চোখ ভিজে আসলো লামিসের!

চোখ ভিজে আসলো লামিসের!

রিসিভ কর না , খালি ভয়েস টা একবার শুনমু… ” আমারে আর ফোন দিবিনা তুই , খবরদার না , একদম না ! ” একবার , দুইবার , তিনবার……ষাটবার…তারপর থেমে যায় লামিস , আর দেয়না ফোন । কেনো দেবে ? কতক্ষণ সহ্য করা যায় উপেক্ষা ?? লামিসটা একটু পাগলা টাইপ । একদম আজাইরা !!

দিনে সত্তর বার সে সত্তর জনের প্রেমে পড়ে , নিজেই বলেছে এই কথা । কোনটা যে তার আসল প্রেম আর কোনটা আসল না , কখনোই নিমু বুঝতে পারেনি । পারবে কেমন করে ?

নিমুরই বান্ধবী অনিত্রাকে যখন লামিস ভালোবেসেছিলো , সবার প্রথমে কিন্তু নিমুকেই বলেছিলো । নিমুকেও বোঝা মুশকিল । সে নিজেই নিজেকে বুঝতে পারেনা , অন্যেরা পারবে কীভাবে ? আর দশটা মেয়ের মতো নয় সে । বিশ্ববিদ্যালয়ের চৌকাঠ মাড়িয়ে নিয়েছে ঠিকই কিন্তু বাচ্চা ভাবটা কাটিয়ে উঠতে পারেনি , ম্যাচিউরড ভাবটা আনতে পারেনি আচার-আচরণে । নিজস্ব অনুভূতি, ভালো লাগা , খারাপ লাগা , রাগ , অভিমান, ভালোবাসা…এই ব্যাপারগুলোকে নিমু ব্যক্তিগত সম্পত্তি মনে করতো, এগুলো যেনো তার কাছে লুকিয়ে রাখার বিষয় , প্রকাশ করবার নয় । খুব অন্তর্মুখী স্বভাবের মেয়ে নিমু , লামিস একদম উলটো প্রকৃতির ।

নিমু আগ বাড়িয়ে মিশতে যায়নি লামিসের সাথে , লামিসই এসেছিলো বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে , এসেছিলো খুব ভালো একজন বন্ধু হয়ে । নিমুও মিশে গিয়েছিলো , একেবারে একে একে দুই হয়ে ! ভেবেছিলো , বিশ্ববিদ্যালয়ের দিনগুলো ভালোই যাবে , লামিসের মতো একটা বন্ধু আছে যে পাশে ! ” লামিস ! লামিস ! লামিস ! তুই খুব ভালো রে , খুব ভালো তুই !”

– মনে মনে এরকমটাই ভাবতো নিমু । স্বভাবসুলভ ভাবেই হাসতে হাসতে নিমু নিজের সব কথা ভাগাভাগি করে নিয়েছিলো লামিসের সাথে । না , না , অন্য কিছু নয় , বন্ধু হিসেবেই । আর লামিস হতচ্ছাড়াটা কী করলো ?? বোকা মেয়েটার বোকামির সুযোগ নিয়ে তাকে ভালোবেসে ফেললো ! আজব ! ও ভালোবাসার কথা বোঝানোর চেষ্টা করলো নিমুকে , এভাবে-ওভাবে-নানা ভাবে !

নিমু বুঝেনি প্রথমে , কীভাবে বুঝবে ? ঐ যে বলেছিলাম অনিত্রার কথা , হুম…এজন্যই বুঝতে পারেনি নিমু । নিমু কখনোই ভাবেনি লামিস এভাবে ভালোবেসে ফেলবে নিমুকে । বেচারী নিমু বিপাকে পড়ে গেলো লামিসের অনুভূতিগুলোকে নিয়ে , ভালোবাসা বিষয়টা ওর সহজে আসেনা , কেনো আসেনা কে জানে ! নিমু এই লামিসকে চায়নি , চেয়েছিলো একজন খুব কাছের বন্ধু , নিমুকে ভালোবেসে ফেলার আগে লামিস যেরকমটা ছিলো ঠিক সেইরকম একজনকে । বন্ধু লামিসকে হারাতে চায়না সে । ”লামিস অসভ্যটার কী দরকার ছিলো ভালোবাসার কথাটা প্রকাশ করার ? না করলে হতো না ??

এখন হয়তো বন্ধুত্বটাই শেষ করে দেবে এই ফাজিলটা !” রাজ্যের চিন্তা-ভাবনা তাড়া করে বেড়ায় নিমুকে ! লামিসকে বিশ্বাস করতে ইচ্ছে হতো নিমুর , কিন্তু কোথায় যেনো আটকে যেতো । লামিসকে কী বিশ্বাস করা যায় ? ওর ভালোবাসাটা কি আসলেই ভালোবাসা? নাকি মোহ ? মোহটা যদি কেটে যায় ?? শেষ পর্যন্ত নিমুর সাথে যদি না থাকে ও ?? কাল যদি আরেক নিমুকে মন দিয়ে বসে ?? নাহ্ , আর ভাবতে পারেনা নিমু !

এই ভয়গুলো প্রতিনিয়ত তাড়িয়ে বেড়াতো নিমুকে । একারণেই হয়তো নিমুর রিক্ত-সিক্ত মনে কচি সবুজ ভালোবাসার পাতা গজাতে শুরু করেও মরে যেতো বারবার । দ্বিধা আর দোটানার মধ্যে এভাবেই চলতে থাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের প্রথম বর্ষের দিনগুলো । বাচ্চা নিমুর আনন্দগুলো কেউ যেনো শুষে নিচ্ছিলো , নিমুর দমে থাকা মন-চিন্তা-ভাবনা সব কিছুকে গ্রাস করে ফেলছিলো কেউ , কে সে ? লামিস নয়তো ?

নিজেকে বড় অসহায় লাগছিলো নিমুর । সমস্যাটা আরো গভীর হতে শুরু করলো তখনি , যখন লামিস অযথা জ্বালানো শুরু করলো নিমুকে । নিমুর দিকে অযথা সন্দেহের আঙ্গুল তুলতো সে , অন্য কারো সাথে নিমুকে সহ্যই করতে পারতো না , জ্বলে যেতো একদম , দুনিয়ার সবার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিতে চাইতো নিমুকে ! আচ্ছা লামিস আসলেই কি ভালোবাসত ওকে ??

সত্যিই ভালোবাসলে বিশ্বাস করতে পারত না কেনো ?? ওভাবে কষ্ট দিত কেনো ?? সন্দেহ আর অবিশ্বাসের তীর যখন লামিস বারবার বিঁধিয়ে দিচ্ছিলো ওর বুকে একের পর এক , নীরবে অশ্রু ঝরাতো মেয়েটা । মুঠোফোনের ওপাশ থেকে কিছুই কি টের পেতোনা লামিস ?? একরাশ কষ্ট উপহার দেবার পর লামিস যখন বারবার অনুরোধ করতো নিমুকে , ”প্লীজ নিমু , রিসিভ কর না ফোন , রিসিভ করলে কী হয় ? একবার শুধু ভয়েসটা শুনতে মন চাইতেছে , প্লীজ ”…. খুব খারাপ লাগতো তখন নিমুর , খুব , খুব কষ্ট হতো । কিন্তু বুঝতে দেয়নি লামিসকে একবারের জন্যেও । করেছে উপেক্ষা……” আমারে আর ফোন দিবিনা তুই , খবরদার না , একদম না ! ” নিমু হয়তো ভালোবাসতে চেয়েছিলো লামিসকে , উজাড় করে ভালোবাসতে চেয়েছিলো ।

লামিসের একের পর এক ওলোটপালট ব্যবহারই বাধ্য করতো নিমুকে পিছিয়ে যেতে । এরপর ? এরপর , ধীরে ধীরে নিমু নিজেকে গুঁটিয়ে নিতে শুরু করল । লামিসকে দেখলে ওর মন চাইতো ডেকে কথা বলতে , কিন্তু ডাকতো না । লামিস নিজ থেকে কথা বলতে আসলেও ফিরিয়ে দিত ওকে । আরেকদিনের কথা, -কাউকে ভালোবেসে যদি তাকে নিয়ে ঘরই না বাঁধতে পারলি তো ভালোবেসে লাভটা হলো কি হুম ?? -ক্যান ? পারমু না ক্যান ! চল নিমু , বিয়া টা কইরা ফালাই ! -এহ! হাহ! যা যা !

-কই যামু ?? সুখে রাখমু তোরে , আমার কাছে দুই টাকা থাকলে , দুই টাকার মধ্যেই সবচাইতে ভালো জিনিসটা কিইন্যা দিমু !

-তোর অনিত্রা কি মরছে ?? ওর কাছে যা ! ওরে দুই টাকা দেগা যাহ ! -ও বাদ !

-মনটা স্থির করতে পারিস না তুই ? এতো কনফিউজড কেনো ? আজ একে , কাল ওকে , কেনো ? একজনকে চাইতে পারিস না তুই ?? উঠে চলে যায় নিমু । করিডোর ধরে হেঁটে যাবার সময় নিমুর সাথে সাথে ছুটে আসতো লামিস , বলতো – তোর সমস্যা কী ?? অ্যাভয়েড করস ক্যান আমারে ?? নিমুর উত্তর জানা নেই , সে বলতো – আমার কোনোই সমস্যা নাই , আমি নিজেই একটা সমস্যা ! যা তুই !

লামিস মন খারাপ করে চলে যাবার পর নিমু হাসলো মনে মনে- পাগলা ! আগেতো খেয়াল করি নাই তোর একটা দাঁত একটু ফাঁকা ! হাহাহা , খারাপ নাহ , ভালোই লাগে । একদিন হঠাৎ খুব করে বকে দেওয়ার পর থেকে লামিস আর আসেনা নিমুর কাছে । বিরক্ত করেনা । কেমন কেমন যেন লাগে নিমুর । পাগলাটা জ্বালাইলেও ভাল্লাগেনা , না জ্বালাইলেও ভাল্লাগেনা ! ধুর ! এভাবে চলতে থাকে দিনগুলো । লেভেল-১, টার্ম-১ এর রেসাল্টের পালা । নিজের জিপিএ দেখার আগে লামিসেরটা দেখলো নিমু , নাহ! পড়ায় একদম মন নাই ছেলেটার ! নিমুর রেসাল্ট অবশ্য আশানুরূপই হয়েছে । লামিসের সাথে কথা হয়না অনেকদিন ।

নিমুর জন্মদিন চলে এলো , ভেবেছিল লামিস হয়তো উইশ করবে , কিন্তু না । বড় অভিমানী লামিসটা । একদিন নিজেই ফোন দিয়ে বসলো লামিসকে ।

-কি ব্যাপার ? হঠাৎ ফোন দিলা ?

-কেনো দেয়া যাবেনা ?

-না , তা না । আমি কল দিলে তো খুব বিরক্ত হইতা ।

-ও , আচ্ছা রাখি ।

-ঐ শালী ! ঐ ঐ ঐ ! রাখিস না ! ওপাশে চুপ করে নিমু ।

-কি হইলো কথা কস না ক্যা ?? কথা ক ! -কিছু নাই বলার , তুই বল ।

-স্যরি , আর বিরক্ত করমু না তোরে , বকমু না , ধমকামুও না । স্যরি । আয় আবার ফ্রেন্ড হইয়া যাই ।

-হুম…??

-হুম হুম করবি না শালী !

-ধমক দিলি আবার ?? -ওহ ভুল হইয়া গেছে । ফ্রেন্ড ?

-ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যাটেরিয়ালসে মার্ক এতো কম ক্যান । কালকে আসিস , বুঝায়ে দিবোনে ।

-কি ???? আরে বাবা ! আমার মার্কস ও দেখো তুমি ?? এতো খেয়াল রাখো ??

-ফোন রাখলাম । কেটে যায় লাইন টা । এদিকে লামিস খুশি , ওদিকে নিমুও , অনেক খুশি । পরদিন । ক্যাম্পাসের শহীদ মিনারটায় বসে নিমু । হঠাৎ দূর থেকে- -কি ?? এইখানে বসছো ক্যান ?? যার্গ খাওয়ার শখ হইছে খুব ?? বড় ভাইদের ডাকমু ??

-ও তুই ?? ডাক তোর ভাইরে !

-নাহ । বকা দিবো দেখলে , ওঠ , চল । -আমারে বকলে তোর কি ??

-আমার অনেক কিছু , এতো দিনেই বুঝোনাই , আর বুঝবাও কিনা মাবূদ জানে ! চল্ শালী !

-লামিস !! থাপ্পড় খাবি বদ!

-চল ! দুজন হেঁটে যাচ্ছে পাশাপাশি , অনেকদিন পর । চুপচাপ হেঁটে যাচ্ছে ।

-নিমু আমারে আনব্লক কর প্লিজ , তুই ছাড়া ভাল্লাগেনা ফেবু ।

-এতো ভালো লাগার দরকার নাই ।

-প্লিজ নিমু , এমন করস ক্যান ??

-চলে যাইতেছি , পরে দেখা হবে । সেদিন সন্ধাবেলা , লামিস তার আইডিতে লগিন করতেই নিউজ ফিডে দেখতে পেলো নিমুর স্ট্যাটাস- ”কিতনা কুছ কেহনা হ্যায় ফির ভি হ্যায় দিলমে সাওয়াল কাহি ছাপ্নো মে যো রোজ কাহা হ্যায় ও ফিরছে কাহু ইয়া নেহি ?”

লামিস ভেবে ভেবে দিশেহারা , এই স্ট্যাটাসের মানে কি ?! সেদিন থেকেই তাদের সামার ভ্যাকেশন শুরু হয়ে যাওয়ায় আর নিমুকে সামনাসামনি কিছু বলার সুযোগ পেলোনা লামিস ।

-ফোনও রিসিভ করেনা , চ্যাটে আসেনা , ম্যাসেজ রিপ্লাই করেনা , কি হইলো আবার নিমুর ?? ধুর!! আবার নিমুর স্ট্যাটাস- “লস্ট এন্ড লনলি কজ ইউ আর দা অনলি ওয়ান দ্যাট নোজ মি এন্ড আই ক্যান্ট বি উইদাউট ইউ”

-কি হছে নিমু তোর ?? এগুলা কি স্ট্যাটাস দ্যাছ !!? উত্তর নেই নিমুর । নিরুপায় হয়ে অস্থির হয়ে লামিসও স্ট্যাটাস আপডেট করে- ”যদি অজানা মনে খোঁজো আমায় , তাকাবেনা , তবু চোখ চলে যায় আমার পানে , যদি সুখের ছবি আঁকতে গিয়ে না চাইতেই পাও আমাকে অজান্তে , তবে ভাবো আবার , আর একবার , ভালোবাসো কি না আমাকে ?” স্ট্যাটাসটা দেখে চোখ ভরে জল এল নিমুর , চিৎকার করে ওর বলতে ইচ্ছে হল

– হ্যাঁ ! হ্যাঁ ! তোকেই ভালোবাসি , তোকেই আমি ভালোবাসি…। কিন্তু বললোনা । সেদিনের পর আবার যোগাযোগ বন্ধ দুজনের । ভ্যাকেশনটা এবার এত লম্বা মনে হচ্ছে কেন লামিসের ?? নিমুকে ছাড়া প্রতিটা দিন অসহ্য লাগছে তার ! অবশেষে ক্লাস শুরু হলো । নিমু আসেনি । ছুটির পর দেখা গেল গেটে দাঁড়িয়ে সে । লামিস ছুটে গেলো ওর কাছে ।

-কিরে কি হইছে তোর , খোঁজ খবর নাই , শরীর ভালো ?? কথা কস না ক্যান ??

-সব ভালো , চল আমার সাথে ।

-কই ? -আমার বিয়া হারামি ! তোরে সাক্ষী বানামু ! চল!

-নিমু কি হইছে তোর ?? -তুই যাবি ?? নাকি আমি বাসায় ফিরা যাবো ??!

-আচ্ছা আচ্ছা চল । দুজনে হেঁটে যাছে , নিমু কিছু বলছেনা , লামিসের টেনশন হচ্ছে খুব ।

-কিছু তো বল নিমু ?

-অনিত্রার সাথে নাকি তোর রিলেশন চলে ?

-এই কথা কে কইছে তোরে ??

-আচ্ছা তাইলে ঘটনা সত্য ? কংগ্রেচুলেশান ।

-নিমু ! এরকম কিছুই না ! কছম নিমু ! বিলিভ মি !

-এরকম কিছু না ? তাইলে কিরকম শুনি ?

-আমি কেমনে বুঝামু তোরে ?? আই লাভ ইউ নিমু ! আই লাভ ইউ ! তুই আমার লাইফে আসার পর আর কোনো মেয়ের কথা একবারের জন্যও মনে আনি নাই !

-সবার সাথে ফ্লার্ট করতি ক্যান তাইলে ? আমি কিছু বুঝিনা না ?? কি ? মাথা নীচে ক্যান ? কথার জবাব দাও এখন! চোখ ভিজে আসলো লামিসের , মাথা নীচু করেই হাঁটু গেড়ে বসলো মাটিতে,

-আমি জানি , তোমারে অনেক কষ্ট দিছি , বার বার তুমি আমারে মাফ কইরা দিছো । আমি স্যরি । আমার লাইফটা তুমি ছাড়া ইনকমপ্লিট , প্লিজ আমারে একটা বার ভালোবাইসা দ্যাখো , কথা দিলাম- আর কষ্ট দিমুনা , ভালো হইয়া যামু , তুমি যেমন বলবা ঠিক তেমন ।

-লজ্জা করেনা তোর ?? রাস্তার মধ্যে কাঁদে কেমনে মানুষ ?! ওঠ ! চোখ মুছে উঠে দাঁড়ালো লামিস ।

-আর কিছু বলবি না লামিস ? -বলতে বলতে আমি ক্লান্ত , আজকে শুনতে চাই । নিমু লামিসের হাত দুটো নিজের হাতে চেপে ধরে বললো -শুধু একটা বার তোর বন্ধনে আবদ্ধ করে নে আমায় , এরপর তোকে দেবো জনম জনম ভালোবাসার শাস্তি । প্রতিদিন একটা ছোট লাল টিপ দিবি আমায় , দুই টাকার টা দিলেও চলবে । লামিসের জলে ভেজা চোখ দুটো চকচক করে উঠলো , এতো শান্তি সে জীবনে পায়নি । হঠাৎ অঝরে বৃষ্টি শুরু হলো , নিমুর চোখের জলটুকু ধুঁয়ে দিলো । নাহ , আর কাঁদতে চায়না সে , অতীতকে ভুলে গিয়ে এখন শুধুই সামনে এগিয়ে চলা , লামিসকে নিয়ে এগিয়ে চলা ।

-টিপ দিমু , যা চাইবি তাই দিমু , নিমু , চল বিয়া টা কইরাই ফালাই !

-মাইর খাবি বদ ! চল ! এভাবে, হতে হতে না হওয়া একটা ভালোবাসার গল্প হয়েই গেলো শেষমেষ, নিমুর জন্য লামিস আর লামিসের জন্য নিমু ।

গল্পের বিষয়:
রোমান্টিক
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত