অভিমান

অভিমান

তাসিম খুব একটা চঞ্চল টাইপের ছেলে। তার বয়স মাত্র ১২ বছর। কিন্তু এই বয়সে সে নুসরাত কে প্রায় ৫ বার প্রেম পত্র দিয়েছে। কিন্তু নুসরাত প্রেম শব্দ উচ্চারণ হই করতে পারে আর সে নাকি প্রেম করবে। নুসরাত প্রেম কে পেম বলে । নুসরাত ও তাসিম একেই বাসায় থাকে। তাসিম থাকে উপরের তলায় আর নুসরাত থাকে নিচের তলায়। নুসরাত খুব মিষ্টি একটা মেয়ে। তার কণ্ঠটা এতোই মধুর যে পাশের বাসার বৃদ্ধ বয়সি নিলয় সাহেবও উকি মারেন। নুসরাত তার নাতনি লাগে।
.
একদিন তাসিম স্কুল থেকে এসেই বাসায় দেখতে পায়। অনেক অথিতি তাদের বাসায় এসেছেন । মাকে গিয়ে জিজ্ঞাস করলে মা বলেন নুসরাতের বাসায় নাকি এসেছেন। তাই সে তাড়াতাড়ি ব্যাগ,প্যান্ট, খুলে নুসরাতের রুমে চলে যায়। নুসরাতের রুমে যাওয়ার পর তাসিম দেখতে পায় নুসরাত মিষ্টি খাচ্ছে। তাসিম গিয়ে নুসরাতের একটা মিষ্টি খেয়ে নেয়। তারপর নুসরাত রেগে আগুন হয়ে যায়। তারপর দু’জনের ঝগড়া। কিন্তু এ দিকে তাসিম ঝগড়া করতে করতে আর ৩ মিষ্টি খেয়ে পেলে। নুসরাত এবার ঝগড়া বাদ দিয়ে মুখটা কালো করে কান্না করতাছে।
তাসিম নুসরাতের কালো মুখটা দেখে খুব খারাপ লাগে তাই সে তার রুম থেকে গিয়ে অনেক গুলা আইসক্রিম নুসরাত কে এনে দেয়। নুসরাত তো অনেক খুশি। নুসরাত একটার পর একটা আইসক্রিম খেয়ে ওই যাচ্ছে।
আর এ দিকেও তাসিম মিষ্টি খেয়ে ওই যাচ্ছে।
.
তাসিম একদিন দেখতে পেল তার মায়ের লাল শাড়ী আলমারির মধ্যে দেখা যাচ্ছে। সে শাড়ী নিয়ে এক দৌড় দিয়ে নুসরাতের কাছে চলে যায়। নুসরাত কে বলে এই লাল শাড়ী পড়তে। কিন্তু নুসরাত পড়বে না বলে দেয়। আবার তাদের মধ্যে ঝগড়া। তাসিম নুসরাতের চুলে ধরে কালি টান আর টান। আর এ দিকে নুসরাত তার টিশার্ট এ ধরে টিশার্ট টা ছিঁড়ে ফেলছে। এক সময় তাদের ঝগড়া বন্ধ হয়ে যায়। তাসিম দেখে তার টিশার্ট ছিঁড়া। এবার তাসিম রেগে গিয়ে ঠাস করে থাপ্পড় দিয়ে দৌড় দিয়ে চলে যায়।
.
তাসিম স্কুল থেকে বাসায় আসছে আর দেখতে পায় একটা লোক কাচের চুড়ি বিক্রি করতাছে। সে ভাবলো নুসরাতের জন্য নিলে কেমন হয়। তাই সে নুসরাতের জন্য কাচের চুড়ি কিনল। সে বাসায় এসে দেখতে পায় তার মা বাসায় নেই। তাই সে নুসরাতের বাসায় যায়। সেখানে গিয়ে দেখে তার মা নুসরাতের পাশে বসে আসেন। নুসরাতের মাথায় বেন্ডিস। সে বুঝতে পারে কাল ঝগড়া জন্য এমন হয়েছে। তার চোখ দিয়ে পানি এসে পড়ে গেল । তার মা এক সময় চলে যায়। এখন শুধু তাসিম আর নুসরাত। তাসিম নুসরাতের হাত ধরতেই নুসরাত ঝাড়ি মেরে অন্য দিকে চেয়ে আছে। কিন্তু তাসিম জোরাজোরি করে নুসরাতের হাতে কাচের চুড়ি পড়িয়ে দিয়ে দৌড় দিয়ে চলে যায়।
.
তাসিম ক্লাস ১০ম শ্রেণীতে উঠতেই তাসিমের মা তাসিম কে সিলেটে মেসে পাঠিয়ে দেন। সেখানে থেকে সে লেখাপড়া করে। নুসরাত এখন আর আগের মতো পিচ্চি না। একটু বড় হয়েছে সেও গ্রামের স্কুলে ক্লাস ১০ম শ্রেণিতে পড়ে। তাসিমের উপর নুসরাতের অনেক অভিমান। সেই ঝগড়ার পর থেকে নুসরাত আর তাসিমের সাথে কথা বলে না।সে ঘটনার পরও তাসিম নুসরাতকে অনেক উপহার দিয়েছে কিন্তু নুসরাত তার সামনে সব উপহার জানালা দিয়ে ফেলে দেয়। তাসিম তখন খুব কষ্ট পায়। কিন্তু হাসি মুখে সেখান থেকে চলে আসে কোনো কিছু বলে না কিন্তু একটা কথা বলে সেটা হলো নুসরাত তোর এইটা ভালো লাগে নি যা আরেকটা এনে দিব। কিন্তু নুসরাত কোনো কথা বলে না।
.
এর পরে কেটে যায় তাদের মধ্যে কয়েক টা বছর। তাসিম এখন অনার্স ৪ বর্ষ পড়ে। আর নুসরাতও একেই ক্লাসে। কিন্তু তাসিম সিলেটে পড়ে। মাঝে মাঝে তাসিম নুসরাতকে বাসায় এসে লুকিয়ে লুকিয়ে দেখে। নুসরাত আগ থেকে অনেক সুন্দর হয়েছে। তাসিম আর আগের মতো করে নুসরাত কে ভালোবাসে না। কারণ নুসরাত আগ থেকে অনেক সুন্দর হয়েছে। সুন্দর মেয়েরা চায় তাদের ভালোবাসার মানুষও তাদের মতো সুন্দর হউক। তাসিম এতো টা সুন্দর না। তাই বাসায় আসলেও নুসরাতের ধারে কাছে আসে না। এক দুই দিন থেকেই চলে যায়।
.
তাসিম এই কয়েকদিনে দেখতে পেল নুসরাত প্রায়ই তাদের বাসায় আসে। এসে তার মাকে রান্নাবান্নায় সাহায্য করে। আর নতুন নতুন খাবার তাসিম টেবিলে দেখতে পায়। খাবার কিন্তু অনেক মজা। তাসিম বুঝতে পারছে এগুলা নুসরাতের রান্না। কারণ তার মায়ের হাতের রান্না সে চিনে। কিন্তু নুসরাত কেন তারজন্য রান্না করে। সে বুঝতে পারল না। এখন আবার তার প্রতি ভালোবাসা জন্মাতে লাগলো। কিন্তু গোপনে।
তাসিম মাঝে মাঝে আড় চোখে তাকায় নুসরাতের দিকে।
.
তাসিম বাসা থেকে অনেক দিন হলো মেসে চলে এসেছে। বাসার কথা খুব মনে পড়ছে আর নুসরাতের কথাও । কিন্তু বাসা থেকে ফোন আসলো তাসিম যেন তাড়াতাড়ি বাসায় চলে যায়। তাসিম সে খবর পেয়ে ওই বাসায় চলে যায়। তাসিম বাসায় গিয়ে দেখে সারাবাসা সাজানো। মনে হচ্ছে কারো বিয়ে। কিন্তু কার বিয়ে?
তাসিম তার মাকে গিয়ে জিজ্ঞাস করতেই তার মা বলে দেন নুসরাতের সাথে তার বিয়ে

তাসিম তো মহা খুশি। যাক বাবা অবশেষে সে তার ভালোবাসার মানুষকে কাছে পেল।
.
আজ বিয়ে হয়েছে ১০ দিন হলো। বাসর ঘরে তাসিম গিয়ে দেখতে পায় নুসরাত ঘুমিয়ে আছে। আর একটা কাগজের মধ্যে লেখা এইটা হলো আমার খাট কেউ যেন এই খাটে না ঘুমায়।
তারপর সে গিয়ে সোফায় ঘুমিয়ে থাকে।
এরপর তাদের মধ্যে আর কোনো কথা হয় নি।
.
তাসিম অভিমান করে আবার সিলেট চলে যায়। আর এ দিকে নুসরাত আলমারি খুলতেই দেখতে পায় অনেকগুলো চিঠি।
চিঠির মধ্যে লেখা নুসরাত তুমি আমার সাথে কথা বল না কেন?
কি দোষ আমার। ও এখন তো তুমি অনেক সুন্দর। নুসরাত এসব কথা পড়ে মনে মনে হাসে। যে তাসিম নুসরাত কে এতো ভালোবাসে আর সে নাকি নুসরাতের সাথে অভিমান করে কথা বলে না।
.
নুসরাত একদিন তাসিম কে টেক্সট দেয়। কেউ আর আগের মতো করে আমার সাথে ঝগড়া করে না। আমার একা বাসায় থাকতে আর ভালো লাগে না। আমার মরে যেতে ইচ্ছা করে। আমি কি মরতে পারি?
তাসিম এ রকম টেক্সট পেয়ে অবাক হয়ে যায়। কারণ এর আগে তো নুসরাত তাসিমের সাথে কথা ওই বলত না। আর এখন সে নাকি তাসিমের জন্য মরতে যাচ্ছে। তাই সে সব কাপড়চোপড় ব্যাগের মধ্যে ভরে বাসার উদ্দেশ্য রওয়ানা দেয়।
.
নুসরাত মনের দরজা টা খুলে তাসিমের জন্য অপেক্ষা করে আছে। যে কবে তাসিম আসবে। তাসিম এসে তাকে জড়িয়ে ধরবে। আর বলবে আমাকে মাফ করে দেও। আমি তোমাকে অনেক কষ্ট দিয়েছি। আর এ দিকে তাসিমের মন টা আজ খুশির জোয়ার বয়ে যাচ্ছে। যে কিনা তার ভালোবাসার মানুষটা তাকে ডাক দিয়েছে।
তাসিম বাসায় এসে দরজা টা খুলতেই তার চাঁদ মণি পাখিটাকে দেখতে পায়। নুসরাত তো লজ্জায় মাথা নিচু করে সেখান থেকে চলে যায়। তাসিম বুঝতে পারছে নুসরাত কিছুটা লজ্জা পেয়েছে। তাই তাসিম তার মায়ের কাছে গিয়ে মাকে জড়িয়ে ধরে তার রুমে চলে যায়। তাসিম তার রুমে যাওয়ার পর দেখতে পায় নুসরাত আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। তার মানে নুসরাত কিছু টা সাজসজ্জা করতে বসেছে। তাসিম তো নুসরাতের দিকে চেয়ে আছে। নুসরাত এবার কিছু একটা বলতে চায়……
>>এমন করে কি দেখ?
>> কি আর দেখব। একটা পেত্নী আমার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। তাকে আমার দু’চোখ ভরে দেখতাছি। আজ তাকে খুব সুন্দর লাগছে।
>> ইশ! ঢং করতে আইছ। এতো দিন পর আমার কথা মনে হলো। আমি এমনেতেই সুন্দর। কোনো বান্দরের মুখ থেকে এ কথা শুনতে আমার বয়ে গেছে।
>> তুমি সুন্দর হবে না। বুঝতে হবে না বউ টা কার। তুমি কি যার তার বউ নাকি। তুমি আমার বউ।
>> এতো বউ বউ বল কেন? আমার বুঝি লজ্জা করে না। আমি কি সেই ছোট নুসরাত রয়ে গেছি নাকি? আমি এখন অনেক বড় হয়েছি বুঝলা।
>> আমার না খুব খিদা লাগছে। অনেক দূর থেকে এসেছি তো। তাই বলছিলাম আমার জন্য কি খাবার টেবিলে খাবার রেখে আসবে। আমি কিছুটা ফ্রেস হয়ে খাবার টেবিলে খাবার জন্য বসতাম।
>> ও লে আমার বাবু টারে। অনেক দূর থেকে তো আইছ তো তাই অনেক খিদা লাগছে। আচ্ছা তোমার বউ গিয়ে তোমার জন্য খাবার টেবিলে খাবার রেখে আসছে।
কিন্তু তার বিনিময়ে আমাকে আজ রাতে চাঁদ দেখাতে নিয়ে যেতে হবে।
>> আচ্ছা নিয়ে যাব। বউ তোমার জন্য না একটা শাড়ী আনছি। তুমি কি তা পড়বা?
>> সত্যি তুমি আমার জন্য শাড়ী আনছ।দেখি দেখি। এই শাড়ী পড়ে আমি আজ রাতে তোমার সাথে সারা রাস্তা হাটব।
>> খুব সুন্দর না শাড়ী টা। জানো অনেক খুঁজাখুঁজি করার পর এই শাড়ী টা পাইছি।
>> ইশ! আমার জন্য কত কষ্ট করে শাড়ী টা কিনে আনছ আর আমি শাড়ীটা পড়ব না। একশো বার পড়ব।
.
নুসরাত মিষ্টি করে লাল টিপ,কাজল এসব কিছু দিয়ে সাজসজ্জা করে তাসিমের সামনে এসে হাজির হল। কারণ তাকে নিয়ে বাহিরে ঘুরতে যেতে হবে। আর তাসিমেরও খুব ভালো লাগছে। এই প্রথম ছোট বেলার পর থেকে এখন দু’জন রাস্তায় বের হলো। তাও আবার রাতের বেলা। আকাশের চাঁদ টা আজ কম আলো দিচ্ছে। কারণ দুই আলো তো একসাথে বের হচ্ছে। এমনেতেই তো আকাশে আলো ছড়িয়ে আছে। রাস্তার পাশে কুকুররাও ঘেউ ঘেউ শব্দ করছে। আর জোনাকিপোকার শব্দও শুনা যাচ্ছে। কিন্তু সে দিকে নুসরাত ও তাসিমের কোনো খেয়াল নেই।
.
তাসিম আজ বাসা থেকে চলে যাবে। তাসিমের চলে যেতে ইচ্ছা করছে না। কি করে যাব বলেন। সে তো নুসরাত কে খুব ভালোবাসে। আর ভালোবাসার মানুষ টা এখানে একা একা রয়ে যাবে। কিন্তু কিছু করার নাই। তাসিম কে তার গন্তব্য স্থানে যেতে হবে।
>> আর কয়েকটা দিন থেকে গেলে হয় না।
আমি তো বাসায় সব সময় একা থাকি। কিছু ভালো লাগে না।
>> আমি তো আর কিছুদিন পর চলে আসব। আমার কথা যখম তোমার মনে হবে তখন আমাকে ফোন দিবা। আর ফোন দিয়ে তোমার মনে সব কথা আমাকে বলবা।
আমি ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে সব কথা শুনতে থাকব।
>> কি মহাপুরুষ। বাহবাহ। আমি আমার কথা বলব আর তুমি ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে আমার সব কথা শুনবা। আর নিজে কিছু বলবা না। শুধু কি আমার কথাই শুনবা। আর তোমার কোনো কথা নাই।
>> আমি তো আর সেখানে একা নেই। আমার তো অনেক বন্ধুবান্ধব সেখানে আছে। তাদের সাথে কথা বলে দিন কাটিয়ে ফেলব। কিন্তু তুমি তো এখানে একা আছ তাই বললাম।
>> ও এখন তো আমি বুইড়া হয়ে গেছি। আমার সাথে এখন তোমার কথা বলতে হবে কেন। তোমার সেই সুন্দর সুন্দর বান্ধবীদের সাথে কথা বলতে তোমার ভালো লাগবে।
>> এমন করে কেন বলছ। আচ্ছা আমার সাথে কি তুমি যাবা। তুমি যদি যাও তাইলে আমি আমার মা-বাবা কে বলে তোমাকে সেখানে নিয়ে যাব।
>> সত্যি বলছ। আমি যাব। বল না।
>> তুমি গেলে আমার আবার খরচ ভেড়ে যাবে। একটা বাসা খুঁজে বের করতে হবে। বাসার মধ্যে কত কিছু কিনে নিয়ে আনতে হবে। ইশ!আমি আর একা থাকতে পারলাম কোথায়?
>> ও এখন আমি ঝামেলা হয়ে গেলাম। যাও আমাকে তোমার সাথে নিয়ে যেতে হবে না । আমি এখানেই ভালো থাকব।
>> রাগ করার কি আছে। তুমি সেখানে না খেলে আমি সেখানে কার সাথে গল্প করব। কার সাথে রাতের চাঁদ দেখব।
>> কেন? তোমার ওই সুন্দর সুন্দর বান্ধবী আছে না। তাদের সাথে লুতুপুত করবে। তারা তো তোমাকে ফোন দিয়ে তোমার সাথে কি সুন্দর সুন্দর করে কথা বলে। আমি বুঝি না। সব বুঝি। যাও যাও আমাকে না নিয়ে ওই
সেখানে চলে যাও।
>> আচ্ছা বাবা। আমি এখন ওই গিয়ে মা কে বলছি। তোমাকে নিয়ে যেতে হবে।
.
সিলেটের একটা বাসার মধ্যে দু’জন চুপ করে বসে আছে। আজ দু’দিন হল তারা বাসায় এসেছে। কিন্তু তাদের মধ্যে কত ঝগড়া। কেন তাসিম বাসায় এতো দেরি করে আসে। কেন তাড়াতাড়ি আসে না। আর কত কিছু।
একদিন তাসিম অনেক রাত করে বাসায় এসেছে। নুসরাত এসে দরজা টা খুলেই খাটে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে। তাসিমের খুব ডিম ভাজি খেতে ইচ্ছা হলো কিন্তু সে তো রান্না করতে পারে না। কি করবে সে। তাই সে ডিম ভেংগে যখন ডিম ভাজি করতে যাবে তখন তার মনে শয়তানী বুদ্ধি চলে আসলো। সে কালি হাড়িপাতিলের মধ্যে ঠাশ ঠাশ শব্দ করতে লাগলো। এসব শব্দ শুনে নুসরাত এসেই তাসিমের কানের মধ্যে ধরে তাকে সরিয়ে কান্না করতে লাগলো। আর বলতে লাগলো…
>> আমাকে কেউ আর আগের মতো করে ভালোবাসে না। আমাকে ঘুরতে নিয়ে যায় না। আমি তো কাজের মেয়ে। আমার কাজ শুধু রান্না করা।
>> ইশ! তুমি কি যে বল না। তোমাকে ঘিরে আমার কি স্বপ্ন তা তুমি কি জানো। জানবে কিভাবে কালি তো মন মরা হয়ে থাকো। আর আমার সাথে শুধু ঝগড়া করতে বসে থাকো।
>> আমার ঝগড়া করতে ভালো লাগে বুঝি। তুমি ওই তো প্রথম শুরু কর। এই ছেলেদের একটাই অভ্যাস কোনো কিছু হলেই মেয়েদের উপর দোষ দিতে থাকে। যাও আমি কাল গ্রামে চলে যাব। তুমি শান্তি তে থাকতে পারবে।
>> ইশ! তুমি চলে গেলে আমি কাকে নিয়ে চাঁদ টা দেখব। কাকে নিয়ে রাতে ঘুরতে যাব। তুমি যেও না প্লিজ।
>> আচ্ছা যাব না। কিন্তু।
>> কিন্তু কি?
>> এখন আমাকে বাহিরে ঘুরতে নিয়ে যেতে হবে। তাইলে আমি যাব না।
>> ডিম ভাজি টা সাথে করে নিয়ে যাই। তুমি আমাকে হেটে হেটে খাইয়ে দিবে।
>> দ্যাত।
>> আরে দ্যাত কেন। আমি ডিম ভাজি টা সাথে করে নিয়ে নিলাম।

গল্পের বিষয়:
ভালবাসা
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত