থাপ্পর থেকেই প্রেমের শুরু

থাপ্পর থেকেই প্রেমের শুরু

আই লাভ ইউ ইফা(আমি দৌড়ে দৌড়ে ইফার দিকে যাচ্ছি)

_আই লাভ ইভ টু ইফতি(ইফা কথাটা বলতে বলতে দৌড়ে আমার দিকে আসছে)
যেনো মনে হচ্ছে কোনো সিনেমা স্লোমোশনে চলছে।নায়ক নায়িকাকে আই লাভ ইউ বলতে বলতে নায়িকার দিকে দৌড় দিয়ে যাচ্ছে আর নায়িকাও আই লাভ ইউ বলতে বলতে নায়কের দিকে যাচ্ছে।
আর ব্যাকগ্রাউন্ডে মনে হচ্ছে বলিউড এর বডিগার্ড ছবির আই লাভ ইউ গানটা চলছে স্লোমোশনে।
যেই না আমি ইফার কাছে এসে পরেছি এবং তাকে জড়িয়ে ধরবো ঠিক তখনি হঠাৎ করে বৃষ্টির আগমন।
আরে এই মুহূর্তে ঘুমটা গেলো ভেঙ্গে।আর ঐটা বৃষ্টি ছিলোনা আমার বিতলা বোনটা এক বালতি পানি এনে আমার উপর ফেল্লো।

নিজের ভিতর রাগ আগ্নিয়ো গিরির মতো ফোলে ফেপে উঠছে।
শুধু রাগটা জাড়তে পারলে বাচিঁ এই অবস্থা

_এইটা কি করলি(রেগে বল্লাম)
_কেন দেখতে পারছিসনা।নাকি কানা-টানা হয়ে গেলি।কানা হলে তো সমস্য।তখন তো আর কেও তোকে বিয়েই করবেনা।হিহিহি(আমার ফাজিল বোনটা বল্ল)
_তুই আমাকে পচাঁইতেছিস
_কই তোকে পচাঁইলাম
_পানি ঢাল্লি কেন আমার উপর
_প্রায়ই এক ঘন্টা ধরে তোকে ডাকছি আর তর উঠার নাম নাই তাই ঢালছি।
_দেত।দিলি তো রোমানটিক সিনটা নষ্ট কইরা।
_তা কি রোমানটিক সপ্ন দেখতেছিলো আমার বড়
ভাই

_কেন তোকে বলতে হবে
_নাহলে আরেক বালতি পানি রেডি আছে দিবো কিন্তু ঢেলে(পানির বালতিটা দেখিয়ে বল্লো)
_কথাই কথাই পানি দেখাস কেন।তাহলে শুন যা দেখছিলাম আরকি,ইফা দৌড়ে আমার দিকে আই লাভ ইউ বলতে বলতে আসছিলো আর আমি জড়িয়ে দৌড়বো ভাবছিলাম তখন তুই পানি ঢেলে সব নষ্ট করে দিলি
_হিহি।ঐ রকম শুধু তর সাথে সপ্নেই হবে বাস্তবে না।
_কি বল্লি
_আচ্ছা তুই যত বার প্রপোজ করেছিস কি পাইছিস
_তার হাতের আলতো ছোঁয়া
_চাপা।তোকে চড় দিছে আমি দেখিনাই।তুইতো প্রত্যেক দিন চড় খাস আমি তো দেখি
_দিলি তো আজকের সকালটা নষ্ট কইরা।এখন থেকে যা বল্লাম
_তোর ভাগ্য চড় ছাড়া কিছু নাইরে ভাই(যেতে যেতে বল্ল)

না বোনটা আমার ঠিকি বলছে।যত দিন ধরে ইফা মেয়েটার প্রেমে পরেছি ততোদিন ধরে আমার ভাগ্যে চড় ছাড়া আর কিছু জুটে নাই।

যেমন মানুষ এক বেলা খাবার না খেলে থাকতে পারেনা।
তেমনি ইফার হাতে এক বেলা চড় না খেলে আমার খাবার হজম হইনা।
প্রত্যেক দিন তার হাতের এক অভিজ্ঞতার কৌশলে চড় না খেলে আমার দিনি চলেনা।
আমার সাথে ওর প্রথম দেখাটাই হয়ে ছিলো চড় দিয়েই।
মনে পরে গেলো সেই পুরোনো কথা।
নতুন কলেজে ভর্তি হয়েছি।

যেইনা কলেজে ডুকবো ঠিক তখনি ধাক্কা(কমন ব্যাপার বুঝেন না কেন।সব গল্পতে ধাক্কা খেয়েই প্রেম শুরু)।
যার সাথে ধাক্কা খেলাম ঠিক সে আর আমি দুজনি মাঠিতে চিত-পটাং।
তাই যেই না উঠে দাড়ালাম ঠিক তখনি,

_ঠাসসস(আমাকে চড় মারলো।)সুন্দরি মেয়ে দেখলেই টাচ করতে ইচ্ছে করে।বেয়াদব(এতোক্ষণ খেয়াল করেণি যার সাথে ধাক্ক খেলাম সে একটা মেয়ে।মেয়ে বল্লে ভুল হবে কোনো একটা পরি।মেয়েটার চোখের অতল গহ্বরে আমি তলিয়ে গেছি।প্রথম দেখাতেই খাবি খেতে খেতে ক্রাশ খাইলাম।)

_ঠাসস(আরেকটা চড় মারলো)।সুন্দরি মেয়ে দেখলেই চেয়ে থাকতে ইচ্ছা করে।ফাজিল

_খাইছি(আমি।ডেব ডেব করে তার দিকে চেয়ে)
_কি
_খাইয়া ফেলছি
_কি খাইছেন
_ক্রাশ
_ঠাসসস(বালিকা আরেকটা চড় মেরে হন হন করে চলে গেলো)।

এখন বর্তমানে আসি।আপনাদের অতীত বলতে বলতে আমার গালটা আবার ব্যাথা করে উঠলো।দুর আপনাদের বলাই ভুল।

তা পরিচয়টা দিয়ে ফেলি।
আমি আল-মুমিন সাইফ ইফতি।বাবা-মার ভদ্র কাম বিটিশ পোলা।
আরে বুঝাইতাছি প্রতিদিন বিতলামি করা আমার একটা হবি।যার ফলে ইফার হাতে প্রতিদিন চড় খাই।
হঠাৎ করে ঘড়ির কাঁটার দিকে চেয়ে আমার টনক নরলো।
সকার ৮টা বাঝে আর আমি ঘুম থেকে উঠে পরেছি।
নিজেকে আজকে গর্ভবতী লাগছে(কেও আবার নেগেটিভ ভাবে নিয়েন না)।

তার কারণ হল এখন পর্যন্ত কেও আমাকে সকাল ৯টা ৩০ এর আগে বিছানা থেকে তুলতে পারেনি সেই আমি কিনা আজ ৮টাই উঠে পরলাম।

মানুষ এভারেস্ট জয় করে যতটুকু খুশি হয় তার চেয়ে আজকে ঘুম থেকে তাড়াতাড়ি উঠে আমি আজ ডাবল খুশি।
তাই ফ্রেশ হয়ে খাবার খেয়ে কলেজে রওনা দিলাম।

কেলেজে এসে দেখি কেও বাইরে নেই।একে বারে পরিবেশ নিরব।কিন্তু তখন জানতামনা ঘূর্ণঝড় শুরু হওয়ার আগ মুহূর্ত পরিবেশ নিরব থাকে।তাই মনের আনন্দে ক্লাসের দিকে ডুকতে থাকলাম।
ক্লাসে ডুকে দেখি সবাই বসে আছে তাই বাম দিকে লক্ষ্যে না করে সকলের উদ্দেশ্য বল্লাম,
_হ্যালো বন্ধুগন।

কিন্তু সবাই নিরব।কোনো উত্তর পেলামনা।তাই রিজবীর পাশে গিয়ে বসলাম,

_দেখলি আজকে কত দ্রুত আসলাম
রিজবী আমার দিকে হা করে চেয়ে আছে।
_ঐ মুখ বন্ধ কর মাছি ডুকবো(আমি)
_সামনের দিকে দেখতো(রিজবী)
_দুর।সামনের দিকে আবার কে।সা সা সা সা ম ম ম নে নে নে(তুতলা কন্ঠে)
ক্লাসে ডুকার সময় লক্ষ্যে করি নাই যে সামনে প্রিন্সিপাল স্যার সামনে।
_কইটা বাঝে(আমার উদ্দেশ্য)
_হবে হয়তো ৯টা(ভয়ে)
_এখন নইটা বাঝে।
_আপনি টাইম জানেনা তাই বল্লাম
_ফাজিল কোথাকার এখন ১১টা বাঝে।
_কী।

তার মানে আমার ঘড়ির টাইম ভুল ছিলো।হাইরে পুরা মন।আমার তো মনেই ছিলোনা যে,
কালকে আমি ঘড়ির ব্যাটারিটা ফেলে দিছিলাম।
তার কারণ প্রতিদিন ঘড়ির গ্যানর গ্যানর শুনতে ভালো লাগেনা।
তাই কালকে গড়ির ব্যাটারিটাকে জানালার বাইরে দিয়ে ফেলে দিছি।
তখনি স্যার বলে উঠলেন,
_তা এতো লেট এর কারণ কি
_স্যরি স্যার কাল থেকে হবেনা
_হুম বসো।ক্লাসের পর আমার সাথে দেখা করবা।

ও আপনাদের এক কথা বলতে ভুলেই গেছি আসলে এই কলেজের প্রিন্সিপার আমার আব্বুর বন্ধু।আর তাঁর মেয়ে হলো ইফা।

কিন্তু তারা প্রথমে অন্যে জেলাই থাকাই স্যারের পরিচয় সমন্দে জানতামনা।
যত দিন দেখে জেনেছি ততোদিন থেকে আমাই আর দেখে কে।
কারণ বাতলিমি করলে স্যার আমাকে না বকে উল্টো বলতো
_এই বয়সে এই সব না করলে আমাদের মতো বুড়ো বয়সে করবে।
তাই এক রকম লাই পেতাম।
আর এই সুযোগে ইফার সাথে বিতলামী করতাম।
তখনি মনে পরে গেলো মেয়েটা গেলো কই।
এদিক দিয়ে স্যার বের হয়ে যাচ্ছেন তাই আমি তার পিছে পিছে গেলাম।
স্যারের রুমে যেয়ে দেখলাম ইফা বসে আছে,

_চাচ্চু থুরি স্যার আসবো(আমি)
_হুম(স্যার)
_তা ডাকার কারণটা জানতে পারি
_কাল থেকে লেট যাতে না হয়।আর তোমার বাবাকে দেখা করতে বলো।
_ঠিক আছে।

কথাটা বলে বাইরে বের হলাম।দেখি ইফা আমার সাথে বের হচ্ছে।
এতোক্ষণ ধরে খেয়াল করিনি মেয়েটা আজ কাজল চোখে দিয়েছে।

যার কারণে তার চোখটা আমার কাছে মায়াবী রুপ ধারণ করেছে।মনে হচ্ছে সেই চোখেতে আজ নিজেকে নিয়ে তলিয়ে যায় চোখের অতল গহ্বরে।

দেখতে দেখতে খেয়ে ফেল্লাম আবার ক্রশ।

তাই এখন আর কী করা আমাদের কলেজের ভিতর গোলাপ ফুল গাছ থাকাই একটা ফুল চুরি করে এনে ইফার সামনে হাটু গেরে বসে বল্লাম,

_বালিকা তোমার ঐ মায়াবীকে চোখকে ভালোবাসি
_ঠাস(কি আর একটা চড় গিফট দিলো)

তাই তার দিকে আরকেটা গাল এগিয়ে দিয়ে বল্লাম

_এই গালটা চুলকাইতেছে এইটাই মারো

কথা বলতে লেইট কিন্তু মারতে নই।তাই আরেকটা চড় খেয়ে আবার দাড়িয়ে গেলাম।

_তুই যদি আমার বাবার বন্ধুর ছেলে না হতি তবে তর খবর নিতাম(ইফা)
_হেহেহে।তুমি যদি বাবার বন্ধুর মেয়ে না হতা তবে হুহুহু
_হুহুহু কি
_ঐ দিকে দেখো
_কি

ঐদিকে তাকাতেই একটা ছোটো খাটো কিসি দিয়ি দিলাম এক দৌড়।দৌড়াতে দৌড়াতে দেখলাম বালিকা রাগে মাথা দিয়ে সিং গজাবার উপক্রম।
যাক বাবা আপনি বাঁচলে বাপের নাম।

বাসায় এসে বসে বসে ভাবছি,বালিকার কাহিনীটা ধরতে পারলামনা।সব সময় আমার সাথে বন্ধুর মতো আচরণ করে কিন্তু ভালোবাসার কথা বল্লে চেতে কেন।

তার সাথে বন্ধুত্ব হওয়ার প্রধান কারণ সে বাবার বন্ধুর মেয়ে তাই বন্ধুত্বটা অতি সহজে লাভ করেছি।
না বালিকাকে একটু বাজিয়ে দেখতে হচ্ছে।

অতঃপর কালজে পৌছে গেলেম।
ঐতো ইফা আসছে।তার আগে একটু বিতলামু করে নেই।
এই মেয়ে শুনোতো,

_হুম বলেন(মেয়েটি।আর এ দিকে ইফা চেয়ে চেয়ে দেখছে)
_তুমি না হেব্বি দেখতে।তোমার গালগুলো গুলুগুলু
_তাই।গুলুগুলু কী(এই তো বালিকা লাইনে আসছে।আর ইফাকে দেখে মনে হচ্ছ জলতেছে)
_আরে গুলুগুলু বুঝোনা।ঠাসস।

কথাটা বলার আগেই ইফা চড় মারলো আর এদিকে মেয়েটি পালিয়েছে।আমি আর কি করা আগের মতো আরেক গাল পেতে দিলাম আর সাথে সাথে আরেকটা চড়।

_তুই একটা লুইচ্চা(ইফা কান্না জড়িত কন্ঠে)
_কেনরে ভিতরে জ্বলতেছে
_ঐ তুই কেরে তর জন্যে আমার জ্বলবে
_ও তাই।

কথাটা বলার আগেই ইফা চলে গেলো।মনে হয় একটু বেশি রেগে গেছে।তার মানে কি ইফা আমাকে ভালোবাসে।না আরেকটু বাজিয়ে দেখেত দেখেত হবে।

দেখতে দেখতে চলে গেলো তিন দিন।ইফা আর কলেজে আসেনা।এই তিন দিনে ইফাকে হাজার খানা কল+মেসেজ দিছি।ফেসবুক পর্যন্ত ছাড়িনি।আর এদিকি আমার অবস্থা খুবই খারাপের দিকে চলে যাচ্ছে।তার হাতের চড় আর ভালোবাসি কথাটা না বলে আমার দিনগুলো কাটছিলোনা।

তাই কি করে মাথাই ডুকলো আইডিয়া আমি আবার একটু আদটু হ্যাকিং শিখছি।সবি শুভ ভাইয়ের দৌলতে।তাই আর কি করা ইফার আইডিটা হ্যাক করতে গিয়ে আমি পুরাই থ…

আরে ভাই থ… হবোনা কেনো।বালিকার পাসওয়ার্ড আর পোষ্ট দেখে হাসবো নাকি কাদবো বুঝতে পারছিনা।
তার পাসওয়ার্ড দেওয়া ‘ইফতি+ইফা’।আর তার বেশির ভাগ পোষ্টগুলা বেশির ভাগ অনলি মি দেওয়া আর সব কটাতেই আমাকে উল্লেখ করা।

তাই মনের ভিতর এক রকম লাড্ডু ফুটতেছে।
এখন বালিকাকে কালকে কলেজে কিভাবে নেওয়া যায় সেটা ভাবতেছি।
তাই আর কি করা আমার বোনকে পটিয়ে ব্যবস্থা করলাম।
অতঃপর পরের দিন কলেজে যেয়ে দেখি ইফা একটি গাছের নিচে বসে আছে।
ইফার কাছে গিয়ে লক্ষ্যে করলাম মেয়েটা আগের থেকে শুকিয়ে গেছে।মুখের মাঝে বিরহের এক ধরণের ছাউনি পরে গেছে আর চোখের নিচে কালো দাগটুকু নজর না কেরে পারলোনা,

_তুই কি আমাই ভালোবাসিস(আমি)

_ঠাস।ঠাস(দুই গালে দুটু চড় পরলো)

তারপর কি আর করা পকেট থেকে ফোনটা বের করে বালিকার আইডিতে লগইন করে বালিকাকে বল্লাম,

_এই গুলো কাকে নিয়ে লিখেছিস।

বালিকা কতক্ষণ ফোনের দিকে চেয়ে থাকলো তারপর হঠাৎ করে আমাকে জড়িয়ে ধরে ফুপিয়ে কাদঁতে কাদঁতে বল্ল,

_তোকে যে আমি এতো ভালোবাসি বুঝিসনা
_বুঝতে কই দিলি তুই তো বারবার না করেছিস
_তোকে আমি কখনো ভালোবাসিনি এই কথা বলেছি।
আসলি তো মেয়েটি কখনো আমাকে ভালোবাসিনি বলেনি।শুধু চড় মেরে গেছে।
_তাহলে চড় দিতি কেনো।
_তোকে চড় দিতাম যাতে তুই আমার পিছে গুরিস।অন্যে কারোর দিকে নজর না দেওয়ার জন্যে
_ওমা তাই
_হুম।তা প্রপোজ কর।
_না এই নিয়ে ৯৯ হইছে।১০০ বার করে ব্যর্থ হলে জাতি আমাকে অসকার দিবো
_আরে করেই দেখনা
_ফুল কোথায় পাবো।
_কেনো তর শ্বশুর মশয়ার কলেজ থেকে চুরি করে।

কি আর করা বালিকার আবদার তো সিরদার্জ।তাই ফুলটা টুপ করে তুলে নিয়ে এসে হাটু গেরে বসে প্রপোজ করলাম’বালিক আমি তোমার চড়ের প্রেমে পরেছি।তুমি কি আমাকে তোমার সেই মূল্যবান চড়খানা দেওয়ার জন্যে সারা জীবনের সঙ্গী করবা’।

অতঃপর বালিকা হাঠাৎ করে আবার দুটা চড় বসিয়ে দিলো।আর ক্যাম্পাসের সবাই আমাকে দেখতেছে।

_চড় দিলি কেন
_চড় দিয়ে না হই বন্ধুত্বটা শেষ করে ভালোবাসায় আবদ্ধ করলাম।

অতঃপর বালিকা আমার বোকের মাঝে লুকিয়ে পরলো।
অবশেষে আমি ইহাকে পাইলাম।

_পাগলি একটা
_তোমার পাগলি(আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরে)

আরে পাঠক ভাইয়ারে/বোনেরা আর কি দেখছেন।পারলে তাড়াতাড়ি বিদায় নেন না হলে আবার চড় পরতে পারে।

গল্পের বিষয়:
রোমান্টিক
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত