল আসল!!
–হেলো, আসসালামু ওয়ালাইকুম! !
–ওয়ালাই কুমুস সালাম
–কে বলছেন??
–এরই মধ্যে ভুলে গেলে
–((অভ্র এর গলা))অভ্র? ?
–হুমম..কি করো??
–ঘুমাব তুমি? ?
–আমিও! !খাইছ রাতে ??
–hmm.তুমি? ?
–খেয়ে আসলাম ..
–ও
–আচ্ছা ঘুমাও! কাল কলেজে দেখা হবে!good night
–ok good night
পরের দিন খেয়ে কলেজে চলে গেলাম. অভ্র দাড়িয়ে ছিল.
আমাকে দেখে এগিয়ে এল এসে ভাল মন্দ জিগ্যাসা করল তারপর থেকে আমারা ভাল বন্ধু হয়ে গেলাম! !
একসাথে ঘুরাঘুরি করা,আড্ডা দেওয়া,ফুসকা খাওয়া,কেয়ারিং.শেয়ারিং,আর আপেল ত থাকত………….
প্রায় প্রতিদিন আমরা ক্লাস করে
ঘুরতে যেতাম বাইরে লান্জ করতাম!!
—কখন আসলা পেত্নি
—পেন্তি মানে??আমারে কি দেখে পেত্নী মনে হয়??
((রাগে রাগে) )
–এই ই সোনা রাগ করেনা..
—কি বললা! দেখ অভ্র আমার কিন্ত এসব ভাল্লাগেনা! !
–আচ্ছা চলো ফুসকা খাওয়াবেন
–হুমম চল(+খুশি হয়ে))
আজকাল অভ্র আচরণে কেমন ১ টা ভাব .
.মনে হচ্ছে ….ভাব ভাল না!
আজ কয়েকদিন ধরে অভ্র আমাকে কথায় কথায় জান,সোনা এসব বলত!!
অভ্র রাতে ঘুমিয়েছে একটু পরে সে দেখল
সুমাইয়া তার বুকের উপর সুয়ে আছে!
–আরে আরে তুমি এখানে
–কেনো আসতে বারন আছে নাকি??
–না বারন কেন থাকবে!!
–তাহলে? ?
–এমনি!বলে অভ্র সুমাইয়া কে জড়িয়ে কিস করতে গেল
তখনি অভ্র খাটের নিচে!!

কাল আমার জন্মদিন অভ্রের সাথে সারাদিন জন্মদিনের সামগ্রী. সাজানো.এবং কেকের ওর্ডার দিয়ে এলাম..দুপুরে বাইরে খাবার খেয়ে নিলাম রেস্টুরেন্ট থেকে!!খেয়ে বিকালে আমরা নদীর পাশে বসে আছি
আর বাদাম খাচ্ছি !!অভ্র আমার সাথে বাসায় এল সব কিছু বুঝিয়ে দিল.কোথায় কেক কাটা হবে কোথায় খাওয়া দাওয়া করা হবে এসব বুঝিয়ে দিয়ে ও চলে যাচ্ছিল! !মা এসে ওকে ডেকে নিয়ে খেতে দিল!!অভ্রের খাওয়া শেষে চলে গেল!!রাতে fb তে কথা হচ্ছিল! তারপর ১২.০০ হঠাৎ অভ্র ফোন করল!!
–happy birthday, sumaya
–thanks, ovro!!কাল সকাল সকাল চলে এস!!
–আচ্ছা! !বাই
–হুম বাই
সকালে অভ্রের সাথে কথা হল! !
তারপর দুপুর থেকে অভ্রের ফোন বন্ধ! !এভাবে ফোন আর মেসেজ করল অভ্রের ফোন বন্ধ! !
কেক কাটার সময় উপস্থিত তবুও অভ্রের কোন খোজ নাই!!
সুমাইয়া মনে মনে ভাবছে অভ্রের. কিছু হয়ে গেল না তো!!
সকলের জোরাজুরি তে সুমাইয়া মন খারাপ করে কেক কেটেই ফেলল!!তারপর মন খারাপ করে ছাদে একা দাড়িয়ে আছে সুমাইয়া! !হঠাৎ কেউ ১ জন পিছন থেকে চোখ ধরল সুমাইয়ার !!সুমাইয়া পিছনে ফিরতেই দেখতে পেল অভ্র দাড়িয়ে আছে!!তারপর অভ্র ১ টি কেক ২ মমবাতি বের করল
আর ১ টা ছুরি!!অভ্র সুমাইয়া র হাত ধরে আনছিল ..সুমাইয়া হাত টি টান দিয়ে ছাড়াই নিল!!
–কি হইছে আস কেক টা কাট
———চুপ.
–কি হল কথা বলছ না কেন
–তুমি তখন আসোনি কেন? ?
–মা অসুস্থ ছিল
—আমাকে ১ বার জানাওনি কেন
–আরে ফোনটা বাসায় রেখে গেছিলাম
(((তারপর ওনেক কথা বলে অভিমান ভাঙাল অভ্র) )
একে ওপরকে কেক খাইয়ে দিল
সুমাইয়া দেখল অভ্র কেমন যেন ছটফট করছে কিছু বলতে চায়
–কি হয়েছে কিছু বলবে
—হুম, আমি কিছু বলতে চাই??
–তোমাকে বলে চুপ করানো যায় না আর তুমি হঠাৎ এমন করছ কেন??
–আসলে একটু কথাটা একটু অন্যরকম? ?কিছু মনে করবে না তো??
–বলোতো!!
–আসলে সুমাইয়া
Ī LØVË ÝÕÜ.. আমি তোমাকে ভালবাসি! !জানিনা তুমি কেমন মনে করবে আমি ১ম দিন থেকে তোমাকে ভালোবাসি! !১ম যেদিন তোমাকে দেখেছিলাম সেদিন থেকেই তোমাকে ভালবেসে ফেলেছি! !এই জন্যে বন্ধুর মাঝে তুই টা পর্যন্ত আনিনি
(+সুমাইয়া ৩×অবাক হয়ে কথা গুলো শুনেছে)
আবার বলল তোমায় ছাড়া আমি বাছব না …প্লিজ আমাকে ফিরিয়ে দিও না!!
—অভ্র কি বলছ এসব,আমি তোমার সিনিয়র, আর আমরা শুধুই বন্ধু আমি আর কিছু ভাবিনি তোমাকে নিয়ে!!
–আমরা চাইলে সম্পর্ক টাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি!!
—অভ্র((চিতকার করে)) চুপ কর কোন কথা বলবানা..
তুই আমার মাকে রক্ত দিয়েছিস বলে এখনো কিছু বলছি না
—((আমার কাধে হাত দিয়ে))প্লিজ সুমাইয়া আমাকে ফিরিয়ে দিওনা আমি তোমায় ছাড়া বাসব না! !
–তোর সাহস কি করে হয় আমার শরীরে হাত দেয়ার
(+অবস্য আগেও দিয়েছে কিন্ত আজ যেন আমার রাগ হচ্ছিল)
আমি আর নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলাম না দিলাম
ঠাসসসসসসসসস
করে চড় বসিয়ে
–এখুনি বেরিয়ে যা তোর মুখ যেন আমার না দেখতে হয়!!
–((অভ্র গালে হাত দিয়ে কিছু না বলে চলে গেল))
((আমি ভাবছি চড় তারা আমার উচিৎ হয়নি))
((অভ্র ভাবছে..আমাকে যখন ও পছন্দ করে না তখন আর সুমাইয়ার সামনেই যাবো না))
কয়েক দিন পর অভ্র কলেজ থেকে কাগজ পত্র নিয়ে বিদেশ চলে গেল
যাওয়ার আগে সুমাইয়া কে ১ টা চিঠি দিল..লেখা ছিল
“””আমার এ মুখ তোমাকে কোনোদিন দেখতে হবে না””
সুমাইয়া এই চিঠি পাওয়ার পর তার কাটা ঘায়ে নুন লাগার মত মনে হল!!
সুমাইয়া সঙ্গে সঙ্গে ফোন দিল অভ্র কে ..কিন্তু ফোন তো ঢুকবে না করন অভ্র আগেই সিম কার্ড ভেঙে ফেলেছে! !
সুমাইয়া এখন অভ্রের অভাব বুঝতে পারছে কিন্তুু একটু দেরী হয়ে গিয়েছে! !
তারপর অভ্রের ও একই অভস্তা
সে যতই সব ভুলে লেখাপড়ায় মন দিক মন পড়ে থাকে অতিতে সুমাইয়ার সাথে কাটানো দিন গুলি!!

:-:-:=দীর্ঘ ৫ বছর পর=:-:-:
আজ অভ্র সমাজে প্রতিস্ঠিত
সে আজ বড় শিক্ষা অফিসার
বিদেশ থেকে অনেক দিন পর দেশের বাড়ি ফিরেছে !!

অন্য দিকে সুমাইয়া আজ অভ্রের সৃতি নিয়ে বেচে আছে
সে ১টি স্কুল প্রতিস্ঠান. করে সেখানে নিজে বাচ্চাদের শিক্ষা দেন করে …….
দেশে এসে অভ্র দেখল অনেক পরিবর্তন! !
অভ্র এখন অনেক ব্যাস্ত সারা সময় শিক্ষা প্রতিস্ঠান নিয়ে সাক্ষরের জন্য এদিক থেকে ওদিকে ঘুরে বেড়ায়!!
হঠাৎ অভ্র জানতে পারল যে সুমাইয়ার এলাকায় তার পরবর্তী মিটিং!!সে অনেক চেস্টা করে ও আটকাটে পারল না,তার সহকারী বলল উপর মহলের আদেশ! !তাই যেতে হবে! !
অভ্র ভাবল এতদিন হয়ত সুমাইয়া র বিয়ে হয়ে গেছে দেখা হবে না!!
পরের দিন অভ্র সময় মত চলে গেল তার গন্তব্য! !সে জায়গাটা ভাল করে দেখছিল কারন তাকে ভালভাবে পর্যবেক্ষণ করে তারপর স্বাক্ষর করতে হবে
হঠাৎ অভ্রের চোখ আটকে গেল
সুমাইয়া র মত ১ জন ছেলে.-মেয়েদের পড়াচ্ছে !!
অজান্তে অভ্রের চোখ দিয়ে ২ ফোটা পানি বেরিয়ে গেল
তারপর অভ্র সেখানে ২ মিনিট দাড়ালো না…সে ভাবছে এখান থেকে যত তাড়াতাড়ি হোক বেরোতে হবে! !অভ্র আসার সময় সুমাইয়ার চোখ পড়ল..পিছন থেকে!!
অভ্র এসে স্বাক্ষর করে বেরিয়ে যেতে থাকল
সুমাইয়া হঠাৎ ডাক দিল
অভ্
না শোনার ভান করে চলে যাচ্ছিল!!সুমাইয়া হঠাৎ কান্না ভরা মুখ দিয়ে অভ্রের সামনে দাড়ালে!!
(অভ্র)–ও হ্যা আপনার সব কাগজে স্বাখর করে দিয়েছি কাল থেকে কাজ শুরু করতে পারেন! !আর আমার পথ ছাড়ুন আমার কাজ আছে((আর সুমাইয়া অনেক চিকন হয়ে গেছে..তার চোখ ফোলা ও))
–দাড়াও((সুমাইয়া কান্না জড়িত কন্ঠে))অভ্র আমাকে ক্ষমা করে দাও!তুমি চলে যাওয়ার পর আমি বুঝতে পারছিলাম তুমি আমার কি ছিল!!
–এ মা আপনি তো কিচুই করেন নি তাহলে ক্ষমা চাইছেন কেন
বরং আমি দুঃখিত আপনার কথা রাখতে পারলাম না সেই আপনার সামনে আসতে হল
ক্ষমা করবেন!!((অভ্র চলে লাগল))
হঠাৎ সুমাইয়া যেমন রাগিং জয়ের জন্য কিছুদুর গেয়ে ফিরে এসেছিল তেমন ফিরে এল!! সুমাইয়া তখন ও মাটিতে বসে আছে!!
অভ্র বলল.–ও হ্যাঁ আপনার ১ টা জিনিস আছে আমার কাছে
(সুমাইয়া মুখ তুলে তাকালো ))
অভ্র ১ টি আপেল এগিয়ে দিয়ে বলল.
—আপনি আগের চেয়ে অনেক শুকিয়ে গেছেন.
এটি ১ টি আপেল এটা খেলে আপনার শরীরে ভিটামিন বাড়বে.আপনি তর তাজা হয়ে উটবেন.আর আপেলে আছে ভিটামিন যা আপনার শরীর ভাল রাখবে!!
–((সুমাইয়া আরো জোরে কাদতে কাদিতে আপেল টা নিয়ে উঠে দাড়াল))
অভ্র আবার চলে যেতে লাগল
তখন সে খেয়াল করল সে আর সামনে এগোতে পারছে না কিছু টান টান লাগছে
এগোবে কিভাবে তার কলার সুমাইয়া র হতে
–((সুমাইয়া আপেল দিয়ে অভ্রের বুকে মারতে লাগল))
–আরে আরে কি করছেন এটা আপেল খেতে হয় কাউকে আঘাত করতে হয় না
–সুমাইয়া অভ্রকে জোরে জড়িয়ে ধরল!!….
–আরে কি করছেন ছাড়ুন
—ওই কুত্তা চুপ থাকবি কোন কথা বলবি না
–কেন??
–বললাম না চুপ

সুমাইয়া আপেল টি ১ বার খেয়ে অভ্র কে দিল
অভ্রের এই সুযোগ মিস করার প্রশ্নই আসেনাসে ও ১ কামড় দিয়ে সুমাইয়া কে দিল এই ভাবে ১ টি আপেল তারা শেস করল

তারপর আর কি আজ ওদের বাসোর রাত.
অভ্র বাসর রাতে ঘরে ঢূকে দেখে
তার দিকে কেউ আপেল ছুড়ছে৷
–এই আপনি কে আমার বউ কই গেল…
—শয়তান আমি তোর বউ
আর ১ বার আপনি বললে তোর
খবর আছে
–আচ্ছা তাইলে কি ব…শেস না হতেই সুমাইয়া র ঠোট এসে অভ্রের ঠোটের সাথে জোড়া লাগল……

গল্পের বিষয়:
রোমান্টিক
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত