রাত তখন ১১টা বাজে। আমি যদিও ভুতের ছবি দেখতে ভয় পাই তবুও একা ভুতের ছবি দেখেছি একা একা যখন ভুতের ছবি শেষ তখন ভয়ে আমি বলছি
–আরে এসব একদম সত্য নয় ভুত বলতে কিছুই হয়না
এরপর নিচে লেখা উঠল এ গল্পটি সম্পুর্ন সত্য ঘটনার উপর র্নিমিত এ লেখাটা দেখে তো একদম আমার ফেটে গেল বারোটা। এরপরের দিন আমি গোসল করতে এসেছি আর মাথায় সাবান দেওয়ার সময় চোখ বন্ধ করলেই খালি সেই ভুতের চেহারা ভেসে উঠে আবার ব্ন্ধ করি আবার চেহারা ভেসে উঠে
–ধ্যাং আজকে চোখ খুলেই মাথায় সাবান দিবো
এখন রাত আরাইটা বাজে আমি খালি বলছি রাত ৩টার সময় তো ভুত আসে আল্লাহ দয়া করে ৩টার আগে ঘুম দিয়ে দাও
–এক কাজ করি আবিরকে ফোন করি ও মনে হয় এখনো জাগছে হ্যালো আবির ভালো হয়েছে এখনো জাগছিস
–কেনো রে কী হয়েছে
–আরে আমার তো এখানে ফেটে যাচ্চে তুতু তুই যেভাবেই হোক যাই হোক আমার সাথে কথা বল যে কোন কথা বল
–আচ্ছা ঠিক আছে আমার মাথায় একটা গল্প মাথায় আসছে
–আচ্ছা বল
–শোন গ্রামের মানুষেরা বলে যে রাতে ভুতেরা খালি চেয়ারে বসে মানুষকে ঘুরে ঘুরে দেখে
–চুপ এসব বন্ধ কর অন্য গল্প বল
–আচ্ছা ঠিক আছে অন্য গল্প বলছি এটাও কিন্তু গ্রামের।লোকেরা বলে যে রাতে ছাদে ভুত এসে গান করে
–চুপ তোর সাথে আর কোন কথাই বলব না ফোন রাখ
ও কী বলল এসব যে খালি চেয়ারে ভুত বসে আমার এখানে তো চেয়ার আর সবই ফাকা আচ্ছা ১টা আইডিয়া পাইছি সব চেয়ারেই তো ব্যাগ আর কাপর রাখা ভুত বসবে কোথায়
–ঠিক এমন সময় ১টি ব্যাগ পরে যায় তো আরকি আমি আমিও যা করার তাই করলাম মাআআআআআআআআ বলেই ফুল স্পিডে দৌর নিচে নেমে দেখি সাদা কাপর পড়া মাথার চুল উলটানো পেত্নী আমি ভয়ে কাদতে কাদতে হে মা ভবানী আমাকে মাফ করিয়া দিন
–এই তুই এসব কী বলছিস (আমার বোনকে পেত্নী ভেবেছিলাম)
–এই তুই রাত আরাইটায় এখানে কী করিস
–চুল শুকাচ ছিলাম
–তুই চুল শুকোচছিলি যা গিয়ে ঘুমা
সমাপ্ত
