চন্দ্র কুমার পর্ব :-৫

চন্দ্র কুমার পর্ব :-৫

ইরফান:-বাবা তাহলে  এই পুঁথি টা খোলা যাক।।
আজাদ:-হ্যা খোল পুঁথি টা।। প্রথম থেকে পর।।  প্রথম থেকে পরলে  বুঝতে পারবি কি ভাবে সেই মানুষ খেকো দানব দের শেষ করা যাবে।।
ইরফান:-হ্যা বাবা।। এই বলে ইরফান  পুঁথি টার প্রথম পৃষ্ঠা খুলল।। পুথিঁটা খুলার সাথে সাথে ঘরের মধ্যে এক হালকা হাওয়া বয়ে গেল।।
এর পর ইরফান পুঁথি টা পরতে লাগল একের পর এক পৃষ্ঠা।। পুঁথি টাতে ঠিক এরকম  কথা লিখা আছে।। এই পুঁথির এক মাত্র উত্তরাধিকারী চন্দ্র কুমার।। এই পুঁথির মধ্যে আছে মঙ্গোল মণি উদ্ধার  করার উপায়।। প্রথমতো চন্দ্র কুমারকে  ধাধার উত্তর জানতে লাগবে।। এর পর তাকে রাজ্যের  সব চেয়ে বিশাল আকৃতির
বৃক্ষ খুজে বের করতে হবে।। তারপর ধাধার উত্তরের মাধ্যমে  সেই বৃক্ষ থেকে মঙ্গোল মণি  বের করতে হবে।।এবং মঙ্গোল মণি নিয়ে  যখন পূর্ণীমার চাঁদ পরিপূর্ণ
হবে ঠিক সেই সময়ে  মঙ্গোল মণির দ্বারা  মানুষ খেক দানব দের  শেষ করতে হবে।। মঙ্গোল মণি চন্দ্র কুমার  এর হাত দিয়ে চাদের দিকে বারিয়ে দিতে লাগবে।।
মণির আলো আর চাদের আলো এক সাথে  হয়ে যে আলোর সৃষ্টি হবে  সেই আলোর দ্বারা  মানুষ খেকো দানবদের  শরির পুরে যাবে আর  তারা চিরতরে শেষ হয়ে যাবে।।

এই পর্যন্ত পড়ে ইরফান বলে উঠল,
ইরফান:-বাবা পুঁথি টা তো পড়া প্রায় শেষ হয়ে এলো  কিন্তু সেই ধাধা তো পেলাম না কোথাও।
আজাদ:- শেষ হয়ে এল  এখন শেষ হয়নি।। তুই এই শেষ পৃষ্ঠা টা তোল দেখ এর মধ্যে আছে কি না।।
ইরফান:-আচ্ছা বাবা।।এই পৃষ্ঠা টায় দেখি কি আছে।।
এই বলে যখন ইরফান  শেষ পৃষ্ঠা উলটাতে যাবে ঠিক সেই মুহুর্তে দরজায় ঠক ঠক আওয়াজ  শুনতে পায় তারা।।
দরজায় ঠক ঠক আওয়াজ  শুনে ইরফান বলে,
ইরফান:-এতো সকাল সকাল কে এলো বাবা।।
আজাদ:-জানি না তুই গিয়ে দেখ কে এলো।।
ইরফান:-হুম আমি যাচ্ছি  তুমি দেখ শেষ পৃষ্ঠায় কি আছে।।এই বলে ইরফান  দরজা খুলতে গেল।।
ইরফান দরজা খুলতেই দেখে  একটি মেয়ে দরজার সামনে দারিয়ে আছে।।
ইরফান মেয়েটিকে দেখে বলে,
ইরফান:-কাকে চাই।।
মেয়েটি :-আমার খুব বিপদ প্লিজ আমাকে সাহায্য করুন।।
ইরফান:-কিসের বিপদ আপনার??
আপনার নাম কি??
আর আপনার বাসা কথায়??
মেয়েটি :-সব বলব আগে ভিতরে চলুন।।
ইরফান:-হ্যা আসুন ভিতরে আসুন।।এই বলে ইরফান মেয়েটিকে নিয়ে ভিতরে যায়।।

এদিকে আজাদ সাহেব সেই পুঁথি টা তারাতারি করে লুকিয়ে রাখে।।তিনি নিজে নিজেই ভাবেন যে
এই পুঁথির সন্ধানে কেউ এসেছে।। এই পুঁথি নিশ্চই চুরি হবে।। আমাকে এই পুঁথি টা রক্ষা করতে হবে যতক্ষন না ইরফান সেই ধাধা টা পায়।। আজাদ সাহেব পুঁথি টি লুকিয়ে রেখে নিচে আসেন।।
নিচে এসে দেখতে পান ইরফান একটি মেয়ের সাথে গল্প করছে।। কাছে এসে আজাদ সাহেব
ইরফান কে বলে,
আজাদ:-মেয়েটি কে ইরফান??
ইরফান:-বাবা উনি নাকি বিপদে পরেছেন।। আর তাই উনি সাহায্য চাচ্ছেন।।
আজাদ:-কি বিপদে পরেছে।। ইরফান কিছু বলতে যাবে
তোখনি মেয়েটি বলে উঠে,
মেয়েটি :-আমার নাম নিশিতা।। আসলে আঙ্কেল কি হয়েছে বলুন তো আমি আমার ফুফুর বাসায় যাচ্ছিলাম।। তো যেতে যেতে রাত হয়ে গিয়েছিল।। আর আমি ফুফুকে বলিনি যে আমি যাচ্ছি তাদের বাসায়।। রাতে যখন ফুফুদের বাসায় যাচ্ছিলাম তোখন একটা মানুষ খেকো দানব
আমার সামনে চলে আসে।। আর সেই মানুষ খেকো দানব টা আমার মাথা কেটে রক্ত খেয়ে
নেওয়ার চেষ্টা করে কিন্তু আমি অনেক কষ্টে লুকিয়ে গিয়ে বেচে যাই।। আর যেই সকাল হয়ে আসে
তখন সামনে আপনাদের বাসা পেয়ে ঢুকে পরি।। খুব ভয় করতেছে আমাকে।।
প্লিজ আমাক সাহায্য করুন।।
আজাদ:-তুমি সেই মানুষ খেকো দানব কে দেখেছ।।
নিশিতা:-হ্যা আমি দেখেছি।।
ইরফান:-আচ্ছা আপনি কি করে বুঝলেন সেইটা মানুষ খেকো দানব।।
আজ অবদি কেউ ওই জন্তুর নাম বলতে পারেনি।।তাহলে আপনি কি করে জানলেন সেই জন্তুর
নাম মানুষ খেকো দানব।। ইরফানের কোথা শুনে ভয় পেয়ে যায় নিশিতা আর আমতা আমতা করে বলে,
নিশিতা:-নাাা মাানেে ইয়েেে মাানেেে
ইরফান:-কি না মানে ইয়ে মানে বলছেন ঠিক করে বলুন।।
নিশিতা:-না মানে যেহেতু জন্তুটি মানুষদের খেয়ে ফেলছে তাই বললাম আর কি।।
আজাদ:-আচ্ছা মা তোমার কোনো ভয় নেই।।
তুমি আজকে আমাদের এইখানে থাকতে পার।। কালকে তোখন ইরফান তোমাকে পৌছে দিবে
আর যদি তুমি তোমার ফুফুকে ফোন দিয়ে আসতে বল তো বলতে পার।। এই কোথা শুনে নিশিতা
তারাতারি করে বলে উঠল,
নিশিতা:-না না আঙ্কেল আমি আজকে এইখানে থাকব কালকে যাব।। নিশিতার এমন আচরন দেখে
ইরফানের একটু সন্ধেহ হতে লাগল।। ইরফান সেই মুহুর্তে আর কিছু না ভেবে নিশিতা কে একটা ঘর দেখিয়ে দেয় থাকার জন্য।।
তারপর তার বাবার কাছে এসে বলে,
ইরফান:-বাবা চল আমরা শেষ পৃষ্ঠা টা পরে ধাধাটি জেনে নেই।।
আজাদ:-ইরফান এখন না।। আমি পুঁথি টাকে সুরক্ষিত জায়গায় রেখে দিছি।।
তুমি কালকে জেনে নিও।। ইরফান তার বাবাকে কিছু বলতে যাবে ঠিক তোখনি সে দেখল নিশিতা
দরজার আরাল থেকে তাদের কোথা শুনছে।।

ইরাফান নিশিতা কে বলে,
ইরফান:-আপনি লুকিয়ে লুকিয়ে আমাদের কথা শুনছেন কেন।। নিশিতা থতমত খেয়ে বলে,
নিশিতা:-না মানে আমি আপনাদের কথা শুনছি না।।আমার খুব খিদে পেয়েছে তাই বলতে আসছি।।
ইরফান:-ও তাই বলুন।।
আচ্ছা আমি আমাদের কাজের চাচাকে বলছি আপনাকে খাবার দিতে।।
নিশিতা তোখন আস্তে করে বলল,
নিশিতা:-আমি এখানে খেতে আসিনি।।
আমি যেই উদ্দেশ্যে এসেছি সেইটা পুরন হলেই হবে।।।।
ইরাফান নিশিতা আস্তে আস্তে কথা বলতে দেখে বলল,
ইরফান:-কিছু বললেন আপনি??
নিশিতা:-না কিছু না।। ঠিকাছে আমার ঘরে দিয়ে আসতে বলিয়েন।। এই বলে নিশিতা চলে যায় ঘরে।।
এর পর আজাদ সাহেব ইরফানকে তার ঘরে নিয়ে গিয়ে পুঁথি কোথায় রেখেছে সব বলেন।।তিনি আরো বলেন,
আজাদ:-ইরফান আমার কেনো জানিনা মনে হচ্ছে এই পুঁথি কেউ চুরি করবে।।
তাই আমি এই পুঁথি টা এই ঘরে না রেখে সুরক্ষিত জায়গায় রেখে দিয়েছি।। তোমাকে সুরক্ষিত
জায়গার কথা বললাম।। তুমি ছারা যেন আর কেউ না জানে এই ব্যপারে।।

ইরফান:-ঠিকাছে বাবা।। আচ্ছা আমি এখন যাই কলেজে যেতে লাগবে।।
এই বলে ইরফান নিচে গিয়ে নিশিতা কে বলে কলেজে চলে যায়।।

আরো গল্প পড়তে লিংক এ ক্লিক করুন……

চন্দ্র কুমার পর্ব:- ১

চন্দ্র কুমার পর্ব:-২

চন্দ্র কুমার পর্ব :-৩

চন্দ্র কুমার পর্ব :-৪

চন্দ্র কুমার পর্ব :-৬

গল্পের বিষয়:
ভৌতিক
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত