ভালোবাসি কথাটি বলা হয় নি

ভালোবাসি কথাটি বলা হয় নি

ঢাকা নামক ব্যস্তময় শহরটিতে,নানান ধরন আর নানান ভাষার মানুষ সব জীবিকার তাগিদে ছুটে এসে এক হয়েছে এখানে।।নিজ নিজ কর্মব্যস্ততার ছুটোফুটি সবার মাঝে,মানুষ গুলো সত্যি কেমন যানি টাকার পিছনের ছুটতে ছুটতে জীবনের সখ আল্লাদ গুলিও বিসর্জন এর পাল্লাতে দাড় করিয়ে দিয়েছে।
আর আমি একমাত্র ব্যাক্তি যে কিনা কোনো কাজ ছাড়াই এই বাসস্টপ এ এসে রোজ বসে থাকি।
একজনের মুখ থেকে ভালোবাসার কথা শুনবো বলে।। জানি সেটা কখনো হবার নই তবুও বেহায়া মনটাকে কিছুতেই মানাতে পারি নাই আজও।

এই সেই বাসস্টপ “যেখানে লুকিয়ে আছে একজোড়া প্রেমের কাহীনি যেটা শুরু হবার আগেই দমকা হাওয়ার দোলা লেগে সব লন্ডভন্ড হয়ে গেছিলো।।

বাসস্টপ এ থাকা আধোভাঙ্গা দেওয়াল ঘড়িটার দিকে এক পলক তাকিয়ে নিয়ে আবার পাশে থাকা ছোট্ট বসার স্থানটাতে গিয়ে বসলাম।।
বসে স্মৃতির ডায়েরিটা আওড়াতে শুরু করলাম

দু বছর আগের ঘটনা……

সেদিন ছিলো আমার ইন্টারভিউ আর আমি অধির আগ্রহে বাস আসার অপেক্ষা করছিলাম এখানে বসেই শেষমেশ…….

না,বাসের অপেক্ষাতে থাকলে আজ আর ইন্টারভিউটা দেওয়া হবে না।
তাই রিক্সা ডাক দিলাম,

ঐ খালি যাবেন,
:-হুম যাবো আহেন।

অতঃপর বাসের আশা ছেড়ে দিয়ে রিক্সাতে উঠতে গেলাম,কিন্তু এমন সময় ওপাস থেকে একটা মেয়েও রিক্সাতে উঠে পড়লো।

:-আরে আরে আপনি রিক্সাতে উঠছেন কেন।
:-খালি রিক্সা পেয়েছি তাই উঠেছি।
:-আজিব তো,রিক্সাটা তো আমি ডেকেছি।
:-ডেকেছেন তো কি হয়ছে,আগে আমি উঠেছি।
:-আগে উঠলে তো হবে নাহ্,আমি ডেকেছি তো আমি উঠবো।
:-নাহ্ আপনি অন্যটা দেখেন।
:-আজব মেয়ে তো আপনি।
:-হুম আজব ই আমি।

আমাদের দুজনের তর্কা তর্কি দেখে রিক্সাওয়ালা বললো,
:-মামা আপনেরা ঝগড়া কইরেন না,আপনেরা তো একজায়গাতে যাবেন তো একলগে গেলে সমস্যা কিসের।

এমনিতেই বাস আসার নাম নাই আর খালি রিক্সাও পাচ্ছি না আবার ইন্টারভিউ দিতে হবে।তাই বেশি কথা না বাড়িয়ে রিক্সাওয়ালার কথা মেনে নিয়ে রিক্সাতে উঠলাম।

মেয়েটার উপরে খুব রাগ হচ্ছে আমার,কিন্তু মেয়ে মানুষ দেখে ভিতরে ভিতরে চেপে যাচ্ছি।রিক্সাওয়ালা গুনগুন করে গান গাচ্ছে,,এমনিতেই টেনশন এ আছি তারউপরে আবার এই মেয়ের সাথে ঝগড়া হলো,আবার রিক্সাওয়ালা ভাঙ্গা গলাতে গান সব মিলিয়ে মেঝাজ টা চরম খারাপ হয়ে গেলো।

:-মামা মুখ টা বন্ধ করে একটু জোরে চালান না।
:-আমি গান না গাইলে রিক্সা চালাতে পারি নাহ্।

ইচ্ছে করছে রিক্সা ওয়ালারে….
:-মামা তুমি গান ই গাও তবে একটু জোরে চালাও মামা আমার ইন্টারভিউ আছে।

আমার কথা শুনে রিক্সাওয়ালা একটু জোরে প্যাডেলে মারা শুরু করলো।

এই মামা থামেন থামেন একটু থামেন না।

রিক্সাওয়ালাকে থামিয়ে দিয়ে মেয়েটা একদৌড়ে রাস্তার ওপাসে গেলো।

মেঝাজ টা আরো খারাপ হয়ে গেলো,কিন্তু একটু পরে যেটা দেখলাম সেটা দেখার পর নিমিষেই সব রাগ হারিয়ে গেলো।
দেখলাম মেয়েটা রাস্তার পাশে থাকা দু জন বাচ্চা ছেলেকে খাবার কিনে দিচ্ছে,আর সাথে আসার পথে এলোমেলো খুসকো ধুলোযুক্ত চুল গুলোতে হাত বুলিয়ে দিলো।

আমি অবাক চোখে মেয়েটির এমন পরোপকারি মনোভাব দেখছিলাম।
এমন মেয়েও আছে এখনো,তাও আবার এই যান্ত্রিক শহরটাতে।

একটু পর মেয়েটি রিক্সাতে উঠলো,,
:-চলেন মামা।

আবার রিক্সা এগিয়ে যেতে লাগলো।
কিছুক্ষর চুপ থাকার পর মেয়েটি আমাকে সরি বললো।
:-সরি কেন?
:-আপনার ইন্টারভিউ এর দেরি করিয়ে দেওয়ার জন্য।
:-ইটস ওকে,বলে মেয়েটির দিকে তাকালাম।
:-আসলেই মেয়েটিকে দেখলে বোঝায় যাই না মেয়েটি এমন,,১ম এ যেভাবে আমার সাথে কথা বলছিলো আর এখন যেটা দেখলাম সব মিলিয়ে মেয়েটিকে আমার ভালো লেগে গেলো।

অতঃপর আমার গন্তব্যে চলে আসলাম,রিক্সাওয়ালা কে ভাড়া দিয়ে নেমে গেলাম।।

এমন সময় পিছন থেকে মেয়েটি বললো,
:-ওল দ্যা বেষ্ট
:-ধন্যবাদ,বলেই চলে গেলাম।

ইন্টারভিউ দিলাম,খু্ব ভালো হয়ছে এবার মনে হয় চাকরিটা পাবো।

কিছুদিন পর আবার রাস্তার পাশে দাড়িয়ে অপেক্ষা করছিলাম রিক্সার জন্য,এমন সময় একটা রিক্সার ভিতর থেকে মুখ বার করে কেও আমাকে ডাক দিলো রিক্সাতে উঠে আসার জন্য।
তাকিয়ে দেখলাম ওই দিনের সেই মেয়েটি।

যেহেতু রিক্সা পাচ্ছি না তাই উঠে পড়লাম,
:-ইন্টারভিউ কেমন দিছিলেন।
:-হুম ভালো চাকুরিটা হবে মনে হয় এবার।
:-হুম,,ভালো আপনার নাম কি?
:-আমার নাম নীল,আপনার?
:-আমার নাম নীলাদ্রি।
:-ওহ্ আচ্ছা।
:-দেখছেন আমাদের নামের ভিতরে কত মিল,হিহিহিহিহিহিহিহি মেয়েটির হাসিটাও অনেক সুন্দর,মনে হচ্ছে ছোট্ট একটা শিশু খোলা মনে হাসি দিচ্ছে আর হাসিটাও নিষ্পাপ যেন এই মুহুর্তেই আমার মন কেড়ে নিবে।

:-হুম।
:-আপনি কি এমনই।
:-কেমন।
:-এই যে কম কথা বলেন,মুখ গম্ভীর করে থাকেন সবসময়।
দেখেন সবসময় হাসি খুশি থাকবেন তাহলে দেখবেন মন শরির দুটোই ভালো থাকবে আর গম্ভীর থাকলে কেও পছন্দ করে না,কেমন যানি লাগে।
:-আমি এমনই।
:-একটু পাল্টাতে হবে,এভাবে থাকলে রোবট এর মতন লাগে।আচ্ছা আমি একটু বেশি কথা বলি তাই না।।অবশ্য সবাই এটা বলে,জানেন তো আমি কথা না বলে থাকতে পারি না কেমন জানি দম বন্ধ বন্ধ লাগে,যখন খুব রাগ হয় তখন আয়নার সামনে গিয়ে নিজের সাথে নিজে অনেক কথা বলি তাহলে এমনিতেই মন ভালো হয়ে যাই আমার।।
বলেই আবার হেসে ফেললো।

নীলাদ্রি কথা বলে চলেছে আর আমি তার মুখের দিকে তাকিয়ে আছি,আসলে মেয়েটির মনটা অনেক ভালো,সবার সাথে হাসি খুশি ভাবে মেলামেশা করে।।আর ছটফটে মেয়েদের মনে কোনো দুষ্টু বুদ্ধি থাকে না।
মেয়েটা কথা বলছে আর মৃদু বাতাসে তার কালো কেশ গুলো মুখে আচড়ে পড়ছে আর নীলাদ্রি সে গুলোকে আলতো করে সরিয়ে দিচ্ছে।

এভাবেই একটা অপরিচিতো মেয়ের সাথে আমার বন্ধুত্বের সুচনা হয়।

তারপর থেকে যতটুকু সময় পেতাম নীলাদ্রির সাথে কাটাতাম,কারন ওর সাথে যতটুকু থাকতাম ততোটুকু মনে হতো আমি পৃথিবীর সব থেকে সুখি মানুষ ওর মুখের কথা গুলো সুনলেও একধরনের প্রশান্তি লাগতো মনের ভিতরে।

নীলাদ্রির মনটা এতোটায় কোমল ছিলো যে ওহ্ যখন অতিরিক্ত হাসতো নিজের অজান্তেই চোখের কোনে পানি জমা হয়ে যেতো ওর।।

এমন একটা মেয়েকে জীবনে চেয়েছিলাম,যার চোখের দিকে তাকালে আমি আমার পুরো পৃথিবীকে দেখতে পাবো,যার কন্ঠস্বর শুনলে সারাদিনের ক্লান্তি দুর হয়ে যাবে একনিমিষেই,যাকে হাজারও সুন্দরির ভিতরে চোখ বুজে খুঁজে নিতে পারবো,যে সবার মাঝে অন্যতম আর সবার মাঝে থেকেও নিজের গুন গুলো প্রকাশিতো করার ক্ষমতা থাকবে,যে হবে সাধারনের মাঝেও অসাধারন।

আর তাকে আমি পেয়েছি,সে আর কেও না সেই মেয়েটি নীলাদ্রি।।

নীলাদ্রিকে আর হারাতে চাই নি তাই ভাবলাম এবার ভালোবাসার কথাটি বলেই দিবো,কিন্তু কিভাবে বলবো সেটা নিয়েও বেশ চিন্তিত হয়ে পড়লাম ওর সামনে গেলেই বুকের ভিতরে হার্টবিট টা ক্রমসই বাড়তে থাকে,না বলা কথা গুলো বলতে গিয়েও বলতে পারি না।

অনেক ভেবে দেখার পর,সিদ্ধান্ত নিলাম চিরকুটের মাধ্যমে আমার ভালোবাসার কথাটা নীলাদ্রি কে জানাবো।

সেদিন বিকেলে নীলাদ্রির সাথে দেখা করার সময় সুযোগ বুঝে ওর ব্যাগের ভিতরে চিরকুট টা ঢুকিয়ে দিলাম।

নীলাদ্রির কাছে আর দাড়িয়ে থাকতে পারছিলাম না,কারন হার্টবিট টা এতটাই কাপছিলো মনে হচ্ছিলো এখন হার্ট টা বাষ্প হয়ে যাবে।

নীলাদ্রির কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে আসলাম,আর অপেক্ষা করতে লাগলাম নীলাদ্রির ফোন এর জন্য।

ফোন আসলে কি বলবো,কিভাবে শুরু করবো হাজারো চিন্তার সাগরে ঢুবে গেলাম।।
ভাবতে ভাবতে দেখি মোবাইল এর স্ক্রিনে নীলাদ্রির নামটা ভাসছে,,কাপা কাপা হাতে ফোনটা হাতে নিয়ে রিসিভ করলাম।
মুখ দিয়ে কথা বার হচ্ছিলো না,
অনেক কষ্টে বললাম,,,
:-হ্যালো
:-এই আমার ব্যাগের ভিতরে এটা কি?
:-কি ব্যাগের ভিতরে,(না জানার ভান করে(
:-কি সেটা তো আমিও জানতে চাইছি।
এবার একটু সাহস নিয়ে বললাম
:-তোমার ব্যাগের ভিতরে কি আছে আমি কি করে বলবো।
:-তুমি জানো না।

নীলাদ্রির এ কথার কোনো উত্তর এই মুহুর্তে আমার জানা নেই,তাই চুপ করে থাকলাম।
:-কি হলো বলো।
:-হুম জানি,ওটা আমি দিয়েছি বলেই একটা ঢোক গিললাম।

আমার কথা শুনে নীলাদ্রি হেসে ফেললো..
:-আরে ভিতু ভালোবাসি কথাটি মুখে বলতে পারো না,চিরকুটে দেওয়ার কি দরকার।

নীলাদ্রির মুখে একথাটি শুনে খুশিতে লাফিয়ে উঠলাম,,খুশিকে কন্ট্রোল করে বললাম।
:-অনেকবার বলতে চেয়েছি কিন্তু বলতে পারি নাই ভয়ে।
:-কিসের ভয়।
:-হারানোর ভয়ে,যদি কথাটি শোনার পর তোমাকে হারিয়ে ফেলতে হয়।
:-আচ্ছা,কিন্তু কথা টা আমি তোমার মুখ থেকে শুনবো।
:-আচ্ছা বলছি।
:-এই নাহ নাহ্ এভাবে নাহ্,কালকে বলবা সামনা সামনি সবাই যেভাবে প্রপোজ করে সেভাবে।আর সেটা হবে বাসস্টপে যেখানে আমাদের ১ম দেখা হয়েছিলো।
:-আচ্ছা বলবো,,তবে তোমাকে একটা কাজ করতে হবে।
:-কি কাজ।
:-তোমাকে কালকে নীল শাড়ি পড়ে আসতে হবে।
:-আমি তো শাড়ি পড়তে পারি না।
:-ওহ্ তাহলে তোমার যেটা ভালো লাগে সেটা পরো।

এবার শুরু হলো আগামি দিনের সকালের অপেক্ষার প্রহর গোনার,একটা একটা মিনিট যেন ঘন্টার মতন লাগছিলো বুকের ভিতরটা ছটফট করছিলো,কখন যে নীলাদ্রিকে “”ভালোবাসি””” বলবো।
সারারাত চোখের পাতা দুটো এক করতে পারলাম না।
খুব সকাল এ রেডি হয়ে নীলাদ্রিকে ফোন দিলাম।
:-তুমি কোই?
:-কোই মানে আমার বাড়িতে।
:-এখনো বাড়িতে,আজকে না আমাদের দেখা করার কথা।
:-হুমম,,এতো সকালে দেখা করবা নাকি।
:-আমি আর অপেক্ষা করতে পারছি না।
:-বাববা এতো তাড়াহুড়ো,একটু সবুর করো
:-আচ্ছা তুমি তাড়াতাড়ি আসো আমি অপেক্ষা করবো তোমার জন্য।

তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে বার হয়ে গেলাম আর হাতে গোলাপ নিয়ে অপেক্ষা করতে লাগলাম,,

সেই জায়গাতে,যেখানে ১ম নীলাদ্রির সাথে দেখা হয়েছিলো।
ঘড়ির কাটাটাও থমকে গেছে, সময় যেন যেতেই চাচ্ছে না।।

অবশেষে অপেক্ষার প্রহর পেরিয়ে দুর থেকে নীলাদ্রিকে দেখতে পেলাম।

নীলাদ্রি আজকে নীল শাড়ি পড়েছে।।কিন্তু আমাকে যে বললো শাড়ি পড়তে পারি নাহ্,,মনে হয় আমাকে সারপ্রাইজ দিবে বলে মিথ্যা বলেছিলো।।উফ নীল শাড়িতে নীলদ্রিতে খুব সুন্দর লাগছে আজকে।
মনে হচ্ছে নীল দিগন্তের মাঝ থেকে একটা নীল পরী পাখা মেলেছে,মুক্ত আকাশে তার ভালোবাসার হাতছানিতে আমাকে দু হাত বাড়িয়ে ইশারা দিয়ে ডাকছে।

অপলক দৃষ্টিতে নীলাদ্রির দিকে তাকিয়ে আছি,কিছুতেই চোখ ফেরাতে পারছি না ওর দিক থেকে।
দাড়িয়ে থেকে নীলাদ্রির কাছে আশার অপেক্ষা করছিলাম।

মুহুর্তের ভিতরে আমার ভালোবাসার আকাশটাতে একরাশ কালো মেঘ জমে গেলো,চারদিকটা নিস্তব্দ হয়ে গেলো।
থমকে গেলো চারপাশটা,নির্বাক হয়ে দাড়িয়ে রইলাম আমি।।
হাতে থাকা ফুলগুলোও মাটির বুকে পড়ে গেলো।
দেখি একটু দুরে আমার ভালোবাসার মানুষটা রাস্তার উপরে লুটিয়ে পড়েছে,পিচ ঢালা রাস্তাটাও নীলাদ্রির রক্তে নিজেকে রাঙ্গিয়ে লাল হয়ে গেলো।

দৌড়ে গিয়ে মানুষের ভিড় ঠেলে সামনে এগিয়ে গেলাম।
দেখি আমার নীলাদ্রির মায়া ভরা মুখটা রাস্তার সাথে ঘষা লেগে রক্তাত্ত হয়ে গেছে,দিঘল কালো কেশ গুলো দিয়ে রক্তের ধারা বয়ছে,,,নিজেকে আর সামলাতে পারলাম না।
নীলাদ্রিকে জড়িয়ে ধরে চিৎকার দিয়ে উঠলাম।
তখনও নীলাদ্রির শ্বাস চলছে,তাড়াতাড়ি করে এম্বুলেন্স নিয়ে আসা হলো।।

নীলাদ্রি আমার হাতটা শক্ত করে ধরে আছে,নীলাদ্রির মাথাই হাত বুলিয়ে দিচ্ছি আর অভয় দিয়ে বলছি তোমার কিছু হবে না।।

কিন্তু ভাগ্য হয়তো সেদিন আমার সহায় ছিলো না,যার কারনে সেদিন নীলাদ্রি কে ধরে রাখতে পারি নি।

শেষ বার নীলাদ্রি আমার হাতটা শক্ত করে ধরে বলেছিলো আমার হাতটা কখনো ছেড়ে দিও না আমিও কথা দিয়েছিলাম কিন্তু আমি এতটাই স্বার্থপর যে নীলাদ্রিকে দেওয়া কথা রাখতে পারি নি।
তার হাত টা শক্ত করে ধরে রাখার পরও তাকে নিজের করে রাখতে পারি নি।সেদিন নীলাদ্রিকে জড়িয়ে ধরে চিৎকার করে বলেছিলাম,
“”নীলাদ্রি আমি তোমাকে ভালোবাসি””
কিন্তু বলতে একটু দেরি করে ফেলেছিলাম,যার কারনে নীলাদ্রি অভিমান করে এতটাই স্বার্থপর হয়ে গেছিলো যে আমার ভালোবাসার আর কোনো প্রতিউত্তর করে নি।

মৃত্যু নামক ভয়ংকর শব্দ টা সেদিন আমাদের ভালোবাসাটার শুরুতেই ইতি টেনে দিয়েছিলো।

আমিও বেঁচে আছি কিন্তু জিবন্ত লাশ হয়ে,কারন আমি জানি নীলাদ্রির জায়গাটা আর কেও কখনো নিতে পারবে না।

তার স্মৃতিগুলোকে বুকে আকড়ে রেখে এখনো দিন গুনে যাচ্ছি,
কারন আমি মনে প্রানে বিশ্বাস করি
“”সত্যি কারের ভালোবাসা কখনো শেষ হবার নই””

গল্পের বিষয়:
ভালবাসা
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত