অনুভূতির ভালোবাসা

অনুভূতির ভালোবাসা

সকাল ১০ টা বাজে।
হাসান হা করে নাক ডাকিয়ে এখনো ঘুমাচ্ছে।
কিন্তু সেটা আর বেশিক্ষণের জন্য স্থায়ী থাকলনা।
তার আম্মু এসে ডাকাডাকি শুরু করে দিয়েছেন।
-উঠ হাসান উঠ, সময় বেশি নেই।এখনি বের হতে হবে।
হাসানঃ কি আম্মু…আমি বললাম তো যাবোনা।
আম্মুঃ কি বললি হাসান? কাল রাতের কথা কি ভুলে গেছিস?
হাসানঃ ওকে আম্মু যাচ্ছি।
এই বলে সে উঠে চলে গেলো ফ্রেশ হতে।
আজ হাসান কে নিয়ে মেয়ে দেখতে যাওয়া হবে।
হাসান এই বিয়েতে কোনোভাবেই রাজি নয়।
শুধু তার আম্মুর কারণে যেতে হচ্ছে তাকে।
সবে মাত্র বেচারা HSC দিছে।
এই বয়েসে কি কেউ বিয়ে করে?
যদিও বর্তমান ভার্চুয়াল পোলা গুলা শিত আসলেই নিউজ ফিডে চিল্লাচিল্লি শুরু করে দেয়,পরে গবেষণায় দেখা যায় একেকটা S,S,C দেয় নাই এখনো।
হাসানের কোনো ভাই বোন নেই,
তার আম্মুর অসুস্থতাটা বেশি।
রান্না বান্নার কাজ এবং পরিবারের কাজ তার দ্বারা আর সম্ভব না।
হাসান কে খুব করে বলে কয়ে বিয়ের জন্য রাজি করিয়েছেন।
মেয়ে দেখতে চলে গেছেন সবাই,
হাসান একবারো মেয়েটা কে দেখেনি, গিয়ে
বসেই সে টেমপল রানে ভালো করে ধ্যান দিছে,
তার বাবা মায়ের পছন্দ হয়ে গেছে।
মেয়েটা দেখতে খুব কিউট এবং রূপবতী মাশা-আল্লাহ।
কিন্তু সেদিকে কোনো খেয়ালি নেই হাসানের,
বাড়িতে চলে আসলেন তারা।
হাসান কে জিজ্ঞাস করেই তারিখ ফাইনাল করা হবে।
হাসান এই নিয়ে প্রায় ১৭ টা মেয়েকে পছন্দ হয়নি বলে রিজেক্ট করেছে।
এবার আর রিজেক্ট করা কোনো ভাবেই সম্ভব নয়, বাছাধন এবার ফাটা বাঁশের চিপায়,কি আর করবে,,
হাসান অপারগ হয়ে রাজি হয়ে গেলো।
অহ মেয়েটার নাম টাই বলা হয়নি,মেয়েটার নাম আনিকা,নামের মতই মোটামুটি মিষ্টি মেয়ে।
হাসানের আম্মু আনিকার সাথে কথা বলার সময় হাসানের নাম্বার দিয়ে আসলেন,এবং বললেন হাসানকে রাতে ফোন দিয়ে দু,একটি কথা বল নিতে,
রাত ১০ টা-
হাসান ল্যাপটপ নিয়ে কিছু কাজ করতেছে,
এমন সময়–
ক্রিং ক্রিং বেজে উঠলো।
হাসান–হ্যালো,,,
আনিকা–আসসালামু আলাইকুম।
হাসান–ওয়া আলাইকুম আসসালাম,
কে বলতেছেন??
আনিকা–আমি আনিকা বলিতেছি চিনতে পেরেছেন?
হাসান–কোন আনিকা??
আনিকা– এতো তাড়াতাড়ি ভুলে গেলেন?ঐযে আজ দেখতে এসেছিলেন।
হাসান–আপনি আমার নাম্বার কোথায় পেলেন!
আনিকা–আমার শাশুড়ি আম্মাই দিয়ে গেছেন,
হাসান–তা আপনাকে কল দিতে কে বলেছে???
আনিকা–কল দেওয়ায় কি কোনো মহাভারত অশুদ্ধ হয়েছে।
আর মাত্র ক’দিন পর আমাদের বিয়ে,
একে অপরকে জানার জন্যই ফোন দিলাম।
হাসান–কে বলল আমি আপনাকে বিয়ে করতেছি? শুনুন আমি আপনাকে বিয়ে করতেছিনা আপনার সাথে আমার বিয়ে করানো হচ্ছে বুঝেছেন ফোন রাখেন,
বলেই ফোনটা কেটে দিলো।
বিয়ের আগে আর তাদের কথা হয়নি,
অবশ্য বেশ কয়েকবার আনিকা কল দিয়েছিলো কিন্তু হাসান রিসিভ করেনি।
অবশেষে বিয়েটা হয়েই গেলো।
বিয়ের পিড়ি থেকে আনিকা কে নিয়ে আসার পর আনিকাকে হাসানের রুমে বসানু হলো।
সকল মেহমান যে যার মত চলে যাওয়ার পর হাসানের মা আনিকার কাছে আসলেন।
বললেনঃ তোমাকে কয়েকটা কথা বলবো আনিকা।
আনিকাঃ জ্বি বলুন।(আস্তে করে)
হাসানের মাঃ এই বিয়েতে হাসান একদমই রাজি নয়, কারণ সে এখন বিয়ে করতে চায়না। কিন্তু আমি অপারগ হওয়ায় তাকে এই বিয়ে করাতে বাধ্য হয়েছি।
আমি চাই তুমি তুমার ভালোবাসা দিয়ে হাসানের মনে জায়গা করে নিবে।
আনিকাঃ জ্বি আম্মা আমি সবসময় চেষ্টা করবো
আপনি চিন্থা করবেননা।
হাসানের মাঃ আমি জানি তুমি পারবে।
-অতঃপর বাসর রাত-
আনিকা তেইশ হাত লম্বা ঘোমটা দিয়ে খাটের উপর বসে আছে।
সে মনে মনে ভাবতেছে হাসান আসলে তাকে বুঝিয়ে বলবে।
হাসান বেশ কিছুক্ষণ পর রুমে ডুকলো,
ডুকেই বউয়ের দিকে খেয়াল নেই,
ল্যাপটপ টা বের করে প্রায় ঘন্ঠা খানেক ঘুটুনাটুর করে আনিকার পাশ থেকে বালিশ নিয়ে অন্য দিকে মুখ করে শুয়ে পরে।
আনিকার সাথে কোনো কথাই বলেনি।
আনিকা অনেকটাই অবাক, এ কেমন বাসর নাকি বাশর।
সকালে আনিকা ঘুমথেকে উঠে দেখে হাসান এখনো ঘুমাচ্ছে।
হাসানকে আস্তে আস্তে ডাক দেয়।
নো পাত্তা।
কয়েকবার ডাকার পর হাসান ঘুম ঘুম ভাব নিয়ে বললঃ এই ডিস্টার্ব না করে যাও।(অনেকটা রেগে)
আনিকা আর কিছু না বলে মায়ের রুমে চলে যায়।
তাদের সাথে চা খায় কিছুক্ষন গল্প কথা হয়।
অতঃপর আবার এক কাপ চা হাতে নিয়ে এসে হাসানকে ডাকে।
এইবার হাসান উঠেই কিছু না বলেই চলে যায়।
গিয়ে আনিকার নেওয়া চা না খেয়ে নিজে বানিয়ে খেয়ে বেরিয়ে যায়।
এখনো আনিকার সাথে কোনো কথাই বলেনি।
আনিকা এতে তেমন কিছু মনে ও করেনাই।
রাতে ঘরে ফিরে এসে দেখে সবাই খাবার খেতে বসে আছে ঘরে ঢুকতেই মায়ের কড়া ডাকঃ এই হাসান খেতে আয়!

গিয়ে বাধ্য হয়ে লক্ষি ছেলের মত আনিকার পাশের চেয়ারে বসতে হয়।
অতঃপর খেয়ে উঠে রুমে চলে যায়।
আনিকা ও সব কিছু গুছিয়ে রুমে যায়।
গিয়ে দেখে হাসান ল্যাপটপ টিপতেছে,
আনিকা হাসানের পাশে গিয়ে বসলো,
কোনো কথা নাই।
পরে হাসান ল্যাপটপ অফ করে এক পাশে ঘুরে শুয়ে পরল।
আনিকা ও কিছু না বলে শুয়ে পরে,হয়তো কিছু বলার ইচ্ছা ছিলো কিন্তু তা আর হলো না।
এভাবেই চলে কিছু দিন-
প্রায় মধ্যরাতে হাসানের ঘুম ভেঙে যায় এবং তার বুকের উপড় কিছুটা ভারী অনুভব করে।
আবিস্কার করলো আনিকা তার বুকে মাথা দিয়ে শুয়ে আছে আর তার চুখ দিয়ে পানি পরেছে।
হাসান আবার কারো চুখের পানি দেখলে কিছুটা ইমোশনাল হয়ে পরে তাই আর আনিকার মাথাটা না সরিয়ে আবার শুয়ে পরে।
আর ভাবে সকালে ভালো করে ঝাড়ি দিতে হবে।
-সকাল ১০ টা-
হাসান ধুম ঘুমে,,
হটাৎ পানির ছিটা তার মুখে অনুভব করে দ্রুত ঘুম থেকে উঠে বসে দেখে,
আনিকা গোসল করে এসে চায়ের কাপ হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে আর ভিজা চুল থেকে পানির ছিটা দিচ্ছে।
হাসানের মাথা ৫০০০০ ভোল্টেজের হয়ে গেলো।
কিন্তু কিছু না বলে রাগি লুক নিয়ে উঠে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আসলো।
অতঃপর নিজের চা নিজেই করে খেলো।
চা খেয়েই ক্রিকেট ব্যাট নিয়ে বেড়িয়ে পরল।
আজ তাদের ক্রিকেট ম্যাচ,
ব্যাচেলর vs বিয়েতি,
মাঠে যাওয়ার পর সকল ফ্রেন্ড তাকে নিয়ে ফান করা শুরু করলো ‘নতুন বর আজ খেলবে’
অতঃপর খেলা শেষে আড্ডার পর রাত ১২ টায় বাসায় ফিরে দেখে তার আব্বু আম্মু খাওয়া শেষ করে ঘুমিয়ে গেছেন।
আর আনিকা খাবার টেবিলেই ঘুমিয়ে আছে খাবার সামনে নিয়ে।
হাসান গিয়ে টেবিলে হাল্কা টাচ করল আনিকা দ্রুত উঠে
বললঃ

>এই যে আপনি বসুন আমি খাবার দিচ্ছি।
>হাসানঃ এই ওয়াইট ওয়াইট।
তুমি এই বাড়িতে নতুন তাই আমার নিয়ম হয়তো জানো না, আমি অনেক ছুটোবেলা থেকেই রাত করে ফিরি বলে আম্মু কে বলে রেখে দিয়েছিলাম যে, যেদিনই আমার লেইট হবে আমার জন্য ওয়েট না করে খেয়ে ঘুমিয়ে যেতে।
আমি এসে নিজেই খেয়ে নেই।
কারণ আমি চাইনা কেউ আমার জন্য অপেক্ষা করে অপেক্ষার কষ্ট অনুভব করবে।
আজকের পর থেকে আমার লেইট হলে খেয়ে ঘুমিয়ে পরবে।
>আনিকাঃ তবে আমি সেই কষ্ট করবো, কারণ আমি আপনার বিয়ে করা বউ।
>হাসানঃ হেই ইউ আমার বউ,!কে বলল??
এসব আহ্লাদি কথা আমার কাছে চলবেনা। এখন না খেয়ে থাকলে খাও।
আমি আমার খাচ্ছি বলে হাসান ভাত নিতে যাবে এমন সময় আনিকা তার হাত ধরে আটকিয়ে দেয়।
>আনিকাঃ আমি দিবো,,প্লিজ না করবেননা।
হাসান এক প্রকার বাধ্য হয়েই হ্যা বলে দিলো।
আনিকার চেহারায় কি যেনো একটা মায়া মায়া ভাব আছে তাই আর না করেনি।
এরপর খাবার পর্ব শেষ করে ঘুমিয়ে পরে।
সকালে আবারো পানি ছিটিয়ে চা কাপ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে আনিকা।
হাসান উঠে কিছু না বলেই নিচে চলে যায়,
ফ্রেশ হয়ে বাহিরে চলে যায়।
হাসান ফ্রেন্ডদের সাথে বসে গল্প করতেছে হটাৎ কোনো অপরচিত নাম্বার থেকে কল আসলো,
-রিসিভ করে-
>হাসানঃ হ্যালো কে বলতেছেন।
> দুপুরে ত খাননি, বাহিরে কি খেয়েছেন কিছু?
হাসানঃ অহ তুমি! হুম খাইছি, তোমাকে এতো খুজ খবর নেওয়া লাগবেনা, বুঝেছেন । বলেই কলটা কেটে দেয়।
এভাবে প্রায় প্রতিদিনি হাসানকে আনিকা কল দিয়ে খুজ খবর নেয় হাসান প্রায় বিরক্তির সুরে কথা বলেই কল
রেখে দিতো।
প্রায় প্রতিদিনি হাসান ঘুম থেকে উঠে দেখত আনিকা চায়ের কাপ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
প্রায় মধ্য রাতে দেখে তার বুকে আনিকা শুয়ে আছে।
আজ দুপুরে হটাৎ হাসান একটা গাড়ির সাথে ধাক্কা দ খেয়ে এখন হাস্পাতালের বেডে শুয়ে আছে।
খবর টা শুনা মাত্রই হাসানের আম্মু আব্বু এবং আনিকা হাস্পাতালে চলে আসলেন। হাসানের আব্বু তাদের কে রেখে কিছু কাজে বাড়ি চলে আসেন। রাতে যতবারই হাসানের ঘুম ভাঙছে ততবারই দেখেছে তার আম্মুর সাথে আনিকা ও তার মাথার পাশে বসে আছে।আর তার সাথে সেই কি কান্না, বিরামহীন চুখের অশ্রু পড়তেছে।
হাসান ভাবলো আমি যাকে সহ্য করতেই পারিনা সে আমার জন্য কাঁদতেছে????

আজ হাসান রেডি হচ্ছে আনিকার সাথে যাবে তাকে নিয়ে শশুড় বাড়ি দিয়ে আসবে।
হাসানের যদিও অনিহা কিন্তু তার আম্মুর ভয়ে যেতে হচ্ছে।
অতঃপর আনিকাকে কিছুদিনের জন্য বাপের বাড়ি দিয়ে আসলো।
মনে মনে হাসান অনেক খুশি এখন কিছুটা ফ্রি ভাবে হাল্কা হয়ে থাকা যাবে।
প্রায় দুইদিন হয়েছে আনিকা বাবার বাড়ি গেছে।
আজ হঠাৎ হাসানের কোনো একটা অন্যরকম অনুভুতি হলো।
নাহ আজ আর ঘুম থেকে উঠে কাওকে চা হাতে দেখতে পায়নি।
নাহ আজ আর কারো চুলের পানির ছিটায় ঘুম ভাঙেনি,
কেউ আর এখন আড্ডার মধ্যখানে ডিস্টার্ব করে জিজ্ঞাস করেনা খেয়েছো কিনা।
হাসান কিছু একটা মিস করতেছে,
নাহ মধ্যরাত ঘুম ভাঙলে কাওকে আর বুকের উপড় পাওয়া যায়না।
আজ প্রায় ৪ দিন হলো আনিকা গেছে এখন পর্যন্ত একটা কলই দেয়নি হাসান আনিকাও দেয় নি।
ভাবলো আজ একটা ফোন দিয়ে কেমন আছে জিজ্ঞাস করবে।
-সন্ধ্যা ৭ টা।
অনেক গবেষনার পর কল দিলো আনিকাকে।
প্রায় দুইবারের পর রিসিভ হলো।
>হাসানঃ হ্যালো আনিকা?
>আনিকাঃ জ্বি,কেমন আছেন,,আর আমাকে কল দেওয়ার হঠাৎ ইচ্ছা??
>হাসানঃ নাহ এমনি দিলাম।
ডিস্টার্ব করলাম নাকি? তাহলে রেখে দিচ্ছি।
আনিকাঃ আরে না না ডিস্টার্ব হবে কেনো? কি করতেছেন??
হাসানঃ কিছুনা ভালো আছি।
মনের আজন্তে আবার প্রশ্ন করে বসলো হাসানঃ বাড়ি আসবে কবে।
আনিকাঃ প্রায় এক মাস থাকবো তারপর আসবো, আর আমি না আসলেই ত আপনি খুশি।
হাসানঃ অহ।ওকে রাখি।
আনিকাঃ ওকে বাই।
হাসানের মনে কেমন যানি একটা অনুভব হচ্ছে।
এক মাস পর আসবে কথাটা কেন যানি বার বার এসে মনে ধাক্কা দিচ্ছে।
হাসান ভাবলো “আমি এত কেনো ভাবছি? তাহলে কি আনিকার মায়ার প্রেমে পরে গেলাম? নাহ কখন পরলাম,
পরলে ত আমি টের পেতাম।
তাহলে এত ভাবছি কেন? না ভালোবেসে ফেলেছি। হ্যা আনিকার কেয়ারিং আর মায়াকে ভালোবেসে ফেলেছি”
পর দিন আবার কল দিলো হাসান,
কিছু বলতেছেনা।
>আনিকাঃ কেমন আছেন মিস্টার স্বাধীন।
>হাসানঃ ভালো, কিন্তু আমি মিস্টার স্বাধীন হলাম কবে।
>আনিকাঃ কেনো? যখন থেকে আমি চলে এসেছি তবে থেকেইত।
>হাসানঃ অহ এই কথা আচ্ছা তুমি আসবে কবে?
>আনিকাঃ কি আজব,,বললামনা এক মাস পর।
আম্মুর (শাশুড়ি) সাথে আমার কথা হইছে তিনিই বলেছেন এক মাস থাকতে।
হাসানঃ ওকে এক মাস নয় দুই মাস পরেই আসো বাই, বলে কল কেটে দিলো।
পরদিন সকালে হাসান কিছুটা ভারী অনুভব করে ঘুম থেকে উঠলো, দেখে আনিকা তার বুকে শুয়ে আছে।
আরে এ কবে আসলো?
হাসান উঠতে যাবে এমন সময় আরো জড়িয়ে ধরলো আনিকা
হাসান মনের অজান্তেই জড়িয়ে ধরলো আনিকাকে,,,,,
>হাসানঃ ভালোবাসি,,,
>আনিকাঃ হবেনা, এতো সোজা না??
আচ্ছা বলেন কবে থেকে??
হাসানঃ যবে থেকে তুমি চলে গেছো,
তা এক মাস এতো জলদি শেষ হয়ে গেলো।
আনিকাঃ আপনার কলের জন্যেই চলে আসলাম।
ভাবলাম খুব চিপায় পরেছেন তাই,
হাসানঃ আপনি না তুমি,
এবার বল ভালোবাসো?
আনিকাঃ এতো দিন যে আমাকে কষ্ট দিলে তার শাস্তি কি??
হাসানঃ যে শাস্তি দিবে?
আনিকাঃ আজ সারা রাত আমার মাথা তোমার কুলে রেখে চাঁদ দেখতে দেখতে গল্প শুনাতে হবে।
হাসানঃ জ হুকুম মহারানী।
এই বলে আবার জুরে জড়িয়ে ধরল হাসান।
-খুব বড় করে চাঁদ উঠেছে আজ, হাসানের কুলে মাথা রেখে চাঁদের দিকে তাকিয়ে আছে আনিকা, হাসান আনিকার মাথায় বিলি কাটতেছে-
স্টার্ট এক নতুন কাহিনী।
চলতে থাকুক।

গল্পের বিষয়:
ভালবাসা
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত