রিয়েল লাভ

রিয়েল লাভ

-এই তুই এখানে বসে আছিস কেন??
.
– তোমার জন্য জান।
.
-এই দেখ ফাজলামো করিস না।
.
-কেন জান আমি কি তোমার জন্য অপেক্ষা করতে পারি না???
.
-না পারিস না। তুই রিপার জন্য অপেক্ষা করসি তাইনা??
.
-হ্যাঁ, তো জানিস যখন জিজ্ঞেস করলি কেন।
.
-ওকে বাবা ভুল হয়ে গেছে মাফ কর।
.
অতক্ষণ মায়া আর শাকিল এর মধ্য কথা হচ্ছিল। মায়া আর শাকিল খুব ভাল বন্ধু। কিন্তু মায়া শাকিলকে ভালবাসে,
সেটা মায়া আজও শাকিলকে বলেনি। মায়া শাকিলকে বলল, দেখ শাকিল রিপা তোর জন্য ঠিকনা। ও তোর সাথে
খালি টাইম পাচ করে, ও তোকে ভালবােসনা। তুই ওর সাথে রিলেশন করিস না কষ্ট পাবি।শাকিল বলল, তাই
তো আমি কষ্ট পেলে তোর কি আসে যায়।
.
-আমার আসে যায়, কারণ,
.
– কারণ কি বল,
.
-আমি বলতে পারবনা।
.
-না তোকে বলতেই হবে,
.
আমি যাকে ভালবাসি সেই রিপাকে নিয়ে তোর এত কেন চিন্তা, তাছাড়া আজনা তুই প্রায়ই এই কথা বলিস। তোকে
আজ বলতেই হবে, শাকিল জোর জবরদস্তি করে মায়ার ওপর, মায়া একটা থাপ্পড় দিয়ে শাকিলকে বলে,
.
-কারণ আমি তোকে ভালবাসি আজ থেকে না পাঁচ বছর আগে থেকে আর আমি তোকে সেটা বলতে পারেনি।
.
শাকিল অতক্ষণ মাথা নিচ করে ছিল, শাকিল বলল,,,
.
– সে জন্য আমি কারো সাথে প্রেম করলে তোর জ্বালা হয়। সেজন্য রিপার মত একটা ভাল মেয়ের সম্পর্কে বাজে
কথা বলতে তোর একটুও মুখে আটকালো না। আমি তোকে আমার বেস্ট বন্ধু ভাবি আর তুই,,।
.
– দেখ তুই আমাকে ভুল বুঝসি, আমি তোর ভালোর জন্য বলছি রিপা মেয়েটা ভাল না ও তোকে কষ্ট দেবে, আমি
তোকে সত্যিই খুব ভালবাসি শাকিল।
.
– তুই আর একটা কথা বলবি না আমি তোর কোন কথা শুনতে চাইনা আর পারলে তোর মুখ আমাকে আর দেখাস না,
.
এই বলে শাকিল ওখান থেকে চলে গেল, এদিকে মায়া সব কিছু হারিয়ে কাঁদতে লাগল।…………. “শাকিল রাস্তা
দিয়ে বাইক নিয়ে যাওয়ার সময় দেখল রিপা আরেকটা ছেলের হাত ধরে ঘুরে বেরাচ্ছে, তখন শাকিল রিপাকে
কল দিয়ে শুনল ও কি করছে, রিপা বলল ও এখন ক্লাস করছে। এই কথা শুনে শাকিল আর রাগ ধরে রাখতে
পারলনা। তখনি রিপার সামনে গিয়ে দুই গালে দুইটা থাপ্পড় দিয়ে বলল, এই তোমার ক্লাস। তোমার জন্য আজ
আমি আমার প্রিয় বন্ধু কে হারালাম, তাকে কত খারাপ খারাপ কথা বলছি শুধু তোমার জন্য, এই বলে আরও কয়েক
টা থাপ্পড় দিয়ে শাকিল ওখান থেকে কাঁদতে কাঁদতে চলে গেল। তখন শাকিল এর শুধু মায়ার কথা মনে পড়তে
লাগল, সেজন্য মায়ার কাছে মাফ চাওয়ার জন্য ছুটে গেল, কিন্তু যাওয়ার পথে শাকিল একটা বাস এর সাথে

একসিডেন্ট করল।মায়া কাঁদতে কাঁদতে ওই পথ দিয়েই যাচ্ছিল, তখন খেয়াল করল রাস্তার পাশে অনেক লোক
জড় হয়েছে। দেখল শাকিল এর বাইক রাস্তার পাশে পরে রয়েছে, মায়া রিকশা থামিয়ে দেখল শাকিল একসিডেন্ট
করে পড়ে আছে আর তার দেহ থেকে প্রচুর রক্ত পড়ছে। মায়া দৌড়ে গিয়ে শাকিল কে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে
কাঁদতে হাসপাতালে নিয়ে গেল… “””মায়া হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে শাকিল এর সব বন্ধুকে খবর দিল, শাকিল এর
শরীর থেকে অনেক রক্ত বেড়িয়ে গিয়েছিল সেজন্য অনেক রক্তের দরকার ছিল, কিন্তু ওই সময় হাসপাতালে ওই
গ্রুপের কোন রক্ত ছিল না। শাকিল এর রক্তের গ্রুপ আর মায়ার রক্তের গ্রুপ একছিল। তাই মায়া ডাক্তার কে তার
থেকে রক্ত নিতে বলল। মায়া শাকিলকে রক্ত দিয়ে বাচিয়ে দিল। কিছুক্ষণ পরেই শাকিলের সব বন্ধুরা চলে
আসল। শাকিলকে ভাল হতে দেখে মায়া ওখান থেকে বেরিয়ে চলে গেল। কিছুক্ষণ পরে শাকিল এর হুস ফিরে
এল। শাকিল এর সব বন্ধুরা তাকে দেখার জন্য ভিতরে আসল। শাকিল শুনল তোরা কিভাবে জানলি আমি
একসিডেন্ট করছি আর আমাকে হাসপাতালে কে নিয়ে আসল?? শাকিল এর বন্ধুরা বলল, মায়া আমাদের খবর দিল
আর এসে দেখি মায়া তোকে রক্ত দিচ্ছে। ওই তো তোকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছে। শাকিল এসব শুনে কান্না আর
ধরে রাখতে পারল না। “”শাকিল কান্না কান্না শুরে বলল, মায়া কোথায়???? শাকিল এর বন্ধুরা বলল তোকে রক্ত
দেওয়ার পড় ওকে তো আর দেখিনি।শাকিল অস্থির হয়ে উঠল মায়ার সাথে দেখা করার জন্য। শাকিল মায়ার
মোবাইলে ফোন দিল কিন্তু ফোন বন্ধ। শাকিল মায়ার এক বান্ধবীর সাথে কথা বলে জানতে পারল মায়া একটু পড়ে
ট্রেনে করে ওদের গ্রাম এর বাড়ি চলে যাবে । “”””শাকিল সেই অবস্থায় train station চলে গেল গিয়ে মায়াকে
খুজতে লাগল দেখল মায়া একপাশে বসে কাঁদছে। শাকিল মায়ার পাশে গিয়ে বসে পড়ল। শাকিল কে দেখে মায়া
ওখান থেকে উঠে যাচ্ছিল তখন শাকিল মায়ার হাতটা ধরে বলল
.
– আমাকে একা রেখে চলে যাচ্ছ।
.
-কেন তুমি তো আমার মুখ দেখতে চাউনা সেজন্য আমার মুখ যেন না দেখতে হয় সেজন্য আমি চলে যাচ্ছি।
.
-চলেই যখন যােব তাহলে আমাকে তোমার রক্ত দিয়ে বাচালে কেন। please মায়া আমাকে মাফ করে দাও, তুমি
ঠিক বলেছিলে রিপা মেয়েটা ভালনা। প্লিজ আমাকে মাফ করে দাও। আমিও তোমাকে খুব ভালবেসে ফেলেছি
প্লিজ আমাকে একা রেখে চলে যেওনা।
.
(এরই ভিতর ট্রেন চলে এসেছে, অণু বলল:-
.
-শাকিল আমার হাত ছাড় আমার দেড়ী হয়ে যাচ্ছে, আর তুমি তো কখনো আমাকে ভালবাসোনি আর আমি তোমার
কে যে আমাকে ভালোবাসবা আর আমার মুখ ও তো তুমি দেখতে চাউনা। সেজন্য আমার চলে যাওয়াই ভাল। প্লিজ
আমার হাত ছাড়।
.
-ঠিক আছে মায়া
.
এই বলে অয়ন শাকিল মায়ার হাত ছেড়ে দিল। মায়া ট্রেনে ওঠার জন্য হাটা দিল। পেছন থেকে শাকিল বলল,
ঠিক আছে যাও কিন্তু তুমি যে রক্ত দিয়ে আমাকে বাচালে সেই রক্ত আমি আমার শরীর থেকে বের করে
দিতে চাই। এই বলে শাকিল দেয়ালে মাথা জোরে জোরে আঘাত করতে লাগল।মায়া পেছন ফিরে দেখল
শাকিল এর মাথা থেকে রক্ত পড়ছে।মায়া দৌড়ে গিয়ে বলল কি করছ তুমি এমন করলে তে তুমি মারা যাবা। আমি
মারা গেলে তোমার কি আসে যায়। মায়া শাকিলকে থামিয়ে শাকিল এর গালে দুইটা আদরের চড় দিয়ে
জামার কলার ধরে বলে, আমার আসে যায় আমি যে তোমাকে অনেক বেশী ভালবাসি, এই বলে মায়া কাঁদতে
কাঁদতে শাকিলকে জড়িয়ে ধরল শাকিল ও মায়াকে বুকে জড়িয়ে ধরে বলল আমিও তোমাকে খুব ভালবাসি আমি

তোমাকে ছাড়া বাচবোনা মায়া তুমি আমাকে কোনদিন
ছেড়ে যেওনা, গেলে আমি সত্যি সত্যি মারা যাব,, মায়া শাকিল কে থামিয়ে দিয়ে বলে কোনদিন আর এ কথা মুখে
আনবানা,
শাকিল আবার মায়াকে জড়িয়ে ধরে আদর করতে
লাগল………
.
———–(সমাপ্ত)————-

গল্পের বিষয়:
ভালবাসা
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত