ভালোবাসি তাই

ভালোবাসি তাই

আমার ভালোবাসার মানুষ তাকে আপনারা কি চিনেন। না চিনেন না। চলেন পরিচয় করিয়ে দেই।ও কে যেদিন আমি প্রথম দেখি। সেদিনটা ছিলো আমার জিবনের প্রথম অফিস ডে। আমি সাকাল বেলা রুম থেকে বের হতে গিয়ে ওকে দেখি। জানেন সেদিন ও নীল রংয়ের একটা শাড়ি পরেছিলো। সিড়ি দিয়ে নামতে ওকে উপরে ওঠতে দেখি। সেই খোলা চুল বাতাসে সাথে যেন নাচতে ছিলো। বাতাসের সাথে জেনো ওর সাড়ির আচল গুলো। সমুদ্রের ধেওয়ের মতো বয়ে যেতে ছিলো। এক সময় ওর চুলের স্পর্শ অনুভব করি। জানের পৃথিবিতে কখনো এমন সুগন্ধ আমি পায়নি।মনে হতে ছিলো আমি জেনো কোথাও হারিয়ে গেছি।

আমার জিবনের সব থেকে ভালোবাসায় ভরা কিছু সময়। যা আমি কখনো ভুলতে পারবো না। আমার পাশদিয়ে ওর চলে যাওয়া কিছু সময় আমার রাঁতের ঘুম করে নিয়েছে।ওকে দেখা সেই কয়টা সেকেন্ড। এখন আমি আমার সারা দিনের ক্লান্তির একটা বিশেষ অসুধ। কারন যখন অনেক বেশি টেনশন বা কাজের চাপে থাকি। তখন চোখ বন্ধ করে সেই কয়টা সেকেন্ড টাকে অনুভব করি। তাহলে সব কিছু কিভাবে যেন ভালো হয়ে যায়। আচ্ছা চলেন আপনাদের বলি আমার সেই ভালোবাসার দিন গুলোর কথা। আমি ওকে ভাবতে ভাবতে অফিস এ গিয়ে কাজ শেষ করে রুম আসি। এসে ওর কথা ভাবতে ভাবতে গিটার নিয়ে বসে টুকটাক বাজাতে থাকি। হঠাট কি মনে হয় ছাদে চলে যায়। ছাদের এক কোনে বসে গিটার নিয়ে বসে ভাবছি ওকে নিয়ে। আমি ওকে কি আর দেখতে পাবো না আমার কল্পোনাতে শুধু পাবো ওকে। ভাবতে ভাবতে আমার বাসার ছোট আপুটি ছাদে এসে দাকে ভাইয়া জাহিদ ভাইয়া তোমাকে নিচে দাকছে। অন্ধ কারে দেখলাম ওর সাথে একজন মেয়ে আছে কিন্তু চেহারাতে থিক দেখা যাচ্ছে না। আমি বললাম তোমার সাথে এটা কে। ও বললো ভাইয়া এটা আমার ক্লাসমেট ওর আম্মু আব্বু দেশের বাড়ি গেছে। তাই আমার সাথে কয়দিন থাকবে তাই এসেছে।

আমি কিছু না বলে ওদের পিছে পিছে নিচে এসে খেয়ে ঘুমিয়ে পরি।ও আপনাদের তো বলা হয়নি। আমার ছোট আপু বলতে আসলে আমি আর জাহিদ ঢাকাতে সাবলেট একটা রুম নিয়ে থাকি। আর আমাদের ফ্লাট এ একটা ছোট পরিবার থাকে আমাদের সাথে। আর সেই আঙ্কেল এর মেয়ে আছে যাকে আমি বোন বললাম। ও হে সকাল বেলা দেখি কেও একজন আমাদের দরজা টা নক করছে। আমি ওঠে ঘুমের ঘোরে দরজাটা খুলতে দেখি ছোট আপু দারিয়ে আছে। বললো ভাইয়া একটা কাজ করে দিতে হবে যে আপনাকে। আমি বললাম এতো সকালে কি কাজ আপু আর আমারতো ১০ টা থেকে অফিস আছে। ও বললো আপনার অফিস এর পাশে রাহি যাবে ওকে একটু সাথে নিয়ে যাবেন। আর আপনার অফিস ছুটি হলে ওর খালার বাসা থেকে নিয়ে আসবে। আমি বললাম এই রাহিটা আবার কে। ও বললো ভাইয়া আমার বন্ধু আপনাকে না রাতে বললাম প্লিজ ভাইয়া নিয়ে জান ও একা যেতে পারবে না প্লিজ। আমি বললাম ঠিক আছে বের হতে বলো আমি নিয়ে যাবো।

তারপর অফিস এর জন্য বের হয়ে ফারিয়া কে বললাম ওকে আসতে বলো আমি রেডি। জানেন রাহি টা কে আপনারা কিভাবে জানবেন আমিতো এখনো জানিনা। দারান সামনে আসলে আপনাদের বলবো। ওঠাট করে দেখি কেও একজন একটা গোলাপি রং এর ড্রেস পরে আচ্ছে। হঠাট করে এর দিকে চোখ পরে আমার। আমি দেখি সেই চুল গুলো আজো ওরছে আর চোখ গুলো দেখে আমি হারিয়ে যায় কোথাও। কারন এটা দো সে যাকে দেখার পর থেকে প্রতিটা সেকেন্ড আমি তাকেই দেখছি। আমার কাছে মনে হলো আমি পৃথিবী তা পেয়ে গেছি। পেয়ে গেছি পৃথিবীর সকল ভালোবাসা।হঠাট ফরিয়া বলে ভাইয়া কি হলো এতো কি দেখছো গো আমার বন্ধু কে। আমি থতোমতো হয়ে বললাম কিছু না। এটা বলার পরে দেখি রাহি হাঁসছে ওর হাঁসিটা দেখে আমার আবারো ওর প্রেমে পরে গেলাম। কারন হাত দিয়ে মুখটাকে চেপে ধরে আছতে আছতে এতো মিষ্টি করে কাওকে আমি হাঁসতে দেখিনি কখনো। কেন যেন ওর সব কিছু আমার ভালো লাগছে। কেন এমন হচ্ছে আমার সাথে আমি জানিনা। কিন্তু আমি জানি আমি ভালোবেসে ফেলেছি ওকে। ওকে নিয়ে বের হলাম আমি সামনে আর ও পিছন পিছন হাটছে।রিকশা নিয়ে প্রথমে কালসি যেটে হবে।

রিকশাতে ওঠে দুজন বসতেই প্রথম এর স্পর্শ পেলাম। কারন রিকশার ঝাকুনিতে ও আমার হাতটা ধরেছিলো। ও বললো ভাইয়া ছরি আমি কিছু না বলে চুপ করে থাকলাম। ও বললো আপনি অনেক ভালো গিটার বাজান। আমি বললাম তুমি কিভাবে জানো।ও বললো কাল আপনার পাশে অনেক সময় দারিয়ে ছিলাম। আপনি যখন রুমের বারান্দাতে বসে ছিলেন। আপনি তো আমার দিকে দেখেন নি হয়তো কিছু ভাবতে ছিলেন। কি ভাবছিলেন ভাবির কথা। ও এটা বলে হাঁসতে শুরু করলো। আমি কিভাবে ওকে বলি যে ওকে আমি ভাবছিলাম। গাড়িতে ওঠে পাশা পাশি বসেছি। মিরপুর থেকে উত্তরাতে তো অনেক গেছি। অনেক জ্যামে পরেছি অনেক সময় লাগে যেতে অনেক বিরক্তি লাগতো। কিন্তু আজকে মনে মনে দোয়া করছিলাম জেন সব গুলো মিগনাল আজকে পাই। অনেক জ্যাম থাকে জেনো রাস্তায়। কারন সারাজিবন এমন ভাবে বসে থাকতে চায় ওর সাথে। ও হঠাট বললো ভাইয়া আপনার কি কোন ভাবি আছে বললেন নাতো।

আমি বললাম না কেও নেই কিন্তু একজনকে ভালোবাসি কিন্তু সে জানো না।ও বললো বলেন না ভাইয়া কে সে। আমি বললাম কেও না গো। ও আমার মনের মাঝের একটা ছোট ভালোবাসা যাকে আমি ভালোবাসি। রাহি বললো ভাইয়া আপনি অনেক ভালো ভাবে কথা বলেন আর আপনার কথা গুলো শুনতে ভালো লাগে। আমারা চলে এসেছি এবার বাস থেকে নেমে। ওকে ওর খালার বাসায় রেখে চলে আচ্ছি। হঠাট ও পিছু দেকে বললো।ভাইয়া অফিস থেকে এসে নিয়ে যেও প্লিজ। ওর মুখে প্রথম তুমি দাকটা শুনে অনেক ভালো লাগছিলো। আমি থিক আছে বলে অফিস এ চলে যায়। অফিস শেষ করে ওকে নিয়ে রিকশা তে ওঠি। ও বললো ভাইয়া ফুসকা খাওয়াবে প্লিজ অনেক খেতে ইচ্ছে করছে গো। আমি বললাম ঠিক আছে চলো। তারপর দুজন দিয়া বাড়ি গিয়ে একটা দোকানে বসে ফুসকা নিয়ে ওকে দিলাম। জিবনে অনেক মেয়েকে ফুসকা খেতে দেখেছি। কিন্তু আজকে কেন জেনো মনে হচ্ছে ওর ফুসকা খাওয়া টা দেখেও আমি ওর প্রেমে পরে যাচ্ছি। ওর সব কিছু কেন জানি ভালো লাগছে আমার।

আর কি করবো আমি ওর প্রতিটা ফুসকা খাওয়া দেখে মনে হচ্ছে। ও অনেক তৃপ্তি দিয়ে খাচ্ছে। ওর চুলের প্রেমে পরেছি। ওর চোখের প্রেমে পরেছি।ওর সব সব কিছুর প্রেমে পরেছি আমি। কেন জানি চিৎকার করে বলতে ইচ্ছা করছে।আমি তোমাকে ভালোবাসি রাহি আমি তোমাকে ভালোবাসি। ভালোবাসি তাই ফুসকা খাওয়া প্রায় শেষ। ও হঠাট আমার দিকে তাকিয়ে বলে। কি ভাইয়া খাওয়া বাদ দিয়ে কি দেখছো এমন করে। আমি বললাম তুমি না অনেক সুন্দর করে ফুসকা খাও।আরে কেও আবার সুন্দর করে খেতে পারে নাকি। সবাইতো এমন করেই খাই তুমি যে কি বলো না। তারপর ও আমাকে বললো তুমি খাচ্ছো না কেন। আমি বললাম আমি বেশি ঝাল খেতে পারিনা অনেক ঝাল হয়ছে। ও ফুসকায়ালাকে বলে ফুসকাটা পালটে দিলো।ও এবার বললো চলো না ভাইয়া কাশবনের দিকে একটু হাটি। আমি বললাম রাহি আজকে আর না সন্ধা লেগে যাচ্ছে তো। এখান থেকে না গেলে খারাপ কিছু হতে পারে জাইগাতা ভালো না।

ও বললো তুমি যাবে না আমি একা যাবো বলো।আমি উপাই না পেয়ে গেলাম ওকে নিয়ে। সামনের দিকে গিয়ে ও বললো ভাইয়া একটা গান শুনাও না গো। আমি বললাম তুমি কি পাগল হয়েগেছো এখন আমি গান বললো। ও বললো তুমি গান না বললো এখান থেকে যাবো না আমি। এতা বলো রাস্তার মাঝে বসে পরলো পাগলীটা।কি করবো অনুপম এর এই মেঘলা দিনে একলা গানটা বললাম।পাগলীটা কেমন করে যেনো আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আমি বললাম গান শেষ চলো এবার বাসায় যাবো। ওকে নিয়ে বাস এ উঠে বসলাম। কিছু সময় পরে ও আমার কাধে মাথা দিয়ে ঘুমিয়ে গেলো।আমি চুপটি করে ওর চুল গুলো শরিয়ে ওকে দেখছি। বাস থামলে ওকে দেকে দুজন বাসায় চলে যায়। মনে মনে সারা রাত এটা ভাবি যে আজকের দিনটা আমার জিবনেের সেরা একটা দিন ছিলো।পরেরদিন সকালে উঠে অফিস এ চলে যায়। অফিস থেকে এসে দেখি রুম টা অনেক সুন্দর করে গুছিয়ে রেখেছে কে। মনে মনে ভাবলাম আন্টি হয়তো গুছিয়েছে। তারপে গিটার নিয়ে বারান্দাতে চলে যায়। হঠাট করে রাহি এসে বলে তোমার মোবাইল টা দেওতো ভাইয়া। আমি বলি বিছানার উপর আছে নিয়ে যাও। ও কিছুক্ষন পরে এসে মোবাইল টা দিয়ে চলে যায় কোন কথা বলে না। আমি কিছু না বুঝে ঘুমিয়ে পরি। কিন্তু ও না আজকে স্কাট পরেছি যেটা আমার তিন নাম্বার পছন্দ মেয়েদের ড্রেস এর মধ্যে।পরেনদিন সকালে ফারিয়া এসে সকাল সকাল আমাকে দেকে বলে। ভাইয়া রাহি কে ওর খালার বাসায় নিয়ে যেতে হবে।

আমি বললাম আপু আজতো শুক্রোবার আমিতো অফিস যাবো না তুমি জাহিদ কে বলো। ও বললো রাহি আপনার সাথে ছারা যাবেনা। আমি কি করবো বললাম ওকে নিয়ে যাচ্ছি। ওকে নিয়ে বের হলাম কিন্তু আজকে ও কোন কথা বলছে না। আমি বললাম রাহি তোমার কি মোন খরাপ তোমার কি কিছু হয়েছে। ও কিছু না বলে চুপ করে থাকলো। রিকশাতে উঠেও কোন কথা বললো না আর বাসে উঠেও। বাস থেকে নেমে রিকশাতে উঠে ওর খালার বারিতে যেতে বললাম রিকশার চালক কে। ও বললো মামা আপনি দিয়া বাড়ির দিকে যান। আমি বললাম কেন তুমি খালার বাসায় যাবে না।ও বললো আমি আপনাকে যা বলছি সেটা করোন এতো কথা না বলে। আমি দেখলাম অনেক রেগে আছে তাই চুপ থাকলাম। দিয়া বাড়ি নেমে রিকশা চলে যাবার সাথে সাথে। আমাকে ইচ্ছা মতো মারতে লাগলো আর কান্না করছে। আমি বললাম আরে মারছো কেন তুমি আর কানছো কেন।আরে কিছুতো বলো কি হয়ছে তোমার। থামার কোন নাম নেই মেয়ের আছতে আছতে কান্না বারা দেখে এতটা ধমোক দিলাম। আরো জোরে কান্না শুরু করলো। কি যে করি আমি কিছুইতো বলছে না ও। কিন্তু ওকে না কান্না করলে আরো সুন্দর লাগে।

একদম পিচ্চিদের মতো করে কান্না করে। কিছুক্ষন পরে ও বললো ওই তোমার আই ডি তে যে মেয়েটা তোমাকে এততো এততো এস এম এস দেই ও কে। আমি বললাম আরে অধোরা তো আমার বন্ধু আর ও এস এম এস দিলে তোমার কি। ও পাশে একটা লাঠি পরে ছিলো ওইটা তুলে মারা শুরু করলো। আমি বললাম রাহি লাগছেতো আমার। ও কান্না করতে করতে বললো কাল সারারাত আমাকে কাদিয়ে এখন তোর কষ্ট লাগে। আমি বললাম আরে আরে এবার তুমি থেকে তুই এ চলে গেলা। হে আমার যা ইচ্ছা হবে তাই বলবো যখন ইচ্ছা হবে তোকে মারবো আর হে কোন মেয়ে সাথে কথা বললে খুন করে ফেলবো তোকে। আরে তুমি কেন মারবে আমাকে আর কেন কোন মেয়ের সাথে কথা বললবো না।জোরে জোরে কেদে কেদে বলে গতো তিন মাস ধরে তোমার গল্পো গুলো পরতে পরতে আমি তোমাকে ভালোবেসে ফেলেছি। আর তাই আমার কথা মতো তুমি চলবে। আমি বললাম সব ঠিক আছে কিন্তু মারবে কে। বললো ভালোবাসি তাই ।

আমি বললাম :একটি জরিয়ে ধরতে পারি?

রাহি: কেন?

আমি :ভালোবাসি তাই

পাগলীটা দওরে এসে আমাকে জরিয়ে ধরলো। আমি বললাম গত এতদক সপ্তাহ তোমাকে দেখার পরে থেকে। আমি প্রতিটা সেকেন্ড চোখের সামনে শুধু তোমাকে দেখেছি। অনেক ভালোবাসি তোমাকে অনেক।ও বললো তোমার গল্পো গুলো আমি যেদিন থেকে পরি সেই দিন থেকে। তোমাকে আমার ভালো লাগে। আর তোমার সাথে কথা বলার জন্য আমি ফারিয়ার বাসায় এসেছি। কিন্তু বাসায় এসে তোমার গিটার বাজানো চুপচাপ থাকা কিন্তু যখন কথা বলো অনেক গুছিয়ে বলা। এই গুলো দেখে আরো মুগ্ধো হয়ে গেছি আমি। আমি বললাম তুমিতো অনেক পিচ্চি। ও বললো তুমি আমাকে পিচ্চি না বলে পিচ্চি বউ বলে দেকো।দেখছেন মোনের মিল কত যে নামটা আমি থিক করেছি ঠিক সেই নাম টা ও রাখতে বললো। রাহিকে মানে পিচ্চি বউ কে আমি সত্তি অনেক ভালোবাসি।

গল্পের বিষয়:
ভালবাসা
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত