মায়া

মায়া

শুয়ে শুয়ে ফেসবুক ঘাটছিলাম।অনেক দিনপর লগইন করলাম।আমার নাদুশ নুদুশ ছবিতে কত মন্তব্য।ওয়াও সুইট নাইস।আপনি দেখতে কিউট।ভাইয়া আপনাকে দেখতে খুব সুন্দর দেখায়,আপনাকে আমার ভালো লাগে ব্লা ব্লা আরও কত কি ।কত ললনা মেসেজ করছে হিসেব নেই।
আসলে এর কিছুই না।আমি দেখতে মোটেও ভাল না,কিন্তু ক্যামেরা যদি আপনার সৌন্দর্যটাকে একটু বাড়িয়ে দেয় তাহলে যা হয় আরকি।হঠাৎ করে ফোনটা বো বো কাঁন্না করে হাত থেতে পড়ে গেল।এই বুঝি আমার একমাত্র ফোনটা গেল।কত আটনা, পাঁচপাই,পাঁচশিগা,বারো আনা (আগের হিসাব) করে জমিয়ে ফোনটা কিনেছিলাম।আজ বুঝি মারা যেত লাগলো।ফোনটা হাতে তুললাম এখনও বো বো কাঁন্না করছে।স্কিনে তাকিয়ে দেখি বন্ধ রাহাদের ফোন।মনে মনে গালিদিলাম হারামজাদা ফোন দিতে আর সময় পেলিনা।ফোনটা রিসিভ করতেই বন্ধু বলে উঠলো “তামিম কই তুই ” ।হারামি শ্লা ফোন দেওয়ার সময় পাইলিনা।কত সুন্দর ললনাদের সাথে মেসেজ করছিলাম আর তুই ফোন দিয়া জিগাস আমি কই।আমার ঝাড়ি খেয়ে রাহাদ কথা বলেনা।এবার নরম।কন্ঠে বললাম কি বলবি বল।এবার রাহাদ আস্তে করে বললো “তুই বাড়ি আসলি আমারে একটু জানালিনা।আমাকে তোর বন্ধু মনে হয় না।শ্লা দিলো ইমোশনে হিট করে।আসলে আমরা দু’জন খুব ভাল বন্ধু। আমি ঢাকাতে চাকরী করি,আর সে আমাদের কিশোরগঞ্জেই থাকে।নারে রাহাদ কিছুক্ষণ হলো আসলাম খুব ট্রায়াড।ক্লান্ত
িটা কাটলে আমিই তোকে ফোন দিতাম।”হ তোমারে আমি চিনিনা,গতকাল আসছো বাড়িতে আর এখন বলো একটু আগে আসলা।ভালো মিথ্যে বলতে পারো রাহাদ বললো।গেলাম ধরা খেয়ে।আচ্ছা দুস্ত সরি এবার বল কি বলবি।”চল তোকে নিয়ে একটু মার্কেটে যাব “রাহাদ বললো।
-একটু পরে গেলে হয়নারে রাহাদ।
–এখনি চল ভালো একটা সময়।
-ঠিকাছে তুই মোড়ে আয় আমি আসছি।
কি আর করার হলোনা ললনাদের সাথে চ্যাটিং বন্ধু সাথে যেতে হচ্ছে।
.
রাহাদ আর আমি পুরো মার্কেট ঘুরলাম।রাহাদ তার জন্যে আর ভাবির জন্যে কিছু জিনিষ কিনেছি।আমি কিছুই কিনিনাই,আমার ভাবিও নাই কিনিও নাই।ও সরি ভুল কইছি আমার বউও নাই কিনিও নাই।যেই দু’জনে চলে আসতে যাব, তখনি জেন্টস ঘড়ি শপে চোখটা আঠকে গেল দুইটা মেয়েকে দেখে।জেন্টস শপে মেয়ে কি করে।অবশ্য দুইটা মেয়ের মধ্যে একজনকে খুব মনে ধরেছে।পা দুটু এগিয়ে চলছে ঘড়ি শপের দিকে।না পারছি আঠকাতে।বন্ধু রাহাদ শার্টের কলারে টেনে ধরে বললো “আরে তামিম কই যাস তুই? আমি বললাম দুস্ত আমি কোথাও যাচ্ছিনা আমার পা দুটা আমাকে নিয়ে যাচ্ছে। তুই বাঁধা দিস না আঠকাতে পারবিনা।আমার কথা শুনে রাহাদ পেছন থেকে সামনে এসে আমার দিকে বড় চোখ করে তাকিয়ে আছে।তার কাছে মনে হচ্ছে আমাকে মনে হয় নতুন দেখছে। না হয় আমি সার্কাসের বানর।রাহাদ আমার কলারটা ছেড়ে দিলো।পা দুটো দূঢ় গতিতে এগিয়ে চলছে দোকানটার দিকে।আমি একটু গাড়টা বাকা করে দেখলাম রাহাদ আমার পথপানে তাকিয়ে আছে।থাক তাকিয়ে আমাকে তো টানছে ঐ দুইটা মেয়ে সরি একটা মেয়ে।জেন্টস ঘড়ি শপটার সামনে এসে পোস করে দরজাটা খুলে ভেতরে ঢুকলাম।ভেতরে হালকা সাউন্ডে ইংলিশ গান বাজছে।মনে হচ্ছে রোমান্টিক গান।মেয়েটাকে দেখলাম একটা ঘড়ি হাতে নিয়ে দামাদামি করছে “আচ্ছা ভাইয়া আমি ১০০০টাকা দেয় ঘড়িটা। মেয়েটা বললো।যাকে খুব মনে ধরেছে,মনে হয় ভালবেসে ফেলেছি। না না আপু ১০০০ টাকা বিক্রি করলে লস হয়ে যাবে ১২০০টাকার উপরে কিনাই আমাদের।দোকানদার সাব বললো। ভাইয়া ১১০০ টাকা দিচ্ছি দিয়ে দেন আমার কাছে আর বেশি টাকা নেই।১১০০ টাকার কথা শোনেও দোকানি তানা নানা করছে।আচ্ছা ভাই ঘড়িটা আমারও খুব পছন্দ হইছে আমি আপনাকে ১৩শ টাকাই দিচ্ছি।দোকানিকে আমি বললাম ঘড়িটা আপনি আমাকে দিন।এবার মেয়েটা মাথা তুলে আমার দিকে তাকালো।উফ কি সুন্দর হরিণী চোখে হালকা কাজল।ঠোঁঠ দু’টোতে হালকা গোলাপী লিপস্টিক।উফ এই সাজটা আমাকে পাগল করার জন্যে যতেষ্ট।এই মেয়ের মাঝে যেন হাড়িয়ে যাচ্ছি।কি মায়াবী চাউনি।মায়াবতী কোথায় ছিলে এতোদিন লুকিয়ে।মেয়েটি হাতে তুড়ি দিয়ে বললো এই যে মিস্টার। মিস্টার না তামিম আমি ।”তামিম টামিম আর যাই হোক ঘড়িটা আমি পছন্দ করছি আমি নিবো।আপনি এখানে এসে দাম করছেন কেনো।মেয়েটি বললো।দেখোন ঘড়িটি আপনি যেমন পছন্দ করছেন ঠিক আমিও তেমনি পছন্দ করছি সো আমিই নিচ্ছি।দেখোন মিস্টার তামিম অযথা ব্যাঝাল করতে আসবেন না।ভাইয়া ঘড়িটা আমিই নিবো আমার খুব পছন্দ হয়েছে।
–দেখোন মিস আপনার কাছে এতো টাকা আপাতত নেই যে ঘড়িটা কিনবেন।সো আমিই নিচ্ছি।ভাইয়া ঘড়িটা আমাকে দিন।আমি আপনাকে ১৩শ টাকাই দিচ্ছি।দোকানি হা করে তাকিয়ে আছে কিছু বলতে পারছেনা।দেখোন আপনারা যদি এমন করেন তাহলে আমার দোকানের কাস্টমার নষ্ট হবে।দূর থেকে ভাববে এই দোকানে মনে হয় এমনি হয়।তাই দু’জনে মিলে ডিসাইড করে নিন কে ঘড়িটা নিবেন।দোকানি বললো।ভাইয়া ঘড়িটা আমিই নিবো আপনি রাখেন আমি বিকালে এসে নিয়ে যাব।ঘড়িটা আমি আমার হবু হাসবেন্ডের জন্য পছন্দ করেছি।মেয়েটির এমন কথা হাহাহাহা করে হেসে দিলাম। মেয়েটি মনে হয় লজ্জা পেয়েছে।মাঝখান দিয়ে রাহাদ এসে হাজির। কিরে তামিম কি করছিস এসব।রাহাদের এমন কথাতে তার মুখে হাত দিয়ে থামিয়ে দিলাম।দেখোন মিস আপনি আপনার হবু হাসবেন্ডের জন্য পছন্দ করেছেন।বিয়ে হবে না হবেনা তা অনেক দূর।কিন্তু এটা আমি আমার জন্যে পছন্দ করেছি তাই ঘড়িটা আমিই নিচ্ছি।আমার এমন কথাতে মেয়েটি সরি বলে আমার দিকে রেগে মাথাটা নিচু করে বের হয়ে গেল।আমি দোকানির কাছ থেকে ঘড়িটা কিনেই নিলাম।সুন্দরী এক ললনার প্রিয় জিনিষ তার হবু হাসবেন্ডের জন্য কিনছে সেটা এখন আমার হাতে।উফ হবু হাসবেন্ডের জন্য কত দরদ।যাই হোক ঘড়িটা নিয়ে রাহাদকে নিয়ে চলে আসলাম।পরের দিনের ঘটনা আমি মা আমার ছোটবোন আর রাহাদ আমরা এখন মেয়ের বাড়িতে বসে আছি। মেয়ের বাড়ি বলতে কনের বাড়ি।ও আপনাদের তো বলাই হয়নি আজকে আমার বিয়ের জন্যে কনে দেখতে এসেছি।আসলে মা খুব খুব জোড়াজোড়ি করছিল বিয়ের জন্যে আমার বন্ধু বান্ধব সবাই বিয়ে করে ফেলছে শুধু আমিই বাকি।কি আর করার মায়ের আবদার রাখতে আমাকে বলি হতে হবে।আম্মুর নাকি নাতিপুতি দরকার বউসহ।আম্মার কথা শোনে আম্মারে বললাম “তাহলে কি আমি বিবাহিত মেয়েকেই বিয়ে করবো যার সন্তান আছে অথচ স্বামী নেই।আম্মা বলে তোরে কি আমি তা বলছি নাকি।তারপর কি আর করার বিয়ের জন্যেই ছুটি নিয়ে আসলাম।আমার হবু শ্বশুর মানে মেয়ের বাবা আমার হবু শ্বাশুড়িকে ডাকছে।কই গো মায়ার আম্মু মায়াকে নিয়ে আসো।তারমানে আমি যাকে বিয়ে করবো তার নাম মায়া।আহ এই মায়া নামটাতেই যত ভেজাল।এই মায়া নামটাতে জীবনে বহু চ্যাকা খায়ছি ।ক্লাস ওয়ান থেকে শুরু মায়া নামটার সাথে চ্যাকা খাওয়া।ক্লাস ওয়ানে শুরু আমার চাচাতো বোন মায়াকে দিয়ে।ছোট বেলাই খুব বিটলা আছিলাম।চাচাতো বোন মায়ার ফর্গ জামা টেনে ধরে বলছিলাম “মায়া তোরে ভালপাসি “চাচাতো বোন মায়া জামা টান দিয়ে ধরলি দেখে সে কি কাঁন্না।আর আমার আম্মিজান আমারে লাঠি পেঠা করলো।তারপর ক্লাস টুতে পাশের বাসার মায়াকে ক্লাসে বলছিলাম “মায়া তোকে ভালবাসি” সেই মায়া কি করলো।স্যারকে দিলো বিচার।আর আমার স্কুল বন্ধ ।স্যার আব্বারে কয় ছেলেরে প্রেমের স্কুলে ভর্তি করান।এটা লেখা পড়ার জায়গা,প্রেম করার না।তারপর কিছুদিন স্কুল বন্ধ।তারপর ক্লাস থ্রী থেকে শুরু করে ইন্টারমিডিয়েট প্রতি ক্লাস বা বছরে কোন না কোন মায়ার সাথে পরিচয় ।অতঃপর প্রেম আর আমার ছ্যাকা খাওয়া।চার বছর অনার্স লাইফেও বেশ প্রেম করছি,কাকতালীয় ভাবে সেগুলোর নামও মায়া।যার সাথে লাস্ট বছর বেশি প্রেম ছিল পাগল ছিলাম “সে হঠাৎ এসে বলে সরি তামিম আমাকে ভুলে যাও।বাবা আমার জন্যে ছেলে ঠিক করেছে।আমি মায়ার কথা শোনে বলি।ছেলে ঠিক করছে বিয়ে তো ঠিক করেনাই।চল তুমি আমি পালিয়ে যাই।তখন মায়া বলে না তামিম বিয়ে ঠিক করেছে আর তুমি তো লেখা পড়া শেষ করোনি।যখন লেখাপড়া শেষ করোনি বললো।তখন আর বুঝতে বাকি নেই যে আমার বছরে ২৩নাম্বার ছ্যাকাটা খাওয়া হয়েগেছে।তারপর রিয়েল লাইফে আর ছ্যাকা খেলাম না।কাল্পনিক হ্যাঁ ঠিক ধরেছেন ফেসবুকে বেশ ছ্যাকা খেলাম কাকতালীয় ভাবে সব কয়টার নাম মায়া।লাস্ট আড়াই বছর যে মায়ার সাথে রিলেশন ছিল,তার কথাতো আজো কানে বাজে।জানিনা কি আছে কপালে এই মাইয়াওনি আমারে ২৭ নাম্বার ছ্যাকাটা দিয়ে দেয়।বাদ দেন সব।সামনে তাকিয়ে দেখি
হাটি হাটি পা পা করে চিরচলিত নিয়ম অনুযায়ী বিশাল একটা ঘুমটা দিয়ে হাতে শরবত নিয়ে আমার হবু বউ মায়া আসছে।আরে হবু বউ বলছি কেনো হবু ছ্যাকা দেওয়া বউ।আমাদের সামনে এসে শরবত রাখলো।আমি চাইছি একটু দেখবার ছ্যাকা দেওয়া নতুন হবু বউটারে।কিন্তু তার আগেই মায়াই আমাকে দেখছে।দেখে চলেগেল।আহ হবু বউটা দেখতে কত সুন্দর।ভিতরের রুম থেকে হবু ছ্যাকা দেওয়া শ্বাশুড়ি আম্মা (বিয়ে তো নাও হতে পারে যদি ছ্যাকা খায় তাই ছ্যাকা দেওয়া শ্বাশুড়ি বললাম) আমার ছ্যাকা দেওয়া শ্বশুড়কে ডাকছে।শ্বশুড় বিতরে গেলেন বাহিরে এলেন।এসে বললো মেয়ে আমরা বিয়ে দিবোনা।দেখছেন যা বলছিলাম ছ্যাকাটা মনে হয় খেয়েই গেলাম।মা বললো কেনো বিয়াই সাহেব বিয়ে দিবেন না কেনো।আমার ছেলে দেখতে খারাপ ,নাকি আমরা পরিবার খারাপ।তা না, দেখোন মেয়ে আমার না করেছে,তার বিরুদ্বে গিয়ে বিয়ে দিলে মেয়েটা সুখি নাও হতে পারে।আর মেয়ে সুখি না হলে বাবা হিসেবে মানতে পারবোনা। আংকেল মায়ার সাথে আমি একটু আলাদা কথা বলতে চাই।সবাই সম্মতি দিলো।মায়া আর আমি একটা রুমে দরজা আঠকিয়ে দিয়েছি।মায়া অগ্নি দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলতেছে আপনার সাথে বিয়ে কখনোই হবেনা,কি করে ভাবলেন আমি আপনাকে বিয়ে করবো।যে একরোখা মেয়েদের সাথে পাব্লিক প্লেসে ভাল করে কথা বলতে পারেনা। মায়ার এমন কথা শুনে আমি হাসছি।মায়া আমার সামনে হাতে ছোট একটা চাকু এনে বলে একদম হাসবেন না খুন করে ফেলবো।মেয়ে তোমার প্রেমেতে আমি অনেক আগেই খুন হয়ে আছি,নতুন করে কি করবে।মায়া এবার আরও কাছে এসে চাকুটা নাকের কাছে নিয়ে আসলো।আমি মায়াকে একটু ধাক্কা দিয়ে দেয়ালের সাথে তার পিঠটা ঠেকিয়ে দিলাম।
দু’হাতের মাঝখানে মায়াকে রাখলাম।
মায়া যেন একটু তিতু হল ভয় পেল।নাকটা ঘামতে শুরু করেছে।
মেয়েদের ভয় মুখ দেখতে সুন্দর দেখায়।দেখ মায়া মেয়েদের যতেষ্ট সম্মান করি।তাদের সাথে কথা বলতে গেলে ভেবেচিন্তে বলি।কিন্তু ঐদিন তোমাকে যখন শপিং এ দেখলাম,তখন একটু কথা বলতে চাইছিলাম।তোমার ছবি মা আমাকে আগেই দেখিয়ে ছিল।তোমার ছবি দেখেই খুন হয়েছিলাম।তারপর শপিং মলেও খুন হলাম তোমাকে দেখে।কিন্তু একটু দুষ্টুমি করবো বলেই ঐরকম করেছিলাম।কিন্তু সত্যিই ভালবেসে ফেলেছি তোমায় তুমি আমাকে ২৮ নাম্বার ছ্যাকাটা দিও না।২৮ নাম্বার ছ্যাকার কথা বলতেই আমাকে থাক্কা দিয়ে সরিয়ে ফেললো।”কিহ ২৮ নাম্বার ছ্যাকা মানে আপনি প্রেম করছেন যান আপনার সাথে বিয়েটা আর হচ্ছেই না মায়া বললো।এই বলে মায়া চলেযেত লাগলো। টান দিয়ে কাছে আনলাম “মায়া আমিতো তুমি বলতে বিভোর প্রেম করবো কোথায়। চলে যাবা যাওয়ার আগে তোমার হবু হাসবেন্ডের জন্যে যে ঘড়িটা কিন্তু চেয়েছিলে সেটা তাকে পড়িয়ে দাও।তারপর না হয় চলে যাও।মায়ার সামনে সেইদিনের ঘড়িটা বের করে ধরলাম।মায়া ছলছল চোখে তাকিয়ে আছে কি বলবে বুঝতে পারছেনা।হাত থেকে ঘড়িটা নিয়ে বললো হাতটা উচু করে ধরেন। মায়া হাতে ঘড়ি পড়াচ্ছে আর বলছে বিয়ের পর কিন্তু ঘড়ির টাকাটা আমি আপনাকে ফেরত দিবো।আর হ্যাঁ আমি ছাড়া যদি অন্য মেয়ের দিকে তাকান তাহলে চোখ তুলে অন্ধ করে আমার সামনে বসিয়ে রাখবো।”আমিতো তোমার প্রেমে অন্ধ,নতুন করে আরও হব।এই বলে রুম থেকে বেড়িয়ে এসে “মাকে বললাম তোমরা বিয়ের দিন ঠিক করো “।এবার মনে হয় ছ্যাকা খেলাম না বিয়েটাই হবে।

গল্পের বিষয়:
ভালবাসা
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত