মি. ক্ষ্যাত

মি. ক্ষ্যাত

আজ প্রথম ভার্সিটিতে আসছে ছেলেটা আর ছেলেটাকে দেখেই পুরো ভার্সিটি হাঁ করে চেয়ে আছে হাঁ করে থাকবে না কেন ছেলেটার তেল চুকচুকে ডান দিকে সিঁথি করা চুল চোখে ইইইয়াআআআ বড় চশমা, ঢিলেঢালা রঙচটা শার্ট আর পায়ে সাধারণ স্যান্ডেল ছেলেটা ক্লাসে এসে চুপচাপ বসে পরে  ওকে দেখেই ক্লাসের অন্য সব ছেলেমেয়েরা হেসেই কুটিকুটি তবে সেদিকে ছেলেটার কোন খেয়াল নেই ছেলেটা নিজের মতো করেই বসে আছে স্যার ক্লাসে প্রবেশ করলেন  সবাই উঠে দাড়ালো যেহেতু আজ প্রথম ক্লাস তাই স্যার নিজের পরিচয়টা দিয়ে এক এক করে সবার পরিচয় জিঙ্গাসা করছে।

কেউ ডাক্তারের ছেলে কেউ ইন্জিনিয়ারের মেয়ে কেউ বা ব্যবসায়ির এই ছেলে দাড়াও (ছেলেটাকে ইশারা করে দাড়াতে বলল স্যার) ছেলেটা উঠে দাড়ালো নাম কি তোমার? (স্যার) জি আসিফ আহমেদ অভ্র (ছেলেটা) বাবা কি করেন? (স্যার) জি শ্রমিক (অভ্র) এইটা প্রাইমারি স্কুল না বুঝছো এটা ইউনিভার্সিটি আর এখানে আসতে হলে পরিপাটি হয়ে আসবে কাল থেকে এসব ড্রেসে আমার ক্লাসে আসবে না যত্তসব গাঁইয়া বসো (স্যার ধমক দিয়ে) ক্লাসে হাসির রোল পড়ে গেল অভ্র চুপচাপ বসে পড়ল তারপর স্যার সবার সাথে পরিচিত হয়ে চলে গেলে অভ্রোও ক্লাস করে চুপচাপ বাসায় চলে গেল পরদিন থেকে নিয়মিত ক্লাস করে অভ্র সেই তেল চুকচুকে সিথি কথা চুল, ঢিলেঢালা জামা অল্প দিনের মধ্যেই অভ্র ভার্সিটিতে ক্ষ্যাত নামে পরিচিতি লাভ করে।

আর হয়ত তাই ক্লাসে এমনকি ক্যাম্পাসেও অপমানিত হতে হয় অভ্রকে অভ্রর ক্লাসেরই খুব সুন্দরি মেয়ে ইতু  দেখতে ভালো আর অনেক ছেলের ক্রাশ বলে খুব অহংকার অভ্রকে দেখলেই বলে  ঐ দেখ মি ক্ষ্যাত আইছে রে তবুও অভ্র কিছু মনে করেনা  ক্লাসে সহপাঠীদের পাশাপাশি স্যারেরাও মাঝে মাঝে অভ্রকে হাসির পাত্র বানায় আর অভ্র শুধু মাথাটা নিচু করে শোনে কয়েকটা মাস চলে যায় অভ্র ক্যাম্পাসে চুপচাপ বসে আছে,,,, ক্ষ্যাত বলে কেউ কথাই বলেনা আর বন্ধু হবে কে তবে অভ্র লক্ষ্য করছে কয়েকটা দিন ধরে ওর ক্লাসেরই একটা মেয়ে ওকে আড় চোখে দেখে  কারণটা অজানা অভ্রর এসবই বসে বসে ভাবছে অভ্র ঠিক তখনই তোমার সাথে কি একটু কথা বলা যাবে? অভ্র মাথা তুলে তাকিয়ে দেখে সেই মেয়েটা যার কথা ভাবছে জি বলেন? (অভ্র)সবাই তোমাকে এত্ত অপমান করে এতে তোমার খারাপ লাগেনা? (মেয়েটা) হেহেহে খারাপ কেন লাগবে আমি যা তাই তো বলে তাইনা?

ঠিকই তো আছে (অভ্র)না ঠিক নেই সবাই তোমাকে ওভাবে বলে এটা ঠিক নেই আমার খারাপ লাগে (মেয়েটা) হেহেহে একটা ক্ষ্যাত ছেলের জন্য আপনার কেন খারাপ লাগবে (অভ্র) এতো কিছু জানিনা যে জন্য এসেছি  আমি সামিয়া তোমার বন্ধু হতে চাই (হাতটা বাড়িয়ে)  হিহিহি আপনি পাগল নাকি! যেখানে সবাই আমাকে এড়িয়ে চলে আর আপনি এসেছেন বন্ধুত্ব করতে  সবাই আপনাকে বকা দেবে তো (অভ্র) এই ছেলে বেশি বুঝো,,,,,,,, না  বলেই নিজেই অভ্রর হাতটা ধরে বলল আজ থেকে আমরা বন্ধু,,,, একসাথে থাকব একা একা চুপচাপ থাকলে খবর আছে হু বলেই সামিয়া চলে গেল আর অভ্র অবাক চোখে চেয়ে আছে মেয়েটার দিকে অপরদিকে সামিয়া অভ্রর সাথে কথা বলতে পেরে খুব খুশি আসলে বন্ধুত্ব একটা কথা মাত্র সামিয়া এই কয়টা দিনে এই ক্ষ্যাত ছেলেটাকে পছন্দ করে ফেলেছে করবে না কেন? ছেলেটা অনেক ভালো পড়াশোনাতেও  আর সবার এত্ত অপমানের পরও ছেলেটা হাসিখুশি থাকে এটা খুব ভালো লাগে সামিয়ার কাছে।

পরদিন থেকেই সামিয়া সব সময় অভ্রর সাথে থাকে এতে অবশ্য ওর বান্ধবিরা ওকে অনেক কিছু বলেছে তবে সামিয়ার কাছে এটা ব্যাপার না অভ্রর সাথে এখন সামিয়াকে নিয়েও ক্যাম্পাসে অনেক হাসাহাসি চলে ক্লাসের অনেকেই অনেক কথা বলে কিন্তু অভ্র আর সামিয়া যেন কিছু বুঝেই না একসাথে বসে ক্লাস করা,,,,,, ক্লাস শেষে বসে বসে গল্প করা আবার মাঝে মাঝে রিক্সা করে বেড়ানো সব মিলে অভ্র আর সামিয়ার সময়টা খুবই ভালো কাটছে দেখতে দেখতে প্রায় একটা বছর কেটে গেল ক্লাস শেষে অভ্র আর সামিয়া এসে লেকের পাড়ে বসে আছে কথার মাঝে অভ্র বলে সামিয়া হু বল (সামিয়া) ইয়ে মানে আ আমার না একটা মেয়েকে অনেক অনেক ভালো লাগে রে বলতে পারিস তাকে আমি ভালোবেসে ফেলছি (অভ্র) অভ্রর কথা শুনে তো সামিয়ার মনটা আনন্দে ভরে গেল সামিয়া ভাবছে আমি ছাড়া তো অভ্র কারো সাথেই কথা বলেনি তার মানে অভ্র আমাকেই ভালোবাসে?

কি রে কি ভাবিস? (অভ্র) কিক কি ভাবি? কই কিছুনা তো  তুই কাকে ভালোবাসিস বল তো শুনি (সামিয়া হেসে হেসে) বলবো? (অভ্র) হ্যা বল (সামিয়া)ইতুকে ভালোবেসে ফেলছি রে তুই প্লিইইইইজ ওকে গিয়ে বলনা আমি সত্যি ওকে খুব ভালোবাসি (অভ্র খুশি মনে) আর অভ্রর মুখে অন্য কারো নামটা শুনেই মুখের হাসিটা মিলিয়ে যায়  বুকটা কেমন যেন করে ওঠে সামিয়ার তবুও মুখে মলিন হাসি টেনে বলে সত্যি বলছিস তুই ইতুকে ভালোবাসিস? হ্যা রে অনেক (অভ্র) ওকে চিন্তা করিসনা আমি কালকেই ইতুকে বলবো (সামিয়া) থ্যাঙ্কু দোস্ত (অভ্র খুশি হয়ে) অভ্র আজ উঠিরে বাসায় যেতে হবে (সামিয়া) এখনই চলে যাবি? আচ্ছা যা (অভ্র) সামিয়া চলে আসে রাতে বালিশে মুখ গুঁজে খুব কান্না করছে সামিয়া আর ভাবছে।

আসলে ভুলটা আমারই সেদিন সরাসরি অভ্রকে ভালোবাসি বললেই ভালো হতো এসব ভাবছে তখনই অভ্রর ফোন চোখটা মুছে ফোনটা ধরে সামিয়া হ্যা বল মনে আছে তো কালকে ইতুকে বলবি কিন্তু (অভ্র) হ্যা বলবো বাই  বলেই ফোনটা কেটে দেয় সামিয়া জোরে জোরে কান্না করে আবার আর ভাবে আমি অভ্রকে ভালোবাসলেও অভ্র আমাকে শুধু ভালো বন্ধুই ভাবে থাকিনা পাশে বন্ধু হয়েই ওর খুশিতেই আমি খুশি চোখমুখ মুছে নিজেকে শক্ত করে সামিয়া আর ভাবে অভ্রর খুশির জন্য আমি সব করতে পারবো সব রাতে আর ঘুম হয়না সামিয়ার পরদিন টাইম মতো ভার্সিটিতে যায় সামিয়া গিয়ে দেখে অভ্র গাছের নিচে বসে আছে অভ্রর সাথে ক্লাস করতে চলে যায় ক্লাসে বারবার অভ্র খোঁচায় সামিয়াকে আর বলে  কি রে বলনা ইতুকে সামিয়া অভ্রকে থামিয়ে দিয়ে বলে সময় হলেই বলবো তুই চুপ থাক এক বোতল রাগ করে অভ্র বাসায় চলে যায়।

ক্লাস সব শেষ সামিয়া ক্যাম্পাসের মাঠে এসে দেখে ইতু ফ্রেন্ডদের সাথে বসে আছে ইতু তোর সাথে কিছু কথা ছিল (সামিয়া) আরে ক্ষ্যাতের বান্ধবি যে তা কি কথা বল (ইতু) উঠে আয় (সামিয়া) ইতু উঠে আসে এবার বল (ইতু) ইতু অভ্র তোকে অনেক অনেক ভালোবাসে তুই কি ওকে মেনে নিবি? (সামিয়া) কিইইইইই ঐ ক্ষ্যাতটা মানে অভ্র আমাকে ভালোবাসে হিহিহি ( ইতু) সত্যি রে আমাকে শুধু তোর কথা বলে  অনেক ভালোবাসে তোকে (সামিয়া)  তাই? তাহলে ক্যাম্পাসে সবার সামনে আমাকে প্রপোজ করতে বলিস যদি পারে তো আমি ওকে ভালোবাসবো (ইতু) আচ্ছা বলবোনি (সামিয়া) ইতু চলে যায় বাসায় এসে সামিয়া অভ্রকে ফোন দেয় ফোন দিছিস কেন? (অভ্র অভিমানি সূর) কেন আমি কি ফোন দিতে পারিনা? (সামিয়া) না কি বলবি তারাতারি বল (অভ্র) ইতু তোকে ভালোবাসবে যদি,,,,,,, (সামিয়া) যদি কি বল বল (অভ্র চেচিয়ে) যদি ওকে তুই কালকে ক্যাম্পাসে প্রপোজ করতে পারিস (সামিয়া) সত্যিইইইই বলছিস তুই!!

আমি পারবো কালকেই প্রপোজ করবো বলেই অভ্র ফোনটা কেটে দেয় অপরদিকে সামিয়ার মনটা অনেক খারাপ হয়ে যায় চোখটা ভিজে যায় ওর পরদিন অভ্র চুল ভালো করে পরিপাটি করে সেই ঢিলেঢালা পোশাক পড়ে ভার্সিটি চলে আসে হাতে একটা লাল গোলাপ অভ্র দেখে ইতু ফ্রেন্ডদের সাথেই দাড়িয়ে আছে কাছে গিয়ে ইইইতু তোমার সাথে কিছু কথা ছিল (অভ্র) এক মিনিট ভাই ও বোনেরা সবাই এগিয়ে আসুন প্লিইইইইজ( চেঁচিয়ে ইতু সবাইকে বলল) ক্যাম্পাসের অনেকে এসে ভীড় জমালো  এবার বলো কি বলবে (ইতু) অভ্র গোলাপটা ইতুর দিকে বাড়িয়ে বলল ইতু,,,,, ভার্সিটির প্রথম থেকেই তোমাকে খুব ভালোলাগে তোমার রাগি রাগি চেহারাটা খুব ভালোলাগে  আমি তোমাকে ভালোবাসি ইতু ঠাসসসসসসস ( অভ্রর গালে ইতু একটা কষে থাপ্পর দিল) চারদিকে হাসির রোল পরে গেল ভালোলাসা! হিহিহি তোকে? একটা ক্ষ্যাতকে? তুই ভাবলি করে করে তোর মতো ছেলেকে ইতু ভালোবাসবে! নিজেকে আয়নায় দেখেছিস কখনো?

ক্ষ্যাত কোথাকার আরো অনেক কিছু বলে খুব অপমান করে অভ্রকে অভ্রর সহ্য হলেও এসব সহ্য করতে পারেনা সামিয়া কান্না করতে করতেই চলে যায় বাড়িতে আর ক্যাম্পাসের সবাই তখন মজা লুটতে ব্যস্ত মাথাটা নিচু করে একপা একপা করে বাড়ির পথে চলে যায় অভ্র রাতে বসে বসে অভ্র ভাবে আচ্ছা আমার কোথাও কি লেখা আছে আমি ক্ষেত? ঢিলেঢালা ময়লা পোষাক আর চুলটা ভদ্রতার জন্য ডান দিকে সিঁথি কথাটাই কি ক্ষেত? চুলে তেল ব্যবহার করাটা কি খারাপ? হাহাহা হয়ত তাই অপরদিকে সামিয়ার খারাপ লাগার কথা কারণ তার ফ্রেন্ড অভ্র এতোটা অপমানিত হল কিন্তু ওর কেন জানি খারাপ লাগছে না  বরং ভালো লাগছে এই ভেবে যে হয়ত শেষ মেষ এই ক্ষ্যাত টা আমারই হবে এসব ভাবছে আর হাসছে সামিয়া পরদিন পরদিন ভার্সিটিতে একটা কালো গাড়ি ঢুকে সবাই গাড়িটার দিকে তাকিয়ে আছে খুব দামি গাড়ি দেখেই বুঝা যাচ্ছে সবাই উৎসুক ভাবে চেয়ে আছে।

গাড়ি থেকে কোর্ট পরা একজন ভদ্র লোক নামলেন সাথে একটা ছেলে সবাই শুধু হাঁ করে চেয়ে আছে ঠিক যেমন ভাবে প্রথম দিন সবাই চেয়েছিল সেরকম ভাবেই ভদ্র লোক আর ছেলেটা প্রিন্সিপালের রুমে চলে গেলেন তারপর কিছু কথা বলে চলে গেলেন লোকটি may i come in sir ? (কথাটা শুনেই সবাই সেদিকে তাকালো সবাই) হাআআআ করে চেয়ে আছে সবাই নীল শার্ট, চুল স্পাইক করা, দাড়িটা সুন্দর করে ছাঁটা এক কথায় পুরাই হিরো yes come in কিন্তু তুমি কে? (স্যার) কি বলেন স্যার আমাকে ভুলে গেলেন আমি ক্ষ্যাত স্যার মানে অভ্র (অভ্র) তুত তুমি অভ্র!! এই পোশাকে! (স্যার অবাক হয়ে) জি স্যার আমি  আসলে আমার বাবা শ্রমিক না আমার পরিবার আমেরিকা থাকে বাবা এক্সপোর্ট এন্ড ইমপোর্টস এর ব্যবসা করে আসলে বিলাশীতা আমার ভালো লাগেনা তাই সাধারণ থাকার চেষ্টা করতাম  বাট আপনাদের আপডেট সমাজে এর দাম নেই তাই আমিও আপডেট হয়ে এলাম (অভ্র) বলেই পিছে গিয়ে বসে পড়ল।

সবাই শুধু অবাক চোখে চেয়ে আছে আর ইতু তো অবাকের এক হাত উপ্রে আর সামিয়া কিছু বুঝতেই পারছেনা ক্লাস শেষ হতেই অনেক ছেলে এসে অভ্রকে বন্ধু হওয়ার প্রপোজাল দিচ্ছে অভ্রও হাসিমুখে গ্রহন করছে আর ইতু আপসোস করছে ক্লাস আরেকটা শেষ করেই অভ্র বাইরে এসে আবার সেই গাড়ি করে চলে যায় এভাবে কয়েকটা দিন চলে যায় এখন অভ্রর অন্নেক ফ্রেন্ড আর সামিয়ার এতে খুব কষ্ট হচ্ছে কারণ অভ্র এখন সামিয়ার সাথে কথাই বলেনা সামিয়া ভাবে বড়লোকরা বুঝি এমনই হয়? পরদিন ক্যাম্পাসে অভ্র বসে আছে ঠিক তখনই অভ্রোওওও ( ইতু)  আরে ইতু তুমি বলো? (অভ্র) আমি স্যরি অভ্র সেদিন তোমাকে অনেক অপমান করেছি বলে ( ইতু) আরে না না ঠিক আছে (অভ্র) আমার সাথে একটু বেড়াতে যাবে? (ইতু) ঠিক আছে চলো অভ্রর ব্যান্ড নিউ বাইকে করে ইতু নদীর পারে আসে ঘুড়তেআর অপরদিকে অভ্রর সাথে ইতুকে দেখে খুব কষ্ট পায় সামিয়া ভাবে যখন অভ্রর কোন ফ্রেন্ড ছিলোনা তখন আমিই ছিলাম সব আর আজ অভ্রর অনেক ফ্রেন্ড শুধু আমাকেই ভুলে গেছে।

এখন ইতু অভ্রর আশেপাশেই থাকে অভ্রর খুব কেয়ার করে একসাথে ঘুড়তে যায় একসাথে আড্ডা দেয় অভ্রর অনেক অনেক ফ্রেন্ড খুব মজা করে সবাই আর সামিয়া এক কোণে বসে চোখের জল মুছে আর ভাবে অভ্রকে নিয়ে লেকের পাড়ে বসে আছে অভ্র আর ইতু তখন অভ্র তুমি কি এখনো আমাকে ভালোবাসো? (ইতু) হুম খুব ( অভ্র) আমিও তোমাকে ভালোবাসি অভ্র (ইতু) এভাবে বল্লে হবেনা আমাকে সুন্দর করে ফিল্মি ভাবে প্রপোজ করবে পারবে কি? (অভ্র আবদারের সুরে) হ্যা বাবু পারবো (ইতু) ওকে তাইলে কালকে খুব সাজুগুজু করে ভার্সিটিতে এসে আমাকে প্রপোজ করবা কেমন (অভ্র) আচ্ছা তাই করবো আমার পাগলটা (ইতু) হিহিহি আমিতো তোমারই পাগল (অভ্র) তারপর কিছুক্ষণ আড্ডা দিয়ে চলে যায় দুজন পরেরদিন ভার্সিটি বসে আছে সবার সাথে অভ্র অভ্র দেখলো ইতু খুব সেজে ওর দিকেই আসছে তারপর অভ্র উঠে এসো (ইতু) হ্যা আসছি ভাই ও বোনেরা সবাই একটু এগিয়ে আসুন (অভ্র চেঁচিয়ে) সবাই এগিয়ে এলো।

এই বাবু লজ্জা লাগছে তো (ইতু মাথাটা নিচু করে) আর লাগবে না এবার প্রপোজ করো (অভ্র) ইতু ফুলটা অভ্রর দিকে বাড়িয়ে অভ্রকে বলল আমি তোমাকে ভালোবাসি অভ্র কি বললে জোরে বলো (অভ্র)  আমিই তোমাকে ভালোবাসি (ইতু) জোরে বলো শুনিনি (অভ্র)) আমিইইই তোমাকেএএএ ভালোওওও বাসিইই ( ইতু চেঁচিয়ে) ঠাসসসসসস (কষে চড় বসিয়ে দেয় অভ্র,,,,,, ইতুর গালে) হেহেহে ভালোবাসো আমাকে? কি বলেছিলে সেদিন মনে পড়ে? আমার মতো ক্ষ্যাত ছেলেকে ভালোবাসবে তুমি? আরে তুমি আমাকে না আমার চেহারাকেও না ভালোবেসেছো টাকাকে যে আমার সাধারণত্ব কেই ভালোবাসতে পারেনা সে কখনোই আমাকে ভালোবাসে না অভ্র পাশের ভীড়ের মাঝে তাকিয়ে দেখে সামিয়া দাড়িয়ে আছে  এই সামিয়া এদিকে এসো (অভ্র) সামিয়া আসছে না কি হলো ডাকছি না কাছে এসো (অভ্র চেঁচিয়ে) ভয়ে ভয়ে সামিয়া অভ্রর কাছে আসতেই অভ্র সামির হাত ধরে হ্যাচকা টান দিয়ে বুকে টেনে নিল।

এই মেয়েটাকে দেখো  ভালোবাসার মানে কি এই মেয়েকে দেখে শিখো মেয়েটা আমার কিছুই ছিলনা দেখেও বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়েছিল যেদিন তোমরা আমাকে অপমান করেছিলে সেদিন এই মেয়েটাই আমার পাশে ছিল মেয়েটা আমাকে অনেক ভালোবাসে তবে মুখ ফুটে বলতে পারেনি তোমাকে ভালোবাসি বলতে বলেছি আর মেয়েটা নিজের ভালোবাসাকে লুকিয়ে রেখে আমাকে খুশি করতে চেয়েছে আমার কিছু নেই জেনেও ভালোবেসেছে আর যে আমার কিছু নেই দেখেও আমাকে ভালোবাসতে পারে আর যাই হোক এ ভালোবাসাকে অবহেলা করলে আমার মত হতভাগা আর কেউ হবেনা।

ইতু চেহারা দেখে না টাকা দেখে না মন দেখে ভালোবেসো একটা ছেলে ভদ্র ভাবে থাকে বলে তাকে ক্ষ্যাত বলোনা কেমন আমি আমার প্রকৃত ভালোবাসা পেয়ে গেছি বলেই অভ্র সামিয়ার হাতটা শক্ত করে ধরে চলে যাচ্ছে আর সামিয়া অবাক চোখে শুধু অভ্রর দিকে চেয়ে আছে থাকুক না চেয়ে,,, কিছু কথা না বুঝাই ভালো,,,, ভালোবাসা এমনই,,,,,,

The End

গল্পের বিষয়:
ভালবাসা
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত