কাজললতা

কাজললতা

বাইক থেকে দেখলাম একটা মেয়ে স্টিলের স্কেল নিয়ে একটা ছেলেকে তাড়া করছে!দৃশ্যটি দেখার পর পুরানা কলেজ স্মৃতি মনে পড়ে দু-চোখ অজান্তেই ভিজে গেলো!বাইকটা থামিয়ে কলেজের দিকে তাকিয়ে চশমাটা সরিয়ে চোখ মুছে নিলাম।বয়সের কারণে চশমা লাগাই নি।অক্ষিগোলকে সমস্যার কারণে ডাক্তার মাইনাস ফিফটিন লেন্সের গ্লাস দিছে।বয়স কতই বা!কয়েকমাস হলো হলো পড়ালেখা শেষ করে কুমিল্লায় একটা মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে জব করছি।একদিকে ভালোই হলো গ্লাসটা বাইক চালানো অবস্থায় ধুলাবালি থেকে চোখের যত্ন নিচ্ছে!কোম্পানি থেকেই বাইক দিছে।প্রমোশনের পর কার/গাড়ি দিবে।আবার বাইক স্টার্ট দিলাম অফিসে যেতে হবে।ছেলেমেয়ে দুটোকে দেখে আজ কাজলের কথা ভীষণ মনে পড়ছে!বাইক চালাতে চালাতেই ভাবতে লাগলাম ফেলে আসা স্মৃতিগুলা।বন্ধু ছিলো ও,না সরি ওর কাছে আমি ভালো বন্ধু ছিলাম আমার কাছে ও বন্ধুর চাইতে আরো সিক্রেট কিছু।এভাবেই একদিন কাজল আমাকে স্কেল নিয়ে দৌড়ানি দিয়েছিলো।শুধু নামটাই কাজল ছিলো তা নয়!মেয়েটা সুন্দর করে কাজলও পরতো!মায়াবী চেহারায় কাজল পড়লে মনে হতো ওকে দেখলে চাঁদ-তারারও হিংসে হবে!

ওর ভালো নামটা কাজললতা আরোহী হিমু।কয়েকদিন ওদের বাড়ি গেছিলাম পরে দেখলাম ওখানে সবাই ওকে কাজলা বলে ডাকে!

কলেজে আমি প্রায়ই লেট করে যেতাম।নবীন বরণ দিনে অনেকটা লেট করে গিয়েছিলাম।স্যার সেদিন অনেকগুলা কথা শুনাইছিলো।

তারপর প্রায়ই লেট হতো।
-হাসিব তুই এতো লেট করিস কেনো?কোনো সমস্যা আছে?
-না স্যার সমস্যা নাই।আমি লেট করি না স্যার লেট আমাকে করায়!
-চুপ বেটা!যা গিয়ে যায়গায় বস!
-আচ্ছা।
সেদিনই কাজলের পাশাপাশি টেবিলে বসেছিলাম।কাজল মাখা চোখগুলার দিকে তাকিয়ে কোথায় যেনো হারিয়ে গিয়েছিলাম!
তারপর স্যার বোর্ডে অংক করে বুঝিয়ে দেয়ার পর বললো সবাই খাতায় তুলে নাও!
-স্যার আমি খাতা আনিনি।(মজা নেয়ার জন্য)
-কেনো আনিস নি?
-স্যার আমার তো শীত করছে না!
সবাই হাহা করে হাসছে!আসলে ক্লাসে আমি ছিলাম ক্লাসের সবচাইতে দুষ্টু প্রকৃতির ছাত্র!
-আর একবার ফাজলামি করবি তো কান টেনে লাল করে দিবো!
আমি চুপ করে বসে আছি।
-কিরে অংক উঠাচ্ছিস না যে!এক্সামের সময় তো সব দোষ হবে স্যারদের এটা করায় নি,ওটা করায় নি!
-কলম হারাইয়া গেছে!
-তুই হারাইয়া গেলে ক্লাসটা আরো শান্তিতে করানো যেতো!কারো কাছে ডাবল কলম থাকলে ওকে দাও।
-পাশের বেঞ্চি থেকে একটা মেয়ে আমাকে কলম এগিয়ে দিলো।

ক্লাস শেষে আমি চলে আসতেছিলাম।হঠাৎ পিছন থেকে কারো ডাকে থেমে গেলাম।

-ওই।
-কি?
-কলম কই?
-ওহ সরি।এই নিন।
-বন্ধুত্বের মধ্যে নো সরি নো আপনি।
বলেই হাতটা বাড়িয়ে দিলো হাই আমি কাজললতা আরোহী হিমু।
-আমি হাসিব শান্ত।

এরপর মাঝেমধ্যেই আমি ওদের বাড়ি যেতাম ও আমাদের বাড়ি আসতো।আমার দুষ্টামিগুলায় ক্লাসের সবাই বিরক্তবোধ করলেও ও কখনোই বিরক্ত হতো না।বরং শুধুই হাসতো।ওর সাথে সারাক্ষণ দুষ্টামি-ফাজলামিতে মেতে থাকতাম। এভাবেই পেরিয়ে গেলো বন্ধুত্বের প্রায় দুটি বছর।এইস এস সি শেষে একদিন ও আমাকে ডেকেছিলো।সেদিন পাঞ্জাবি পড়ে ওর সাথে দেখা করতে গিয়েছিলাম।ওর প্রতি ফিলিংসটা যেনো অন্যরকম লাগছে আমার।বন্ধুত্বের গন্ডি পেরিয়ে আরো স্পেশাল কিছু ভাবতে লাগছিলাম ওকে।কিন্তু ওকে কিছুতেই বলতে পারছি না।আমাকে বলতেই হবে না হলে ও যদি কোনো পাবলিক ভার্সিটিতে চান্স নিয়ে চলে যায় তাহলে ওর আরো অনেক ভালো বন্ধু হবে।আমাকে ভুলেই যাবে।আজ ওকে বলবো বলতেই হবে যে ভালোবাসি!

-কাজল তোকে একটা কথা বলি?
-বল।
-আমি না একজনকে ভালোবাসি।
-আরে আমিও তোকে এটা বলতে এসেছিলাম।
-তুই কাকে ভালোবাসিস?(আগ্রহী সুরে,হতে পারে ওর ভালোবাসার মানুষটা আমিই!)
-নাহ!আগে তুই বল কাকে ভালোবাসিস।তুই আগে বলেছিস তাই তুই বলবি।
-যদি বলি তোকে!তাহলে!

কথাটা শুনে ও আমাকে রাগি লুকে তাকালো অনেকটা বিরক্তির ছায়াও আছে বটে!

-আমি তোকে শুধুই একজন খুব ভালো বন্ধু ভাবি।তার বেশি কিচ্ছু না।তুই আমার এমন একটা বন্ধু যে সারাজীবন আমার বিপদেআপদে পাশে থাকবি।

-একজন লাইফ পার্টনারও কিন্তু ভালো বন্ধু হতে পারে।

-জাস্ট শাট আপ!তোকে আমি কখনোই এমন ভাবিনি।তোকে আমি আজ আহাদের কথা বলতে এসেছিলাম।আর শুন ওকেই আমি ভালোবাসি।তুই আর কখনোই আমার সামনে আসবি না যা চলে যা।বন্ধু নামের কলঙ্ক তুই।তুই বন্ধুত্বের মূল্য দিতে জানিস না।

সেদিন কিচ্ছু বলতে পারি নি।চুপ করে চেয়ে থেকে চলে এসেছিলাম।গ্রাম ছেড়ে চলে গিয়েছিলাম চট্টগ্রামে! বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কোচিং করতে,আর চান্সও হয়ে যায় ইংরেজি বিভাগে।সেখানেই অনার্স কমপ্লিট করেছি।হ্যা আহাদ ছিলো আমাদের কলেজের সেকেন্ড বয়।আমি আঠারোতম ছিলাম।আর ওই দুষ্টু ছেলেটা যে সারাক্ষণ কলেজ ক্যাম্পাসে দুষ্টামিতে মেতে থাকতো কোনো একজনের আমার সামনে থেকে চলে যা কথাটা তাকে অনেক বদলে দিয়েছিল!দুষ্টু ছেলেটা অনেক শান্ত স্বভাবের হয়ে গিয়েছিলো।কলেজে প্রথম সেমিস্টারে দুই বিষয় ফেল করা ছেলেটা কোচিং আর পড়ালেখায় গভীর মনোযোগ দিয়ে একটা যায়গা করে নিয়েছিলো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে!চঞ্চল ছেলেটা আজ কোনো একজনের জন্য কতটা নিরব হয়ে গেছে!তোকে সত্যিই ভালোবেসেছিলামরে কাজললতা!অনেক বেশিই!ভালো থাকিস কাজল!ভালোথাকিস!এভাবেই বন্ধুত্বের মাঝে প্রেমের অধিকার চাইলে বন্ধুত্বগুলা হারিয়ে যায় হয়তো! ভাবতে ভাবতেই চশমাটা ঘোলা দেখাচ্ছে!হয়তো চোখের জলে!চোখের কোণে জমা অশ্রুফোটা মুছে দিয়ে সামনে তাকাতেই ভাবনার ছেদ!এক্সিডেন্ট করে দিছি একটা সিএনজির সাথে!সিএনজির সাইডে লেগে আমি পড়ে গিয়েছিলাম।বেশি কিছু হয় নি হাঁটুতে একটু ছিলে গেছে সিএনজির ভেতর থেকে বের হয়ে ড্রাইভার আর একটা শাড়িপরিহিতা মেয়ে আমায় ধরে উঠালো।

চশমাটা পড়ে গিয়েছিলো তাই একটু ঘোলা ঘোলা দেখছিলাম!দেখলাম মেয়েটা আমার দিকে তাকিয়ে আছে!চশমাটা তুলে লাগাতেই দেখলাম এই সেই মায়াবতী মেয়ে!কিন্তু মায়াটা কোথায় হারালো!চোখে আর আগের মতো কাজল নেই!চঞ্চুদ্বয় গোলাপি রঙ হারিয়ে ঈশত ফ্যাকাসে হয়ে গেছে!চোখের নিচেও দেখি কালি জমেছে!মায়া চাহনিটা আর খুঁজে পাচ্ছি না!এতোটা উদাসীনতা দেখে এবার অশ্রুর পরিবর্তে বোধহয় লোহিত কণিকাগুলো সব বের হয়ে যাবে আমার নয়ন ছেদ করে!কিছু না বলে তাড়াতাড়ি বাইক তুলে চলে যেতে লাগলাম কারণ এই মেয়েটাই যে বলেছিলো তার চোখের সামনে যেনো আর কখনো না আসি!
-কথা ছিলো!
আর পালাতে পারলাম না!থেমে গেলাম।
-কি কথা?

-আগে তোর পায়ে কম্পাউন্ডারের কাছ থেকে ব্যান্ডেজ করিয়ে এনে কোথাও গিয়ে বসে বলি?কোনো একটা পার্কে?
তারপর কাছের একটা ফার্মেসি থেকে ব্যান্ডেজ সেরে কিছু ওষুধ নিয়ে বাইক স্টার্ট দিয়ে বসে আছি আর হর্ণ দিচ্ছি ও বুঝতে পেরে বাইকের পিছনের ছিটটাতে এসে বসলো।তারপর ডাইনোসর পার্কে গিয়ে বসলাম।
-অনেক পরিবর্তন হয়ে গিয়েছিস!পেটে ভুরি হতে চললো!আবার চশমাও লাগাইছিস দেখছি!শার্ট ইন করা!হাতার বোতাম মারা!কলার খুলে রাখিস না আগের মতো!বাহ!কলারের বোতামটাও ইউজ করছিস আবার!
-তোরও তো কম পরিবর্তন হয়নি বুঝি?শাড়ী পরেছিস!কাজল লাগাস না!চুলে খোঁপা করেছিস!যাক ছাড় এসব ইমোশন বাড়িয়ে লাভ নেই!

-কি করিস এখন?
-এইতো একটা মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে আছি।তুই?
-আমি বাংলায় অনার্স করে এখন এইতো কচুয়া প্রাইমারি স্কুলের বাংলা শিক্ষিকা।স্কুলেই যাচ্ছিলাম সিএনজি করে আর তখনই…
-আজ যে গেলিনা স্কুলে,কাল গিয়ে কি বলবি?আমিতো কাল বসকে বলবো এক্সিডেন্ট করেছিলাম তাই আসতে পারিনি।

-সে একটা কিছু বলে ম্যানেজ করে নিবো এখন স্কুলে হেড স্যারকে ফোন করে একটা কিছু বলে দিচ্ছি।
-স্কুলে না গিয়ে পার্কে বসে পুরানা বন্ধুর সাথে সময় কাটাচ্ছিস অজুহাত দেখিয়ে এটা জানলে তোর উনি রাগ করবে না?
-থাকলে তো করবে!
-মানে!বিয়ে…
-না করিনি।তা এতো এলোমেলো আর দুষ্টু ছেলেটাকে এতো পরিবর্তন করে দিলো কে?
-একা একাই!
-কেনো!ও বুঝি গুছিয়ে দেয় নি!
-ও টা কে বুঝলাম না।
-আরে বুদ্ধু তোর বউ।
-হুম করেতো।অনেক কেয়ার করে!
-হুম।ভালো।

-এতোটাই কেয়ার করে যে আমাকে তার চোখের সামনে থেকে চলে যেতে বলেছিলো আর আমিও আজ সাত বছর তার সামনে যাই নি।

-এতো অভিমান তোর!একবারও পিছন ফিরে তাকালে তবে দেখতি কথাগুলো বলার পর মেয়েটা তোকে পাগলের মতো খুঁজেছিল!তুই চলে আসার পর লেটারটা যখন দেখেছিলাম যেটায় লেখা ছিলো তোর একটা কথা রাখতেই আমি চলে গেলাম অনেক দূরে,তোর চোখের আড়ালে।তখন থেকে তোকে অনুভব করতে শুরু করেছি।সারাটাক্ষণ তোকে খুঁজেছি।চট্টগ্রাম গেছিলাম দুবার তোকে পাইনি!আন্টির কাছে অনেক আকুতি করেও তোর ঠিকানা পাইনি।শুধু বলেছিলো চট্টগ্রাম থাকিস,আর কিছু বলতেই চাইলো না।বলেছিলো তুই বলতে বারণ করেছিস!ফোন ধরিস নি আমার!ভাবছিলাম তুই হয়তো কারো অবহেলায় নতুন কাউকে খুঁজে নিয়েছিস!

-নতুন কাউকে খুঁজার হলে কবেই খুঁজে নিতাম!

-হুম।তখন তোকে মিস করতে থাকি সারাটাদিন।তোর পাগলামিগুলা।সকাল-রাত্রি তুই আমার অনুভবে অনুভাবিত ছিলি!আমার এমন উদাসীনতা দেখে আমি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির কিছুদিন পর আহাদ আমাকে ডেকেছিলো।ইকো পার্কের একটা কোণে ও আমায় ফিজিক্যালি এট্যাক করতে চেয়েছিলো আমি সেদিন ওকে থাপ্পড় মেরে চলে এসেছিলাম!সেদিন ওর চোখে ভালোবাসা দেখিনি,দেখেছিলাম দেহ লোভী কামুক পুরুষ আর হিংস্র চাহনি!ভালোবাসাতো দেখেছিলাম তোর চোখে কিন্তু বুঝতেই পারিনি সেদিন আসল-নকলের হিসাব!হ্যা আমার আজ চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে করছে সেদিন আমিও ভালোবেসেছিলাম কিন্তু বুঝতে পারি নি!ভুলতে পারিনি বলে নির্লজ্জের মতো খুঁজতে খুঁজতে আজকে তোর দেখা পেলাম। তুমি বলার অধিকারটা দিবি আমায়?
ও মাথা নিচু করে কান্না করতেছে!মেয়েটাকে এমন দেখতে আমার ভালো লাগছে না!অনেক কান্না পাচ্ছে।

-কাজল পড়িস না কেনো এখন?

-কেউ তো আর বলে না কাজল পড়লে আমাকে দেখলে চাঁদ-তারাদের হিংসে হবে!তাই কাজল লাগানো বাদ দিয়েছি!কার জন্য লাগাবো!

তারপর আমি অফিস ব্যাগ থেকে একটা নূপুর বের করে ওর সামনে বসে পড়লাম আর নিজ হাতে নূপুর পড়িয়ে দিলাম।আর দুহাতে একডজন কাঁচের চুড়ি ভাগ করে পড়িয়ে দিলাম তারপর ও শুধু আমার দিকে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকলো!উঠে একটা কাজলের কৌটা ওর হাতে দিলা আর বললাম চাঁদ-তারারা একজন প্রতিযোগী খুঁজতেছে!

-এগুলা?
-হুম সাত বছর আগে যেদিন চলে যেতে বলছিলি সেদিন এগুলা পকেটে ছিলো।তোকে দিবো বলে।কিন্তু…
ও আমার দিকে তাকিয়ে অশ্রু ঝরাচ্ছে!আমি দুহাত প্রসারিত করে দিলাম দুপাশে!এক মুহূর্ত অপেক্ষা না করে আমাকে দুহাতে আঁকড়ে ধরলো!অনুভূতির পরম্পরায় আজ আবার কাজললতা ফিরে এসেছে!আর হারিয়ে যাবো না,হারাতে দিবো না!

-আমাদের বাবুর নাম নয়ন রাখবে হাসিব?মেয়ে বাবু হলে নয়নতারা আর ছেলে বাবু শুধু নয়ন!(তুমি করে)
-অনেক সম্পর্কে বাবুর নাম ঠিক হয়ে যায় কিন্তু পরে বাবুর মা-বাবা হারিয়ে যায়!
-সাত বছর ধরে খুঁজে তোমাকে ফিরে পেয়েছি হারাবার জন্য নাকি!
-হুম রাখবো।চলো!
-কোথায়?
-আমার রুমে।এই কাছেই,আমি ওখানে একাই থাকি!অফিস থেকে ফেরার পর ভার্চুয়াল লাইফেই বিজি!
-লোকে কি বলবে?একটা রুমে প্রাপ্তবয়স্ক দুজন বিপরীত লিঙ্গের মানুষ!
-তাহলে আগে ওখান থেকে আসি।তারপর রুমে যাবো।লোকে কিচ্ছু বলার সুযোগই পাবে না।
-কোথা থেকে?
-কাজি অফিস!

কোনো কথা না বলে আর কিছু জিজ্ঞাস না করে চুপটি করে আমার হাত শক্ত করে ধরে ও হাঁটতে লাগলো!গন্তব্য কাজি অফিস!

গল্পের বিষয়:
ভালবাসা
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত