ফেরিওয়ালা মায়ের জীবন

ফেরিওয়ালা মায়ের জীবন

.
১৬কোটি মানুষের বসবাস এই স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।নানা বর্ণ, গোত্র ও গোষ্ঠীর মানুষ আছে, এই ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে,আছে শ্রমজীবী, কৃষিজীবী, দিন মজুর, চাকরিজীবী ও স্বাধীন ব্যবসায় শ্রেনীর মানুষ।
উল্লেখ্য প্রতিটা পেশার ই একটা নির্দিষ্ট নাম আছে, পদ আছে,আছে পেশাগত সম্মান। কিন্তূ এই বাংলাদেশে এমন পেশাজীবী শ্রেনীর মানুষ ও আছে,যাদের পেশার নির্দষ্ট নাম নেই,পদ নেই , আর নেই কোন সম্মান।
অঞ্চলভেদে তাদেরকে বিভিন্ন নামে ডাকা হয়। তেমনি এক পেশাজীবী সম্প্রদায় হলো ফেরিওয়ালা।বাংলাদেশে দেখা যায় এক বিশেষ গোষ্ঠীর নারীরা এই পেশায় যুক্ত।বাড়ি বাড়ি এরা ফেরি করে বেড়ায়।
.
আমি রুবি দাস। মধ্যবিত্ত পরিবারে আমার বেড়ে ওঠা। অভাব অনটন বা চরম দারিদ্র কোনোটার শিকার ই আমি হইনি।
আমাকে এখন পর্যন্ত জীবিকার তাগিদে কাজে যেতে হয়নি।
আমি জানি না বাহিরের পৃথিবীটা কত কঠিন।
.
কিন্তূ আমি দেখেছি, আমার বয়সী কিশোরীরা মাথায় ঝুপড়ি বয়ে বেড়ায় দিনের পর দিন। ঐ ঝুপড়িতে থাকে আমাদের মেয়েদের সাজ গোজের নানা সামগ্রী,থাকে গৃহস্থালি বাসন কোসন। যে বয়সে আমি স্কুলে যেতাম তখন দেখি ঐ ফেরিওয়ালা মেয়েগুলা, হাটে বাজারে, গ্রাম্য মেলায়,, তাছাড়া সারাবছর বাড়ি বাড়ি ফেরি করে বেড়ায়। আর যখন আমি কলেজে উঠি, মাত্র নিজের ইউনিফর্ম নিজে গুছাতে শিখি, তখন মা চুলায় ভাত বসালে আমি ভাতের ফেনা টা পর্যন্ত ছাড়াতে শিখিনি, তখন আমার বয়সী ফেরিওয়ালা মেয়েরা, কোলে বাচ্চা নিয়ে, আর মাথায় সেইই চিরাচরিত ঝুপড়ি নিয়ে ফেরি করতে ব্যস্ত।
যেখানে একজন গৃহিনী মা, দিনে সারাদিন গৃহের কাজ করে, কিন্তূ একজন ফেরিওয়ালা পেশাজীবীর গৃহিনী নিজের গৃহ কর্মের পাশাপাশি, দূর দূরান্তে ফেরি করে বেড়ায়।যেখানে একজন চাকরিজীবী মহিলার কর্মস্থল নির্দিষ্ট থাকে, নির্দিষ্ট থাকে সময় টাও।
নির্দিষ্ট স্থানে, দিনের নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত তাদের কাজ চলে।তেমনি একজন দিন মজুর মায়ের ও কাজের একটা নির্দিষ্ট স্থান ও সময় আছে।তাদের শ্রমের ন্যায্য পারিশ্রমিক ও নির্ধারিত থাকে।
সরকার কর্তৃক বা ব্যক্তি মালিকানা কর্তৃক তাদের কাজের অধিকার ও সকল সুবিধা রক্ষিত হয়।একজন চাকরিজীবী ও একজন দিন মজুর মহিলা, বিভিন্ন উৎসবে কার্য বিরতি, পাশাপাশি উৎসব ভাতা ও পেয়ে থাকে।যেমন:ঈদ পূজায় তারা বিশেষ ভাতা পেয়ে থাকে,পেয়ে থাকে কর্ম বিরতি।একজন চাকরিজিবী মহিলা নিজের ইচ্ছে মত কর্ম বিরতি নিতে পারে।এমন কি তাদের বিশেষ অবস্থায় সরকার কর্তৃক ছুটি বরাদ্দ থাকে।যেমন: যেকোন চাকরিক্ষেত্রে মেয়েদেরক কে তাদের গর্ভকালীন সময়ে ছয় মাস ছুটি দেয়া হয়।একজন শ্রমজীবী মা ও মালিক কর্তৃক ছুটি পেয়ে থাকে।
কিন্তূ একজন ফেরিওয়ালা মাকে আমি কোন দিন দেখিনি তার কর্ম বিরতি পেতে। সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের ন্যায় চিরন্তন তার পথ চলা।
একদিন ঘরে বসে থাকতে দেখিনি।কারন ঘরে বসে থাকলে তার পরিবারে অন্ন জুটবে না।তার কর্মে নির্দিষ্ট কোনো ছুটি নেই। ঈদ পূজায় তাদের কোনো ছুটি মিলে না।কারন তাদের জন্য নেই কোনো উৎসব ভাতা। বরং উৎসবে তাদের ভাগ্যদেবী প্রসন্ন হয়। বহুলোকের সমাগম হয় উৎসবে প্রাঙ্গনে।আমি দেখেছি তখন তারা তাদের ঝুপড়িতে নানা ধরনের জিনিস নিয়ে বসে থাকে।আমি দেখেছি গ্রাম্য যখন আমরা হই হুল্লোর এ মেতে থাকি,নাগড় দোলায় চড়ি,নানা সৌখিন জিনিসপত্র কিনি তখন আমার মত ফেরিওয়ালা কিশোরীরা তার জিনিস পত্র বিক্রি করতে খদ্দেরের সাথে দাম কষাকষি করছে।
রোদ বৃষ্টি ঝড়ে কিংবা বিশেষ অবস্থাতেও তাদের জন্য ছুটি নেই।
মার্তৃত্বকালীন সময়ে ও মাথা থেকে তাদের ঝুপড়ি টা নামতে দেখিনি।সারা বছরের মতই অত্যন্ত স্বাভাবিক ভাবে দিনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত চলে তাদের নগর পরিক্রমা।
জীব কুলের মধ্যে পরিশ্রমী জীব বলতে আমরা পিঁপড়া কে জানি যে নিজের চাইতে দশগুন বেশি ওজন বইতে পারে।
কিন্তূ মনুষ্যকুলের মধ্যে কে বেশি পরিশ্রমী, কেউ যদি আমাকে এ প্রশ্ন করে তবে, আমি নি:সন্দেহে বলবো,ঐ বিশেষ শ্রেনীর মা জাতিকে , যাদের কে গৃহ আর বহির্বিশ্বের সাথে আজীবন লড়াই করে যেতে হচ্ছে।আমি ঐ মাকে দেখে আশ্চর্য হইই, যে কিনা দেহের ভিতর এক সন্তানের লালন করছে,আবার অন্যসব সন্তানের মুখে এক মুঠো অন্ন জোটানোর জন্য এপাড়া ওপাড়া ফেরি করে বেড়াচ্ছে।
কিন্তূ এই সমাজ সমাজের মানুষগুলো ঐ মা’দেরকে সম্মানের চোখে দেখে না।
বরং তাদের পেশাকে ছোট করে দেখে।এমনকি দেই না তাদের ন্যায্য পারিশ্রমিক। আমরা তাদের সাথে দাম কষাকষি করি, দুই টাকার জিনিস এক টাকায় কিনতে চাই।
.
.
যেখানে আমরা কোনো শপিং মলে পাঁচ টাকার জিনিস দশ টাকায় কিনি তখন হিসাব করি,ঐ দোকান কর্তার, দোকান ভাড়া, বিলাসবহুল ডেকোরেশন,ডিজিটাল লাইট, এর মূল্য বিবেচনা করি।বাজারের এমন একটা জায়গায় দোকান, দোকান রুম টাও ওয়েল ফার্নিশেড, তাই ত পাঁচ টাকার জিনিস দশ টাকা রাখা হয়। ঠিক আছে মূল্য, আমি ঠকে যাইনি।
.কিন্তূ একজন ফেরিওয়ালা মায়ের প্রতি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি ভিন্ন।তারা যখন আমাদের দরজায় আসে,তখন পাঁচ টা জিনিস হাতে নিয়ে নড়া চড়া করে দেখি, নিজের খেয়াল খুশিমত দাম দর করে থাকি।তারপর অত্যন্ত কম মূল্যে একটা জিনিস রাখি।আমরা তখন এটা বিচার করে দেখি না।
.
একজন ফেরিওয়ালা মা দিনের শুরুতেই গৃহের কাজ শেষ করে,গন্তব্যহীন যাত্রায় পা বাড়ায়।মালামাল বিক্রির জন্য, দিনের অন্নসংস্থানের জন্য, কারন ঘরে যে অপেক্ষায় আছে সেই মায়ের ছোট ছোট বাচ্চাগুলি, একমুঠো অন্নের আশায়।তাই তাদের গন্তব্য অনির্দিষ্ট থাকে,তারা জানে না ঠিক কোথায় গেলে তার জিনিসগুলি বিক্রি হবে, দু’টা পয়সা হবে, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই।তবুও তার পা’যুগল থেমে থাকে না, ইট বালু জল বা কাঁদা রাস্তা অতিক্রম করে ঝুপড়িটা বয়ে বেড়ায়, গ্রামে গ্রামে এপাড়া ওপাড়া।
.
তাদের লাঞ্চ পিরিয়ড থাকে না,কেউ হয়ত খাবার নিয়ে আসে সাথে,।কোনো এক জায়গায় সেটা হোক হাওড় বা বন্দর সেখানে বসেই খেতে হয়।আবার কেউ কেউ খাবার ও নিয়ে আসে না, চিড়া মুড়ি বিস্কুট জাতীয় খাবার খেয়ে দিন পাড় করে দেয়। আবার কখনো জিনিসের মূল্যে খাবার চেয়ে খায় লোকের বাড়িতে।
বাসি পান্তা খুদ খুড়ো যার যা ইচ্ছে হয় দেয়।
আমি দেখেছি, আমাদের পৌষ সংক্রান্তিতে ঐ ফেরিওয়ালা মা’রা আসে।তখন তারা তাদের জিনিসের মূল্যে চিড়ামুড়ি পিঠা চেয়ে খায়।অর্ধেক নিজে খায়, আর বাকি অর্ধেক ছেলে মেয়ের জন্য রেখে দেয়।
.
আমরা কখনোই তাদের শ্রমের মূল্য অনুভব করতে পারি না, আর পারি না তাদের ঘামে ভেজা সেই জিনিস গুলির ন্যায্য মূল্য নির্ধারন করতে।
.
আমরা একটা রঙচঙ্গা শপিং মলের জিনিসের দাম ও স্থায়িত্ব বুঝতে পারি।
একজন ফেরিওয়ালা মায়ের পা ফেটা ঝরে পড়া রক্তের দাগ টা দেখতে পাই না।
মায়ের গর্ভে থাকা সেই ভ্রুনের আহাজারি শুনতে পাই না। দিনের পর দিন একজন ফেরিওয়ালা মা এর চামড়া কিভাবে সূর্যের প্রচন্ড তাপদাহে ঝলসে যায়, সে ঝলসে যাওয়া ত্বকের যন্ত্রনা বুঝতে আমরা অক্ষম।তাই তাদের শ্রম কে টাকায় কেনা আমাদের সাধ্যের বাহিরে।যত টাকা পয়সা ই হোক না কেন,একজন ফেরিওয়ালা মায়ের যোগ্য পারিশ্রমিক দেয়ার সামর্থ্য আমাদের নেই।
তাদের শ্রমকে সম্মান করতে শিখা উচিত আমাদের।
বিলাস বহুল জীবন আমাদের আষ্ঠেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে।মিথ্যে সভ্যতার লেবাস লাগানো আমাদের গায়ে। মানসিক ভাবে বর্ব রতা আমাদের গ্রাস করে নিয়েছে অনেক আগে।মিথ্যে সভ্যতার অহংকার নিয়ে বেঁচে আছি আমরা।
.
তাদের কষ্ট আন্দাজ করার ক্ষমতাও আমাদের নেই।তার জন্য তাদের মত একটা জীবন দরকার। তাদের বয়সী কোন এক কিশোরী আমাদের এই সভ্য সমাজ ছেড়ে একদিন তাদের জীবন টা উপভোগ করে দেখো, একটা ঝুপড়ি মাথায় পাঁচ কেজি ওজন সমান মালামাল নিয়ে সারাদিন একটা গ্রাম ঘুরে দেখাও, পারবে কোনো ভদ্র ঘরের কিশোরী এই পরিশ্রম টা স্বীকার করতে।
নাহ!
পারবে না।
আমাদের ভাগ্যে এইগুলা লিখা নেই। তাই এতটা কষ্ট আমরা সহ্য করতে পারবো না।
তারা কিন্তূ ঠিক পারে।পাঁচ কেজির ও অধিক ওজন বয়ে বেড়ায় বছর ভর।
.
.
আমরা যখন যুগ পরিবর্তনের হাওয়া গাঁ ভাসিয়ে চলি,তথাকথিত স্মার্টফোন সঙ্গীকে নিয়ে ভার্চুয়াল জগতে সাঁতড়ে বেড়াই তখন ঐ কিশোরীরা পাড়ায় পাড়ায় লেস ফিতার দাম করে বেড়ায়।আমরা সভ্য সমাজের মানুষ গুলি তখন তাদের প্রাত্যহিক জীবন চিত্রকে কেউ কেউ ক্যামেরা বন্দী করি,মিথ্যে মানবতার বুলি আওরাই,তাদের ছবির পাশে লাইক কমেন্ট ভিক্ষা করে বেড়াই।কারন এটাই আমাদের জীবন।মুঠোফোনে,একটা সফটওয়ারে, লাইক বাটনে কয়টা চাপ পড়লেই আমরা মনে করি আমি ত খুব পপুলার হয়ে গেছি।আমার টাইম লাইনে, পাঁচ হাজার টা লাইক পড়ছে…
আহা”!!!
পা ফেলার জায়গা পাই না।।
ফেইসবুকে জগতে আলোড়ন সৃষ্টি করি তাহসান মিথিলার ডিভোর্স, শাকিব অপুর বিয়েকে কেন্দ্র করে।
আর প্রহসন করি ঐ ফেরিওয়ালা মা,বোন দের কে নিয়ে।
আমাদের বিবেক বিধবংস,মানসিক ভাবে পঙ্গু আমরা,তাই নাটক সিরিয়ালের জীবন কাহিনী বড় ছেলের একটা বুয়া প্রদর্শনীতে পুরুষ জাতি কেঁদে কেঁদে অনলাইন জগৎ টাকে ভাসিয়ে দিছে….
কাঁদেনি কোন দিন ঐ ফেরিওয়ালা মায়ের জন্য কিশোরী বোনের জন্য,কারন ঐ মায়ের জীবন সংগ্রাম ক্যামেরা বন্দী হয়নি। সোডিয়াম লাইটে ঝলমল করে ভেসে উঠেনা তাদের প্রতিটা অশ্রুবিন্দু। তারা কোনো মেঘা সিরিয়ালের চরিত্র নয়। বাস্তব জীবনের লড়াকু প্রানীকুল এরা।
কৃত্রিম সব প্রসাধনী মেখে গায়ের চামড়া কালো করতে হয় না এদের। গ্রীষ্মের প্রচন্ড তাপ দাহ সূর্যের অতি বেগুনী রশ্মী সহ্যকারী চামড়া ভেদ করে রন্ধ্রে রন্ধ্রে পৌছে গেছে কালোত্ব,
জ্বলে পুড়ে ছাই হওয়া দেহটা থেকে বেরিয়ে আসে উটকো ঘামের গন্ধ। আমরা ভুলে ও তাদের পাশ কেটে গেলে শ্বাস বন্ধ করে রাখি।তাদের দেখামাত্র ক নাক সিটকাই।
.
ফেরিওয়ালা ঘরের কিশোরীকে ভদ্র ঘরের কোন ছেলে ভালবাস তে আসে না কোন দিন। যদি ভাল বাসতো তবে ভবিষ্যতে এত এত ফেরিওয়ালা মায়ের জন্ম হতো না।
আসলে ওদের ভাগ্য টাই এমন,মায়ের গর্ভ থেকেই পরিশ্রমী হওয়ার শিক্ষাটা পেয়ে আসে।আমৃত্যু চলতে থাকে তাদের কঠিন যাত্রা।
মাঝ পথে কেউ কখনো বলে নি আজ থেকে তুমি আর ফেরি করবে না।শুধু আমাদের বাচ্চার খেয়াল রাখবা।

কেউ এতটা প্রশ্বস্তি দেয় নি,এক্টাফেরিওয়ালা কিশোরী বোন কে।
বরং পায়ের উপর পা তুলে পরজীবির মত জীবন কাটিয়ে দেয় নপুংসক পুরুষ জাতি।
পরজীবীর মতই রক্ত শুষে শুষে খায় এরা।কিশোরীর স্বপ্ন ঘাম শুষে শূষে নিজের জীবন অতিবাহিত করে।
.
ব্যক্তি পর্যায় থেকে সরকার পর্যায় কারো দৃষ্টিতে পড়ে না ঐ কিশোরী আর মায়েদের শ্রমিক জীবন।
.
আমাদের সরকার ব্যবস্থায় দেখা যায় কত ধরনের কৌটা প্রথা।।আর নানাবিধ সুযোগ সুবিধা, ত আছেই চাকরিজীবী কৌটা প্রতিবন্ধী, উপজাি, মুক্তিযোদ্ধা, আর কত ধরনের কৌটা রয়েছে।

এই দেশের সরকার এতটাই উন্নয়ন মুখী আর সচেতন হয়েছে যে,এই দেশে চৌর্য্য বৃত্তি হ্রাস কল্পে, চোর সম্প্রদায়কে, এমপি মন্ত্রীর অধীনে তাদের কে বিশেষ ভাতা তথা কর্ম
সংস্থান করে দেয়।
.
চোরকেও এই দেশ এই সমাজ ভাল হওয়ার সুযোগ দিয়ে থাকে।
.
কিন্তূ এই দেশে একজন ফেরিওয়ালা মায়ের শ্রম আদৌ ঘুচবে কি না যথেষ্ট সন্দেহ আছে।
.
আমাদের মানসিক বিকারগ্রস্ততা থেকে মুক্তি কি কোনোদিন মিলবে?
আমার বাবা একজন মুক্তিযোদ্ধা,, আমার মনে প্রশ্ন এ কেমন মুক্তির লড়াই করেছিলো আমার বাবা,স্বাধীন দেশের ভিতরে ও সুবিধা বঞ্চিত মানুষ গুলা কি করে আছে।কেন তাদের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারেনি এই দেশের স্বাধীনতা।
কৌটা সুবিধার জন্য,আর চাকরি জীবী সমম্প্রদায়ের জীবন আর জীবিকার জন্য ই কি এই দেশে স্বাধীন পতাকা উত্তোলিত হয়। এই দেশে যে বিরাট জন গোষ্ঠী মানবেতর জীবন যাপন করছে,এদিকে সচেতন সুধীমহলের দৃষ্টি পড়ে না।
কোনো মূল্য ই নেই এই দেশের স্বাধীনতার,, বৃথা ঐ রক্ত পাত,,
দেশের অর্থনৈতিক ভিত্তি সুদৃঢ় হচ্ছে তাও দারিদ্রের শিকড় মুক্ত হতে পারেনি এই দেশ,,
সংখ্যা গরিষ্ঠ দরিদ্রশ্ররনীর মানুষ গুলা আজ ও এই দেশে দারিদ্রর চাপে পিষ্ট হচ্ছে প্রতি নিয়ত….
….
আমি লজ্জ্বিত,, এই দেশে আমার পরিবার সরকার কর্তৃক সুবিধা ভোগ করছে,শিক্ষাক্ষেত্রে আমি ভোগ করছি কৌটা সুবিধা,,,
আর এই দেশেই আমার মত কিশোরীরা শিক্ষা কি, স্বরবর্ন ব্যঞ্জন বর্নের সাথেও পরিচিত হতে পারে নি।।
তাদের জীবন ঐ ঝুপড়ি নির্ভর,,,
তারা ই ফেরিওয়ালা,,,বাড়ি বাড়ি ফেরি করা ই তাদের জীবনের উদ্দেশ্য..

গল্পের বিষয়:
শিক্ষনীয় গল্প
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত