আজ আমার বিয়ে

আজ আমার বিয়ে

আমি মারিয়া। পারিবারিক আয়োজনে আজ আমার বিয়ে হয়েছে। বাসর ঘরের ছোট এই বিছানাটার উপরবেশ অনেকটা সময় ধরে বসে আছি।

এটাকে ঠিক বাসর ঘর বলা যায় কি না জানি না। সচরাচর দেখেছি বাসর ঘরে ফুলের সামান্য অংশ হলেও থাকে। তবে এখানে কেন ফুল নেই। কিন্তু অবাক হচ্ছি এই ভেবে নাকে গোলাপ, রজনীগন্ধা, আর গাঁধা ফুলের বেশ তীব্র সুগন্ধ পাচ্ছি। মনে হয় হেলুসুলেশন হচ্ছে।

হওয়াটাই অবশ্য স্বাভাবিক। কারন যে দিন থেকে বুঝতে শিক্ষেছি একদিন বিয়ে হবে, সংসার হবে। সে দিন থেকেই মনের মাঝে সাজানো ছিল আর দশটা মানুষের মত নিজের বাসর ঘরটাও নানান ফুলে সাজানো থাকবে।

হয়তো সব স্বপ্ন পুরন হয় না। তাই হয়তো আমার বাসর ঘরটাও ফুলের কোন ছোঁয়া পেলো না। কেমন জেনও ভয় ভয় লাগছে। সবাই আমাকে এই ঘরটায় রেখে দরজা ভিরিয়ে সেই যে গেলো এখন পর্যন্ত কারও আর আসার নাম গন্ধটুকু নেই।

ভদ্র লোকটারও একটা বার চিন্তা করার উচিত ছিল, নতুন বউ কি করে তাকে একা একা এতো সময় বসিয়ে রাখি! আচ্ছা আমি কি একটু বেশি ভেবে ফেলছি ? আসলে আমার স্বপ্নের আগাগোড়া সবটুকুই জুড়ে ছিল একটা বিয়ে, একটা সংসারের স্বপ্ন। তাই হয়তো মনটা অনেক কিছু ভাবছে। সেই অল্প বয়স থেকে গোড়ে তোলা স্বপ্ন গুলার সাথে আজ বাস্তবের হয়তো অমিল হতে যাচ্ছে।

আজ সেই স্বপ্ন গুলার হয়তো মৃত্যুও হতে পারে। আর তাছাড়া আমি যে খুব ভাগ্যবতী তাও নয়। লম্বা ঘোমটা দেয়ায় ঘরের ভিতরে কি কি আছে তেমন কোন কিছুই দেখতে পাচ্ছি না। ইচ্ছে করছে ঘোমটা নামিয়ে চারপাশটা একবার দেখে নেই। আবার ভয়ও করছে। যদি হঠাৎ করে উনি চলে আসেন। তবে দেখবে বউ প্রথম দিনই লজ্জা ভেঙ্গে ঘোমটা সরিয়ে বসে আছেন।

আর যে কিছুই ভাললাগছে না। সেই কখন থেকে একভাবে একা একটা ঘরে বসিয়ে রেখেছে তো রেখেছেই। দরজার ওপাশে মানুষ জনের চলাফেরা থাকলেও কেউ একটা বারের জন্য আমার খোঁজ নিচ্ছে না। নিজেকে বড্ড বেশি অসহায় লাগছে। আমি আর কিছু না ভেবেই ঘোমটা সরিয়ে দিলাম। ঘরটা ঠিক কতটা বড় তা বুঝে উঠতে পারছি না। কারন বিছানার ঠিক দু’হাত দূরেই কাপড় দিয়ে মেঝে থেকে ছাদ পর্যন্ত ঢেকে দেয়া হয়েছে পর্দার মতন করে। ওপাশে কি তবে অন্য কেউ থাকে! বাসাবাড়িতে সাবলেট হয় জানতাম। তবে এক রুমের মাঝে কখনও সাবলেট হয় এমনটা কখনও শুনিনি।

হঠাৎ করেই দরজা খোলার আওয়াজ শুনে ঘোমটা নামিয়ে নিলাম। মা বারবার বলে দিয়েছেন, স্বামী ঘরে ঢোকা মাত্রই বিছানা থেকে নেমে পায়ে হাত দিয়ে যেন সালাম করি। দরজা বন্ধের আওয়াজে ধীরে ধীরে বিছানা থেকে নেমে তার দিকে এগিয়ে গিয়ে পায়ে হাত দিয়ে সালাম করলাম।

হয়েছে হয়েছে! আর সালাম করতে হবে না। যত সব আদিখ্যেতা। যা বিছানায় গিয়ে বস। আমি বাকরুদ্ধ হয়ে গেলাম। বিয়ের প্রথম রাতে কেউ তার বিয়ে করা বউ এর সাথে এমন আচরণ করতে পারে তা আমার জানা ছিল না। চুপ চাপ বিছানায় এসে বসে পরলাম। কেন জানি মনের আকাশটায় ধীরে ধীরে মেঘ জমতে শুরু করলো। কি নাম তোর ?

মারিয়া। হুম। বিয়ের আগে দেখাশোনা না করেই বিয়ে বসলি কেন ? ছবি দেখেছি।

আহারে কি কথা! ছবি দেখেছি। ওই আমি কি দেখতে সাহরুখ খানের মত না কি রে, যে ছবি দেখেই বিয়ে বসলি। বুঝি বুঝি সব বুঝি! তোরা হয়েছিস লোভী। ভাল জায়গায় থাকবি, ভাল ভাল খাবি এগুলাই হলো তোদের ধ্যান্দা। তা মদ খাবি না কি রে একটু ?

আমার মাথার উপরের আকাশটা চূন্যবিচূন্য হয়ে গেলো। চোখের কোন ঘেষে বিন্দু বিন্দু জল গুলো গাল বেয়ে শাড়ীর উপরে এসে পরছে। ঘোমটা সরিয়ে দেখি সত্যিই তার হাতে মদের বোতল। চোখের সামনেই ঢকঢক করে মদ খাচ্ছে। আর মাতালের মত করে প্রলাপ বকছে।

আজ থেকে প্রায় ছয় মাস আগে যাত্রী ছাউনীতে বসে ডায়েরী লিখ ছিলাম। হটাৎ করে তারাহুড়ো করতে গিয়ে মনের ভুলে কখন জানি ডায়েরীটা যাত্রী ছাউনীতে রেখেই বাসে উঠে গিয়ে ছিলাম। সেই ডায়েরীটা আর খুঁজে পােলাম না। যদিও ডায়েরীতে নাম ঠিকানা সবই ছিল কিন্তু কেউ আর ফেরত দিয়ে যায়নি। আমি বিছানায় বসে কাঁদছি আর ডায়েরীর কথা ভাবছি। ডায়েরীর প্রতিটা পাতায় লিখা ছিল ভবিষ্যৎ স্বামী নামের একজন মানুষের কথা। যাকে নিয়ে ছিল আমার হাজারও রঙ্গিন স্বপ্ন।

বাসর ঘরে ঠুকতেই মানুষটির পায়ে হাত দিয়ে সালাম করতে যাওয়ার জন্য যখনই আমি নিচু হবো, এমন সময় তার দু’টো হাত আমার কাঁথের পাশে এসে পরবে আর মিষ্টি করে বলবে উহু সালাম করতে হবে না। এসো বসো এখানে। সে আমার লম্বা ঘোমটা সরিয়ে থুতনীতে হাত রেখে মুখটা উপরের দিকে তুলে ধরে বলবে, চাঁদ! এ এক পূর্নিমার চাঁদ দেখছি। অথচ আমার কি কপাল! স্বামী নামের এই মানুষটা বিছানায় কাত হয়ে শুয়ে শুয়ে মদ খাচ্ছে। ডায়েরীটা একটা বারের জন্য হাতে পেলে ভাল হতো। ডায়েরীর পাতা গুলা সব ছিঁড়ে ফেলা দরকার। কি রে কাঁদছিস কেনও রে! আরে চিন্তা করিস না। এসব মদ টদ খেলে আজকাল কেউ মরে না। আমিও মরবো না। আর তোরও অল্প বয়সে বিধবা হওয়ার কোন ভয় নেই। খাবি না কি রে একটু! না। হুম, না খা। আমিই খাই। তা কি ভাবছিস বলতো ? নিশ্চয়ই ভাবছিস, শুধু ছবি দেখে বিয়ে করাটা ঠিক হয়নি। জানা শোনা, উঠা বসা, একটু ঢলাঢলি করার দরকার ছিল।

বিয়েটা আমার কাছে একটা বিশ্বাস। খেক খেক খেক। আরে রাখ তোর বিশ্বাস। কত জানা শোনা কত আয়োজনের বিয়ে গোল্লায় গেছে। আর তুই আছিস বিশ্বাস নিয়ে। যাই হোক, নে জামা কাপড় গুলা সব খুলে ফেল। মানে কি! মানে বুঝিস না! আরে তোকে এখন ভোগ করবো। বুঝলি, ভোগ করবো। খেক খেক খেক। কি রে, হা করে কি দেখছিস! ও বুঝিস নাই ? আচ্ছা বুঝিয়ে বলছি। তুই হলি আমার লিগ্যাল ভোগের বস্তু, আমার কাছে কিন্তু বিয়ের সার্টিফিকেটও আছে। এবার বুঝলি! নে তারাতারি কর। আমার নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছে। ভয়ে সারা শরীর কেঁপে উঠছে। তবে কি বিয়ে নামের কোন এক বাজারে আমাকে বিক্রি করে দেয়া হয়েছে ?

এখন কি তবে এতো দিনের লুকিয়ে রাখা নিজের সবটুকু সম্ভ্রম শকুনের মত কেউ ছিঁড়ে খাবে! আমার নিঃশ্বাস ঘন হয়ে এলো।

চারদিকে তাকিয়ে পাগলের মত পালানোর রাস্তা খু্ঁজতে শুরু করলাম। না জানি এই মাতাল স্বামী নামের পিশাচ কখন আমার উপর ঝাপিয়ে পরে। ফুপিয়ে কাঁদতে গিয়ে মুখ দিয়ে রীতিমত আওয়াজ চলে আসছে। ইচ্ছে করছে বুক ফাঁটিয়ে চিৎকার দিয়ে বলি কে কোথায় আছেন! আমাকে বাঁচান। আমি বাঁচতে চাই। আমি আর নিজেকে সামলে উঠতে পারলাম না। অঝরে কেঁদে যাচ্ছি আর ভাবছি সারাটা জীবন কি স্বপ্ন দেখলাম আর আজ আমার সাথে এসব কি হতে চলছে। আরে! এতো দেখি ভারি মুশকিল। প্লিজ আমাকে ছেঁড়ে দিন। আমি বাঁচতে চাই।

আরে মোর জ্বালা! তো রে ধরলামই বা কখন ? মদ খেলাম আমি আর মাতাল হয়েছিস তুই! আমি এখানে থাকবো না। আমি বাড়ি যাব। আমি মা’র কাছে যাব। ওই চুপ! একদম চুপ। গলার আওয়াজ নিচু কর। না আমি চুপ হবো না। মা! আমি তোমার কাছে যাব মা। আমি বাঁচতে চাই! বুঝেছি তুই এমনি এমনি চুপ হবি না। দাঁড়া তোরে চুপ করার ব্যবস্থা করছি। লোকটা বিছানা থেকে নেমেই আলমারি থেকে ছোট একটা বাক্সের মত কি যেন বের করলো। মনে হয় এর মাঝে ছুরি আছে। আমাকে হয়তো মেরেই ফেলবে! আমি ভয়ে বিছানার একপাশে গুটিশুটি হয়ে গেলাম। ঘেমে সারা শরীর আমার ভিজে গেছে।

একের পর এক ঢোক গিলে গলা ভিজিয়ে নিয়েও কূল পাচ্ছি না। একবার ভাবলাম চিৎকার দেই। আবার ভাবছি চিৎকার দিলে যদি বক্স থেকে ছু্রি বের করে মেরে ফেলে। এই লোকের দ্বারা সব সম্ভব। নে বাক্সটা খোল। না, খুলবো না। খুলতে বলেছি খোল। আর তা না হলে এখনই তোর উপর ঝাপিয়ে পরবো। দুই মিনিট সময় পাবি। নে এখন চিন্তা কর।

হে আল্লাহ! কি এমন পাপ ছিল আমার যার শাস্তি তুমি আমাকে এই ভাবে দিলে। তুমি নিজেই বলেছো তুমি যা করো তা ভালর জন্যই করো। তুমি এখানে আমার জন্য কি ভালটা রাখলে! বিয়ের প্রথম রাতে একটা মেয়ের সারাটা জীবনের স্বপ্ন গুলো ভেঙ্গে দিলে। বিয়ে নামের এই ধর্ষনের মাঝে তোমার কি ভাল থাকতে পারে ?

কেনও এমন হলো আমার সাথে! আমি নিজেকে কিছুটা শান্ত করতে বাধ্য হলাম। কারন মানুষ যখন জানতে পারে সে তার মৃত্যুর খুব সন্নিকটে, সেখান থেকে বাঁচার আর কোন উপায় নেই তখন না কি নিজ ইচ্ছায় মৃত্যুর কাছে নিজেকে সমর্পন করে। বক্সটা খোলা ছাড়া আমার আর কোন উপায় নেই। কারন আমি এখন বিক্রি হওয়া এক বন্দী।

আমাকে তাই করতে হবে, যা আমাকে বলা হবে। একটা বড় দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছেড়ে বাক্সটা হাতে নিলাম। মনের সবটুকু শক্তি দিয়ে কাঁপা কাঁপা হাতে বাক্সের মুখ খুলতেই আমি স্তব্ধ হয়ে গেলাম। এ কি দেখছি আমি! এতো আমার হারিয়ে যাওয়া ডায়েরী। যার মাঝে আমার জীবনের সব কথা লিখা ছিল।

এই ডায়েরীটাই তো গত ছয় মাস আগে যাত্রী ছাউনীতে হারিয়ে ফেলে ছিলাম। আমি লোকটার মুখের দিকে তাকাতেই দেখি সে মিটমিটয়ে হাসছে। তবে এখন তাকে আর মোটেও আগের মত ভয়ংকর লাগছে না। মেঝে থেকে দেয়াল পর্যন্ত টানানো কাপড়টা খুলে ফেললো। আমি কিছুই বুঝতেছি না। আমি কি স্বপ্ন দেখছি ?

না কি প্রচন্ড ভয় পাওয়ায় স্বাভাবিক জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছি! কি ম্যাডাম! দেখুন তো আপনার বাসর ঘরটা আপনার মনের মত করে সাজাতে পেরেছি কি না ?

মনে হচ্ছে আমি স্বপ্ন দেখছি। নিজের চোখে দেখা সব কিছু বিশ্বাস করতে বড় বেশি কষ্ট হচ্ছে। কেনই বা হবে না।

এতোখন আমার সাথে যা ঘটেছে তা তে কার বিশ্বাস হবে মেঝে থেকে ঘরের ছাদ পর্যন্ত কাপড় দিয়ে আড়াল করা ছিল বাহারি ফুলে সাজানো একটি বাসর ঘর। যা একেবারে আমার মনের মত করে সাজানো। তার মানে সে আমার ডায়েরীর প্রতিটা কথাই খুব মন দিয়ে পরেছে। আর এতোখন সে যা করেছে তার সব কিছুই ছিল সাজানো নাটক।

ম্যাডাম শুনছেন ?

জী, শুনছি। যার ডায়েরীর প্রতিটি পাতায় লিখা ভালবাসা, সংসার, স্বামী আর হাজারও স্বপ্নের কথা সেই মেয়েটা কে বিয়ে করতে পেরে আমি ধন্য। আমার নিজেকে খুব বেশি ভাগ্যবান মনে হয়। কারন ভাগ্যবান না হলে তোমার লিখা ডায়েরীটা আমার হাতে কখনই পরতো না।

আর হ্যা,তোমাকে একটা স্পেশাল ধন্যবাদ দিবো। কারন তুমি ডায়েরীতে তোমার ঠিকানাটা না লিখে রাখলে, এমন একটা লক্ষী বউ আমার কোন দিনই বিয়ে করা হতো না! রাগে আমার খুন করতে ইচ্ছে হচ্ছে। ওকে আমি সেলেন্ডার। এই যে আমার দু’হাত উপরে।

ওহ তাই না! ওতো সহজেই ছেড়ে দিব ?

বাদর জামাই, বিয়ের প্রথম রাতেই বাঁদরামো।

দেখাচ্ছি মজা!

কিসের ঘোমটা কিসের কি! ঘোমটা ফেলে শাড়ীর আঁচলটা কোমড়ে গুঁজে বিছানা ছেড়ে ওর পিছনে ছুটতে শুরু করলাম।

ছেলে মানুষ, তারে কি আর এতো সহজে ধরা যায়! আমিও হাল ছাড়ার পাত্রী নই। দু’জন মিলে সারা ঘরে দৌড়াচ্ছি। একবার এই বিছানার উপর উঠে দৌড়াচ্ছি আবার ওই বিছানায় উপর। দৌড়া দৌড়ি করতে করতে ফুলের লহর গুলো ছিড়ে একাকার।

মেঝের চারপাশে গোলাপ আর গাঁধা ফুল গুলো ঝরিয়ে পরছি। এ যেন ফুলের পাপড়ী ছড়িয়ে পরা নয়। যেন মনে হচ্ছে আমার স্বপ্ন গুলো কোন এক আনন্দের বৃষ্টি হয়ে ঝরছে। আমি আর পেরে উঠলাম না, বেশ হাঁপিয়ে উঠেছি।

কিছু না ভেবেই ওর বুকের মাঝে মাথা রেখে লুটিয়ে পরলাম। এক অজানা অনুভুতিতে তাকে শক্ত করে জরিয়ে ধরতেই কেন জানি বুকের ভিতরটা ভরে উঠলো। আজ আর আমি স্বপ্ন দেখছি না। না আজ আর আমার প্রয়োজন আছে ডায়েরীর পাতায় স্বপ্ন লিখার।

আজ আমার বাস্তবতা আছে। আছে স্বপ্ন পূরন করে দেবার মত একজন মানুষ। আর এমন একজন মানুষের বুকের মাঝে মাথা রেখে চোখ বন্ধ করে দিব্বি বাকিটা জীবন কাটিয়ে দেয়া যায়।

তুমি তো এমনই চেয়ে ছিলে তাই না! তোমার জামাইটা খুব দুষ্টু হবে। সারাখন তোমাকে জ্বালাবে। নাও, আজ থেকেই তোমাকে জ্বালানো শুরু করে দিলাম।

হুম, ঠিক এমনটাই। ঠিক তোমার মতন। শোনও, আমাকে কিন্তু আরও জ্বালাতে হবে। হুম জ্বালাবো। তবে ঘরের লাইটা অফ করে দিলে মনে হয় আরও ভাল করে জ্বালাতে পারতাম! যাহ, ফাজিল একটা। হা হা হা।

লাইট অফ ,, বাকিটা ইতিহাস।

গল্পের বিষয়:
জীবনের গল্প
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত