বন্ধুত্ব

বন্ধুত্ব

—-ভাইয়া একটা কথা জিঙ্গাসা করতে পারি?
—-হ্যাঁ….বলুন?
—-আপনি এতো কষ্টের পোস্ট আর গল্প কেনো লেখেন?
—-কষ্টে গল্প গুলো লিখতে ভালো লাগে খুব।
—-আপনার মনে অনেক কষ্ট না ভাইয়া?
—-না, হৃদয়ের মনে কোনো কষ্ট নেই।
—-মিথ্যা কেনো বলেন, আগে বলতেন না?
—-আগে বলতাম না মানে? আপনি আমাকে চেনেন?
—-না, এমনি মনে হলো আরকি।
—-আমার তো মনে হচ্ছে আগে আপনার সাথে কথা হয়েছে।
—-আচ্ছা বাদ দিন। আপনার পাগলী কেমন আছে?
—-আপনি পাগলীর কথা কি করে জানেন?
—-ওমা আপনার সব পোষ্ট আর গল্পে প্রকাশ পাই তার কথা।
—-হ্যা, অনেক ভালো আবার অনেক খারাপ।
—-কঠিন উওর? বুঝিয়ে বলবেন কি?
—-মানুষ এর জীবনে যতোটা ভালো থাকে তার থেকে দি গুন খারাপ থাকে। আর এই দুইটা নিয়ে আমাদের জীবন গড়া।
—-বুঝলাম। অনেক ভালোবাসেন তাই না ভাইয়া?
—-আপনাদের কল্পনার বাইরে।
—-একটা জিনিস চাইবো দিবেন?
—-দেওয়ার হলে অবশ্যয় দেবো।
—-আপনার বর্তমান একটা পিক দিবেন?
—-মনে হচ্ছে আমার অতিতের কোনো ছবি আছে আপনার কাছে ?
—-হ্যা আছেতো,না মনে মনে নেই।
—-ওয়েট করেন।
—-হুমম…..।
—-একটার বেশি দিতে পারবো না।
—-একি এতো খারাপ হয়ে গেলি কি করে তুই?
—-হঠ্যাৎ তুই করে বললেন,, মনে হলো কতো আপন আপনার?
—-ছরি ভাইয়া…আসলে বুঝতে পারিনি।
—-আমার অতিতের কোনো ছবি আপনার কাছে আছে সেটা আমাকে দিন?
—-না ভাইয়া কোনো ছবি নেই।
—-মিথ্যা বলেন না দেন বলছি?
—-আচ্ছা,,, ওয়েট করেন?
—-এই পিক আপনি কোথায় পেলেন?
—-এ টা মানে আমার আইডিতে ছিলো সেখান থেকে সেভ করেছি।
—-এতো মিথ্যা কেন বলেন, কে আপনি সত্যি তা বলেন প্লিজ?
—-এখনো বুঝতে পারিস নি?
—-আলিফা তুই?
—-মনে আছে দেখছি।
—-হৃদয় কাওকে ভোলে না।
—-কিন্তু হৃদয়কে সবাই ভুলে যায় ঠিক বললাম তো?
—-হুমম,,।
—-এখনো টেনে টেনে কষ্ট নেওয়ার অভ্যাস টা যায়নি তোর না?
—-হৃদয়ের কোনো কষ্ট নেই, সবসময় সুখি।
—-অন্যনের খুসিতে খুসি তুই।
—-বাদ দে,,, কেমন আছিস?
—-তোর দেওয়া নতুন জীবন নিয়ে খুব ভালো আছি।
—-দেওয়ার মালিক আল্লাহ, আমি না।
—-কস্ট তো তুই করেছিলি।
—-ওটা আমার কর্তব্য ছিলো বন্ধু হিসেবে?
—-কিন্তু নিজেকে স্বার্থপর, নিস্টুর প্রতারক খারাপ প্রমান করে?
—-এটা ছাড়া উপাই ছিলো না।
—-আমাকে বাচাতে গিয়ে তুই নিজে খারাপ হবি।
—-এটা তোর মনের কাছে, আমাকে কি মানবে?
—-মিথ্যা ভালোবাসার অভিনয় করে আমাকে কেন বাচিয়ে ছিলি?
—-তোর মা আর পরিবার এর জন্য।
—-তাহলে আবার কেন আমাকে ছেড়ে গেলি মিথ্যা কে সত্য করলে কি বড় ক্ষতি হতো হৃদয়?
—-রাকিব এর সাথে কি তুই ভালো নেই এখন?
—-হ্যা ভালো আছি,, কিন্তু তোকে কি করে ভুলবো?
—-রাকিব এর ভালোবাসা তোকে ভুলিয়ে দেবে।
—-তোর ভালোবাসা আর রাকিব এর ভালোবাসা অকাশ আর পাতাল তফাত রে ?
—-তুই এখনো ওকে মন থেকে মেনে নিতে পারিস নি তাই এমন মনে হচ্ছে।
—-না রে,, তুই এমনি একজন যার তুলনা করার মতো ভাষা নেই?
—-আমি খুব সাধারন সবার মতো একজন।
—-দুনিয়ার সকল মানুষ বললেও আমি বিশ্বাস করবো না।
—-অনেক সময় নিজের চিন্তাকেও ভুল ধরতে হয়।
—-তোর পাগলীটা অনেক লাকি রে তোর মতো কাওকে পেয়েছে। যে সবার মনে বাস করার ক্ষমতা রাখে।

সবাইকে হাসি আনন্দের রাখতে পারে,সবার কষ্টটা নিজের কষ্ট বলে মেনে নিতে পারে।  হাজার কষ্টের মাঝেও যে সবার সামনে হাসতে পারে হাসাতে পারে।

যার মাঝে এতো এতো মায়া,  আর ভালোবাসা জড়িয়ে আছে এমন একজন কে জীবনসঙ্গী হিসেবে পাওয়া একটা মেয়ের হাজার বছরের সাধনা রে।
—-বেশী বলে ফেললি আজ।
—-কমি বলেছি,,,, জানিস আমার মা আজো তোর কথা বলে?
তোর লেখা প্রতেকটা গল্প সে পড়ে? তোর পাগলীকে নিয়ে লেখা তোর কস্ট গুলো সে অনুভব করে চোখের কোনে জল আনে?
—-ওগুলো কেনে পড়তে দিস আন্টিকে ?
—-আম্মু তোকে নিজের ছেলের মতো দেখে। বিপদে যখন কেও আসেনি, তুই কষ্টে থাকার পরেও টাকা দিয়ে আমাদের বিপদ থেকে উদধার করেছিস তাকে কি করে ভুলে একজন মা হয়ে।
—-সময় একদিন সব ভুলিয়ে দেবে?
—-তা হয়তো দেবে তোকে কখনে ভুলতে পারবো না।
—-আমাকে যেমন প্রতারক ভাবতিস তেমন টা ভাববি ঠিক ভুলে যাবি।
—-অজানতে বলেছিলাম, পরে জানতে পারলাম আমার জন্য আমার কষ্ট দূর করার জন্য নিজেকে, একজন ভালো বন্ধুর কাছে অপরাধি করলি?
—-বন্ধুর ভালোর জন্য তো করেছি এতে সমস্যা নেই?
—-তুই কি জানিস যে কষ্ট টা ভুলাতে গিয়ে তুই আমাকে কতোট কষ্ট দিয়ে ফেললি?
—-হ্যা জানি…জানতে পেরে সরে এলাম, না হলে আরো বেশী হয়ে যেতো?
—-আমার মন থেকে কি সরতে পেরেছিস?
—-জানি না। তোকে আমার মনে কখনো রাখিনি?
—-পাগলী তোকে অনেক ভালোবাসে তাই না?
—-হ্যা রে খুব খুব ভালোবাসে এতো টা ভালোবাসে যে তুই কল্পনাও করতে পারবি না।
—- ওও আচ্ছা তাই।
—-হ্যা, জানিস সব সময় আমার কাছে বাইনা করে, গান শুনতে চাই, গল্প শুনতে চাই একদম বাচ্চাদের মতো করে।
—-তার পর?
—-তারপর, ও না পাগলী তো সত্যি পাগলী।বলতে গেলে অভিমানি মিষ্টি পাগলী বললে চলে?
—-কেনো?
—-খুব অভিমানি মেয়ে, খুব বেশী ভালোবাসে তো তাই,
নিজের কেয়ার, ঠিক মতো না খেলে, না ঘুমালে রাগ করবে অভিমান করে কথা বলবে না এর মতো পাগলী আর একটা হয় না।
—-তোর মতো হৃদয় আর একটা হয় না।
—-খুব ভালোবাসে আমাকে, বিদেশে আছি বলে হাজার বলে বাড়ি যেতে, কতো ভালোবাসে বল না হলে কখনো বলে?
—-এতো মিথ্যা বলা ধরলি কবে থেকে হৃদয়?
—-আব্বে ইয়ার,, মিথ্যা কই বললাম?
—-পাগলী টা তোকে একটুও ভালোবাসে না।
—-হা হা হা,,, না সত্যি অনেক ভালোবাসে।
—-তাহলে কেন কাঁদছিস আজ?
—-আন্দাজে ডিল মারছিস?
—-তোকে আমি ভালো করে চিনি, আর এটাও জানি তুই পাগলীর জন্য কতোটা কাঁদিস, তার একটু ভালোবাসা পাওয়ার জন্য?
—-কে বললো তোকে,, বাদ দে তো?
—-একটু আগে যেটা বললি পাগলী তোর এই করে ঐ করে?
এগুলো তুই করিস, আমার কাছে সুখি আছিস এটা প্রমান করছিস?
—-আমি ওকে পাবো না জেনে ভালোবেসেছি এতে ওর কোনো দোষ নেই ?
—-তুই পালটাবি না জীবনে?
—-এতে কি আমার খারাপ বলছে মানুষ?
—-তুই সবার মনে ভিতরে থাকিস, তোকে কেও খারাপ বলতে পারে না।
—-আমি যেমন আছি শেষ নিশ্বাস পর্যন্ত এমনি থাকবো?
—-তোর কষ্ট হয় না?
—-না,,, মা আছে পাগলী আছে জানে জিগার কিছু বন্ধু আছে এরা কষ্ট কি বুঝতেই দেই না।
—-তুই একটা পাক্কা অভিনেতা হয়েছিস।
—-চুপ থাক না হলে ডিরেক্টর রা শুনলে আমার তুলে নিয়ে যাবে।
—-হি হি হি,,,,সত্যি হাজার কষ্টে যে কেও হাসতে পারে আর হাসাতে পারে তোকে না দেখলে কেও বুঝতে পারবে না।
—-আমি এমনি।
—-সারাজীবন এমনি থাকবি রে।
—-হুমম,,
—-তুই এতো ভালো আর পাগল কেন হৃদয়?
—-কতোটা ভালো জানি না কিন্তু থাকার চেষ্টা করি, আর পাগল টা পাগলীর জন্য এটা সারাজীবন এর জন্য।
—-একটা কথা বলবো কিছু মনে করবি না?
—-না বল?
—-রাকিবকে আমি ভালোবাসি,, তবুও আজো তোকে আমি ভিষন
ভালোবাসি কখনো তোকে ভুলতে পারবো না।
—-রাকিব শুনলে আমার খুন করবে বুঝলি হা হা হা।
—-রাকিব কেও বলি এ কথা।
—-হা হা হা, তার পর কি বলে শুনে?
—-তখন আমাকে বুকে জড়িয়ে ধরে।
—-রাকিব খুব ভালো ছেলে তোকে অনেক ভালোবাসে.
—-হুমম,, আচ্ছা ভালোথাকিস তোর পাগলী কে নিয়ে সবসময়.
—-আমি থাকতে পাগলী খারাপ থাকবে ভাবলি তুই এটা?
—-জানি নিজে কষ্ট পেলেও ওকে কষ্ট দিবি না তুই।
—-হয়তো বা।
—-আচ্ছা আর হয়তো কথা হবে না আর বলবো না, না হলে রাকিব কে কস্ট দেওয়া হয়ে যাবে।
—-হুমম,, ভালো থাকিস দোয়া করি আমি।
অনেক দিন আগের এক বন্ধু ছিলো আলিফা।
আমার মোট ৫ জন খুব ভালো বন্ধু ছিলাম ।
আলিফা তার মধ্য সব সময় হাসি খুসি থাকতো কিন্তু তার মাঝে এতো কষ্ট লুকানো ছিলো জানতামনা, ফোনে কথা বলাতাম সবাই সবার সাথে,

একদিন বিকেলে কল দেওয়াতে তার মা ধরে বললো সে কান্না করছে, কেনো?
তার পর সব বললো।
এতে তার মা বাবা সবাই কষ্ট পেতো।
তার এর মামাতো ভাইকে ভালোবাসতো পরিবার এর মত ছিলো।
কিন্তু সে সবসময় ওকে কারনে অকারনে কষ্ট দিতো। আবার এক দুই দিন পর নিজেই মাফ চাইতো। নরকে ফেলে দিয়েছিলো আলিফাকে।
সবকিছু জানার পরে সবাই মিলে প্লান করলাম ওখান থেকে ওকে সরাবো তাকে ভুলাবো মন থেকে।
ওর মা বাবা পারিনি আর তারাও চাইতো ওকে আলিফা ভুলে যাক।
ওর মা এর সাথে কথা বলে আমি চেষ্টা করলাম।
প্লান ছিলো ওকে আমার ভালোবাসা তে জড়িয়ে ছাড়িয়ে আনবো ওখান থেকে।

তারপর আমি নিজে থেকে সরে আসবো তখন সে আমাকে হয়তো ঘৃনা করবে, করুক তবুও তো ওকে ওখান থেকে সরাতে পারবো।
সে আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলো তার সেই মামাতো ভাইএর জন্য।
এখন তাকে বাচাতে গেলে এমন টা করতে হবে।
জানি এটা অপরাধ অন্যয় করছিলাম, তবুও তার জীবনটা বাচাতে তো পারবো বন্ধু হয়ে বন্ধুর মর্যদা দিতে পেরেছি।
আমি আল্লাহ রহমতে অনেক কষ্টে কাজে সফল হয়েছিলাম।
আর তার কাছে পরে হয়ে গেলাম স্বার্থপর, ধোকাবাজ, প্লেবয়, বেইমান। এটা তার চোখে হবো আগে জেনেই করেছি।
আর তার কারনে সে অনেক হ্যাপী সত্যি হ্যাপী আছে।
ভালোথাকুক তারা দুজনা আল্লাহ কাছে দোয়া করি।
বেচে থাকুক তাদের ভালোবাসা।

গল্পের বিষয়:
ভালবাসা
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত