অভিমান

অভিমান

কলেজে যাবিনা? (আম্মু)
:- হ্যাঁ যাবো তো!(আমি)
:- তাড়াতাড়ি কর, তোর ভাইয়া ডাকছে
:- এইতো রেডি হয়ে আসছি। রেডি হয়ে খাবার টেবিলে গেলাম।

:- শুভ সকাল কলিজা (ভাইয়া)
:- শুভ সকাল ভাইয়া
:- আজ তো কলেজের প্রথম দিন তাইনা?
:- হ্যাঁ ভাইয়া। কেন, তুমি মনে জানো না(অভিমানী স্বরে)
:- জানিতো পাগলী। চল আজকে আমি তোকে কলেজে দিয়ে আসবো।

খাওয়া-দাওয়া শেষ করে ভাইয়ার সাথে কলেজে গেলাম। ভাইয়া আমাকে কলেজ গেটে নামিয়ে দিয়ে কলেজে চলে গেলো। আজ প্রথম কলেজে যাচ্ছি। কেমন একটা আনইজি ফিল করছি, সাথে খুব নার্ভাসও লাগছে। কারণ নতুন কলেজ, নতুন শিক্ষক, নতুন ফ্রেন্ডস! সব নার্ভাস কাটিয়ে কলেজের ভেতর প্রবেশ করলাম। কলেজের মাঠের কাছে পৌঁছাতেই কিছু ছেলে গান গাওয়া শুরু করলো, ” কে তুমি নন্দিনী, আগে তো দেখিনি” ওদের কথায় কান না দিয়ে ক্লাশে চলে গেলাম। সেদিনের মত ক্লাশ করে বাড়ি ফিরলাম।  এভাবে প্রতিদিন কলেজে যাওয়ার সময় ছেলেগুলো এমন করতো। শুধু আমাকে দেখেই নয়, আরো অনেক মেয়ের সাথে এমন টিচ করে। এরমধ্যে ক্লাশে আমার বেশকিছু ফ্রেন্ডস হয়েছে। একদিন ক্লাশে যাচ্ছিলাম, হঠাৎই একটা ছেলে সামনে এসে দাঁড়ালো। দেখে কিছুটা চিনতে পারলাম ঐ ছেলেগুলোর মধ্য ইনিও একজন।

:- পথ আটকালেন কেন? (আমি)
:- নাম কি তোমার? (সে)
:- সেদিন যে নামটা নিয়ে গান গেয়ে টিচ করছিলেন ঐটাই
:- মানে?
:- এখানে এত মানে টানে কি আছে?
:- নামটা বললে খুশি হতাম
:- নন্দিনী
:- কিসে পড়ো?
:- ইন্টারে পড়ি। আর কিছু বলবেন?
:- বিরক্ত হচ্ছো?
:- বুঝতেই যখন পারছেন, তখন জিজ্ঞেস করছেন কেন? সরুন ক্লাশে যাবো। বলেই ক্লাশে চলে গেলাম। পাশেই মাহিয়া বসে ছিল।

:- ভাইয়া তোকে কি বললো? (মাহিয়া)
:- কে ভাইয়া?(আমি)
:- আমার ভাইয়া
:- তোর ভাইয়া কে?
:- রাজ। একটু আগে তুই যার সাথে কথা বললি।
:- উনি তোর ভাই?
:- হ্যাঁ
:- বোঝাই যায়না।
:- কেন?
:- কোথায় তুই আর কোথায় সে! তুই কত শান্তশিষ্ট আর ভালো। আর তোর ভাই কেমন!! কিছু বলিস না কেন?
:- কি বলবো বল, ভাইয়া কারো কথাই শোনেনা। যা মন চায় তাই করে।
:- হুম ভালো। বাদ দে।
:- ভাইয়া একটু গুন্ডা টাইপের। ভাইয়ার কথায় কিছু মনে করিস না প্লিজ।
:- আরে না পাগলি, ঠিক আছে। ক্লাশ ছুটির পর বাড়িতে গিয়ে ক্লান্ত হয়ে শুয়ে পড়লাম।

:- কিরে বান্দরনি, এসেই যে শুয়ে পড়লি!(জাহিদ)
:- জাহিদ তুই? কখন আসলি? (অবাক হয়ে)
:- হ্যাঁ আমি। এত অবাক হওয়ার কি আছে? এসেছি অনেক আগেই।
:- অবাক হবো না বল! আজ কতদিন পর আসলি তুই। কেমন আছিস বল
:- আগে ভালো ছিলাম না তবে এখন ভালো আছি।
:- কেন?
:- তোর জন্য।
:- ঢং
:- ঐটা তোদের মেয়েদের কেই ভালো মানায়
:- মাঝে মাঝে তুইও খুব ভালো পারিস। এখন বল, মামা-মামি আসেনি?
:- না, ওরা দুইদিন পর আসবে।
:- আম্মু ডাকছে চল খেয়ে আসি।

যেতে যেতে এবার পরিচয়টা দেই একটু, আমার সম্পর্কে তো আগেই জেনেছেন উপরে। হ্যাঁ আমি নন্দিনী। আর জাহিদ হলো আমার মামাতো ভাই। যদিও জাহিদ আমার ২বছরের বড়, তবুও আমি ওকে তুই বলেই ডাকি।

:- নন্দিনী (জাহিদ)
:- হ্যাঁ বল
:- চলনা বিকেলে কোথাও ঘুরে আসি।
:- নারে ভালো লাগছেনা। তুই বরং ভাইয়াকে নিয়ে যাস
:- ফুপি, তুমি নন্দিনীকে একটু বলো না, আমার সাথে যেতে
:- হ্যাঁ রে নন্দু, যা একটু ওর সাথে ঘুরে আয়। ও কি এখানে সব জায়গা চিনে নাকি। আর তোর ভাইয়ার এত সময় কোথায় যে ঘুরতে নিয়ে যাবে।
:- ঠিক আছে যাবো। (আমি) বিকেলে জাহিদের সাথে ঘুরতে গেলাম।

:- চল ফুসকা খাবো (আমি)
:- না, ঐসব অখাদ্য কুখাদ্য আমি খাইনা
:- বান্দর, ঐটা অখাদ্য কুখাদ্য? (রেগে)
:- তা নয়তো আর কি শুনি! আমি খাবো না বাবা!
:- আহা! ন্যাকাষষ্ঠী। তোকে কে খেতে বলছে? আমি খাবো তুই পাহারা দিবি। আর হ্যাঁ অবশ্যই বিলটা তুই,ই দিবি!
:- হু ঠ্যাকা তো আমার।
:- জ্বী ঠ্যাকাই। চল এবার। পরেরদিন কলেজে যেতেই রাজ সামনে এসে দাঁড়ালো।

:- ছেলেটা কে? (রাজ)
:- কোন ছেলেটা?
:- কালকে যার সাথে ঘুরতে গিয়েছিলে।
:- ফলো করা শুরু করেছেন নাকি?
:- আমি জিজ্ঞেস করেছি, ছেলেটা কে (রেগে)
:- আরে আজিব, আপনি আমাকে রাগ দেখাচ্ছেন কোন অধিকারে?
:- কারণ আমি তোমাকে ভালোবাসি
:- আরে বাহ্!! তা এই কথাটা আরো কতজনকে বলেছেন শুনি!
:- দেখো নন্দিনী আমি তোমাকে সত্যি অনেক ভালোবাসি।
:- মাফ করবেন, আমি আপনাকে ভালোবাসি না। কাল আপনি যাকে আমার সাথে দেখেছেন, আমি ওকেই ভালোবাসি। বাই সেদিন আর ক্লাশ না করে বাড়িতে চলে এলাম। ছাদে বসে আছি একা একা। তখনি জাহিদ আসলো।

:- নন্দিনী, সকালে না বলেই কলেজে চলে গেলি কেন?
:- (চুপ)
:- কিছু বলছিস না কেন?
:- ভালো লাগছেনা। ঘুমাবো। রুমে এসে ঘুমিয়ে পড়লাম। হঠাৎ মাহির ফোনে ঘুম ভাঙলো। কিন্তু এসময়ে হঠাৎ ফোন এলো কেন!!

:- হ্যালো (মাহিয়া)
:- হ্যাঁ বল
:- তাড়াতাড়ি একটু হাসপাতালে আয় প্লিজ।
:- কেন, কি হয়েছে? যাহ্ ফোনটাই কেটে গেল। এখন তো প্রায় সন্ধ্যা হয়ে গেছে, একা তো যেতেও দিবেনা। হ্যাঁ জাহিদকে নিয়ে যাবো।

:- জাহিদ একটু আমার সাথে চলতো
:- কোথায় যাবো?
:- আসতে বলছি আয় প্রায় ৩০ মিনিট পর হাসপাতালে পৌঁছালাম। মাহিয়া আমাকে দেখেই আমায় জড়িয়ে ধরে কেঁদে দিলো।

:- ভাইয়া হাসপাতালে ভর্তি। তোর জন্য নাকি ভাইয়া সুইসাইড করতে গিয়েছিল। এখন ভাইয়া তোকে একবার দেখতে চেয়েছে। (মাহিয়া) আমি মাহিয়ার সাথে কেবিনে গেলাম। জাহিদও সাথে গেল।

:- তুমি এসেছো নন্দিনী (রাজ)
:- আপনি কি পাগল? এমন পাগলামি কেও করে?
:- হ্যাঁ আমি তোমার জন্য পাগল। সাথে তোমার বিএফ কেও নিয়ে আসছো!!
:- (চুপ)
:- কিছু বলছো না কেন?
:- কিছুই বলার নেই। আশা করি এমন পাগলামি আর করবেন না। চলে আসলাম হাসপাতাল থেকে। পরেরদিন সকালে জাহিদের সাথে মামার বাড়িতে চলে গেলাম। বেলকুনিতে দাঁড়িয়ে আছি। জাহিদ এসেই আচমকা একটা প্রশ্ন করে বসলো,

:- আমাকে ভালোবাসিস?
:- মানে?
:- মানে আবার কি! তাহলে রাজ বললো কেন আমি তোর বিএফ?
:- ওটা আমি ওকে এমনিতেই বলেছিলাম।
:- কিন্তু আমি তোকে সত্যিই ভালোবাসি
:- মানে কি এইসবের?
:- মানে, আমি তোকে বিয়ে করতে চাই
:- দেখ পাগলের প্রলাপ বন্ধ কর। আমি কিন্তু মামাকে সব বলে দিব
:- আব্বুও রাজি, এখন শুধু তুই রাজি হলেই হয়।
:- ধ্যাত এখানে এসেছিলাম, একটু শান্তির জন্য। সেটাও হলো না। রাগ করে মামার বাড়ি থেকেও চলে আসলাম। কিন্তু বাড়িতে আর পৌঁছাতে পারলাম না। আমার চোখের সামনেই জাহিদ বাইক এক্সিডেন্ট করলো আর আমি কিছুই করতে পারলাম না!  তাড়াতাড়ি করে জাহিদকে হাসপাতালে নিয়ে আসলাম। প্রায় বেশ কিছুক্ষণ পর জাহিদের জ্ঞান ফিরলো।

:- জাহিদ! জাহিদ তোর কিছু হয়নি তো? তুই ঠিক আছিস?
:- হ্যাঁ আমি ঠিক আছি। মাথায় আর হাতে একটু চোট পেয়েছি।
:- আচ্ছা তুই কখন আমার পিছে পিছে আসলি? আর দেখে রাস্তা পার হতে পারিস না, যদি তোর কিছু হয়ে যেত, তখন কি হতো একবারো ভেবেছিস? (কান্না স্বরে)

:- আমার কিছু হলে তাতে তোর কি? তুই তো আর আমায় ভালোবাসিস না (অভিমানী স্বরে)
:- সব কথাই কি মুখে বলতে হয়? তুই বুঝিস না!
:- ভালোবাসবি আমায়? বিয়ে করবি, হবি আমার বাবুর আম্মু? আমার নাতি-নাতনির দাদি?
:- উরিব্বাস!! কি প্রপোজ বাবা!! গল্প লিখতে লিখতে এখানেও গল্পের ডায়ালগ বলা হচ্ছে রাইটার সাহেব!
:- হাহাহাহা

আব্বু আম্মু আর মামা মামি, পরিবারের সবার মতেই আমাদের বিয়েটা ঠিক হয়। এঙ্গেজমেন্ট এ ফ্রেন্ডসদের ইনভাইট করলাম। সবাই বেশ হাসিখুশি। কিন্তু আমার চোখ আটকে গেল মাহিয়ার দিকে। ওর মনটা খারাপ কেন। ওর তো সবচেয়ে বেশি খুশি হওয়ার কথা। রাতে ডিনারের সময় ওর পাশে গিয়ে বসলাম।

:- কি হয়েছে মাহিয়া?
:- কই কিছুনা তো!!
:- কিছুতো একটা বটেই! না হলে আমার বেস্টুর মন খারাপ থাকবে কেন শুনি!
:- নারে কিছু হয়নি। আচ্ছা তুই কি আর কলেজে যাবিনা?
:- কলেজ কেন যাবো না, অবশ্যই যাবো।
:- এখন তাহলে আমি আসি। কাল কলেজে দেখা হবে। টাটা
:- টাটা

পরেরদিন সকালে কলেজে গেলাম কিন্তু আজ আর মাঠে ছেলেগুলোকেও দেখলাম না। এমনকি রাজকে ও না। যাক ভালোই হয়েছে। ক্লাশে গিয়ে মাহির পাশে বসলাম।

:- ভাইয়া তোকে অনেক ভালোবাসে (মাহিয়া)
:- মানে? (অবাক হয়ে)
:- কিছুনা।

এভাবেই দিন কাটছিল। সাথে জাহিদের সাথে দুস্টুমিতো আছেই। রাত জেগে ফোনে কথা বলা, ঝগরা করা।
এভাবে কিছুদিন যাওয়ার পর কলেজে গিয়ে দেখি মাহিয়া আজ কলেজে আসেনি। ফোন দিলাম রিসিভও করলো না। পরেরদিন ও আসলোনা। এখন বেশ চিন্তা হচ্ছে। ক্লাশ শেষ করে ওর বাড়িতে গেলাম। গিয়ে দেখি বাড়িতে তালা দেওয়া। আশেপাশে লোকজনদের জিজ্ঞেস করলাম, কেউ কিছু বলতে পারলোনা। ফোনও বন্ধ। কলেজে কারো কাছেই কোনো খোঁজ পেলাম না। মাহির ও কোনো খবর পেলাম না আর রাজের ও। এভাবে দিনের পর দিন, সপ্তাহ, মাস কেটে গেল। কেটে গেল তিনটি বছর। আজ জাহিদের সাথে আমার বিয়ে।

:- কি গো সুন্দরী, শেষ পর্যন্ত তো আমার ঘাড়েই আসতে হলো (জাহিদ)
:- সর বান্দর।
:- কি আমি বান্দর?
:- হ্যাঁ তুই বান্দর
:- তাহলে তুমি আমার বান্দরনি!
:- জাহিইদ্দা (রেগে)
:- কি জানু? আচ্ছা এখনো কি আমায় তুই করেই বলবা? তুমি করে বলোনা প্লিজ (অভিমান করে)
:- তুমি? তাও আবার তোকে? বয়েই গেছে আমার হুহ!
:- তাই তো আমায় কেন বলবে, আমি তো কে!! (অভিমান করে)
:- ওলে বাবালে!! তুমি রাগও করতে পারো
:- এইতো তুমি বলেছো!! তোমার ওপর কি আমি রাগ করতে পারি!
:- ভালো লাগেনা তুমি বলতে। কেমন যেন লাগে
:- কেমন লাগে?
:- লজ্জা লাগে। হিহিহি
:- ওরে আমার লজ্জাবতিরে!!
:- হুহ
:- লাভ ইউ এত্তগুলা।
:- লাভ ইউ টু

বিয়ের পর আমি ফরিদপুর থেকে ঢাকায় চলে আসি। কারণ শ্বশুরবাড়ি তো ঢাকাতেই। একদিন আমি আর জাহিদ শপিং করতে গিয়েছিলাম। শপিংমলে গিয়ে শাড়ি দেখছিলাম, কিন্তু আমার চোখ আটকে গেল একটা জায়গাতে!! মাহিয়া!!!! দৌড়ে মাহিয়ার কাছে গিয়ে ওর হাত ধরলাম। ও অবাক হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।

:- নন্দিনী! তুই? (মাহিয়া)
:- হ্যাঁ, মনে আছে তাহলে? কোথায় ছিলি এতদিন তুই? জানিস কত খুঁজেছি তোকে?
:- চল আমরা একটা রেষ্টুরেন্টে বসি  আমরা গিয়ে একটা রেষ্টুরেন্টে বসলাম। পাশে একটা ছেলেকে দেখলাম, কোলে একটা বাচ্চা।

:- উনি কে? চিনলাম না তো। (আমি)
:- ওহ, ও তানজীম আমার হাজব্যান্ড। আর এইটা আমার ছেলে তাহের।
:- বাহ্ বাচ্চাটা তো বেশ কিউট। একদম তোর মত গুলুমুলু (তাহেরকে কোলে নিয়ে)
:- তা তোর খবর কি?
:- চুপ কর তুই আর কথা বলবিনা। তিনটা বছর পার হয়ে গেছে একটা খবর নিয়েছিস এই পর্যন্ত, বেঁচে আছি নাকি মরে গেছি। এভাবে নিঁখোজ হয়ে গেলি কেন?

:- সাথে তোর স্বামী জাহিদ না?
:- হ্যাঁ। কেন তিন বছরে কি চেহারাটা ও ভূলে গেছিস?
:- আরে নাহ্ কি যে বলিস। তুই ঠিক আগের মতোই অভিমানী আছিস
:- কিন্তু তুই পাল্টে গেছিস
:- বিয়ে কবে হয়েছে?
:- এইতো তিনমাস হবে। কিন্তু তুই একটা প্রশ্ন এভোয়েড করলি কেন?
:- কি প্রশ্ন?
:- এইযে কোথায় ছিলি তুই এই তিন বছর আর কেনোই বা নিঁখোজ হয়েছিলি? মাহিয়া কিছু না বলে আমার হাত ধরে গাড়িতে ওঠালো। প্রায় ১৫/২০ মিনিট পর গাড়িটা কবরস্থান এর সামনে দাঁড়ালো।

:- এখানে নিয়ে আসলি কেন? (আমি)
:- আমার সাথে আয় (মাহিয়া)
:- এইটা কার কবর?
:- আমার ভাইয়া, রাজ।
:- মানে!!!

:- যেদিন তোর এঙ্গেজমেন্ট হয় সেদিন ভাইয়া হাত কেটে সুইসাইড করার চেষ্টা করে কিন্তু পারেনি। আব্বু বাঁচিয়েছিল। তৃতীয় দিন ভাইয়া সুইসাইড করতে সক্ষম হয়। আমরা ভাইয়াকে রাতেই ঢাকা হাসপাতালে নিয়ে যাই কিন্তু বাঁচাতে পারিনা। তার আগেই ভাইয়া মারা যায়। পরে আমরা ফরিদপুর থেকে ঢাকায় আমাদের বাড়িতে চলে আসি। অভিমান করে তোর সাথে কোনো যোগাযোগ রাখিনি। জানিস ভাইয়া তোকে সত্যিই অনেক ভালোবাসতো। আর তাই তো তোকে ভালোবেসেই অভিমান করে অনেক দূরে চলে গেছে। (কান্না করে) আমি কিছু বলতে পারছিনা। অনবরত চোখের পানি পড়ছে শুধু। আমি মাটিতে বসে পড়লাম। কেন এমন হলো। এরকম তো হওয়ার কথা ছিলনা। জাহিদ আমার কাঁধে হাত রাখে,

:- কেঁদোনা নন্দিনী। এখানে তো তোমার কোনো দোষ নেই। (কান্না স্বরে) আমি জাহিদকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকলাম!!!

গল্পের বিষয়:
ভালবাসা
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত