রাগি মেয়ের ভালোবাসা

রাগি মেয়ের ভালোবাসা

আজ দুই বছর পর বাড়ির দিকে রওনা হচ্ছি।অফিসের কাজে বছরের বেশি সময় দেশের বাহিরে কাটাতে হয়। তাই সবসময় আর বাড়ি যাওয়া হয় না।যাইহোক আমি যে এখন বাড়ির দিকে রওনা হয়েছি সে কথা কিন্তু বাবা মা কাউকেই বলিনি কারন সারপ্রাইজ বলে একটা কথা আছে। চলে এলাম নিজের বাড়ির সামনে। তবে বাড়িটা কেমন জানি লাগছে। আসলে অনেক দিন পরে এসেছি হয়ত তাই এমন লাগছে।আগে ডুকি তারপর যা হবার হবে। সোজা উপরের তলায় উঠতে লাগলাম কারন আম্মুর কাছে আগেই শুনেছি ওনারা উপরের তলায় থাকে আর নিছের তলা খালি। কয়েক বার কলিংবেল চাপার পর বুঝা যাচ্ছে কেউ একজন দরজা খুলতে যাচ্ছে।আম্মু হবে নিশ্চয় কারন এ সময় আব্বু বাসায় থাকে না।
দরজা খোলার সাথে সাথেই আম্মুকে জরিয়ে ধরলাম।আম্মু মনে হয় কিছুটা ভয় পেয়েছে

–তু তুই
–হ্যা আমি
–এতদিন পর বাড়িতে এসেছিস কিন্তু আমাকে বলিসনি কেন
–সারপ্রাইজ দিলাম…কেমন হল বল তো?
–হুম ভালো। এখন বল কেমন আছিস?
–ভালো।তুমি কেমন আছো?
–ভালো আছি। আসতে কোন সমস্যা হয়নি ত?
–না আম্মু
–এখনেই দারিয়ে থাকবি নাকি ভিতরে যাবি
–আচ্ছা চলো।

ভিতরে এসে ফ্রেশ হয়ে হালকা নাস্তা করে একটু রেষ্ট নেওয়ার জন্য শুয়ে পরলাম।একটু রেষ্ট নিয়ে ছাদে গেলাম। গিে ত আমি পুরাই অবাক কারন ছাদে আমার একটা ফুলের বাগান ছিল কিন্ত সেটা এই দুই বছরে অনেক পরিবর্তন হয়েছে ফুল গাছ গুলো অনেক সুন্দর করে সাজানে আরো আচ্ছারর্যের বিষয় হল আরো নতুন নতুন ফুল গাছ দেখতে পারছি।গাছ গুলোর কাছে গেলাম গিয়ে একটা ফুল দেখে খুব ভালো লাগল তাই ছিরলাম।হঠাৎ কেউ একজন পিছন থেকে ডাক দিল।আমি কিছুটা চমকে উঠলাম।দেখলাম একটা অপরিচিত মেয়ে আমার দিকে রাগি মুড নিয়ে তাকিয়ে আছে।

–কিছু বলেছিলাম।শুনতে পান নি?
–কে তুমি?
–আপনি কে? এখানে কি করছেন?
–আমার বাসায় এসে আমাকে বলছ আমি কে
–আপনার বাসা মানে? আর অনুমতি না নিয়ে গাছ থেকে কেন ফুল ছিরেচেন?
–আমার বাসায় এসে আমার সাথে বড় গলায় কথা বলতেছ।তোমার সাহস ত দেখছি কম না।
–দারন আন্টিকে গিয়ে বলছি।
–যাও তোমার কোন কোন আন্টিকে গিয়ে বলবে বল।

মেয়েটা আমাকে মুখ দিয়ে বেংচি কেটে চলে গেল।আর আমি ভাবছি মোয়েটা কে?এখানেই বা কি করছে?আমাদের বাসায় ত আম্মু আর আব্বু ছারা আর কেউ নেই।আমার বাগান থেকে আমি ফুল ছিরেছি এতে ঐ মেয়েটার অনুমতি নিতে হবে কেন?আমার মাথায় কিছুই ডুকছে না।সেখানে না থেকে নিছে চলে এলাম। যখনি রুমে ডুকতে যাব তখনে খেলাম একটা ধাক্কা ফিছন ঘুরে দেখি ঐ মেয়েটা। কিছু একটা বলতে যাব তখনি মেয়েটা বলে উঠল

–সুন্দরি মেয়ে দেখলে ধাক্কা মারতে খুব ইচ্ছে করে তাই না?
–না মানে আমিত তোমাকে দেখতে পাইনি
–ওহ তখন আমার বাগান থেকে ফুল ছিরেছেন কিছু বলিনি তাই বলে এখন আবার ধাক্কা দিয়ে বলছেন আমি দেখিনি।
–তুমি আসলে কে?কেন তোমার বাগান বাগান করছ?
–কিহ আমার বাসায় এসে আমাকে বলছেন আমি কে?দারান দেখাচ্ছি মজা। আন্টি এ আন্টি এখানে আস ত
–কিরে কি হয়েছে? আম্মুকে মেয়াটা ডাকল কেন?(মনে মনে বললাম)

–আন্টি দেখো ত এ ছেলেটা আমাকে কিচুক্ষন আগে ধাক্কা দিয়ে এখন আবার বড় গলায় কথা বলছে।
–কিহ!! আম্মু ঐ মেয়েকে ইচ্ছে করে ধাক্কা দেইনি।আর এই মেয়েটা কে?আমাদের বাসায় কি করছে?
–আরে তোরা থামবি ত। নীরব ও হচ্ছে জুই তোর আব্বুর বন্ধুর মেয়ে।আর জুই ও আমার ছেলে নীরব।
–এটা তাহলে তোমার ছেলে?(জুই)
–হুম ও আজ দুপুরে এসেছে।(আম্মু)
–তোমার ছেলেত দেখচি হেব্বি পাযিল।আমাকে ইচ্ছে করে ধাক্কা মারা পরে মজা দেখাচ্ছি(আমাকে দেখিয়ে) কথা গুলো বলে জুই চলে গেল।আমি আর আম্মু দারিয়ে আছি
–দেখ আম্মু আমি ওকে ইচ্ছে করে ধাক্কা দেইনি।
–আচ্ছা হয়েছে শুন ও খুব রাগি মেয়ে। ওকে রাগানোর চেষ্টা করিস না।
–ও কি আমাদের বাসায় বেরাতে এসেছে?

–না জুই এখানেই থাকে। ওর বাসা থেকে কলেজ একটু দুরে ত আসা যাওয়াতে ওর একটু কষ্ট হয় আর আমাদের এখান থেকে কলেজ টা খুব কাছে তাই তোর আব্বু ওকে আমাদের বাসায় নিয়ে এসেছে।আর শোন মেয়েটা কিন্তু খুব ভালো ওকে রাগানোর চেষ্টা করিস না।

–আচ্ছা

কথা শেষ করে আম্মু চলে গেল আর আমি মনে মনে ভাবছি ও যখন এতওই রাগি তাহলে ওকে না রাগালে কেমন হয়। রাতে সবাই এক সাথে খেতে বসে ওকে রাগিয়ে বাধলাম আরেক বিপত্ত।–নীরব রান্না কেমন হয়েছে?(আম্মু)

–হুম ভালো।
–আজ জুই রান্না করেছে। ভালোত হবেই। এই সুযোগ জুই কে একটু রাগানো দরকার। আম্মু ত বলল ও খুব রাগি।আর জুই আমার পাশের চেয়ারে বসে নিজে খাওয়ার জন্য খাবার বেরে নিচ্ছে।
–ওয়াক থু। একবারে পচা,এমন রান্না কেউ করে?আমিওত এর চেয়ে ভালো রান্না করতে পারি।কে দিয়েছে ওকে রান্না করতে?
–কি বলছিস রান্না খুব ভালো হয়েছে।(আব্বু)
–হুম জুই ত মাঝে মাঝে রান্না করে, ওর রান্না তো ভালোই হয়।(আম্মু)
–এখন ত বলবাই ভালো হয়েছে।কি বাজে রান্না।এসব কি মানুষে খায়?

দেখলাম ও পাশে বসে রাগে ফুসছে,চোখ দুটো বড় বড় করে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।মনে হয়ে এখনি কাচা চিবিয়ে খাবে।একটা জিনিস লক্ষ করলাম,জুই যে রেগে আছে তাতে ওকে খুব সুন্দর লাগছে।হুম মাঝে মাঝে ওকে রাগিয়ে ওর এই রাগি মুখটা দেখতে হবে। জুই চেয়ার থেকে উঠে দারিয়ে আমার দিকে কিছুক্ষন এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল তারপর সোজা হেটে ওর রুমের দিকে চলে গেল।ওর রাগ ত দেখছি কম না।

–এটা তুই কি করলি?ইচ্ছে করে মেয়েটাকে দিলি রাগিয়ে।
–আমি কি জানি ওর যে এত রাগ
–তোকে না বললাম ওর রাগ বেশি।তুই ও পারিস
–হুম মনে ছিল না।

–দেখলি ত মেয়েটা না খেয়েই চলে গেল।কি দরকার ছিল এমন করার।
–আম্মু যাও ওকে বল গিয়ে যে আমি এমনিতে একটু দুষ্টামি করছিলাম।
–যা ওকে গিয়ে সরি বলে আয়(আব্বু)
–কিহ আমি জগরাটে মেয়েকে সরি বলতে যাব?
–ওয় মোটেও জগরেটে না। তুই ওর যা করলি এতে কার না রাগ উঠবে। আব্বু আম্মু সবাই দেখছি ওর পক্ষে কথা বলে।
–আমি ওকে সরি বলতে পারব না।
–কেন পারবি না, রাগানোর সময় মনে ছিলনা বুঝি?
–আমি ত দুষ্টামি করে বলেছিলাম।
–ছোট্ট একটা মেয়ে ও কি তোর এসব দুষ্টামি বুঝে?(আব্বু)
–আহহ কি ছোট মেয়েরে,, তোমরা দুজনেই ত ওর পক্ষ নিয়ে কথা বলছ।
–আচ্ছা তুই খাওয়া শেষ কর আমি দেখছি।(আম্মু)

আম্মু ওকে অনেক বার ডেকেছে খাওয়ার জন্য কিন্তু ও খাবে না খাবেই না।পরে বুঝতে পারলাম জুইকে খাওয়ার সময় রাগানোটা ঠিক হয়নি যার কারনে ও না খেয়েই শুয়ে পরেছে। সকালে ঘুম থেকে উঠে দাত ব্রাশ করতে করতে ওয়াশ রুমের দিকে যাচ্ছি এমন সময় খেলাম জুই এর সাথে আবার ধাক্কা।

–ওই কোন দিকে চেয়ে হাটেন?চোখ কি পকেটে নিয়ে ঘুরেন নাকি?
–আমি চোখ পকেটে নিয়ে ঘুরি না।তুমি কোন দিকে ছেয়ে হাট, তোমার চোখ কোথায় থাকে হুম।
–বেশি কথা বলবেন না বলে দিলাম।না হলে কিন্তু আমি চিৎকার দিব
–সব দোষ মনে হয় যেন আমার।
–আ আন্টি ই (জোরে চিৎকার দিয়ে উঠল) আম্মু এসে
–কি করছিস আবার?(আমাকে লক্ষ করে)
–কিছুনা তুমি যাও।
–যাবে মানে, আপনি আমাকে ইচ্ছে করে ধাক্কা মেরে ঝগরা করতে এসেছেন?
–ওই মিথ্যে বলবা না। আমি তোমাকে ইচ্ছে করে ধাক্কা দেইনি।আর আমি ঝগরা করি না বুঝেছ?
–হুহ তা ত দেখতেই পাচ্ছি।
–এই তোরা থামবি?সকাল সকাল তোরা আবার ঝগরা শুরু করলি।এই নীরব ফ্রেশ হয়ে তুই তের রুমে যা, আমি নাস্তা দিয়ে যাচ্ছি।

এই বলে আম্মু চলে গেল,আমি গেলাম ওয়াশ রুমে আর জুই চলে গেম ওর রুমের দিকে।
ফ্রেশ হয়ে এসে নাস্তা খেয়ে ফ্রেন্ড দের সাথে ঘুরতে বেরিয়ে পরলাম।সারাদিন অনেক ঘুরাঘুরি করে সন্দায় বাসায় ফিরলাম। ফ্রেশ হয়ে ক্লান্ত দেহটা নিয়ে সুয়ে পরলাম।শুয়ে শুয়ে জুইকে কল্পনা করছি, মেয়েটা যেমনি সুন্দর তেমনি রাগি। যে কোন কেউ ওকে এক দেখাতেই ওর প্রেমে পরে যাবে। আমার বেলায় তাই হল।ওর রাগি মুখটা বার বার আমার চোখের সামনে ভেষে উঠছে। সত্যি রেগে গেলে ওকে আরো বেশি সুন্দর দেখ যায়।জুইকে নিয়ে আমি কেন এত কল্পনা করছি?আমি কি তাহলে রাগি মেয়েটার প্রেমে পরে গেছি? আম্মুর ডাকে বাস্তবে ফিরলাম।

–খাবি না?
–হুম আসছি তুমি যাও।

আজ আর ওকে রাগালাম না।একটা জিনিস লক্ষ করলাম খেতে বসে ও বার বার আমার দিকে আর চোখে তাকাচ্ছে।
ও এখনো খাচ্ছে, মেয়েটা কি পেটুক রে বাবা(মনে মনে বললাম)জোরে বলল ত আবার লাগবে ঝগরা। আমি খাওয়া দাওয়া শেষ করে রুমের দিকে যাব তখনি মনের মাঝে একাটা দুষ্ট বুদ্ধি আসল।ওকে একটু ভয় দেখাতে হবে যেই ভাবা সেই কাজ।সোজা চলে গেলাম জুই এর রুমে।ওর এখনো খাওয়া শেষ হয়নি।আমি জুই এর রুমে আসার কারন হচ্ছে ওকে ভয় দেখনো। দেখলাম ওআসছে আস্তে করে দরজার পিছনে লুকিয়ে পরলাম যাতে জুই যেন আমাকে দেখতে পায়। জুই রুমে ডুকে দরজা লাগানোর সময় আস্তে করে ওর পিছনে গিয়ে দারিয়ে রইলাম।জুই দরজার লাগিয়ে পিছন ঘুরে যেন ভুত দেখল,চোখ দুটো যেন এখনি তার নির্দিষ্ট জায়গা থেকে বেরিয়ে আসবে।ও যখনি চিৎকার দিতে যাবে তখনি আমি কানে আঙ্গুল দিয়ে রাখলাম। কারন ও খুব ভয় পেয়েছে আর এখন যে জোরে চিৎকার দিবে সেটা আমি ভালো করেই বুঝতে পেরেছি।

–আ আ আন্টি ই ই ই

এত জোরে চিৎকার দিয়েছে যে যেটা আমি কানে আঙ্গুল দিয়ে চেপে রাখার পরও শুনলাম।
জুই কে ভয় দেখাতে এসে আমি নিজেই ভয় পেয়ে গেলাম। কারন ও আম্মুকে ডেকেছে আম্মু যদি এখানে এসে আমাকে দেখে তাহলে আমার বারেটা বাজাবে। এই কয়দিন ওকে ওনেক জালিয়েছি।এই ভেবে ভয়ে সোজা খাটের নিচে ডুকে পরলাম। আম্মু পাসের রুম থেকে রুমের বাইরে থেকে বলল

–এত জোরে চিৎকার দিয়েছিস কেন, কি হয়েছে?(আম্মু)  তেলাপোকা
–কোথায়?
–আমার রুমে
–দরজা খোল, দেখিত কোথায় তেলাপোকা।
–না থাক তোমার আসতে হবে না।
–একটা কাজ কর ঝাড়ু দিয়ে জোরে একটা বারি দিয়ে মেরে পেল।
–এটা মারতে পারব না অনেক বড়।
–দরজা খোল দেখিত কত বড় তেলাপোকা

জুই দরজা খুলে দিল। আমার অবস্থা এমনি তেই খারাপ তার ভিতর আবার আম্মুকে রুমে ডুকার জন্য দরজা খুলে দিল।কি করব আম্মু যদি একবার আমাকে দেখে পেলে তাহলে আমাকে কালকেই পাঠিয়ে দিবে।কিন্তুু আমিত ওকে ছারা থাকতে পারব না। জুইকে ত এখনো মনের কথাটাই বলতে পারলাম না। আম্মুর হাত থেকে বাচার জন্য খাটের নিচেই কোনো রকম জরসর হয়ে শুয়ে রইলাম।

–কই তেলাপোকা (আম্মু এদিক সেদিক তেলাপোকা খুজতে লাগল) এখনে তেলাপোকা আসবে কোথায় থেকে তাহলে আমি ই কি তেলাপোকা??? আম্মু তেলাপোকা খুঝে না পেয়ে চলে গেল।জুই দরজা লাগিয়ে এসে আমাকে বলতে লাগল
–এযে মিঃ বের হয়ে আসেন নাকি সেখানে শুয়েই ঘুমিয়ে পরেছেন? খাটের নিছ থেকে বেরিয়ে এসে বললাম
–আমি তেলাপোকা?
–হুম আপনিত তেলাপোকা ই
–কি বললা??
–তেলাপোকা না বললে ত আপনাকে বাচাতে পারতাম না
–তাই বলে আমাকে তেলাপোকা বানিয়ে দিলা?
–আপনি অনেক ভিতু ভয়ে খাটের নিছে গিয়ে পলালেন হি হি হি
–ঐ হাসবা না। তুমি তখন চিৎকার না দিলেই ত পারতে।
–আমিও তখন ভয় পেয়েছিলাম।

ওর সাথে এখন ঝগরা করার মুড নেই, যেই ভয় পেয়েছি।! রুমে এসে ভাবতে লাগলাম এটা কি হল ওকে ভয় দেখতে গিয়ে নিজেই ভয় পেয়ে আসলাম। সকাল সকাল ঘুমাচ্ছি এমন সময় জুই এসে ঘুমের তেরোটা বাজিয়ে দিয়ে

–এ উঠেন
–এত সকালে? যাও আর একটু ঘুমাব।
–এখন কয়টা বাজে দেখচেন?
–যতটাই বাঝুক তুমি যাও আমি আরো ঘুমাব
–উঠবেন নাকি পানি ঢেলে দিব

পানি ঢালার কথা শুনে ভয় পেলাম। কি দজ্জাল মেয়েরে বাবা একটু সান্তিতে ঘুমাতেও দিল না। মনে পরে গেল গত রাতের কথা ও ত তেলাপোকা কে ভয় পায়। এখন যদি এটকা ভয় দেখিয়ে দিতে পারি তাহলে সারাদিন আর আমার সাথে বড় গলায় কথা বলতে পারবে না।আমি একটু জোরে বলে উঠলাম তেলাপোকা জুই ভয় পেয়ে দৌর না দিয়ে আমার উপর পরে গিয়ে শক্ত করে জরিয়ে ধরল।উপ কি মজা ওকে সকাল সকাল ভয় টা দেখিয়ে লাভই হয় নাহলে ওকে এতটা কাছে পেতাম না। একটু পর কি মনে করে যেন ছেরে দিল। ও মাথা নিচু করে বসে আছে লজ্জায় মুখটা লাল হয়ে গেল। একটু পর আমার রুম থেকে দৌরে চলে গেল। সারা দিন ওকে কল্পনা করে কাটিয়ে দিলাম রাতে ওর রুমে গেলাম জুই আমাকে দেখে মনে হয় যেন লজ্জা পেয়েছে।

–একটা কথা বলতে এসেছি(আমি)
–কি বলবেন আমি জানি।আপনি আমাকে ভালোবাসেন,আমার প্রেমে পরে গেছেন এটাইত বলবেন।
–একটা মুচকি হাসি দিয়ে বললাম তুমি কি করে বুঝলে আমি এ কথা গুলো বলব?
–শুনেন আমার bf আছে। আমার পিছে পছে ঘুরে কোন লাভ নেই।

ওর কথাটা শুনে আমার বুকটা ধুক করে উঠল।চোখে অন্ধকার দেখতে লাগলাম।কথা বলার ভাষা হারিয়ে পেললাম।আর কিছু না বলে ওর রুম থেকে বের হয়ে চলে আসলাম। রুমে এসে কান্না করছি।আমি কেন কান্না করছি? জুই ত আমাকে ভালোবাসেনা, ও ত অন্য একজন কে ভালোবাসে। আমার কান্না কিছুতেই থামছে না।হঠাৎ দেখি আম্মু আমার রুমে

–নীরব কাদছিস কেন কি হয়েছে তোর?
–কিছুনা এমনি
–আম্মুর কাছে বল।সত্যি করে বল কি হয়েছে আমি যখন সত্যি জুইকে ভালোবাসি। আর আমি কাদছি এটা আম্মু দেখেছে তাহলে আর কথা লুকিয়ে কি লাভ?
–আম্মু আমি জুইকে ভালোবাসি ওকে ছারা বাচব না।
–ভালোবাসিস ভালো কথা। ওকে গিয়ে বলে দিলেই তো হয়।
–ওকে বলেছিলাম। ও নাকি অন্য একজন কে ভালোবাসে।

–কিহ এত বড় কথা আমার ছেলেকে কাদিয়ে অন্য ছেলেকে ভালোবাসা?দারা দেখাচ্ছি মজা
–আম্মু তুমি ওকে কিছু বলোনা কে শুনে কার কথা আম্মু সোজা চলে গেল জুই এর রুমে
–জুই তুই নাকি কোন ছেলেকে ভালেবাসিস?
–আন্টি তোমাকে কে বল্ল এসব কথা।আমি কাউকে ভালোবাসি না
–তাহলে নীরব কে কেন বললি তুই অন্য ছেলেকে ভালোবাসিস?
–এমনি মজা করছিলাম
–তুই মজা করছিলি আর ও বসে বসে কান্না করছে।
–কি বলছ এসব?
–হ্যা এখনি গিয়ে বলবি যে তুই ওকে ভালোবাসিস
–আন্টি আমি জুইকে কেন কোন কথা বলতে না দিয়ে আম্মু চলে গেল। জুই আমার রুমে এসে

–এই যে মিঃ কাদছেন কেন হুম?
–আমি কাদলে কার কি।
–আমার অনেক কিছু
–মানে
–এই বুদ্ধ বুঝনা কেন আমি তোমাকে ভালোবাসি
–তাহলে বললা যে তুমি অন্য একজন কে ভালোবাস?
–দুষ্টামি করে বলছিলাম।আর আমি যদি তোমাকে ভালো নাই বাসতাম তাহলে সকালে তোমাকে জরিয়ে না ধরে দৌরে অন্য দিকে চলে যেতাম

–তুমি ত আমাকে জরিয়ে ধরেছ এখন তোমাকে জরিয়ে ধরি?
–এই না একদম কাছে আসবা না।কালকে আমাকে নিয়ে ঘুরতে যেতে হবে আর সেখানে গিয়ে প্রপোজ করবা তারপর জরিয়ে ধরতে দিব।
–ওকে
–এখন একবার বলো
–কি?
–ভালোবাসি কথাটা
— I love u jui
–I love u too nirob

একটা সকালের অপেক্ষায় রইলাম। কালকে ওকে নিয়ে ঘুরতে যেতে হবে। এখন একটু সান্তিতে ঘুমানো দরকার।

সমাপ্ত

গল্পের বিষয়:
ভালবাসা
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত