সম্পর্ক

সম্পর্ক

কাব্যর সাথে ব্রেকআপের ৮ মাসের মাথায় বিয়ে হয় আমার্। বিয়েটা অবশ্য এরেঞ্জ ম্যারেজ। কাব্যের কথা ভুলে গিয়ে নতুন এক জীবন শুরু করতে চেয়েছিলাম। ওর দেয়া ধোকা গুলো আমাকে প্রতিনিয়ত কুড়ে কুড়ে খাচ্ছিলো। তখন আমার বিয়ের প্রস্তাব ও আসতে থাকে অনেক। অবশেষে মা বাবার পছন্দের ছেলে শুভ্রের সাথে বিয়ে ঠিক হয়। আমাকে বিয়েতে কোন প্রকার জোর করা হয় নি। ভেবেছিলাম বিয়ের পরের জীবন টা আমার ভালো কাটবে। বিয়ের আগে শুভ্রের সাথে দু বার কথা হয়েছিলো। ছেলেটা বেশ ভালো।

আমাদের বিয়েটা হয় ৩-০৮-২০১৩ সালে। বিয়ের পরে আমি আমার শ্বশুড় বাড়িতেই থাকি। শুভ্ররা ছিলো ৫ ভাই এক বোন ।শুভ্র ছিলো সিরিয়ালে ৩য় । দেশের বাহিরে কাজ করত। স্যালারী বেশ ভালোই পেতো। স্যালারীর পরিমাণ টা হবে প্রায় লাক্ষ খানেক। এর মধ্যে হাজার বিশেক টাকা নিজের খরচ ছিলো । সংসার খরচ হিসেবে ৩০-৪০ হাজার টাকা দিতো। আর বাকি টাকা টা ওর বোনের হাতে তুলে দিতো। পরিবারের মেঝো সন্তান হলেও পুরো পরিবারের সমস্ত খরচ নিজেইচালাতো। বড় বোনকে আর মাকে অনেক মানত। তারা যদি দিনকে রাত বলত তবে তাই সত্য হিসেবে মানত শুভ্র। এ নিয়ে আমি কোন সময় কোন কিছু মনে করি নি। যাই হোক বিয়ের ৫ দিন পর আমি আর শুভ্র আমার বিভিন্ন রিলেটিভদের বাড়ি যাই। এর মধ্যে ওর কাছে থাকা সব টাকা শেষ হয়ে যায়।

আমি জিজ্ঞেস করলাম তুমি এতো দিন ধরে ইনকাম করছো অথচো নিজের কোন জমানো টাকা নেই। দেখো এখন তুমি বিয়ে করেছো । তোমার উপর আরেক টা মানুষের ভরণ পোষণ এর দ্বায়িত্ব সেটা তোমার মাথায় থাকা দরকার্। তুমি তোমার ফ্যামিলিকে দেখো তাতে কোন সময় আমি বাধা দেবো না।আর আমি বাধা দেবার কে বলো ? এই ফ্যামেলি ছোট বেলা থেকে তোমাকে দেখেছে তোমাকে বড় করেছে। তাই আমি বলব যে তুমি তোমার দ্বায়িত্বে সব সময় অটুট থাকবে। কিন্তু আরেক টা কথাও তোমার মনে রাখা উচিত যে আমাদের ও একটা ভবিষ্যত আছে। তাই আমাদের উচিত কিছু কিছু করে সঞ্চয় করা। শুভ্র শুধু মাথা নেড়ে বলল যে তুমি ঠিক বলেছো অবনী।

থাক যাই হোক এর পর আমি আমার বাবার কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা এনে শুভ্র কে দিলাম। বিয়ের পরে আমাদের সময় টা বেশ ভালোই কাটতেছিলো।বাপের বাড়ি শ্বশুড় বাড়ি ঘোরাঘুরির মধ্যেই চলছিলো। অনেক জায়গায় ঘুরতেও গিয়েছি । কিন্তু বিপত্তি বাধল অন্য এক জায়গায়। আমি যে শুভ্রকে বলেছিলাম আমাদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে কিছু টাকা সেভ করার কথা এই গুলো শুভ্র গিয়ে প্রথমে ওর বোনের কাছে বলে এবং পড়ে মার কাছে বলে। এই কথা গুলো আমি কখনও শুভ্রকে ওর ফ্যামিলি থেকে দূরে সারানোর জন্য বলি নি। আমি চাই নি কখন যে শুভ্র ওর পরিবার থেকে দূরে সরে যাক। এর পর থেকে শুভ্রর মা আর বোন মানে আমার শ্বাশুড়ি আর ননাস আমার উপর রেগে যায়। তারা মনে করেছে তাদের বোকা ছেলেকে আমি চালাক বানিয়ে ফেলব। এমনিতেই শুভ্র অনেক সহজ সরল ছিলো। যে কাউকে খুব সহজেই বিশ্বাস করত।

এমনি তেই আমি শুভ্রের বোন আই মিন আমার ননাসের পছন্দের ছিলাম না। সে কখন ও চাই নি যে ইউরোপে বড় হওয়া একটা মেয়ে তার ভাই এর বউ হোক। এই কথা গুলো আমি বিয়ের আগে জানতাম না আমার ফ্যামিলিও এই ব্যাপারে কিছু জানত না। শুভ্র যে দিন আমাকে দেখতে আসে তখন আমি বাংলাদেশে আমাদের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলাম। শুভ্রের পছন্দ হয়ে যায় আমাকে। তার বোন বলে আর ও মেয়ে দেখার পরডিসিশন ফাইনাল করতে। কিন্তু শুভ্র বলে যে বিয়ে করলে এই মেয়ে মানে আমাকেই করবে। এই বিষয় টা নিয়েই ও হয়তো জীবনে প্রথম জেদ করে তাই ওর মা বোন আর দ্বিমত পোষণ করে নাই। আমি ও বুঝতে পারি নি যে শুভ্র কথা গুলো বলে দেবে । এই বিষয় টার পর শুভ্রের পরিবারের সবাই আমার উপর ক্ষেপে যায়। এমন কি শুভ্রও মনে করে যে আমি ওকে ওর পরিবার থেকে আলাদা করতে চেয়েছি। শুভ্রের ব্যবহার ও দিন দিন চেঞ্জ হতে থাকে।

আমি একটা নতুন জায়গায় এই রকম পরিস্থিতির শিকার হয়েছি নিজেকে খুব একা একা লাগতো আসলে আমার কোন রকম ইচ্ছেই ছিলো না শুভ্র ওর পরিবার থেকে দূরে যাক। আমি শুধু বলেছিলাম যে তুমি আমাদের ফিউচার এর কথা ভেবে কিছু সেভ করে রাখো যা ফিউচারে আমাদের কাজে লাগবে। এই কথা টাকে ইস্যু করে সবাই আমার সাথে খারাপ বিহেভ করে। প্রথমত জার্মানে বড় হাবার পর বিডির ঢাকাতেই মানিয়ে নিতে আমার সমস্যা হচ্ছিলো সেই খানে আমি গ্রামে থাকছি শুধু মাত্র শ্বশুড় বাড়ির সবার মন পাবার জন্য। কিন্তু কিছুতেই কারো মন পাচ্ছিলাম না। আমি প্রাণ পণে চেষ্টা করতাম তাদের সাথে মিশে তাদের মন জয় করার্। কিন্তু তারা আমার সাথে দিন দিন রাফ বিহেভের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে থাকে। আমি সব সময় এই সব কিছু মুখ বুঝে সহ্য করতাম। ভাবতাম আর কেউ না বুঝলেও শুভ্র আমাকে অন্তত্য একটু হলেও বুঝবে।

শুভ্র আমার পরিস্থিতি টা বুঝত কিনা ? বুঝতে পেরেও না বোঝার ভান করে থাকত তা আমি আদোত জানি না। শুভ্রের ছুটির সময় শেষ হয়ে যাচ্ছিলো। ওর আবার ফেরার প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায়। আমি সব সময় ভাবতাম যে আমি কি ওর পরিবারের সাথে মিশে যেতে পারব কি না ? অবশেষে আমাদের বিয়ের ঠিক ২৮ দিন পর শুভ্র পারি জমায় বিদেশে। শুভ্র চলে যাবার পর আমি আমার ননাস আর শ্বাশুড়ির নতুন রুপ দেখি। তাদের ব্যবহার পুরাই চেঞ্জ হয়ে যায়। তাদের ব্যবহারের সব কথা না বলতে পারলেও কিছু নমুনা বলি। এক দিন সকালে আমি ঘর ঝাড় দিচ্ছিলাম তখন আমার ননাস এসে আমাকে টেনে পুকুর পাড়ে নিয়ে গেলো। বেশ বড় পুকুর্। দেখেই আমার ভয় লাগত। আমি পুকুর পাড়ে এই এক মাসের মধ্যে দু এক বার এসেছিলাম। পানি দেখলেই আমার ভয় লাগত। আমাকে পুকুর পাড়ে এনে বলে হাড়ি পাতিল মাজতে।

আমি বলেছি যে বাড়ির কলে আমি মেজে দিচ্ছি কিন্তু উনি শোনেন নি আমাকে পুকুরের পানিতে নেমেই কাজ করতে হয়েছে। এর পর এগুলো ধুয়ে উঠতে না উঠতেই বাড়ির সবার কাপড়নিয়ে এসে ধুয়ে দিতে বলে। আসলে অনেকে ভাবতে পারেন যে এই সব কাজ করিয়ে তো ওনারা মহাভারত অশুদ্ধ করে নি। তাদের বলছি যে এই কাজ গুলো আমি কোন দি করি নি। যাই হোক তাদের মন পাওয়ার জন্য আমি প্রায় সব কাজ করার চেষ্টা করতাম। আমার লাইফ স্টাইলের সাথে তাদের লাইফ স্টাইল মিল তো না । আমি আমার সাধ্য মতো মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা করতাম। আপনারা নিশ্চয়ই জানেন যে এক হাতে কখনো তালি বাজানো সম্ভব নয়। হোক না হাতের জোর অনেক বেশি। অন্য হাত না থাকলে তাই বাজানো সম্ভব নয়। তারা যদি আমার দিকে সামান্য হাত বাড়িয়ে দিত তাদের সাথে মানিয়ে গুছিয়ে নেয়ার জন্য তবে আমি অবশ্যই পারতাম।

আমি শুভ্রকে সব বলতাম না কিন্তু আকার ইঙ্গিতে কিছু কিছু বলার চেষ্টা করতাম। শুভ্র তখন কি বলতো জানেন? আমি নাকি ওর ফ্যামিলির সাথে মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা করি নি । আমার দম বন্ধ হয়ে যেতো একা একা। কেউ একজন ছিলো না আমার সাথে কথা বলার্। শুনেছি দেবরেরা নাকি বন্ধুর মতো হয়। কিন্তু আমার ক্ষেত্রে পুরো উল্টো। এর মধ্যে শুভ্র আমার বাবার কাছে নালিশ করে যে আমি নাকি ওদের পরিবারের প্রত্যি কোন দ্বায়িত্ব পালন করি না। এই কথা গুলো শোনার পর যে কোন বাবারই রেগে যাবার কথা। আমার বাবার ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয় নি। আমার বাবা আমাকে এমন ভাবে মানুষ করেছে যে আমাকে যদি একটা ধনী ফ্যামিলিতে বিয়ে দেয়া হয় তবে আমি শেখানে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারব। আবার একটা রিক্সাওয়ালার সাথে বিয়ে দিলেও আমি সেখানেও মানিয়ে নিতে পারব। এই নিয়ে আমার বাবা আমার প্রতি বেশ রেগে ছিলো।

আমি তাদের সাথে মানিয়ে নেয়ার জন্য ধান কেটেছি । সেই ধান নিয়ে বাড়িতে এসেছি। সেই ধান মলেছি (মারাই করা) ধান মারাই করার পর তা মাথায় নিয়ে গিয়ে তা শুকিয়ে রাইসমিলে পাঠিয়েছি। আমার এখন ভাবতেই অবাক লাগে যে আমি ধানের কাজও করেছি।যেই কাজ আমার মাও জীবনে করে নিসেই কাজ আমি করেছি। এই কথা গুলো ভেবে একা একা হাসি। হাসি পাবারই কথা যেই মেয়ে আই মিন আমি কোন কাজ করতে সাহস পেতাম না সেই আমি কিনা একা একা বেশ ভালোই ধানের কাজ করেছি। আমার শ্বাশুড়ি ননাস তখন পাড়ার মহিলাদের সাথে বসে গল্প করত। জীবন আমাকে বহু অভিজ্ঞতা দান করেছে। এতো কিছু করার পরও আমাকে শুনতে হয়েছে যে আমি কিছুই পারি না। আমার বাবা মা আমাকে কিছুই শিক্ষা দেয় নি ইত্যাদি ইত্যাদি। আচ্ছা তারা কি সব শিক্ষেই হয়ত জন্মগ্রহন করেছে।

সবাই তো সব পারে না। আমি না পারলেও শিখে করতে চেয়েছি। আরও এমন কাজ করেছি যা আমি কেনো আমার মাও করে নি কোন দিন ও। গ্রামের জীবন যাত্রার সাথে আমি মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা তখন ও করেই যাচ্ছিলাম। শুভ্রের সাথে কথা বললে সেই এক কথাই বলত আমি ওর ফ্যামিলির সাথে ম্যাচ করছি না ইচ্ছে করেই। আর কি করে আমি ম্যাচ করাবো ? আমি আমার দিক থেকে চেষ্টার কমতি রাখতাম না। কিছু হলেই আমার বাবা মার কাছে নালিশ চলে যেতো। আমার এখন ও মনে পড়ে না আমি ওর মা বোনের কারণে কখনও উচ্চস্বরে কথা বলেছি। আমি আমার সম্পূর্ণ ইগো ভেঙ্গে গ্রামের বউ হতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তাদের প্রতিটি বাক্যের মধ্যে থাকত আমি বিদেশে বড় হওয়া মেয়ে আমার দ্বারা তাদের মনের মতো হওয়া সম্ভব না।

এক দিকে মানিয়ে গুছিয়ে চেষ্টা আর অন্য দিকে শুভ্রের দিন দিন পরিবর্ত এই দুই টি বিষয় নিয়ে আমি দিন দিন ড্রিপ্রেশন এর মধ্যে ভুগছিলাম। এর মধ্যে আমি অসুস্থ হয়ে যাই। প্রথমে ভেবেছিলাম সাধারণ অসুস্থতা। কিন্তু দিন দিন অসুখের মাত্রাটা বেড়েই চলেছিলো।। কমার কোন নাম গন্ধ ও নাই। প্রথমে ঠিক বুঝতে পারি নি কি হয়েচ্ছে। অসুস্থ শরীর নিয়েই ঘরের মোটামুটি প্রায় সব কাজই করতাম। কিন্তু দিন দিন অবস্থা খুব খারাপ হচ্ছিলো। আমার শ্বশুড় বাড়ির কেউ আমার অসুস্থতা নিয়েও মোটেও চিন্তিত ছিলো না। এক পর্যায়ে আমি শুভ্রকে বলি অসুস্থতার কথা। শুভ্র ওর বোনকে বলে আমাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে । কিন্তু তারা আমাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবার পরিবর্তে কি করে জানেন? এক হুজুরের কাছ থেকে পানি পড়া নিয়ে আসে। আমার যে কি হয়েছে তখন ও আমি কিছু জানি না। শরীর অনেক দুর্বল ,দাড়াতে পারতাম না। প্রচুর ব্লিডিং হতো। তারা বলত যে আমি কাজে ভয়ে ইচ্ছে করেই অভিনয় করছি।

একটা সময় যখন আমি বিছানা থেকেই উঠতে পারতাম না। প্রায় মাস খানেকের কাছাকাছি হবে আমার অসুস্থতার। এর মধ্যে মনে হয় ৩-৪ বার আমাকে হুজুর এর কাছ থেকে পানি পড়া এনে খায়িয়েছে। এর মধ্যে এক বার ও ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়ার নাম ও তোলে নি। আমি আর সইতে না পেরে আমার মাকে ফোনে বলি আমার অসুস্থতার কথা। মা জানত যে সামান্য জ্বর । কিন্তু আব্বু আম্মু যখন আমাকে দেখতে আসে তখন আমাকে দেখে তারা অনেক টাই অবাক হয়। কারণ তখন শুকিয়ে আমি কাঠ হয়ে গিয়েছিলাম। তারা আমাকে নিয়ে আসে আমার শ্বশুড় বাড়ি থেকে। এতে করে আমার ননাস আর শ্বাশুড়ির বেশ সুবিধেই হয়েছিলো । কারণ শুভ্রের পাঠানো টাকা আর আমাকে দেয়ার দরকার ছিলো না। ঢাকা এসে ট্রিটমেন্ট করার দুই মাসের মধ্যে মোটামুটি সুস্থ হয়ে যাই।এর মধ্যে জার্মান ফেরার সময় হয়ে যায়। আব্বু আম্মু আর ভাইয়ের ফেরার কথা ছিলো।

আমার শ্বশুড় বাড়ি থাকার কথা ছিলো। কিন্তু তারা যে আমার প্রতি কতটা কেয়ার লেস তা দেখার পর আব্বু আমাকে আর শ্বশুড় বাড়ি রেখে যাবার সাহস পেলো না। আমি ও তাদের সাথে চলে আসি র্জামানে। শুভ্রের সাথে ফোনে যোগাযোগ ছিলো। যাই হোক আমি জার্মানে আসার পর একটা স্কুলে শিক্ষিকার চাকরী করতাম। তখন আবার আমার শ্বাশুড়ি বেশ ভালো ব্যবহার করত। আমি আসার পর সুস্থ থাকা কালিন বেশ অনেক বার টাকা পাঠিয়েছি আমার শ্বশুড় বাড়ি। এটাই ছিলো তাদের ভালো ব্যবহার করার মূল কারণ। প্রায় বছর খানেক মোটামুটি ভাবে আমি সুস্থ ছিলাম। কিন্তু হঠাত করেই আমার ওয়েট কমতে থাকে। সেই আগের প্রবলেম দেখা দেয়। এখান কার ডাক্তার দেখানোর পর জানতে পারি আমার অসুস্থতার কথা।

জরায়ুতে ক্যান্সার্। আমার ট্রিটমেন্ট শুরু হচ্ছিল তখন। আমি স্কুলের জব টা ছেড়ে দেই। ফলে আমি আর টাকা পাঠাতে পারি না শ্বশুড় বাড়িতে। তখন সেই আগের মতো ব্যবহার শুরু করে তারা। এক পর্যায়ে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। শুভ্রের যদি মন চায় তবে মাঝে মাঝে ফোন দিতো। এর পর আমার প্রথম অপারেশন এ দীর্ঘ নয় ঘন্টা অপারেশন চলে। তার পর ও পুরোপুরি ভাবে সাকছেস ফুল হতে পারে নি। এর দুই মাস পর হয় দ্বিতীয় অপারেশন। এর মধ্যে আমার শ্বশুড় বাড়ির কেউ কখন ও আমি কেমন আছি এই খবর শোনার জন্য ও যোগাযোগ করে নি।

সমাপ্ত

গল্পের বিষয়:
ভালবাসা
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত