মায়াজাল (পর্ব-৬)

মায়াজাল (পর্ব-৬)

মিসেস রয় ওটির দরজা খুলতেই দেখলেন ওখানে ডাক্তারের পোশাক পরা একজন ওটি বেডে শুয়ে থাকা একজনের মাথার খুলি বের করে অপারেশন করছে আর সেই লোকটা বাচাও করে চিতকার করছে..ওটির বেডের চারপাশে পেশণ্টের জামা পরা আরও ৫ জন লোক দাড়িয়ে আছে.আর তাদের প্রতেকের কপালে মোটা করে সেলাইয়ের দাগ..প্রতেকের কপালের ওই সেলাইটার ফাক দিয়ে মাথার ভিতরের ঘিলু গুলো বেরিয়ে আছে..এই দৃশ্য দেখে মিসেস রয় একটা চিতকার দিয়ে ওঠে..তখন ওটির ছয়জন একটা হিংসাত্মক দৃষ্টি নিয়ে ফিরে তাকায় মিসেস রয়ের দিকে..মিসেস রয়ের বুকটা ভয়ে কেপে ওঠে ডাক্তারের মুখটা দেখে.এতক্ষণ উনি দেখতে পাননি পিছনে ঘুরেছিলেন বলে.উনি দেখলেন ডাক্তারের মুখটা পুরো গলে যাওয়া প্লাসটিকের মতো দলা পাকানো..চোখ কান মুখ বলতে কিছুই নেই্..
এদিকে মিসেস রয়ের বডিটা কাপতে শুরু করেছে দেখে রিয়া জিয়া ও হাসান কাকু ভয় পেয়ে যায়..ওরা মি: রয়ের দিকে জিজ্ঞাসু চোখে তাকালে উনি বলেন
“আত্মার দুনিয়ায় ওর সাথে যা হবে ওর শরীরেও তাই হবে”
সবাই আবার চুপ করে অপেক্ষা করতে থাকে ..
আত্মার দুনিয়ায় মিসেস রয় ভয় পেলেও নিজেকে সামলে নেন কারণ উনি জানেন ভয় পেলে উনার মৃত্যু নিশ্চিত ..এরকম দৃশ্য উনি আগেও দেখেছেন ..তবে এতটা ভয়ংকর ছিলনা ওগুলো..মিসেস রয় এবার দৃঢ় কণঠে প্রশ্ন করে
“আপনারা এই দুনিয়ায় আটকে রয়েছেন কেন?”
একজন সাদা জামা পরা লোক ডাক্তারের পোশাক পরা লোকটার দিকে আঙুল দিয়ে বলল
“এই শয়তান ডাক্তারের জন্য ..এর পাগালোমোর জন্য আমরা মরেও আত্মা হয়ে ঘুরছি..আমারা এর প্রতিশোধ নিতে চাই..ওর মেয়ে রাই এর জীবন চাই আমরা”
ডাক্তার-“আমার রাই এর কিছু হলে তোকে ছাড়বনা আমি”
লোকটা- ওকে মরতেই হবে..আর তুই আমার আর কি করবি.এই ২৪ বছর আত্মা হয়ে থাকার যন্ত্রনার বেশি আর কি আছে..
এইবলে বিকটভাবে হাসতে থাকে..অন্য লোকগুলোও হাসতে থাকে ওর সাথে..
মিসেস রয় এবার বললেন
“রাই তো ২৪ বছর আগেই এখানে আগুন লেগে মরে গেছে..ওকে কি মারবে??”
লোকটা- ও মরলেও ওর আত্মা যেহেতু আমাদের মতো অতৃপ্ত ছিল না তাই ও আবার জন্মো নিয়েছে..আর সেটা আপনিও জানেন..আর আপনি ওকে সাহায্য করতেই এখানে এসেছেন..আজ ও বেচে এই বিলডিং এর বাইরে বেরোতে পারবে না..
এই কথা শুনে ডাক্তার রেগে লোকটার উপর ঝাপিয়ে পরে.বাকিরাও ডাক্তারের উপর ঝাপিয়ে পরে..এমনি ওটি বেডে শুয়ে থাকা আত্মাটাও উঠে ঝাপিয়ে পরে আর র
মাথার ঘিলুগুলো মাটিতে গড়াতে থাকে..
এইদেখে মিসেস রয় দৌড়ে সিঁড়ি দিয়ে নেমে যে ঘরে সবাই আছে সে ঘরে ঢুকতেই
ওনার শরীরে আত্মটা ঢেঁড়স গেল ওনার শরীর টা একটা জোরে ঝাকুনি দিয়ে.এতজোরে ঝাকুনি দিয়েছিল যে রিয়ার হাত থেকে ওনার হাত ছেড়ে যায় আর সারকেল ভেঙে যায়..ঘরের মধ্যে প্রচণ্ড জোরে ঠাণ্ডা হাওয়া বইতে থাকে..মোমবাতিগুলো নিভে গেলে মি: রয় সবাইকে চিল্লিয়ে বলে টর্চ জালান আমাদের একসাথে এক্ষুনি এই বিলডিং থেকে বেরোতে হবে৷ওরা যখন টর্চ জালায় তখন রিয়ার ভয়ংকর চেহারা দেখে ভয় পেয়ে যায়..রিয়ার চুলগুলো মুখের সামনে আর হঠাত্ রিয়া চিতকার করে বলে ওঠে পুরুষ কণ্ঠে রায়ের দিকে তাকিয়ে
“বলেছিলাম না রাই মরবে..এবার বলছি তোরা সব মরবি”..
এইবলে অট্টহাস্য করে ওঠে….
ওরা সবাই দরজার কাছে গেলে দরজা বন্ধ হয়ে যায়…আর রিয়া জোরে জোরে হাসতে থাকে ভয়ংকরভাবে….

আরো গল্প পড়তে লিংক এ ক্লিক করুন……

মায়াজাল পর্ব – ৫

গল্পের বিষয়:
ভৌতিক
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত