ঝগড়াটে সেই মেয়েটির ভালবাসা

ঝগড়াটে সেই মেয়েটির ভালবাসা

– সাহরিয়া ওই সাহরিয়া তারাতারি উঠ না ।
– ওই হারামি সকাল সকাল চিল্লাস ক্যান ।
– ভাই আমার একটা হেল্প করবি প্লিজ ।
– সকাল সকাল আর অন্য কোন জিনিস চাইতে পারলি না , ওই হেল্প জিনিসটাই দরকার ।
– তুই ছারা এইটা কেউ করতে পারবে না ।
– আহা নিজেকে কেমন মহান লাগতেছে ,তো চটপট বলে ফেল ।
– ভাই আমার মামার বিয়ে আর সেখানে তোকে আবির সাঁজে যেতে হবে ।
– ওই সালা আমি আবির সাঁজমু কেমনে ,আমি কী তোর মতো খেত নাকি , আর আমার এত্ত শখের চুল কাটতে পারমু না , অন্য খানে ট্রাই মার ।
– আরে সালা তোকে চুল কেটে আবির সাঁজতে হবে না । তুই সাহরিয়াই থাকবি সুধু কেও নাম বললে আবির বলবি ।

– ওই কুত্তা তোর নানা নানি মামা , তোর বাপ মা মাকে চিনতে পারবে না ।
– ওই সব নিয়ে টেনসন করিস না , বাবা , মা কেও নানির বাড়ি যায় না। আর আমাকে নানির বাড়ির কেউ এখন ও দেখে নাই ।
– ওহহহহ আচ্ছা তা হলে তো যাইতেই পারি । কিন্তুু তুই যাবি না ক্যান ।
– মা যেতে বারণ করছে ,আর নানু আর মামাকে আমি কষ্ট দিতে চাই না ।
– ওই সালা পরে তো সবাই টের পাবেই ।
– পরেরটা পরে দেখা যাবে এখন তুই রেডি হয়ে নে , কালকে সকালের বাস না ধরতে পারলে একদম শেষ ।
– ওই সালা আমাকে কই পাঠাইতাছিস , মেরে ফেলবি নাকি ।
– চুপ হারামি ।
– আচ্ছা আমি তো চিনি না ।
– ম্যাপ দেখে দেখে যাবি আমি লোকেসন বলে দিমুনে ।
– কুত্তা যায়গার নাম কী।
– ওহহহহহ সরি আনন্দনগর ।
– তুই গেছিস কোন দিন ।
– না মার কাছে শুনছি আর বাঁকিটা গুগল এর হেল্প নিয়া ।
– কীইইইইইইই কইলি হারামি , অকে তাইলে আর বলতে হবে না আমি নিজেই চিনে নিতে পারমু ,তুই আমাকে ৫ হাজার টাকার সাথে তোর মা , বাবা , নানা , নানি , আর মামার নামটা লিখে দে ।
– ওই কেন ।
– কুত্তা শপিং করতে হবে , আর কেউ যদি আমাকে তাঁদের নাম জানতে চায় ওই গুলা তো আর গুগলে পামু না ।
– এই নে টাকা আর কালকে সকালে রেডি থাকবি । আমি গেলাম।।

– আহা কী খুশিটাই না লাগছে , আমার কেন রিলেটিভ না থাকাই কোন দিন বিয়ে খাওয়া হয় নাই । এই প্রথম কারো বিয়ে খাইতে যাচ্ছি , একটু মাঞ্জা না দিলে কী হয়। আর একটা কথা তো ভুলেই গেছি , যার সাথে কথা বলাম সে হইল আবির আমার বেস্ট ফ্রেন্ড । আর বাঁকি কাহিনী তো শুনলেন। চুল গুলোকে একটু ঠিক ঠাক করতে হবে । আমি আবার কোন স্মার্ট কাটিং দেই না , সব সময় আমার মতো কিউট কাটিং দেই হি হি হি ।

– মাম্মা কোন আপডেট কাটিং দিতে হবে না । যেমন আছে তেমনই থাক শুধু হালকা করে একটু কেটে দান । বাহ এইতো সুন্দর হয়েছে ।
– মাম্মা ধরেন টাকা নেন ।
– মামা আর ২০ টাকা ।
– ওই মাম্মা আর ২০ টাকা মানে , ১৫ টাকা তো দিলাম । আর আমার চুল কাঁটতে তো মাত্র তিন চার মিনিট লাগে ।
– মামা আপনার চুল কাঁটা সবার মতো না অনেক রিস্ক , অন্নদের চুল যেমন হোক তেমন করে কাটলেই একটা স্টাইল বলে চালাই দেই আর আপনার তো অমন না ।

– ওহহহহহহহ আচ্ছা বুচ্ছি এই নেন ১০ টাকা আর দিতে পারমু না ।
– আচ্ছা যান ।
– না যাইতে কইলে ও যামু ।

কীইইইইইই ডাকাত রে ভাই তিন মিনিট চুল কেটে ২৫ টাকা নিলো । আচ্ছা যাই হোক , এর পরে টুকটাক শপিং করে চলে আসলাম । বিয়ে খাইতে যাব আহা কী মজা ।

পরের দিন সকালে

– ওই সালা হারামি এখন ও উঠিস নাই ।
– এই যা , আমি না স্বপ্নে দেখছি আমি ইয়া বড় বড় মিষ্টি খাচ্ছি । ফাইজলামি রাখ আর ১ ঘণ্টা সময় আছে ।
– আমাকে ১০ মিনিট দে রেডি হয়ে আসতেছি ।এরপরে রেডি হয়ে চলে গেলাম বাসস্ট্যান্ড এ টিকেট করতে করতে বাস ছেঁড়ে দিছে । দৌড় দিতে যাবো ওমনি পিছন থেকে আবির হাত টেনে ধরল ।

– ভাই আর যাই করিস কোন ঝামেলা করিস না কেমন ।
– হারামি হাত ছাড় , না হইলে আমার আর বিয়া খাওয়া হইব না ।

এর পরে দিলাম এক দৌড় , এক বারে বাসের মধ্যে । সিট নম্বর দেখলাম একবারে লাস্ট এর দিকে । মনে হয় স্কুল লাইফ এ ও এমন লাস্ট এ বসিনাই । যাই হোক একদম ফাঁকা তাই পা টান টান করে দিলাম এক ঘুম । আহা স্বপ্নে আমার পছন্দের সন্দেশ খাচ্ছি । কই থেকে একটা মেয়ে এসে ধাক্কা দিয়ে সব ফেলে দিলো মেজাজ কেমন লাগে । হঠাৎ মনে হল ধপ করে পরে গেলাম । চোখ খুলতেই দেখি ৩-৪ টা মেয়ে কেমন বাঘের মতো তাকাই আছে না মানে বাঘিনীর মতো তাকাই আছে । তাঁদের মধ্যে একটা ফাটাফাটি মেয়ে আছে মনে হয় ঐ টাই সবার লিডার , মেয়ে তো না যেন না মানে এখন ঠিক মনে নাই ।।

– ঐ কী চাই হুমমমমমম ।
– কী চাই মানে , এইটা ঘুমানোর যায়য়গা ।
– ঐ ঐ ঐ আমার যায়গায় আমি বসে থাকমু ঘুমামু আপনাদের কী হুমমমমম ।
– তো আপনার যায়গায় যা পারেন করেন কে ধরে আছে ওইটা আমার সিট।
– হুমমমমম আসেন বসেন। ওই ঝগড়াটে টা বাদে বাঁকি ৩ জন অন্য সাইটে বসলো। হে আল্লাহ্‌ একে তো জানালার সাইটে সিটটা ফেলাও নাই তাঁর ওপরে এমন ঝগড়াটে মাইয়া ফেলাইলা কী যে করি। আচ্ছা নামটা জিজ্ঞেস করি ।

– এই যে ম্যাডাম আপনার নামটা বলবেন ।
– ওই আপনাকে আমি চিনি যে নাম বলব ফালতু পোলা , মেয়ে দেখলেই নাম শুনতে মন চায় তাই না ।
– ওই হ্যালো আমি ফালতু না ওকে ,নিজে ফালতু আর আমাকে বলে ফালতু ।
– ওই আমি ফালতু না বাঁদর ।
– আমি বাঁদর তাই না আর আপনি তো একটা পেত্নী ।
– কী আমি পেত্নী উম্মম্মম্ম হু হু হু ।
– হায় হায় ক্যাঁনতিছে কেন , কী করলাম রে বাবা ।
– আম্মু দেখ একটা ছেলে আমাকে পেত্নী বলছে ।
– তোকে কত করে বললাম গাড়ি নিয়ে যেতে শুনলিনা , বাসে যাওয়ার কী দরকার ওখানে সব ফালতু ছেলে থাকে ।
– বাবারে বাবা ..মা ও যেমন আল্লাদী মেয়ে আবার কেমন হবে ।
– আম্মু তুমি ছেলেটাকে বকে দাও ।
– হুমমমমমম মা ফোনটা দে ।
– কী এক পেত্নী বলে ফেঁসে গেলাম দূর ।
– এই যে ধরেন কথা বলেন ।
– কীইইইইইইই কার সাথে ।
– আমার আম্মুর সাথে ।
– ওকে  আসসালামু আলাইকুম অ্যান্টি ।
– তুমি কিছু মনে করো না বাবা রিয়া ওই রকম ওই । ওকে কিন্তুু তুমি বলো না আমি তোমাকে এই সব বলছি । এমন ভাব করবা আমি তোমাকে বকা দিছি ।

– ওকে অ্যান্টি বলে ফোনটা কেটে দিলাম । দূর খালি খালি অ্যান্টিরে মনে মনে কি না কী বল্লাম। মুখটা ভাঁড় করে ।
– ধরেন আপনার ফোন , বলে চুপ চাপ বসে আছি কোন কথা বলিনাই । কিছু দূর যাবার পরে ।

– এইযে শুনছেন ।
– হুমমমমমমম শুনছি ।
– আসলে না আমি সরি আম্মু কে দিয়ে বকানো  ঠিক হয় নাই ।
– যা হওয়ার হয়ে গেছে এখন আর বলে কী হবে ।
– আচ্ছা আপনার নাম কী ।
– আমি সাহরিয়া , না মানে আগে সাহরিয়া ছিল এখন আবির হি হি হি ।
– আপনার লজ্জাসরম নাই আম্মু এত বকা দিল তুবু হাসছেন ।
– আসলে মানে আমাকে কেউ আপনি বললে আমার লজ্জাসরম সব হাওয়াই মিলাই যায় । আচ্ছা তুমি বলি কেমন ।
– ওকে … আচ্ছা তুমি কই যাচ্ছ ।
– বিয়ে খাইতে ।
– কী আমি ও তো , আচ্ছা কোথায় ।
– আনন্দনগর ।
– আরে আমি ও তো , আরে কার বাড়ি ।
– একটু দাঁড়াও কাগজটা দেখে নেই ।
– কাগজ দেখবা মানে ।
– ওখানেই নাম লেখা আছে , ও হ্যা আকরাম খান এর বাড়ি ।
– আরে আমি ও তো, আচ্ছা তিনি কে হয় তোমার ।
– আমার নানু হয় , তোমার কে হয় ।
– আরে আমার ও নানু হয় , আচ্ছা তুমি বড় খালামুনির ছেলে ।

– হে আল্লাহ্‌ কী ফাঁসাটাই না ফাঁসছি , সালা আবির এর বাচ্চা আগে বলবি না তোর মায়ের আর একটা বোন আছে । আচ্ছা তুমি তো এর আগে আসছ তাই না ।
– আরে বোকা আসি নাই , আমার মা ভালবেসে বিয়ে করছিল তাই নানু মেনে নেই নাই । আর খালামুনি আম্মু এর পক্ষে ছিল । তাই নানু মা আর খালামুনির সাথে রাগে কথা বলে না আর যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় ।

– আচ্ছা সব বুঝলাম কিন্তুু খালামুনি টা কে ।
– তুমি আসলেই একটা ছাগল খালামুনি হলো তোমার মা বোকা ।
– ওহহহহহ আচ্ছা এইবার বুচ্ছি , তার মানে তোমাকে ও কেউ চেনে না আর আমাকে ও না ।
– হুমমমমমমম ।
– গল্প করতে করতে পৌঁছে গেলাম ,বাস থেকে নেমে আমি অবাক , এমন সুন্দর জায়গা আমি জীবনে ও দেখি নাই । হঠাৎ পিছন থেকে ।

– ওয়াও এত্ত সুন্দর জায়গা ।
– ওই তোমার সাথে না আর ৩ টা পেত্নি ছিল ওরা কই । ওই তোমারে কিন্তুু কই নাই ওদের কইছি ।
– আচ্ছা তা হলে ঠিক আছে , ওদের আমি চিনি না তো আমার সাথে সুধু আসছিল ।
– ওহহহহহহ আচ্ছা , কী মেয়েরে ভাই একাই আসছে । আচ্ছা থাক পথঘাট তো কিচ্ছু চিন না ।
– ইয়ে মানে না । একটা লোককে জিজ্ঞেস করলাম ।
– এই যে চাচা আকরাম খান এর বাড়ি আর কত দূর ।
– এই পথ দিয়ে সুজা ২ কি.মি ।
– আচ্ছা কোন রিক্সা পাওয়া যাবে না ।
– এই জায়গা টা ভাল না রিক্সার আসা বাদ দিয়ে হেঁটে যান , রাত লাগলে বিপদে পরবেন ।

– এই যে ম্যাডাম সব কিছু শুনলেন তো এবার হাঁটা সুরু করেন ।
– না আমি হাঁটতে পারব না ।
– হা হা হা ঠিক আছে , তুমি এখানে বসে থাকো আমি গেলাম ।তোমার কী ভালো কপাল ভূত দেখার সৌভাগ্য হবে । ভূত দেখতে কেমন আমাকে জানাই ও কেমন । আমি গেলাম ।
– আবিরররররর দাঁড়াও আমি ও যাবো ।এর পরে চলে আসলাম বাব্বা কী বড় বাড়ি ।
– ওই আবির কী দেখো ।
– না মানে এত বড় বাড়ি আমি বাপের জন্মে দেখি নাই ।তার পরে সবাইকে পরিচয় দেওয়ার পরে সবাই আমাদের কে নিয়ে কী আনন্দ । কিন্তুু আমার খটকা লাগলো রিয়ার মা বলল ওর নাম রিয়া আর ও সবাইকে বলল ওর নাম নীলা , সব  কেমন গোলমাল লাগছে ।

– নীলা তোমার সাথে আমার কথা আছে ।
– হুমমমমম বলো ।
– এখানে না অন্য খানে ।
– এবার বলো ।
– আচ্ছা তোমার মা বলল তোমার নাম রিয়া তুমি বল্লা নীলা । ব্যাপার কী হুমমম ।
– সত্যি সত্যি বলো ঘটনা কী , না হলে সবাইকে বলে দিমু ।
– আসলে মানে আমার ফ্রেন্ড নীলা এর নানুর বাড়ি এইটা । আগেই তো সব কাহিনী বলছি , তাই ওর বদলে আমি আসছি ।
– নিজে একটা মিথ্যা বাদী আর আমাকে ফালতু বলে ।
– কেমন জানি চোখ দুইটা ওর ছলছল করছে এই মনে হয় বৃষ্টি নামবে । আমি তো ওকে দেখে হি হি হি করে হেঁসে দিছি ।
– ওই হাঁসো কেন ।
– আসলে রিয়া আমার নাম আবির না আমার নাম সাহরিয়া । তোমার আর আমার কেস একদম সেম ।
– তার মানে তুমি একটা চিটার ।
– ওই আমি একা না তুমি ও ।
– ওই কামড় দিমু কিন্তুু ।
– রাক্ষসী যে কামড় তো দিবাই ।
– কী বল্লা হুনুমান ।
– হেব্বি রেগে আছে , এখন দৌড় দেওয়ার সময় ।

এভাবেই পার হচ্ছিলো দিন গুলো আর আমার সন্দেস খাওয়া । আবির এর মামার একটা ঝাক্কাস DSLR থাকাই ফটো আর ভিডিও করাই কাজটা আমার , আসলে আমি ঝাক্কাস ফটো সাথে ভিডিও  করতে পারি । এমনি একদিন চুরি করে সন্দেস খাচ্ছিলাম ।

– এই যে মি. সাহরিয়া কী করো হুমমমমম ।
– না মানে ইয়ে কিছু না ।
– কিছু না মানে কী হুমমমমম , চুরি করে সন্দেস খাও চোর একটা ।
– ওই আমি চোর হলে তুমি ও চুন্নি বুঝলে পেত্নী ।
– ওই আমি চুন্নি ক্যান হুমমমমম ।
– এই যে তুমি আমার নামের মধ্যে থেকে রিয়াটা চুরি করে নিয়ে নিজের নামে করে নিছো ।
– না আমি নেই নাই তুমি নিছো ।
– না জীবনে ও না তুমি নিছো ।

পরে নানু ডাকছিল তাই দুজনেই চলে গেলাম । মামার সাথে বরযাত্রী হয়ে গেছিলাম আমরা দুজনেই মামার দুই সাইটে আমরা দুইজন বসে ছিলাম । সেখানে ও ঝগড়া বাদ যায় নাই । যখন আমি অন্য মেয়েদের সাথে কথা বলছিলাম তখন রিয়া কেমন মন খারাপ করে আমার দিকে তাকাই ছিল । হঠাৎ করে তার সামনে এসে বল্লাম ।

– হ্যালো পেত্নী মন খারাপ করে আছো কেন । কিছু না বলে চলে গেল । কিচ্ছু বুঝলাম না । আগামি কাল আমরা চলে যাবো অনেক দিন হয়ে গেল । আজকে রাতটাই শেষ , ছাঁদে গেলাম গিয়ে দেখি রিয়া উল্টো মুখ হয়ে দাঁরাই আছে ।

– হাই রিয়া পেত্নী কালকে আমরা চলে  যাবো তাই না । আহা গেলেই বাঁচি আর ঝগড়া করতে হবে না । তুমি তোমার মতো চলে যাবে আমি আমার মতো , আর হয়ত দেখা হবে না তাই না , এক দিকদিয়ে না হওয়াই ভালো দেখা হলে তো আবার ঝগড়া হবে তো । আচ্ছা তুমি আমাকে ভুলে যাবা তাই না আমি জানি ভুলে যাবা , আমি কিন্তুু যাবো না হুমমমমমম , আচ্ছা থাক বাদ দাও তোমার বিয়েতে দাওয়াত দিবা কিন্তুু আর আমি অনেক সন্দেস খাব । আচ্ছা থাক না দাওয়াত দাও , আমি এমনি  যাবো হা হা হা । ওই কিছু তো বলো ।  ওকে ওকে গেলাম আমি ।

– ওমনি এসে আমাকে জরাই ধরে  কাঁদতে লাগলো ,  ওই ছাগল আমি তোমাকে ভালবাসি বুঝো  না তুমি ।
– বুঝি তো আর কইলেই ঝগড়া করবা  তাই বলি নাই ।
– আমি একটা পাগলি তাই না ।
– একদম না তুমি একটা পেত্নী ।
– ওই আবার আম্মুকে ফোন দিব  কিন্তুু ।
– হা হা হা দাও তোমার আম্মু আমাকে  কিচ্ছু বলবে না , সেইদিন ও বলে নাই  আমি আচতি অ্যাক্টিং করছি ।
– কী বল্লা শয়তান ।
– ওই আমার শার্ট ভিজে যাচ্ছে তো  কালকে খেঁচে দিবা কিন্তুু ।
– আচ্ছা দিবোনি , ওই তুমি বলো নাই কিন্তুু  ভালোবাসো ।
– আচ্ছা আচ্ছা বলছি আমি তোমাকে ভালোবাসি রিয়া পেত্নীইইইইইইইইইই ।

– ওই রাগ করব কিন্তুু আমি ।
– আমি তাহলে পাপ্পি দিবো ।
– হি হি হি বাঁদর হি হি হি বাঁদরনী ।

সমাপ্ত

গল্পের বিষয়:
ভালবাসা
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত