সেই মেয়েটি

সেই মেয়েটি

আমি সাকিব।আমার বন্ধু তৌহিদ। আমরা একই ভার্সিটিতে পড়ি।আগামী শুক্রবার তৌহিদের ছোট বোন তামান্নান বিয়ে সে জন্য আমাকে দুদিন আগেই যেতে হচ্ছে। গোপালগঞ্জ বাস স্টপে অপেক্ষা করছি তৌহিদের বাড়ি অর্থাৎ ফরিদপুর যাব বলে।১০ টার সময় বাস আসবে।এই প্রথম বন্ধুর বাড়ি যাচ্ছি।এরি মধ্যে তৌহিদের ফোন
কিরে কখন আইবি।একা একা কত দিক সামলামু বলতো। আরে দোস্ত আসতেছি,ঘন্টা তিনেকের মধ্যেই পৌছায় যামু।বাসের জন্য বসে অপেক্ষা করছি। আচ্ছা সাকিব শোন আমার ছোট ভাই তোকে নিয়ে আসবে। এই তৌহিদ তৌহিদদদ এদিকে আয়তো। দোস্ত মা ডাকছে বাসে উঠে ফোন দিস। আচ্ছা দোস্ত চিন্তা করিস না আসতেছি আমি, এই বলে ফোন রেখে দেই।১০:০৫ বাজতেই বাস চলে আসে।আমি একটা পানির বোতল সঙ্গে নিয়ে বাসে উঠি।

আমার সিট নম্বার ডি-২ সেখানে গিয়ে বসি।১০:১০ এ বাসটি ফরিদপুরে উদ্দেশ্যে বাস স্টপ ছাড়ে।তৌহিদ কে ফোন দিয়ে জানাই।ঘন্টা ২ পার হতেই পৌছে যাই ফরিদপুর।বাস স্টপে নেমে দেখি তৌহিদের ছোট ভাই দাড়িয়ে আছে।ফোন দিয়ে জানিয়ে দিয়েছিলো বাস স্টপে থাকতে।তৌহিদের ছোট ভাইকে আমার চিনতে অসুবিধা হয়নি কারণ আমার ছোট ভাইয়ের সুন্নাতে খৎনার অনুষ্ঠানে এসেছিলো সে।আমাকে কে দেখে তৌহিদের ছোট ভাই তানভীর এগিয়ে আসে এবং কেমন আছে সেটা জানতে চায়।আমাদের কিছু কথোপকথন হয়, একটা অটোতে করে আমরা যেতে থাকি।তানভীরের সাথে কথা বলতে বলতেই পৌছে যাই, তৌহিদ আমাকে দৌড়ে এসে বুকে জড়িয়ে নেয়।তৌহিদের মা,ছোট বোন এগিয়ে আসে আমার দিকে।সাথে আর একটা মেয়েও আসে।মেয়েটা বেশ চঞ্চল বলেই মনে হচ্ছে।কিন্তু তৌহিদরা তো তিন ভাইবোন তবে এই মেয়েটা কে?প্রশ্নটা নিজেকে করলাম আপাতত।আন্টি জিজ্ঞাসা করে আসতে কোন সমস্যা হয় নি তো বাবা।না আন্টি কোন সমস্যা হয়নি।

তৌহিদের ছোট বোন তামান্না বলে ভাইয়া তোমার সাথে কথা বলবো না এত দেরি করে এলে কেন?আমি একটু আদুরে গলায় বলি আরে পাগলী বোন আমার রাগ করিস না।নিজের আপন বোনের মতই আদর স্নেহ করি তামান্নাকে।চোখটা গেলে পাশের মেয়েটার দিকে, বিড়বিড় করে আমাকে উদ্দেশ্যে করে বলছে বাদর একটা।সেটা আমি শুনে নেই, একটু চোখ রাঙিয়ে তাকাই পাশের মেয়েটার দিকে।তাকাতেই মুখ ভেঙচি দিয়ে দৌড় দিয়ে চলে যায় মেয়েটা।সেটা দেখে একটু মিটি মিটি হাসি দিলাম।পরে তৌহিদ বলে চল ফ্রেস হবি,বিকালে বড় ফুফুর বাড়ি যাব উনাদের আনতে। তৌহিদের বেড রুমে নিয়ে গেল আমাকে,হাতে তোয়ালে আর ওয়াশরুম দেখিয়ে বলে যা ফ্রেস হয়ে আয়। ফ্রেস হয়ে এসে খেতে যাই আমরা।আন্টি বল্লো আসো বাবা খেয়ে নাও।আমি চেয়ার টেনে বসি ঠিক ঐ মেয়েটার সামনে।মেয়েটা মিটিমিটি হাসছে।ওদিকে আমার কোন ভ্রুক্ষেপ নেই।খবার প্লেটে অল্প ভাত নিতেই আন্টি তরকারি তুলে দিল।

আন্টি এটা ওটা জিজ্ঞাসা করেই চলেছে আমাকে।”উহহহহহ” কী হলো বাবা,আমি বলি না আন্টি কিছু না।মেয়েটা পা দিয়ে গুতা মেরেছ ,সেজন্য ব্যথায় এমন শব্দ।মেয়েটার দিকে তাকাতেই আবার মুখ ভেঙচি দিলো।এক দৃষ্টিতে মেয়েটার দিকে তাকিয়ে থাকি আমি।মেয়েটা যখন মুখ ভেঙচি দেয় তখন অসম্ভব সুন্দর লাগে।খাওয়া শেষ করে উপরে রুমে গিয়ে রেস্ট নেই।এমন সময় ঐ মেয়টা এক গ্লাস দুধ নিয়ে হাজির, বললো দুধ টুকু খেনে নিতে বলেছে মামি।এই বলেই চলে গেল নামটা জিজ্ঞাসা করবো সে সুযোগ দেইনি।এই ভাবতে ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে যাই,আবার ঐ মেয়েটার ডাকেই ঘুম ভাঙ্গে। বলে নিচে ভাইয়া আপনার জন্য অপেক্ষা করছে,এবার দেখি মেয়ের সাথে তামান্নাও এসেছে। তামান্না কে জিজ্ঞাসা করি, আচ্ছা এই মেয়েটা কে রে?? নাম কি ওর?

তামান্না বলে ও আমার বড় ফুফুর মেয়ে।ওর নাম তনিমা।ও এবার এইচ.এস.সি দিয়েছে।ও আচ্ছা ততততনিমা,এই বলে নিচে যাই। তৌহিদ বলে কিরে ঘুম কেমন হলো,হুমমমম! ভালোই।চল বড় ফুফুকে আনতে যাবো। আচ্ছা চল, এই বলে যেতে থাকি। তৌহিদের বড় ফুফুকে নিয়ে বাসয় ফিরতে রাত হয়ে গেল।বাসায় এসে দেখি সবাই এটা ওটা নিয়ে ব্যাস্ত। তনিমা আমাদের দেখেই দৌড়ে আসে, ওর আম্মুকে জড়িয়ে ধরে বলে,আম্মু তুমি এসেছো ভালোই হলো।আমার হাত থেকে ব্যাগটা নিয়ে নিলো।আমি উপরে চলে এলাম তনিমাকে পাশ কাটিয়ে,কিন্তু কিছু ভালো লাগছে না।তনিমার চেহারা শুধু চোখের সামনে ভাসছে।

কেমন জানি ফিল হচ্ছে।ঘরে মন টিকছে না।তৌহিদকে ও বলতে সাহস পাচ্ছি না যদি রেগে যায়।এই ভাবতে ভাবতে ছাদের দিকে পা বাড়াই।ছাদে গিয়ে দেখি তনিমা দাড়িয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে চাঁদের সৌন্দর্য খুজছে।তনিমার পাশে গিয়ে দাড়াবার সাহস টুকু হলো না,তাই ছাদের অন্যপাশে গিয়ে আমিও চাদের সৌন্দর্য খুজতে থাকি।হটাৎ পায়ের সাথে ধাক্কায় কিছু একটার শব্দ হলো।তনিমা পিছন ফিরতেই বলে আপনি এখানে কেন?পিছু নিয়েছেন তাই না।এসবে লাভ হবে না হ্যা। আমি কোন উত্তর দেই না, এই দেখে তনিমা আমার দিকে এগিয়ে আসে আর বলে মেয়েদের পিছু নেওয়ার মজা দেখাচ্ছি এই বলে টবের পানি ঢেলে দেয় আমার গায়ে।আমি চিৎকার দিয়ে বলি এটা কি করলে ততনিমা।ময়লা পানি আমার গায়ে ঢেলে দিতে পারলে হ্যা।তনিমা বলে হ্যা পেরিছি বলেই তো দিয়েছি বাদর ছেলে কোথাকার।

মেয়েদের পিছু নেওয়া হয় তাই না এবার বোঝো মজা, আবারও ভেঙচি কেটে মুচকি হাসি দিয়ে দৌড় মেরে চলে যায়।তার চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থাকি পলকহীন ভাবে।ভাবতে থাকি মেয়েটা এমন কেন করছে আমার সাথে,কেনই বা এমন আচরণ? ভাবতে ভাবতে নিচে যাই গিয়ে ড্রেস চেন্জ করি।তার পর তামান্না এসে বলে ভাইয়া নিচে আসো লুডু খেলবো।আচ্ছা চল, এই বলে নিচে যাই দেখি তনিমা আমার দিকে তাকিয়ে হাসছে।আমি তার হাসিটা খুব ইনজয় করছি।খুব সুন্দর লাগছে তনিমাকে, হাসির মাধ্যেমে ওর সৌন্দর্য খুজে পাচ্ছি।ওর মুখের হাসিটাতেই যে মুক্তা ঝরে।আমি প্রেমে পড়ে যাই ওর।আমি আর আন্টি, তনিমা আর তামান্না এক দলে। তনিমা আমার পাশে বসাতে আমাকে বার বার খামচি দিচ্ছে,আমিও বেশ উপভোগ করছি।আমরা লুডু খেলায় হেরে যাই এতে তনিমা যে কত খুশি, মেয়েটার দিকে তাকিয়ে রইলাম।সেই মন কাড়া হাসি,দেখেই সব দুঃখ বিলিন হয়ে যায়।তনিমার দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রয়েছি সেটা আন্টি বুঝতে পেরে মুচকি হাসি দিয়ে ভিতরে চলে যান।

আহহ! মনকাড়া হাসি বলাতেই তনিমা তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে সে ভেঙচি দেখিয়ে হাসতে হাসতে ছাদের দিকে যায়,আমিও ওর পিছে পিছে যাই।দেখি ও ছাদের এক কর্ণারে দাড়িয়ে আছে।আমি তনিমার পাশে গিয়ে দাড়াই।ও চলে আসতে গেলে,আমি হাতটা ধরে বসলাম।তনিমা বললো ছাড়ুন ভালো হবেনা কিন্তু।চিৎকার করবো কিন্তু ছাড়ুন।আমি বলি করো চিৎকার আমার কি বলতেই চিৎকার দিতে গেল আমি মুখটা হাত দিয়ে চেপে ধরলাম।আমি ওর চোখের দিকে তাকিয়ে রইলাম।তনিমার কাজল কালো চোখ দুটি বলে দিচ্ছে আমাকে কিছু বলতে চায় কিন্তু মনের অন্তরালে লুকিয়ে রেখেছে কথাগুলো।তনিমা আমার দিকে তাকিয়ে রয়েছে, ওর চোখের মায়ায় পরে গেলাম।

এ এক অন্যরকম অনুভূতি।তনিমা খুব নরম সুরে বলছে ছাড়ুন কেউ দেখে ফেললে সর্বনাশ হয়ে যাবে।তার এই নরম সুরে বলা কথাটা আমার বুকে গিয়ে লাগলো, তনিমার মনে আমার জন্য ভালোবাসা খুজে পেলা।শুধু দুজন দুজনকে বলাটাই বাকি।তনিমা হাত ছাটানি দিয়ে অসভ্য বলে মুচকি হাসি দিয়ে চলে গেল।আমি কিছু ক্ষণ ছাদে বসে তনিমাকে নিয়ে ভাবতে থাকি।পরে তৌহিদ ছাদে আসে আমাকে খুজতে।দুই বন্ধু মিলে কিছু সময় জমিয়ে আড্ডা দেই,পরে রাত দেড়টার দিকে ঘুমোতে যাই।খুব সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠি।কারণ আজ তামান্নার গায়ে হলুদ।বাড়িটা সাজানোর দায়িত্বটা আমিই নিলাম।আমি কাজ করতে করতে খুব ক্লান্ত হয়ে যাই।খুব গরম ঘেমে অবস্থা খুব খারাপ।তনিমা আমার দিকে গ্লাস এগিয়ে বলে নিন এই লেবুর শরবতটুকু খেয়ে নিন ভালো লাগবে।

আমি একটু খাইয়ে দাও,দেখছোতো কত কাজ বাকি।তনিমা বলে ইশশশশ, শখ কত আপনি কে যে আপনাকে খাইয়ে দিতে হবে। হুমমমম! তাই তো আমি কে? তনিমা বুঝতে পেরেছে কিছুটা মন খারাপ করছি।তনিমা বলে শুনুন শুধু তৌহিদ ভাইয়ের বন্ধু বলে খাইয়ে দিচ্ছি।আমি একটু হাসলাম মুচকি হাসি আরকি।তনিমা বললো এই যে মুখটা আনুন।আমাকে শরবত খাইয়ে দেয় তনিমা।আমি শরবতটুকু খেয়ে কিছুটা তৃপ্তি পেলাম।আমার মুখ ঘেমে খুব খারাপ অবস্থা।তনিমা তার ওড়না দিয়ে মুখটা মুছিয়ে দিতে লাগলো আমি বলি এই কি করো কেউ দেখে নিবে তো।তনিমা বলে চুপ থাকুন তো।আমি তনিমার মুখের তাকিয়ে রইলাম।তনিমা আমাকে বলে এভাবে তাকিয়ে কি দেখেন।আমি তোমাকে, তনিমা আমার বুকে একটা কিল মেরে বলে যা দুষ্টু।

এই বলে ভেঙচি দিয়ে চলে যায়।সন্ধ্যা হয়ে এলো তনিমাকে অনেক ক্ষণ হলো দেখি না।চোখ দুটো শুধু তনিমাকে খুজছে।তামান্না আমার চোখের ভাষা বুঝতে পেরে বললো তনিমাকে খুজছো ভাইয়া।আমি হুমমম বলে সম্মতি জানাই। হলুদের শাড়ী আনতে ভুলে গেছে তাই মন খারাপ করে বসে আছে।আমি তখনই তানভীরকে সঙ্গে নিয়ে শাড়ীর দোকানে যাই এবং তনিমার জন্য সুন্দর একটা শাড়ী কিনে আনি।আমি তামান্নার থেকে খোজ নিয়ে তনিমার রুমে যাই।তনিমা দেখি ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে।আমি তনিমার পাশে গিয়ে বলি নিচে যাবে না,সে কাঁদো কাঁদো গলায় বললো কি পরে যাবো শাড়ী আনতে ভুলে গিয়েছি।আমি তনিমার চোখের পানি হাত দিয়ে মুছিয়ে দিয়ে বলি কেঁদো না,শাড়ীটা হাতে দিয়ে বলি এটা পরে তাড়াতাড়ি নিচে আসো। অপেক্ষা করবো তোমার জন্য এই বলে চলে আসি।আমি নিচে গিয়ে দেখি হলুদ পর্ব শুরু হয়ে গিয়েছে আমি তামান্নাকে হলুদ মাখিয়ে একটা কোনে আমি আর তানভীর বসে আছি।

তানভীর আমার হাত ধরে টেনে বলে সাকিব ভাইয়া দেখো, আমি মুখ তুলে তাকাতেই অবাক, এ আমি কাকে দেখছি।কত সুন্দর দেখাচ্ছে তনিমাকে শাড়ীটাতে।বেশ মানিয়েছে তনিমাকে শাড়ীটায়।আমি তনিমার দিকে হা করে তাকিয়ে থাকি তনিমা এসে হাত দিয়ে মুখটা বন্ধ করিয়ে দিয়ে বলে মুখে মাছি যাবে এই বলে মুচকি হাসি দেয়।তনিমা তামান্নান পাশে গিয়ে বসলো। আমরা দুজন চোখের ভাষায় একটু কথা বললাম একে-অপরের সাথে।হলুদ অনুষ্ঠান শেষে হতেই আমি হাতে একটু হলুদ নিয়ে তনিমার মুখে মাখিয়ে দেই।বলি আমাকে মাখিয়ে দিবে না।তনিমা কিছু না বলে ছাদের দিকে যাচ্ছে এই দেখে আমিও ছাদের দিকে রওনা হই।ছাদে যেতেই তনিমা আমার কাছে এলো এবং তার হলুদ মাখা মুখটা আমার মুখের সাথে লাগিয়ে হলুদ মাখিয়ে দিলো আমায়।

তনিমা বললো তখন অনেক লোক ছিলো তাই মাখাতে পারি নি এখন মাখিয়ে দিলাম খুশি তো।হুমমমম! খুব খুশি তনিমা।আমি তনিমার হাত ধরে বলি তনিমা তোমাকে কিছু কথা বলার আছে।সে বললো কী কথা একটু কৌতূহল নিয়ে।আমি তাকে আমার ভালোবাসার কথাটা বলি,সে মাথাটা নিচু করে রাখে।হয়তো লজ্জায়, আমি তোমাকে ভালোবাসি তনিমা,অনেক ভালোবাসি।তুমি কী আমায় একটু ভালোবাসা দিবে।তনিমা বলে হুমমমম দিবো, আমিও যে তোমাকে খুব ভালোবাসি সাকিব।তৌহিদ ভাইয়ার সাথে একটা ছবিতে প্রথম তোমাকে দেখি সেই থেকেই তোমাকে ভালো লাগে।আর তুমি এখানে আসার পর ভালো লাগাটা ভালোবাসায় পরিনত হয়।তোমাকে যে অনেক ভালো বেসে ফেলেছি এই বলে তনিমা আমাকে জড়িয়ে ধরে।আমিও যে এই দিনটার অপেক্ষায় ছিলাম।

আমার চোখো একটু পানি চলে আসে তনিমার কথা শুনে এটা সুখের কষ্টের না।আমি ও তনিমাকে জড়িয়ে নেই আমার বুকের মাঝে।তনিমা দেখি কাঁদছে, তনিমার মুখটা একটু তুলে চোখের পানি মুছে দিয়ে কাপালে আলতো করে চুমু দিয়ে বলি কেঁদো না তনিমা।এখন থেকে তোমাকে এভাই আগলে রাখবো আমার বুকে।আর কাঁদতে হবে না তোমায় এবার এটু হাসো তো সোনা।তনিমা হাসি দিয়ে আবার আমার বুকে মাথা লুকায়।তনিমা হয়তো শান্তির নীড় খুজে পেয়েছে আমার বুকে।ছাদের দরজায় দাড়িয়ে তৌহিদ আমাদে দেখে ফেলে এবং শুকনা কাশি দেয়,তনিমা তৌহিদ কে দেখে আমার পিছনে গিয়ে লুকায়।

তৌহিদ এগিয়ে আসে আমার দিকে এবং বুকে টেনে নিয়ে বলে বোনটাকে সুখে রাখিস ভাই।কিছু বলার মত ভাষা খুজে পাচ্ছি না,আমি বলি আমার জীবনের শেষ রক্তের বিনিময়ে তনিমাকে সুখে রাখবে।তোরা কথা বল আমি নিচে যাই এই বলে তৌহিদ নিচে চলে যায়।আমি তনিমাকে বলি চলো এবার আমরা নিচে যাই।তনিমা বলো চলো, এই বলে নিচে যাই আমরা,নিচে যেতেই তানভীর আর তামান্না বলে কি মি:দুলাভাই আপনাদের প্রেম শেষ হলো।এতে তনিমা লজ্জা পেলো,খুব লাজুক একটা মেয়ে।তামান্না তনিমার হাত ধরে টেনে নিয়ে বলে নিজের জামাইর কাছে অনেক সময় ধরে থেকেছো এবার চলো আমাকে মেহেদী লাগিয়ে দিবে।

তামান্নার বিয়ে পর্বটাও শেষ হায়ে যায়। আমি বাড়ি আসার জন্য ব্যাগ গুছাচ্ছিএমন সময় তনিমা পিছন থেকে জড়য়ি ধরে বলে শোনো না আমাকে নিয়ে চলো তোমার সাথে।আমিও যাবো।এই বলে কন্না করে দেয় তনিমা।এই কন্নার মাঝে যে ভালোবাসা রয়েছে।সে ভালোবাসা মাটিতে পরার আগেই নিজের হাত দিয়ে মুছে দেই তনিমার চোখোর পানি, জড়িয়ে নেই বুকের সাথে।এ যে এক অন্য রকম অনুভূতি। অনুভুতিগুলো যে খুবি রোমাঞ্চকর।
এভাবেই পূর্ণতা পায় সাকিব ও তনিমার ভালোবাসার।

সমাপ্ত

গল্পের বিষয়:
ভালবাসা
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত