ভালোবাসার কাব্য

ভালোবাসার কাব্য

আপনার নাম্বার টা দেন,,,সময়মতো আপনাকে যেনো কল করতে পারি
,,
আম্মুর শরীর ভিষন রকমের খারাপ।আমাদের ঘরে যে নতুন অথীতি আসছে যে,,,,প্রায় ১৮ বছর অপেক্ষার পর আজ সেই দিন।যখন থেকে বুঝতে শিখেছি তবে থেকেই একটা আপুনির শখ ছিলো খুব।
কিন্ত আজ কেনো জানি আজ খুব টেনশন হচ্ছে।আমার মা বা বোনটা সুস্থ তো,
,,
আল্লাহর রহমতে ১১:২৮ মিনিটে আমার ছোট্ট একটা আপুনি আসে। আম্মুর শরীরে হালকা একটু কাপুনি আছে।সেই ডক্টর কে মনে মনে অসংখ্যবার শুকরিয়া জ্ঞাপন করলাম।১২:৩০ মিনিটে তাকে দেখার সৌভাগ্য বলা যেতে পারে তবে তাকে স্বচক্ষে দেখলাম।
চেকআপ করার পর
আমি:-ডক্টর,, আমার মা বোন কেমন আছে
ডক্টর:-আপনি..?
::–পেশেন্ট এর ছেলে
::–ওহ।হুম সবাই ভালো আছে।
:-ধন্যবাদ ডক্টর
:-আপনার নাম্বার টা দেন,,সময়মতো যেনো আপনাকে কল করতে পারি
::–০১৭*********১১
::–ধন্যবাদ
::–আপনাকেও
,,
নিশী চলে যাওয়ার পর কোনো মেয়ের দিকে চোখ আটকায় নি বা কোনো মেয়ের দিকে পা হড়কায় নি।তবে আজ মনে হয় পা টা হড়কে গেলো,,,পরী দেখি নি তাই

বুঝতে পারছি না যে আলিজা পরী কি না তবে এতুটুক বলতে পারি যে কোনো ছেলে প্রেমে পড়ার মতো সুন্দরী।ওহ আপনাদের বলা হয়নি আলিজাই সেই ডক্টর আর তার নামটা জেনেছি তার এপ্রোন এ থাকা নেমপ্লেইট থেকে,,,,
তবে তার কাছে কৃতজ্ঞ আমি।
,,
এক কাপ কফি তো খাওয়া যেতেই পারে,,,
.
কিছুক্ষন পরে আম্মুর কাপুনি যেনো বেড়ে উঠলো,,,,আলিজা কে ফোন দিলাম।
আলিজা::—কোনো ব্যাপার না শুভ্র সাহেব।জাস্ট একটু শীত থেকে
আমি’:–একটু ভয় পেয়ে গেছিলাম তো।তাই
::—ভয় কি কমেছে(কেবিন থেকে বেড়িয়ে হাটতে হাটতে)
::-অনেকটাই(তার পিছন পিছন যাচ্ছি)
::–তাহলে এককাপ কফি তো খাওয়া যেতেই পারে
::–দুকাপ হলে মন্দ হয় না।কারন আমি প্রচুর পছন্দ করি কফি
::–চলুন তাহলে..!!!
::–১ মিনিট,,,আমি কেবিন থেকে চাবিটা নিয়ে আসছি
::–কিসের চাবি..??
::–আমার গাড়ির চাবি,!!!
::–আমরা তো গাড়িতে যাচ্ছি না মি. শুভ্র
::–আমি যে হেটে অভ্যস্ত নয়”!!!
:::–আপনি তো অপরিচিতো মেয়ের সাথে কফি খেতে যাওয়ায় ও অভ্যস্ত নন
::–সেটা তো আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা বোধ বা অন্য কিছু থেকে
::–অন্য কিছু বলতে যেটাই বুঝান তবে না হয় সেটা থেকেই চলুন হেটে যাই,,,বেশি দূরে নয়,,কাছেই
::–চলুন তবে
::–তো নিশীর সাথে কি এখনোও কথা হয়
::–(আশ্চর্য হয়ে)আপরি নিশীর ব্যাপারে কিভাবে জানলেন???
::—ঢাকাতে কি কোনো জিএফ বা বৌ আছে যে ফ্যামিলি নিজের ব্যাবসা নিজের সবচেয়ে প্রিয় মা কে ফেলে ওখানে পরে আছেন
::–আপনি কে বলুন তো…??
:::–আপাততো না হয় বন্ধু ভেবে শেয়ার করুন
:::–সুযোগ নিচ্ছেন..?
::–উহুম,,দিচ্ছি বলতে পারেন(কফি তে চুমুক দিয়ে)
::–তাহলে বলুন তো কে আপনি…??
::–বললাম না বন্ধু ভাবেন,,,যাইহোক,,এবার তো বাড়িতে আসুন,,,আপনার বোনের দিকে তাকিয়ে
:::–দেখা যাক!!
:::—আংকেল নিশ্চয় আপনার ভালো চান।হয়তো কোনো ক্ষ্যামতি থেকে গেছে তাই বলে তার উপর এতো অভিমান করে থাকলে তো আর চলে না।
:::–আপনি কি এসব বলার জন্য ডেকে নিয়ে আসছেন???
::-আমি জানি যে আপনি অনেস্টলি কথা বলতে পছন্দ করেন,,,
::–উহুম,সব ক্ষেত্রে নয়
::–সব ক্ষেত্রেই
:::–আমাকে কি আপনি আমার থেকে বেশি চিনেন???
:::–ডায়েরি,,,গিটার,,,আপনার সবচেয়ে প্রিয় কলমটা কি পেয়েছেন খুজে
??
:::—-(আশ্চর্যের মাত্রা ছাড়িয়ে)কে আপনি দয়া করে বলবেন কি..??
::–এতো অস্থীর হলে চলে না শুভ্র,,,,তা দুপুরের খাবারের সময় হয়ে গেছে,,,ভাবছি লান্চ করে আন্টির জন্য একেবারে নিয়ে যাবো,,,কি বলেন…???
:::–আপনার আন্টির জন্য আপনি নিবেন তাতে আমাকে কেনো জিজ্ঞেস করছেন,,???
:::–কারন আন্টি টা তো আপনার মতো ফাজিলের মা!!!
::–অপমান করছেন??
:::—ইচ্ছা না থাকা সত্তেও করতে হলো
::–কেনো বলুন তো(কফিসপ থেকে বেরিয়ে হাটা ধরেছি আমি আর আলিজা,,কথা চলছেই)
::–ঢাকা থেকে আসছেন কবে
::–অপারেশন এর ৫৭ মিনিট পরে
::–কেনো,, আগে আসতে ক্ষতি কি ছিলো
::–প্রথমতো আম্মু বলেনি যে আজই তার অপারেশন তাই কিছুক্ষন পরে রওনা দিয়েছিলাম আর দ্বীতিয়ত ট্রেন ছিলো না তাই বাসে আসতে হয়েছে
:::–আপনার ঘোড়া কই ছিলো তখন…???
:::-মানে…???
::–আপনার গাড়ী
::—ওহ,,,সেটা তো আর ঢাকা নিয়ে যাই নি
::–রেস্টুরেন্ট চলে এসেছি,,,চলুন খাবার কিনে নিয়ে যায়,,কেবিনে একসাথে সবাই মিলে খাওয়া যাবে।
::::—হুম চলুন….
..
..
>একটা ব্যাপার মাথায় কিছুতেই ডুকছেনা,,,ও আমার অতীত কি করে জানলো,,,ও তো এতকথা জানার কথা না,,,,আর সাধারনত ও একজন ডাক্তার হয়ে কেনো এত

ভাবছে আমার পরিবার বা আমাকে নিয়ে,,,, আর বাবার সাথে অভিমানের কথাই বা জানলো কি করে,,,

ভেবে ফিরে গেলাম আমার রক্তাক্ত নীলাভ সেই অতীতে,,
,,
>খুব ভালো কাটছিলো দিনগুলি,,,বাবার সাথে বন্ধুত্ব পূর্ন সম্পর্ক ছিলো,,,ব্যাবসাটাও খুব গুছিয়েই করছিলাম।আমাদের জেলা বা আশেপাশের এলাকাগুলোতে আমাদের

কোম্পানির প্রোডাক্ট এর উপর আস্থা ছিলো,,,আর এগ্রো ফার্মের ক্ষেত্রেও সেই সুনাম ধরে রাখতে চেস্টার কোনো ক্রুটি রাখছিলাম না,,,দিনশেষে ক্লান্ত শরীর বিছানায়

এলিয়ে স্বপ্নের রাজ্যে হানা দিতাম।খুজে বেড়াতাম রাজকন্যা কে,,আবার রাতশেষে শুরু হয়ে যেতো নাম টিকিয়ে রাখার যুদ্ধে।

>যেহেতু একটুআকটু পরিচিতি ছিলো তো এক গাড়ির শৌ-রুম ঊদ্বোধন অনুষ্ঠানে আব্বুর ডাক পড়েছিলো সেটা ঊদ্বোধন করার জন্য

আবার সেদিন ছিলো খালাতো ভাই+বোনের বিয়ে,,,মানে খালাতো বোনের সাথেই খালাতো ভাইয়ের বিয়ে,,,তো আমি আবার কোনো বিয়ের অনুষ্ঠানে যেতাম না,,অবশ্য

হলুদের অনুষ্ঠানে যেতাম।
তো আমি চলে গেলাম ঊদ্বোধন অনুষ্ঠানে আর আব্বু চলে গেলো বিয়েতে,

অনুষ্ঠানে খুব আনইজি লাগছিলো,,,সব মুরুব্বিদের মাঝে আমি ছোটো হয়েও উদ্বোধনী ফিতা কাটতে হবে আমাকে,,

>অনুষ্ঠান প্রায় অর্ধেক শেষ,,,,এবার আমার বক্তব্য দেয়ার পালা।সজীব কে পাঠীয়ে ক্যান্সেল করালাম বক্তব্য দেয়া।কোনোকালেই বক্তব্য দেয়া পছন্দ ছিলো না বা করি না
কিছুক্ষন পরে একটা মেয়ে একটা ট্রে তে করে কিছু বিস্কিট এক কাপ চা আর এক বোতল পানি নিয়ে এলো,,ফরমালিটি দেখানো আর কি,,মেয়েটাকে বলে আরেক কাপ চা আনালাম। হুম সেটা সজীবের জন্য,,,
>সজীব আমার এগ্রো তে একজন ৬ হাজারী শ্রমিক তবে সেটা অন্য কারো কাছে,,,ও তো আমার ভাই,,তবে কেনো আমি একা চা খাবো
>মেয়েটা চা দিয়ে এখনো দাড়িয়ে আছে,,কিছু বলবে বলে মনে হচ্ছে
সজীব কে বললাম কথা বলতে ওর সাথে
সজীব::–কিছু বলবেন কি..??
মেয়েটি::–জ্বি,,স্যার কে কিছু কথা বলার ছিলো,,,
সজীব::–ভাই,, আপনাকে কি যেনো বলতে চাইছে..??(আমাকে উদ্যশ্যে করে)
আমি::–আমি কনফারেন্স রুমে যাচ্ছি,,তুইও আয়,,আর জাহাঙ্গীর ভাই কে বল ওখানে আসতে
সজীব::–(কাচুমুচু করে)মেয়েটা..??
আমি::–(মুচকি হেসে)একটু কাছে এনে বললাম পছন্দ হইছে না কি রে,,,জাহাঙ্গীর ভাই কে বলে দিস সাথে করে নিয়ে আসতে
,,
>সজীব কে সাথে নিয়ে কনফারেন্স রুমের দিকে পা বাড়াতেই সজীব বললো
সজীব::–কিছু মনে না করলে একটা কথা বলতাম ভাই..??
আমি:::-কবে মনে কিছু করছিলাম,,,বলে ফেল তো ফরমালিটি না করে
:::–মেয়েটা কিন্ত অনেক সুন্দর..!!
:::–তো প্রেম করবি..??
::—না ভাই,,,আপনার জন্যে বলছিলাম,,,
:::—থামবি নাকি মাইর খাবি
::—নিজের ভাই হলে এরকম করতে পারতেন না ভাই
:::—আচ্ছা পরে দেখবো
,,
>প্রথম কোনো মেয়েকে দেখে মনে ভুব ফিলিংস হচ্ছে,,,,তবে দেখেই মনে হচ্ছে কোনো সমস্যায় আছে,,,এসব চিন্তার করছিলাম এমন সময় জাহাঙ্গীর ভাই বলে উঠলো
জাহাঙ্গীর:::—আসবো ভাই,,??
আমি’::::–আসুন,,
::–ডেকেছিলেন..??
:::—আব্বু একটু ব্যস্ত তাই আসতে পারে নি,,কিছু মনে করবেন না প্লিজ
:::–কি যে বলেন না,,,আপনি আর আপনার বাবা একি কথা,,তবে কি জানেন তো
:::–কি???
:::—এমপি সাহেব আর এখানাকার ইন্জিয়াররা বিশ্বাস ই করতে পারছেন না এতো কম বয়স আপনার,,,ওরা আপনার নাম শুনেছে কিন্ত ভেবেছিলো আপনি অনেক বড় মানে ২৫-৩০ বছর বয়সী হবেন,,
::–হা হা হা,,তাই নাকি,,,যাই হোক মেয়েটা কোথায়
::–দরজার বাহিরে
:::–ভেতরে নিয়ে আসলেন না কেনো!!!!
::–ইয়ে মানে আপনার অনুমতি ছাড়া আনার সাহস হয়নি
:::—ভাই আমি এতো ফর্মালিটি পছন্দ করি না।নরমাল বিহেভ করুন প্লিজ
:::–সরি ভাই,,,নিয়ে আসছি
মেয়েটি::—আসসালামুআলাইকুম স্যার
আমি::-[মাথা তুলে তাকালাম]হুম বসুন,,জাহাঙ্গীর ভাই,,গ্যাস্ট্রিক এর ট্যাবলেট আর পারলে কিছু খাবারের ব্যাবস্থা করতে পারবেন
জাহাঙ্গীর::-এক্ষুনি করছি স্যার!!
আমি::–ধন্যবাদ,,আর সজীব কে পাঠীয়ে দিবেন
:::–জি আচ্ছা
আমি::–হুম।যান তাহলে
গ্লাসের পানিটুকু খেতে খেতেই সজীব চলে আসলো
সজীব::–কিছু লাগবে ভাই
আমি::-না।বস!
আমি::–(মেয়েটির দিকে তাকিয়ে)কি নাম আপনার??
মেয়েটি::–নিশী তাবাস্সুম
::-নাইস নেইম।তা কি বলতে চান আমাকে

:::–আসলে আমি জাহাঙ্গীর ভাই এর কাজিন।আমার মা বিগত ২ বছর ৭ মাস যাবৎ অসুস্থ।বাবা দেখাশুনা করতেন পুরো পরিবার এর

আমিই একমাত্র মেয়ে তাদের।কিন্ত আজ থেকে ১৩ দিন আগে বাবা মারা যান,,,

আমি::–দুঃখিতো,,,কস্ট দিয়ে ফেললাম।কিন্ত আমি তোমাকে কিভাবে সাহায্য করতে পারি

নিশী:::–আসলে আমার একটা চাকরী খুব দরকার,,যদি আপনাদের এখানে একটা চাকরী পেতাম তাহলে খুব ভালো হতো,,,

আমি:::—আমার এখানে কি চাকরী দেই বলেন তো,,,আমার তো এগ্রো ফার্ম।তবে সজীবের কাছে আপনার নাম্বার টা দিয়ে যান,,,ও কাল আপনাকে ইনফ্রম করে দিবে
:::–ধন্যবাদ স্যার
,
,
>ওর কথাগুলো শুনে খুব খারাপ লেগেছিলো,,,বাবাকে বলি যে ম্যানেজার একটা দিয়ে হচ্ছে না,,,আরেকটা লাগবে,,,ব্যাস বাবা রাজি হয়ে গেলে ওকে নিয়ে আসি,,,নিশী

কে বাবার ওখানে চাকরী দিতে পারতাম কিন্ত মনের কোনে যে অনূভুতির সৃস্টি হচ্ছে ওর জন্য সেটা কে বাড়ানোর জন্যই ওকে এখানে চাকরী দেই,,,,সারাদিন চোখের

সামনে বসে থাকতো।অনুভুতিটা প্রেম নামক অধ্যায়ে যেতে বেশি সময় লাগেনি,,,সবকিছু ডায়েরিতে লিখে রাখতাম।কিছুদিন পরেই নিশী রিজাইন করে,,,,,আর আমার

সাথে ব্রেক-আপ।আমাকে সে কখনোই ভালোবাসেনি,,,চাকরি হারানোর ভয়ে রিলেশমনে জড়িয়েছিলো,, ও ভালোবাসে আমার এগ্রোর লেবার আরমান কে,,

>সহ্য করতে পারি নি।দিনরাত এক করে চার দেয়ালের মাঝে নিজেকে বন্দী করে ফেলি,,,এর মাঝেই বাবা কোথা থেকে যেনো শুনছে ঘটনাগুলো।তখন থেকেই বাবা

উল্টাপাল্টা কথা বলা শুরু করেছিলো।মাস ছয়েকের মাঝেই এগ্রোফার্ম বন্ধ হবার উপক্রম।সব কিছুর জন্য নাকি আমিই দায়ী।ফার্মে নাকি নস্টামী করেছি,,,তিনি এমন

এক কাজ করেছিলেন যেটা মৃত্যুর আগেরদিন পর্যন্ত ওনার সাথে কথা বলা বন্ধ করেছে,,,থুতু মেরেছিলেন আমার মুখে,,,অথচ কোনোদিন ফার্মের ভিতর বা বাহিরে নিশীর হাত পর্যন্ত ছুই নি আমি।
,
তার কিছুদিন পরেই ঢাকা চলে আসি।ভালোই কাটছিলো দিনগুলি।সারাদিন ঘুমিয়ে থাকা আর সারারাত চোখের পানিতে কস্টগুলোকে ধুয়ে ফেলা।আর নিকোটিনের

সাথেও বেশ সখ্যতা হয়ে উঠেছে।সেই থেকে আজ পর্যন্ত ভালোবাসার উপর বিশ্বাস করতে ইচ্ছা হয়নি তবে আজ আলিজা কে দেখে ভুব ইচ্ছা করছে ভালোবাসতে,,
,,
,,
পরিশিষ্ট >>
>কেবিনের দরজার আড়াল থেকে কিছু কথা শুনে মাথা টা কেমন জানি চক্কর দিয়ে উঠলো,,,,,আলিজা আমার আম্মুর বান্ধবীর মেয়ে যার সাথে ছোটোবেলায় বেশ

সখ্যতা ছিলো,,সেটা বেমালুম ভুলে গেছি ভেবে নিজের উপর লজ্জাবোধ হচ্ছে।আমি যখন ঢাকা ছিলাম তখন সে বাসায় আসে আর আমার রুম ঘুরে দেখার সময়

ডায়েরি,,,কলমটা আর সেই হলুদ কালার গিটার যেটা নিশী দিয়েছিলো সেই সব থেকে সে আমার অতীত সম্পর্কে জানতে চাইলে আম্মু তাকে সব বলে আর তারপর সে

আমাকে বিয়ে করতে আগ্রহ প্রকাশ করে
,,
একটি লোক:–স্যার,,আলিজা ম্যাডাম পাঠিয়েছে
লোকটি হাতে একটি খাম ধরিয়ে দিলো,,,, খুলে পড়া শুরু করলাম
,
পড়ার পরে এতুটুকু বুঝতে পারলাম যে আলিজার প্রেমে না পড়লে আর হয়তো ভুল শুদ্রানোর সুযোগ পাবো না।ভুল কি ঠীক সেটা পরের ব্যাপার,,,আগে আলিজার

ডাকে সাড়া আমাকে দিতেই হবে।
,,
আলিজা:::–সব মেয়ে এক হয়না
আমি::–তবে কেনোই বা ভুল করার ভয়
:::–[মুচকি হেসে]তাহলে হাত বাড়িয়ে দিতে ভয় কি
:::–যদি না ধরে সে
:::—ধরবে বলেই তো সে তার হাত দুটো মেলে দিলো
:::—তাহলে তো ধরাই যায়
:::—যদি ছেড়ে যাও তবে জেনে রেখো মৃত্যু আমার নিশ্চিত
::—তবে আমার কি হবে
:::—ভালোবাসি বলবে না
::—ভালোবেসে তোমাকে হতে চাই অন্ধ দেখতে চায় তোমার চোখের আলোয় ভালোবেসে তোমাকে হয়ে

যাবো লেখক তুমি আমি মিলে রচনা করবো ভালোবাসার কাব্য
:::—হুম।অনেক ভালোবাসি তোমাকে
,,
…………………………………..(সমাপ্ত)……………………………………..

গল্পের বিষয়:
ভালবাসা
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত