রাগকুমারী

রাগকুমারী

আমি আরিফ আর আমার রাগকুমারী হলো আরিশা।
সে আমার খালামনির মেয়ে।
আমাদের বিয়ে ঠিক করে রাখা হয়েছে কয়েকদিন হলো।
কারন আমরা দুজন-দুজনকে ভালবাসি আর সেটা আমাদের পরিবারে জানিয়ে দিয়ে দিছি তাই আমাদের বিয়ে ঠিক করে রাখা হয়েছে

পড়ালেখা শেষ হলেই আমাদের বিয়ে।

আজ সকাল থেকে আরিশা আমার উপর রাগ করে আছে কারন হলো (একটু পিছন ঘুরে দেখে আসি)

আমি আর আমার ফ্রেন্ড সুমা ওর নাকি কি দরকার একটু আমাকে ওর সাথে যেতে হবে। তাই আমি আর সুমা রিক্সা করে যাচ্ছিলাম আর

সেটা আরিশা দেখে ফেলছে ও কলেজে যাচ্ছিলো রিক্সায় আর আমি দেখেতে পাইনি।

দুপরে বাসায় ফিরলাম আরিশা আমায় অনেক বার কল দিয়েছে আমি সাইলেন্ট ছিলো বলে ধরতে পারিনি।
গোসল করে কল দিলাম আরিশা কে(৫ টা কল দেওয়ার পর ধরলেন মহারানি)
আমি-সরি ফোন সাইলেন্ট ছিলো তাই ধরতে পারিনি।
আরিশা-থাক আর বেশি কথা বলবে না সারাদিনতো মেয়ের সাথে রিক্সা ঘুরে ভাল মজা করলে থাক আমাকে আর কখনো কল

দিবানা আর আমি তোমার কেউ না।
আমি-এই শোন আসলে(যাক বাবা ফোন কেটে দিলো)
মহারানি খুব রাগ করে আছে দেখছি।
রাগ ভাঙ্গাতে হবে তাই ওদের বাসায় চলে গেলাম।

কলিংবেল বাজাতে খালামনি দরজা খুলে দিলো।
খালামনি-বাবা আরিফ তুই আয় ভিতরে
আমি-খালামনি আরিশা কোথায়?
খালামনি-এইতো কলেজ থেকে এসেই সারাদিন ধরে দরজা লাগিয়ে আছে কিছু বলছে না এবং এখনো কিছু খায়নি তুই কিছু জানিস কি হইছে ওর।
আমি-না খালামনি আমি কিছু জানিনা আচ্ছা তুমি খাবার রেডি করো আমি যাচ্ছি ওর রুমে।
খালামনি-আচ্ছা আমি খাবার দিচ্ছি টেবিলে আয় ওরে নিয়ে।
আমি-আচ্ছা যাও

আমি-আরিশা বাবু আমার দরজা খুলো আমি সব খুলে বলছি।
আরিশা-এই এখানে আসলে কেন যাও বের হয়ে যাও(দরজা খুলে এসে যা ইচ্ছে বলতে শুরু করে দিলো আমি ওর মুখ চেপে ধরে

রুমে নিয়ে দরজা লক করে বললাম)
আমি-তুমি যা দেখছো সব ভুল আরিশা আর সে আমার জাস্ট ফ্রেন্ড তার একটু কাজ ছিলো বললো আমাকে যেতে তাই গিয়েছি
আরিশা-যাও বলছি আমি কিচ্ছু শুনতে চাইনা।
আমি-আচ্ছা তোমার যদি আমাকে বিস্বাশ না হয় তাহলে তুমি আমার ফ্রেন্ড এর সাথে কথা বলো তবু যদি বিস্বাস না হয় তাহলে আমি

চলে যাও (সুমার নামবারে কল দিয়ে ওর হাতে দিলাম দেখলাম কিছু কথা বলে হাসতে লাগলো)
আমি-বিস্বাশ হলো আমার রাগকুমারির?
আরিশা-হুম হয়েছে আমি সকাল থেকে এখনো খায়নি যাও প্লেটে খাবার নিয়ে আসো আমাকে খাইয়ে দিবে তুমি
আমি-না বাবা আমি পারবোনা
আরিশা-কি বললে তুমি পারবে না
আমি-কোথাই বললাম নিয়ে আসছি খাবার(এখন না বললে মেরে ফেলতো আমি খালার কাছ থেকে প্লেটে খাবার নিয়ে আসলাম মহারানির রুমে)
আমি-এই পিচ্ছি মেয়ে হা করো খাও
আরিশা-হুম দাও
আমি-নিজে একা একা খেয়ে যাচ্ছে আমাকে বলচেনা খেতে
আরিশা-সরি বাবু আচ্ছা আমি খাইয়ে দিচ্ছি তোমায় (হাত দুয়ে এসে আমাকে খাইয়ে দিচ্ছে রাগকুমারি আর আমি ওরে খাইয়ে দিচ্ছি)

*সবার মনে রাখা উচিত রাগ-অভিমান যত বেশি ভালবাসা আরো বেশি রোমান্টিক*
বেঁচে থাক সবার ভালোবাসা।

গল্পের বিষয়:
রোমান্টিক
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত